হাতের মেহেদী এখনো শুকায়নি || কাজী আদম

১. প্রথম দেখাতেই হয়েছিল গভীর প্রণয়!
কারণ ছেলেটির মাঝে সে দেখেছিল মহা-মানবের বিনয়।
মাস-ছয়ের অতল প্রেম,সুখি ভালোবাসা,
মেয়েটির মনে সৃষ্টি হলো প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধার সুখের আশা।

২. তাঁদের বহু প্রচেষ্টায় উভয়ের পরিবার হলো রাজি,
ঘটা করে বিয়ে হলো,তবে কে জানিত ছেলের মনে ছিল অন্য কারসাজি?
বাসর হলো,সবি হলো মহা-খুশি ছিল তাঁরা,
কিছুদিন যেতে না যেতেই ডুবতে লাগলো মেয়েটির জীবনের সুখের-তারা।

৩. এক-পাক্ষিক পরেই ছেলে চাইলো যৌতুক!
মেয়ে সাফ-জানিয়ে দিল তা হবে না,
সেই থেকে নেমে এলো মেয়ের জীবনে দুঃখ-নামক অত্যাচারী পাহাড়ি-ঝর্ণা।
যৌতুক না পেলে নষ্টা-মেয়ে তোর হবে বিদায়,
মেয়ে বলিল ওগো!যতই অত্যাচার করো সারা’জীবন ভালোবাসিব তোমায়।

৪. পঁচিশ দিন পর ক্রোধে ছেলে বলিল যৌতুক কেন এখনো পাইনি?
মেয়ে বলিল এই তোমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দান?
গভীর ক্রোধে ছেলে চেপে ধরিল মেয়ের গলা,একটি অস্ফুট স্বরে অভাগী মেয়ে বলেছিল ওগো!অনেক ভালোবাসি,
দেখো হাতের মেহেদি এখনো শুকায়নি!
সকালে আকাশ-বাতাসে ছিল শোকের মাতম, প্রেম তুই আসলেই মহা-সর্বনাশী।

লেখক পরিচিতিঃ কাজী আদম, Wuzhou, Guangxi, China.

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment