১০-১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা হয়তো আর ক্লাসে ফিরে পাবো না

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বিভাগ অনুযায়ী সশরীরে পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব।

উপাচার্য বলেন, ‘করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমি আশঙ্কা করছি, হয়তো এই দীর্ঘ ছুটির কারণে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। ১০-১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা হয়তো আর ক্লাসে ফিরে পাবো না।’

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে বসবাস করে। অনেকের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ইউজিসির সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ব্যাচ ও ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারি। এতে হল কিংবা ক্লাস প্রতিটা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

শুধু বশেমুরবিপ্রবি নয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায় যে দেড় বছর সময় নষ্ট হয়েছে। তা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা চাচ্ছি আগামী জুন মাসের শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

তিনি জানান, অনলাইনে নয় বরং সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। আগামী জুন মাসের শেষ দিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

গত সোমবার (২৪মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদ।

গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার কারণে বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে করোনার প্রভাবে। গত ২৪ মে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *