স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিজির অপসারণে রাজনৈতিক ঐক্য পরিহার করুন: নূর

সানজিদ আরা সরকার বিথী
ঢাবি প্রতিনিধি


দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সকল মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়লদের গ্রেফতার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের’ দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই অবস্থান কর্মসূচীতে ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর সহ আরো অনেক নেতানেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে দুর্নীতির আসল চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সরকারের সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের পতন ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি হবে না। আমরা অনেক আন্দোলন,প্রতিবাদ,ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছি।এখন জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের ঐক্য প্রয়োজন। রাজনৈতিক ঐক্য দিয়ে এখন আর কাজ হবে না, দেশকে বাঁচাতে হলে এখন জনগণের ঐক্য প্রয়োজন। ‘

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন,’ ইতালি থেকে যেসব প্রবাসী বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, তারা রিজেন্ট কিংবা জেকেজি হাসপাতাল করোনার পরীক্ষা করাননি। অন্য হাসপাতালে করেছেন। তার অর্থ হচ্ছে অন্যান্য হাসপাতালেও করোনার ভুয়া টেস্ট এবং সেই টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, এর দায় কোনোভাবেই সরকার এড়াতে পারে না।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ঈদের আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিকের অপসারণ দাবি করে বলেন,’এই সরকারের হাতে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এই সরকারের চলে যাওয়ার রাস্তা বানিয়ে দেওয়া এখন ফরজে আইন হয়ে গেছে। যেতে আপনাদের হবেই। যাওয়ার আগে যত তাড়াতাড়ি পারেন ঈদের আগেই এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চলে যেতে বলেন।’

করোনা ইস্যুতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের প্রতারণার প্রসঙ্গ তুলে মান্না বলেন, যাবার আগে সাহেদকে ভালোমতো জিজ্ঞাসাবাদ করে, তার কাছ থেকে যথাযথ তথ্য আদায় করা হোক। এবং তার কাছ থেকে আদায়কৃত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। যদি নয়-ছয় করেন, উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন, তাহলে মানুষ বুঝে ফেলবে। বুঝলে কার ঘাড়ে কয়টি মাথা আছে, সেটি দেখার ক্ষমতা আমাদের আছে। ‘

সরকারের সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলেছেন। তার মানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো টাকা নেই। ফলে স্থানীয় সরকার জনগণের উপর ভ্যাট ট্যাক্স বাড়াতে থাকবে। যার ফলে মানুষ অত্যাচারে-অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পড়বে। সাহেদ যা আপনারাও তাই। শাহেদ মানেই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যা করছে সেটা শাহেদের মতোই কাজ।’

এই অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন :বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, রাষ্ট্রচিন্তার ফরিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, শ্যামলী শীল, জুলহাসনাইন বাবু, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল মরিয়ম তানিয়া, দীপক রায় প্রমুখ।

Scroll to Top