স্বাস্থ্যবিধি মেনে বশেফমুবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

মঞ্জুরুর ইসলাম আকন্দ, বশেফমুবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ২৮ নভেম্বর (শনিবার) জামালপুরের মেলান্দহে বশেফমুবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন করা হয়।

২০১৭ সালের ২৪ নং আইনের মাধ্যমে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর।

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সীমিত আকারে ক্যাম্পাসে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা ওড়ানো এবং আলোচনা সভা।

সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও বশেফমুবিপ্রবি পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানোর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

বশেফমুবিপ্রবির সিন্ডিকেট সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ্ব মির্জা আজম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হোসেন।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনের চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতীয় চার নেতা, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎবরণকারী, করোনা মহামারীতে চিকিৎসক, নার্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রয়াত সবার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার মূরালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া। আমরা সীমিত সম্পদের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

‘আমরা সীমিত আকারে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারছি না। এই দুঃসহ অবস্থা কেটে যাবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আনন্দঘন ও বর্ণাঢ্যভাবে সকল উৎসব উদযাপন করবো।’

প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই আমরা গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অব্যাহত সহযোগিতার আহ্বান জানাই। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আপন মহিমায় বিশ্বজুড়ে একদিন ছড়ি পড়বে বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার জনাব খন্দকার হামিদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রহিম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার জনাব মহিউদ্দিন মোল্লা, বিভিন্ন চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বশেফমুবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান।

এর আগে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ফানুস উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *