‘৭০০ শিক্ষার্থীর কার কত ক্ষমতা দেখে নিব’ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের হুমকি

‘৭০০ শিক্ষার্থীর কার কত ক্ষমতা দেখে নিব’ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের হুমকি

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক শাহীন নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে শিক্ষক নাজমুল হক শাহীন কৃষি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে হুমকি প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাজমুল হক শাহীন ও ওই শিক্ষার্থীর মাঝে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডে নাজমুল হক শাহীনকে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে ফোন দিয়ে জানবেন তার ক্ষমতা আছে কিনা তার সন্তানকে রক্ষা করার এবং কৃষি বিভাগের ৭০০ শিক্ষার্থীর কার কত ক্ষমতা আছে সেটিও তিনি দেখে নিবেন।

ওই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নাজমুল হক শাহীন সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অত্যন্ত কাছের একজন ছিলেন। খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করতে শুরু করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “আন্দোলনের সময় তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছিলেন, তার এসকল হুমকির কারণে আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আমরা ৭০০ শিক্ষার্থী সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার ক্লাস বর্জন করি এবং রেজিস্ট্রার বরাবর তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দেই। বর্তমানে তিনি এই অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমনকি তিনি এটিও বলেছেন যে, তিনি নতুন উপাচার্য আাসার অপেক্ষায় আছেন। নতুন উপাচার্য আসলে শিক্ষার্থীদের কার কত ক্ষমতা দেখে নিবেন”

শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজমুল হক শাহীন। কল রেকর্ডের বিষয়ে তিনি জানান, “তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে, আমি টানা তিনমাস যাবৎ তাদের অনুরোধ করেছি অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে কিন্তু তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। একারণে আমি তাদের অভিভাবকের সাথে কথা বলতে চেয়েছি। আর তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদেরতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে সেই বিষয়টি বিবেচনা করে রক্ষা করার কথা বলেছি”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *