৫ বছরের শিশু করোনায় আক্রান্ত: মাকে বলল, আমি কি মারা যাব?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সারাবিশ্বে প্রতিদিন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এর কাছে নবজাতক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের ওরচেস্টারশায়ারের ৫ বছরের এক শিশুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা তুলে ধরছেন মা লরিন ফুলব্রুক।

লরিন ফুলব্রুক জানান, ৫ বছরের আলফির প্রথমে হালকা জ্বর আসে। একই সঙ্গে বমি এবং হ্যালুসিনেশন। এমতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আলফির করোনা পজেটিভ আসে।

এদিকে জনগণকে সচেতন করার জন্য করোনার ভয়াবহতা লিখে ফেসবুকে প্রায় ৫১ হাজারের বেশি বার শেয়ার করেন তার মা লরিন। মার্চের ১৬ তারিখে লরিন লেখেন, আলফির (সন্তান) ব্লাড সুগার ৩.৭ এ দাঁড়িয়েছে। হার্টবিট কমে গেছে, তার শ্বাসকষ্টে সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে রীতিমত কাঁপছে। ওই সময়টাই লরিন এর জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানান তিনি।

আলফি কিভাবে ধীরে ধীরে অসুস্থ হলো তা বর্ণনা করেছেন তার লরিন। সাঁতার শিখতে যেয়ে বেশি ক্লোরিন খেয়ে ফেলে আলফি, এরপর তার কফ আসা শুরু হয়, সেই থেকে পরবর্তীতে জ্বর। এদিকে তার স্কুল বন্ধ করে বাসায় রাখলে সে সুস্থ বোধ করে।

একদিন পর আবার জ্বর আসে, খাওয়ায় অরুচি আসে সেই সাথে কোথাও নড়াচড়া করতে চায় না। এরপর জরুরী নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালে পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস ধরা পরে আলফির। এরপর আইসোলেশনে রাখা হয়। আলফি তার মা লরিনকে জিজ্ঞাসা করে আমি কি মারা যাব? মা লরিন সাহস যোগান। আইসোলেশনে রাখার শর্ত দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। লরিন জানান, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেছে আলফি। তবুও শরীরে হালকা তাপমাত্রা আছে।

করোনা-ভাইরাসকে স্বাভাবিক ভাবে না নিয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন লরিন।সেই সঙ্গে প্রথম থেকেই রোগীর যত্ন নেওয়ার ব্যাপারেও সচেতন কথা বলেছেন তিনি। লরিন সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *