হতাশা থেকে মুক্তি

খায়রুজ্জামান খান সানি


বড় অবসন্নতা ব্যাধি। একটি সাধারণ এবং গুরুতর অসুস্থতা যা আপনার অনুভূতি, আপনার চিন্তাভাবনা। আপনি কীভাবে আচরণ করেন তা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। একবার উপভোগ করা ক্রিয়াকলাপগুলির আগ্রহ হ্রাস করে। এটি বিভিন্ন রকমের আবেগময় এবং শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।অবসাদজনিত কারণে সবকিছুতে অস্বস্তি লাগে।

হ্যাঁ, বলছি হতাশার কথা।বিভিন্ন রকমের হতাশা কাজ করে থাকে আমাদের মাঝে।হতাশাগ্রস্থ থেকে ঘুমাতে বা খুব বেশি ঘুমাতে সমস্যা হয়।শক্তি হ্রাস পায়।নিজেকে অকেজো বা দোষী বোধ হয়। কোনো কিছুতে চিন্তাভাবনা বা মনোনিবেশ করা বা সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়। সর্বোপরি, পথ খুঁজে না পেয়ে মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা উদয় হয় মাথায়।

প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন (১.6.6%) তাদের জীবনের কিছু সময় হতাশার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। হতাশা যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা হতাশার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এসময় কাউকে কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করে।বেঁচে থাকা ইচ্ছেটা তারই বেশি থাকে যে হতাশায় ভুগে আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়। হতাশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য কিছু উপায় আমরা মেনে চলতে পারি।

মেডিটেশন বা ধ্যান হল এমন একটি অনুশীলন যেখানে কোনও ব্যক্তি কোন কৌশল ব্যবহার করে মননশীলতা বা কোনও নির্দিষ্ট বিষয়, চিন্তাভাবনা বা ক্রিয়াকলাপের প্রতি মনকে কেন্দ্র করে মনোযোগ এবং সচেতনতা প্রশিক্ষণের জন্য এবং মানসিকভাবে পরিষ্কার এবং মানসিকভাবে শান্ত এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারে।

হতাশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য অন্যতম উপায় হতে পারে মানুষের সাথে কথা বলা।একটা মানুষের সাথে সুখ দুঃখ শেয়ার করে অপরজনের উচিত তার ভাল দিক নিয়ে আলোচনা করা। তাকে উৎসাহিত করা। যে দিক থেকে সে পারদর্শী তাকে আরও বেশি বেশি ওই ব্যাপারে প্রশ্ন করা।

হতাশাগ্রস্ত মানুষ নিজেকে থেকে কিছু বলতে চাইবেনা।তবে তাদের আশেপাশের মানুষগুলোর উচিত তার খোঁজ খবর রাখা।যদি বুঝতে পারেন সে অবসাদগ্রস্ত তখন তাকে নিরুৎসাহিত না করে বরং তাকে সমর্থন কবেন ভাল কিছু করতে।

এসময়ে আমি যেমনটা করে থাকি,খুব কাছের বন্ধুদের সাথে কথা বলি, আড্ডা দেই।হতাশার কারণটা শুধু ভুলে থাকতে চাই।আমাকে তারা সুন্দর করে আমার ভাল দিকগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।উৎসাহ দেয়। একটু লেখালেখি করতে ভাল লাগে যদিও মানুষজন মজা পায়,তবে আমার ভাল লাগে লিখতে আমি লিখি৷মন খারাপ করে দরজায় খিল দিয়ে বসে যদি থাকা হয় তবে মন খারাপ আর হতাশা দুইটাই গভীর হবে,সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবেনা।

সর্বোপরি,হতাশা কাটিয়ে উঠতে বিশেষ কিছুর প্রয়োজন নেই।প্রয়োজন শুধু একটি বিশ্বস্ত মানুষ। হতে পারে খুব কাছের বন্ধু বা অন্য কেউ।তবে প্রত্যকের উচিত একটা মানুষের সাথে সব কিছু শেয়ার করা যাতে করে নিজে একাকী ভেবে আত্নহত্যার পথ অবলম্বন না করে

লেখকঃ শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *