৭ দিনের মধ্যে দাবি না মানলে অনশনে যাবে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মূল্য ও মান সঠিকভাবে রাখার দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উক্ত মানববন্ধন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা খাবারের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী এস জে আরাফাত বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের দাম অনেক বেশী। অতিশীঘ্রই খাবার মূল্য ও মান ঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বায়েজিদ বলেন, ক্যান্টিনে খাদ্যমান ও পরিমাণ অনুযায়ী অনেক বেশি মূল্য রাখা হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করছি এবং অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপি টি হুবহু তুলে ধরা হলো।

বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুগত ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। আপনি এই ব্যাপারে অবগত আছেন যে আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি ক্যান্টিন- কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও পার্ক ক্যান্টিন চালু আছে। এসব ক্যান্টিনে খাদ্যমান ও পরিমাণ অনুযায়ী অনেক বেশি মূল্য রাখা হয়। নাস্তার ক্ষেত্রে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদির চেয়ে এখানে মূল্য বেশি রাখা হয়। কিন্তু আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখে এসেছি তাদের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের মূল্য স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক হয়ে থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণরূপে তার বিপরীত চিত্র প্রতীয়মান হয়। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সিঙ্গারা সমুসার মূল্য ৩-৪ টাকার অধিক হয় না সেখানে আমরা তা ৬ টাকা মূল্য দিয়ে খেতে হচ্ছে। ভাতের চাল দিয়ে রান্না করা খিচুড়ির জন্য আমাদের খসাতে হচ্ছে ৩০ টাকা। ব্রয়লার ও তেলাপিয়া মাছের মূল্য ১০০-১২০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকলেও প্রতি পিস আমাদের খেতে হচ্ছে ৫০ টাকা মূল্য দিয়ে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য প্রশাসন থেকে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার ১৫ বছরেও এই সুবিধা পাই নি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আমাদের প্রস্তাবিত মূল্য নিম্নে উল্লেখ করলামঃ ভাত+মুরগী/মাছ= ২৫-৩০ টাকা খিচুড়ী= ১৫-২০ টাকা, সিঙ্গারা/সমুসা= ৩-৪ টাকা,নুডুলস= ১০-১৫ টাকা, দুধ চা= ৫ টাকা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এবিষয়ে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ অবিহিত করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের সাথে বসে সমাধান করার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, আগামী ৭ দিনের মধ্যে উল্লেখ্য দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন্টিনে তালা লাগিয়ে অনশন করার কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *