ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
বরিশালে ‘এসএসসি পরীক্ষা-২০২০’ এর একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ০৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ১টার দিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এ ভুল ধরা পড়ে।
বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি কক্ষে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রেই তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এ সময় পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কাঁদতে শুরু করে অর্ধশতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী ।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ১ম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি কক্ষে জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরুর পর তাদের পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। প্রশ্ন দেখে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্ন মেলানো হলে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবক জানান, শিক্ষকদের ভুলে আমাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়েছে। ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের কঠোর বিচার চাই আমরা।
এ ব্যাপারে জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহে আলম জানান, হালিমা খাতুন কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ভুলে আমার প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের অনিয়মত পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এসব শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়নের দাবি জানাই।
এদিকে বিষয়টি ভুলের দায় স্বীকার করেন কেন্দ্র সচিব ও হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, ওই দুই কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের গাফিলতি ছিল। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস জানান, পুরোনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি অন্যের ভুলে পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি বোর্ড কর্তৃপক্ষ দেখবে।