১১ দিন পর গাজায় যুদ্ধবিরতি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ  গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইহুদি দেশ ইসরায়েল। টানা ১১ দিন গাজায় সহিংসতা চালানোর পর ইহুদি রাষ্ট্রটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল, গাজা, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতিতে রাজি।

শুক্রবার (২১ মে) ভোর থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর মাধ্যমে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর টানা ১১ দিনের বর্বর বোমা হামলার অবসান হলো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপরই গাজার রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। এসময় তারা ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’ এবং ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ’ স্লোগান দেন।

উভয়পক্ষের অস্ত্রবিরতির প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতির ‘সত্যিকারের সুযোগ’ সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির জন্য ইহুদি রাষ্ট্রটির ওপর চাপও বাড়ছিল।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে- মিশরের প্রস্তাবে আমরা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এই যুদ্ধবিরতি হবে পারিস্পরিক ও নিঃশর্ত।

হামাস বলেছে, আল-আকসা ও জেরুজালেমের শেখ জারায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান মিসরকে জানিয়েছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে মিসর।

২০১৪ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। গাজায় সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শিশু এবং ৩৬ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১২ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন।

Scroll to Top