স্মৃতি রোমন্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

সানজিদ আরা সরকার বিথী
ঢাবি প্রতিনিধি


প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তোমায় ছাড়া শততম দিন ও পার করে ফেলেছে তোমার স্নেহকাতর সন্তানেরা।তুমি কি ভালো আছ!তোমার কত শত সন্তানেরা স্মৃতির ক্যানভাস খুলে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনছে কবে তোমার ছায়াতলে বসে প্রান জুড়োবে!তুমি কি অভাব অনুভব কর সকাল হলেই শ্যাডোর চা বানানোর চামচের ঝংকানি,তোমার কি এখন খুব কষ্ট হয়,এখন আর লিফটে আগে যাওয়ার জন্য বন্ধুরা খুনসুটিতে মেতে উঠেনা।
তোমার বুকে কতশত প্রান স্বপ্ন দেখে বীজ বপন করে ;তুমি সেই স্বপ্নের বপিত বীজগুলো তোমার রঙিন আভা দিয়ে জাগ্রত রাখছ তো!

এখন কি আর তোমার হলের পাঠাগারগুলোর গুনগুন আওয়াজ শুনে তুমি সভ্যতা থেকে সভ্যতা ভ্রমন করনা!তোমার আলোর পথে ডেকে চলা নীরব পদপ্রদর্শক গ্রন্থাগারগুলো কি আত্মার খোরাক না জোগাতে পেরে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঘুমোচ্ছে!

এতদিনে কত শত ফুল ঝড়ে গেছে হয়তো কত নতুন ফুলের সমারোহে তুমি আরো রাঙা হয়ে উঠেছ!কার্জন হলে এখন কপোত-কপোতী গন তোমায় সাক্ষ্য রেখে হাতে হাত রেখে যুগ যুগান্তর পারি দেওয়ার শপথ করেনা বলে তোমার মন বিমর্ষ!

টিএসসির গল্পের আসরে কতশত কাহিনী শুনার জন্য কি তুমি কান পেতে থাক!গিটারের শব্দ এখন মেঘে ভেসে বেড়ায় না বলে তুমি কি তোমার অস্তিত্বের ঘ্রাণ পাওনা!

তোমার বুকে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা রক্তিম বর্নমালার আঁতুরঘর শহীদ মিনার কি অপেক্ষায় আছে ফুলে ফুলে শ্রদ্ধায় ভরে উঠার।স্বাধীনতার আগুন বুকে জ্বালানো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের পদচিহ্ন না থাকায় কি তুমি কি রিক্ততার বেদনায় আহত হচ্ছো! প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এখন মধুর ক্যান্টিনের আলাপচারিতায় রাজপথ মিছিলের শব্দে উদ্বেলিত হয়না বলে নিরাশ হওয়া তুমি তো জাতিকে শিখাওনি!তুমি তো শিখিয়েছ সকল যুদ্ধ জয় করে বিজয়ের হাসি হাসতে

প্রতিটি মন চায় প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে।গিটারের শব্দে বাতাসে ভেসে বেড়াতে,আবার সেই হাসি-আড্ডায়,খুনসুটিতে মেতে উঠতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তোমার বুকে ফিরে যেতে নতুন ভোরের প্রত্যাশায় তোমার প্রিয় সন্তানেরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment