বশেমুরবিপ্রবি: আমরণ অনশনে অসুস্থ ৩ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি

বশেমুরবিপ্রবি: আমরণ অনশনে অসুস্থ ৩ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি করছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এতে তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে টানা আন্দোলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১ টায় ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইদ্রাণী এবং আজ(৭ মার্চ) ১১ টায় দ্বিতীয় বর্ষের লিজান ও বেলা ৩ টায় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমা অসুস্থ হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শনিবার(৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৩১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি এবং তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন বিভাগটির ৫০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল।আগামীকাল রবিবার(৮ মার্চ) ইউজিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক।

এর আগে ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিল, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দেয়া না হলে ইউজিসির কার্যালয় ঘেরাও করবেন তারা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি কর্তৃক গঠিত কমিটির ওপর আস্থা রেখে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৫ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয় ইউজিসিকে কিন্তু ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও ইউজিসির কর্তৃক গঠিত কমিটি কোনো কার্যক্রম শুরু না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইউজিসির কাযালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে একটি দল ঢাকা অবস্থান করছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে ওইদিন রাত থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *