যাদের ভাড়ায় পেট চলে তারা’য় ক্যাম্পাসে নাই, এখন পেট চালানো দায়

যাদের ভাড়ায় পেট চলে তারা’য় ক্যাম্পাসে নাই, এখন পেট চালানো দায়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক:  করোনা দূর্যোগে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দিনে আনে দিনে খায় এমন মানুষের এখন একবেলা খাবার জোগানো বড় দায়। এর জন্য কখনো বা ট্রাকের ত্রাণ কেড়ে নেওয়া আবার ত্রাণ নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সারি এগুলো এখন নিত্য নতুন নয়।সরকার লকডাউন শিথিল করলেও করোনার ভয়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারছেন না। আর দিনে আনে দিনে খায় বিশেষ করে চা,চটপটি,ফুচকা, রিকশাওয়ালা এমন ব্যাক্তি বেশি। এই ধরনের অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোকান বা ভাড়া বয়ে কারও বা ফটোস্ট্যাট করে পেটচলে। আর

করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রে করে জীবিকার তাগিদে ছুটে আসা সেইসব মানুষের এখন দুঃখের শেষ নেই।

এটা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্ধশতাধিক খাবার হোটেল, চা, মুদি, ফটোকপি ব্যবসায়ী ও ভাসমান দোকানি রয়েছেন। এছাড়া প্রায় একশ ভ্যানচালক রয়েছেন। যাদের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন এ ক্যাম্পাস।

কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ভ্যানচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছেন অধিকাংশ দোকানি।

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল সংলগ্ন এক হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে বাড়িতে বসে আছি। বড় ছেলের এক দোকান আছে, কিন্তু খুললেই পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইবার মাত্র ১০০০ টাকা দিয়েছিল। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের।

এদিকে সাদ্দাম হল সংলগ্ন চায়ের জানান, বাড়িতে একটি গাভি আছে। সেটা প্রতিদিন যে দুধ দেয় তা বিক্রি করে কোনোরকম সংসার চলছে।

 

 

কথা হয় ক্যাম্পাসের সবার পরিচিত ভ্যানচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, লকডাউন থাকায় এতোদিন শেখপাড়া বাজারেও ভ্যান চালাতে পারিনি। এখন রোজা থেকে সকাল বেলা মাঠের কাজে যাই। সেখান থেকে কিছু টাকা উপার্জন হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাইনি।

আরেক ভ্যানচালক রাজু আহমেদ বলেন, অনেকদিন পর আজ ভ্যান নিয়ে বাইরে বের হয়েছি। কিছু টাকা আয় হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের তো অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তথা থোকে ও ডে লেবারে নিয়োজিতদেরকে প্রথমত বিবেচনা করছি। তারপর অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।

শেষে এক বিক্রেতা বলেন,যে মামাদের ভাড়ায় আমাদের পেট চলে তারা’য় ক্যাম্পাসে নাই, এখন পেট চালানো কষ্টের হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *