ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
শিল্পযুগ থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের মানুষেরা কেমন হতে পারে, চিত্রশিল্পীদের কল্পিত ওই মানুষের ছবি নিয়ে জার্মানির লাইপজিশ শহরে চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তুলে ধরা হলো ওই প্রদর্শনীর কিছু অংশ।
ডিজিটাল যুগে জটিল প্রক্রিয়ায় মানুষ ও মেশিনের মধ্যে সংযোগ ঘটবে।
শিফ্ট চেঞ্জ ইন ওপেনকাস্ট মাইন
১৯৭৫ সালে আঁকা এই ছবিতে ওউফ্রাম ইবার্সবার কয়েকজন ক্লান্ত মানুষকে দেখিয়েছন, যারা সারাদিন খনিতে কঠোর প্ররিশ্রম করে বাড়িতে ফিরছেন। ছবির এবড়ো থেবড়ো জমিনে খোলামুখের খনির কথা বলছে, যেখানে তারা কাজ করেন৷ প্রায় এক শতাব্দী পার হয়ে গেলেও পূর্ব জার্মানিতে এ ধরনের খনি রয়ে গেছে এবং সেগুলো বন্ধের কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না।
দ্য মেশিন ম্যান
অসংখ্য তার ও পাইপে ভেতর জড়িয়ে আছে এক মানুষ। তার পেছন দিকে একগাদা চিমনি দেখা যাচ্ছে। লাইপজিশের শিল্পী এলিজাবেথ ফোগট ১৯৪৮ সালে ভবিষ্যতের মানুষের এই ছবিটি আঁকেন। ছবিতে মানুষকে যন্ত্র মানবে পরিণত হতে দেখানো হয়েছে।
ব্রিগেড ওয়ান
নরবার্ট ভ্যাগেনবার্ট ১৯৮৯ সালে ‘ব্রিগেড ওয়ান’ ছবিটি আঁকেন। ছবিতে কর্মস্থলে ব্যবহৃত প্রথম কম্পিউটার দেখা যাচ্ছে। পাশেই এক কম্পিউটারের যাদের বেকার করে দিচ্ছে তাদের মলিন মুখ।
প্রিভেনটেটিভ ওয়ার
১৯৮১ সাল জন্ম নেওয়া জানিন কহর নিজের চিত্রকর্মে মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন ফুটিয়ে তোলেন। তিনি বিশ্বায়ন, আধুনিকায় এবং সবার উপর নজরদারির বিষয়গুলোও নিয়েও কাজ করেছেন।
ফাইটারস
এই ভাস্কর্যটিকে অনায়াসে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘টার্মিনেটর’ এর স্মারক বলা যায়৷ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ইয়ানা ম্যাটেন্সের ভাস্কর্যটি মানুষ ও যন্ত্রের উন্নত মিশেল। একটি বুদ্ধিমান সাইবর্গ যাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
অ্যাভাব
শিল্পী রাইনার ইয়াকব নানা জায়গায় বরফের তৈরি এ ধরেনর রেডিয়েটর রেখেছেন। ছবির ‘রেডিয়েটর’ টি প্যারিসের ল্যুভ জাদুঘরের কাছের একটি সড়কে রাখা, যার পাশেই গৃহহীন এক ব্যক্তি হাড়া কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নীচে শুয়ে আছেন। ভবিষ্যতের পৃথিবীর ছবিতে এই ধরনের মানুষ দেখা না গেলেও বাস্তবে তা রয়ে গেছে।
দ্যাট ইস দ্য পিচ
চিত্রশিল্পী মার্টিন ক্রেচমার ও ডিজাইনার ইনেস বুন মিলে বারকোড ব্যবহার করে থ্রিডি প্রিন্টারে মানুষের মাথার এই খুলি তৈরি করেছেন।