লকডাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরছেন জাককানইবির শিক্ষার্থীরা

লকডাউনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরছেন জাককানইবির শিক্ষার্থীরা

আশিক আরেফীন, জাককানইবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারীভাবে লকডাউন ঘোষণা পর দূরপাল্লার পরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি যাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল শিক্ষার্থীরা।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত এই ক্যাম্পাস থেকে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে ১৫ টি বাস রওনা হয়।

শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল বিভাগীয় প্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। অভিভাবকের অন্যতম দায়িত্ব সন্তানদের খোঁজ খবর রাখা। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. মো: আরিফুর রহমান প্রশাসনের নির্দেশনায় এই পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।

বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ধারণ, বাসরুট ও শিডিউল প্রস্তুত করণসহ নানাবিধ কাজ সমূহ পরিবহন দপ্তরের অধীনে সম্পন্ন হয়।

এ প্রসঙ্গে পরিবহন প্রশাসক ড. মো: আরিফুর রহমান বলেন, সাতটি রুটে আমাদের ১৫টি বাসে প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি যাচ্ছে। এখন তারা নিরাপদে বাসায় পৌঁছাক সেটাই আমাদের চাওয়া। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিস্ট অন্যান্য সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

পরিবহন দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, ১৫টি বাসের মধ্যে অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অন্যগুলো ভাড়ায় আনানো। বাসগুলো দেশের বিভাগীয় শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, সদ্য ঘোষিত লকডাউনের আগে সারাদেশ থেকে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসেন। তারা স্ব স্ব বিভাগের অর্ন্তগত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা চলাকালীন লকডাউনের ঘোষণা আসায় পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আটকে পড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *