“৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড”: আবরারের বাবা
বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে আবরারের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ কথা জানান। সেখানে হাজারও মানুষ জড়ো হন। এ সময় প্রতিবেশী-স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদেরও কাঁদতে দেখা যায়।
“৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড”: আবরারের বাবা
এ সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে আবরারের বাবা বলেন, “এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যে ছেলেটা বিকেল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছাল, তাকে ৮টার দিকে নির্যাতন করার জন্য ডেকে নিয়ে গেল। ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালাল, এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।”
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবরারের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। বেলা ১০টার পর আবরারের তৃতীয় জানাজা হয়। এরপর দুপুরে গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (০৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
আবরারকে মারার পর তার নিথর দেহ সিঁড়ির রেখে যান এমন সিসিটিভি ফুটেজ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে প্রকাশিত হলে এই মর্মান্তিক ঘটনা আরো সমালোচনায় আসে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
দ্য ক্যাম্পাস টুডে