চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫-৪০ বছর হচ্ছে?

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫-৪০ বছর হচ্ছে?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে বলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা পুর্নবিন্যাসের সময় এসেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি মনে করেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ কিংবা ৪০ বছর করা যেতে পারে। এ ছাড়া অবসরের বয়সও ৬৫ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় চিন্তা করতে হয়। উন্নত দেশে বাংলাদেশের মতো ক্যাডার, বয়স বা নিয়মকানুন নেই। ব্রিটিশরা যে মানসিকতা থেকে এটা করেছিল, তা আর খাটে না। আমাদের বয়স, স্বাধীনতা, সক্ষমতা, বিদ্যাবুদ্ধি বেড়েছে। সুতরাং এটার পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫-৪০ বছর করা যেতে পারে। অবসরের বয়সও ৬৫ করে পুনর্বিন্যাসের সময় এসেছে। অনেক চাকরিতে এটা আছে। এটা নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ আছে।’

এম এ মান্নান বলেন, করোনার আগে বেকারের সংখ্যা ছিলো ২০ শতাংশ। তবে করোনার কারণে অনেকের কাজ নেই। সিপিডি ও পিআরআইসহ বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ফের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় এখন আর ৩৫ শতাংশ নেই, তবে ২০ ভাগেও আসেনি। এটা ২২ থেকে ২৫ শতাংশ হবে।

তিনি বলেন, পশ্চিমা যারা উন্নত তাদের বয়সসীমা নেই। আমরা এখনো ওই পর্যায়ের উন্নত হইনি। কোন বাধা না থাকলে আমাদের জন্য বেশি উদার হয়ে যাবে। তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়ানো উচিৎ, যদিও এটা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার বলে জানান তিনি।।

মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। এখন বয়স ৩০ পার হলে তিনি ছিটকে পড়েন। বয়স বাড়ালে আরও নতুন মুখ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এতে প্রতিযোগিতাও বাড়বে।

মন্ত্রী আরও বলেন, অবসরের বয়স বাড়ালে আর নিচের দিকে বয়স না বাড়ালে অসম ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যাবে। আর উপরের দিকে বয়স বাড়িয়ে নিচের দিকেও বাড়ালে ব্যালেন্স হবে। তবে এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেক চিন্তাভাবনা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *