সেপটিক ট্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. ইউনুছ বাবু (২৩) নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পাঠানবাড়ী সড়কের শফিকুর রহমান সড়কের তাসফিয়া ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বাবু চীনের আহোট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তিনি শহরের রামপুর শাহীন একাডেমী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার তাকিয়া বাজার এলাকার পাইকপাড়া গ্রামে।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পায়।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোমেন ও পুলিশ ফাঁডির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে সেপটিক ট্যাংকে থাকায় লাশে পচন ধরে গেছে।

পরণের জামা দেখে লাশ শনাক্তের পর নিহতের ছোট ভাই মো. ইরফান বাপ্পি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শাহরিয়ার ও রাকিব নামে দুই বন্ধু বাবুকে মোবাইল ফোনে বাসা ডেকে নেয়। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরদিন শুক্রবার ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে শাহরিয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এর আগে শুক্রবার ভোরে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমান উদ্দিন ভূঞা বাড়ির বাসিন্দা মো. শাহরিয়ারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভবনটির কেয়ারটেকার মো. মোজাম্মেল হক শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে ওই ভবনের এক বাসিন্দা জানান, শাহরিয়ার ও বাবু প্রায়ই ভবনের কেয়ারটেকার শাহীনের কাছে আসতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও তারা এখানে এসেছিলেন। কেয়ারটেকার শাহীনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না বলতে পারেননি তিনি।

এ ঘটনায় ছেলেকে না পেয়ে শুক্রবার রাতেই শাহরিয়ারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বাবুর মা রেজিয়া বেগম। একইদিন রাতে সেপটিক ট্যাংক থেকে শাহরিয়ারকে উদ্ধারের পর তার মাও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাড়ির কেয়ারটেকার মোজাম্মেল হক শাহিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় জানান, নিহতের শরীরের সামনের অংশে দুটি ও পেছনের অংশে তিনটি ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে। এছাড়াও কণ্ঠনালিতে পাটের রশি দিয়ে গিট দেয়া ছিলো। ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার রহস্য বের করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *