১০ শিক্ষার্থীকে ভিক্ষা করে ভাড়া দিতে বললেন বাড়ির মালিক

১০ শিক্ষার্থীকে ভিক্ষা করে ভাড়া দিতে বললেন বাড়ির মালিক

চবি টুডেঃ দেশে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। সেই সঙ্গে বন্ধ র‍য়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে মেস-বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা। এই সময়ে অনেক শিক্ষার্থীকে মেস-বাসা ভাড়া পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে অনেক মেস-বাসার মালিক।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১০ শিক্ষার্থীকে ভিক্ষা করে এপ্রিল মাসের বাসা ভাড়া দিতে বলার অভিযোগ উঠেছে এক বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়িতে চলে যাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীরা এপ্রিল মাসের বাসা ভাড়া দিতে পারেনি ওই বাড়ির মালিককে। এতেই নাকি তাদের ওপর রেগে আছেন ওই বাড়ির মালিক শামসুন্নাহার বেগম।

ওই বাসার ভাড়াটিয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, খুলশী থানার আল ফালাহ গলির হাজী নূর আহমেদ সড়কের আলী ভিলার চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকেন। আড়াই বছর ধরে ১০ জন মিলে এ বাসায় আছেন তারা। সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়েন। প্রতিমাসে ১৯ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হয় তাদের। আমরা সবাই টিউশন করে নিজেদের খরচ যোগান দিই। আড়াই বছরে কোন মাসেই ভাড়া বকেয়া ছিল না। এখন করোনার কারণে সবাই যার যার বাড়ি চলে গেছে। টিউশনও নেই। এ জন্য এপ্রিল মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারিনি।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমি বাড়িওয়ালা আন্টিকে ফোন দিয়ে ওনার খোঁজ খবর নিয়ে বললাম, আমরা যারা মেসে থাকি সবাই নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। টিউশন করে চলি। এখন এই পরিস্থিতির কারণে টিউশনও নাই। পরিবারে সবার ভাল আয়ের কোন ব্যবস্থাও নেই। এখন আপনি যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করতেন তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। ওনি এই কথা শুনেই বলেন, আমি বাসা ভাড়া দিয়েছি। আমি ভাড়া চাই। তোমরা ভিক্ষা করে হলেও ভাড়া এনে দাও। আমার ভাড়ার টাকা না দিলে আমি কোন জিনিসপত্র বাসা থেকে নামাতে দিব না।”

বাড়ির মালিক শামছুন্নাহার বেগম বলেন, ‘এটা আমার আর মিজানের বিষয়। সে সাংবাদিককে কেন জানালো? মিজান কি আমাকে সোজা পেয়েছে? মিজান আমাকে হাইকোর্ট দেখাতে চাইলে আমি তাকে নাঙলকোট দেখাবো। তাকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলিয়েন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *