মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি
দেশের উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২০ পালিত হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবার স্বল্পপরিসরে উদযাপন করেছে প্রশাসন।
আজ ১৫ জুলাই, (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাল সবুজ বেলুন উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম এর নেতৃত্বে র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন , নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য গণস্বাক্ষর কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ২২ জুন কে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করার পক্ষে গণস্বাক্ষর দিয়েছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ২২ জুন পুনর্বহাল রাখার বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরে যে মতামত দিচ্ছে সে অনুযায়ী বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম যেহেতু ২২ জুন শুরু হয়েছে সেই হিসেবে ২২ জুনকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করা যৌক্তিক।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেও নোবিপ্রবির ২য় এবং ৩য় ভিসির মেয়াদকালেও ২২ জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরের ২২ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু গত ২০১৬ সাল থেকে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।