বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মোট সংখ্যার এক বৃহৎ অংশ জুরে ছিলো তরুণরা। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। বিজয়ের ৪৯তম বছরে এসে বিজয়ের মাসে বর্তমান তরুণরা কি ভাবছে,তাদের অঙ্গীকার কি, রাষ্ট্রের প্রতি তাদের প্রত্যাশা কি, এসব নিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন – নুরুদ্দিন আহমেদ। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিয়ে নিয়েছে প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিজয়ী জাতী হিসেবে বাংলাদেশে যে…
Read MoreCategory: প্রজন্মের ভাবনা
ফিরে যেতে চাই মনকুটিরে জ্ঞানের দীপশিখা জ্বালানো চিরচেনা ক্যাম্পাসে
উজ্জ্বল মন্ডল কৃষ্ণময়ঃ বলছিলাম জাতির পিতার জন্মভূমি: গর্বিত গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের না বলা কথা।প্রাণ-প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিতে বিকশিত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্ৰহশালা হয়ে উঠেছে। সারাবছর নানা ধরনের ফুল ও পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত অনন্য ক্যাম্পাস। তবে শীতের সময় সবুজের ক্যাম্পাস ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে আসে। সকালে কুয়াশায় মোড়ানো শিশির ভেজা ক্যাম্পাস হঠাৎ প্রাণ ফিরে পায় ক্যাম্পাসিয়ানদের পদচারণায়। সকাল-সন্ধ্যা শিক্ষার্থীরা আবেগ ভালবাসায় মেতে ওঠে ফুচকা, চটপটি,…
Read Moreঘুরেফিরে সংবাদকর্মীরাই হামলার লক্ষ্য হন কেন!
আবু জাফরঃ একটা সময় ছিল যখন মানুষ ছিল জন বিচ্ছিন্ন, কুয়োর ব্যাঙ্গের মত নিজ গ্রাম বড়জোর স্বদেশই ছিল তার চেনা জগতের মধ্যে। তবে যারা এ বিচ্ছিন্নের জাল ছিন্ন করে পুরো বিশ্বের সব কিছু সবার কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে তাদের সামনের সারিতেই সংবাদকর্মীদের অবস্থান। আছে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। এগুলোর মাধ্যমেই ইতিহাসের পরতে পরতে বিভিন্ন সংবাদ সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল। বিংশ শতাব্দীর অনেকেই ব্যস্ত কিভাবে মঙ্গল গ্রহে জায়গা রাখা যায়। কেউবা চাঁদের দেশে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর কিন্তু পাশের ফ্লাটে যে একটা বৃদ্ধ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে…
Read Moreঐতিহাসিক ২রা ডিসেম্বর, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও আওয়ামী লীগ সরকার
মোঃ খায়রুল ইসলাম যেকোনো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হয় যখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্বাধীনভাবে কাজ করে। স্বাধীনতার পর দেশের অগ্রগতির পথে বাধা হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা জটিল সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা ঘটে। প্রায় দুই যুগ ধরে আত্মঘাতী তৎপরতায় লিপ্ত শান্তিবাহিনীর সাথে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ‘শান্তিচুক্তি’ নামক এক চুক্তি সম্পাদিত হয়। তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়ে…
Read Moreবঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক
মোঃ আশরাফুল আমিন: ইতিহাসের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাংলার মানুষের অস্তিত্বে মিশে থাকা মহাপুরুষের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদেশের মানুষকে শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন থেকে মুক্ত করতে বাঙালির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালি জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজের জীবন টুকুও দিয়ে গেছেন৷ পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণী, প্রতিটি মানুষ নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে কিন্তু বঙ্গবন্ধু সবসময়ই বাঙালি জাতির অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম করেছেন৷ বাঙালি জাতির অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে তখনই পাকিস্তানি শোষক শ্রেণির কবল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বজ্র কণ্ঠে স্বাধীনতার…
Read Moreনবনিযুক্ত উপাচার্য নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষার আতুড়ঘর, একই সাথে হাজারো কৃষিবিদ তৈরীর সূতিকাগার। ১৯৩৮ সাল থেকে কৃষিবিদ তৈরীর গুরুদায়িত্ব পালন করে শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ মূলনীতিকে সামনে রেখে বাংলার আপামর কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষির জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে পৌছিয়ে দেশের উত্তরোত্তর উন্নতিতে অনেকটাই অবদান রাখছে। ১৯৩৮ সাল থেকে ২০০০ সাল অবধি অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তান শাসনামল,বাংলাদেশ সৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি শিক্ষার এই প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠটিরও নামের রদবদল ঘটে।সর্বশেষ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপায়িত হয়। গত ১৭ ই নভেম্বর ২০২০ বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭ম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন ড.মোঃশহীদুর…
Read Moreশিক্ষায় শিক্ষার অবক্ষয়
মো শাকিল আহমেদ সকালে কোন একটা অনলাইন পোর্টালের নিউজ পড়লাম, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর পলিটেকনিক নিয়ে ভাবনা। নিউজ টা পড়ে যতটুকু বুঝেছি সরকার শিক্ষা ব্যাবস্থার আমুল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। জানিনা কতটুকু ফলপ্রসু হবে। তবে শিক্ষা ব্যাবস্থার যে পরিবর্তন করা উচিৎ সেটা যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বুঝেছে তাতেই কিছুটা স্বস্থি পাচ্ছি। জানিনা তাদের চিন্তাভাবনা বা আমাদের নাগরিক চিন্তাভাবনা কতটুকু মিল থাকবে। তবে সাধারণ নাগরিক হিসেবে যতটুকু আমরা চাই হয়তো শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন টা আমাদের চাওয়া মতই হবে। শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্পর্কে বলার আগে, নিজের সম্পর্কে ২-৪ টা কথা বলি। আমি হয়তো অযথা বিষয় নিয়ে কথা…
Read Moreআজারবাইজানের জয়, মুসলিম বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত!
মুহিব মাহমুদ নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছিল আপাতদৃষ্টিতে তা রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অবসান ঘটলো। যদিও এই চুক্তির প্রতিবাদে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে হাজারে মানুষ প্রতিবাদ করছে,প্রতিবাদকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে। ১৯৯২ সালে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের কাছে হারানো ভূমি দীর্ঘ ২৮ বছর পর আজেরি জনগন আবারো ফেরত পেতে যাচ্ছে।দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার এ সংঘাত বহু পুরনো ঘটনা। দুটি দেশই একসময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য ছিল। নাগোর্নো-কারাবাখ একটি বিতর্কিত অঞ্চল,তবে এটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজারো মানুষ হতাহত হয়েছে,আজারবাইজানের গানজা শহরে…
Read Moreসাবমেরিন রাজনীতি : ভূ-রাজনীতির কবলে বঙ্গোপসাগর
মোঃ আশরাফুল আলম আকাশ অনেক আগে মার্কিন এক অর্থনীতিবিদ তার লেখা এক কলামে বলেছিলেন, ” সমুদ্র যার বিশ্ব তার”। বিংশ শতাব্দীর দিকে এসে আমরা তা বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি। কারণ বিশ্ব বানিজ্যের ৯০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানী হয় এই সমুদ্র পথেই। সমুদ্রের এ বানিজ্য নীতি শুধু মাত্র এখন আর বানিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বরং এর বিস্তৃত হয়েছে সামরিক ক্ষেত্রে তথা বৈশ্বিক ও আন্ঞ্চলিক ভু-রাজনীতিতে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সমুদ্র রাজনীতির ধাক্কা বঙ্গোপসাগরে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক আগে থেকেই বিশ্ব মোড়লদের নজর ছিল এই উপসাগরে। বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রত্যক্ষভাবে এই…
Read Moreক্ষুদ্র ঋণ: গ্রামীণ মানুষের আতঙ্ক ও সমাধান
মোহাম্মদ সোহাগ উদ্দিন ক্ষুদ্র ঋণ হচ্ছে এমন একটি ঋণ ব্যবস্থা যেখানে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ দেওয়া হয়। এর পরিমাণ ৫০০০- ৫০০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ঋণে প্রদানে কোনো জামানত নেওয়া হয় না। সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক হারে সুদ সহ পরিশোধ করতে হয়। মূলত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে এটা দেওয়া হয়। বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। গ্রামীণ অর্থনীতির কথা উঠলেই প্রথমে চলে আসে এনজিও নাম। সবাই মনে করে যে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী বা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছে এনজিও। আমাদের দেশে প্রথম এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা…
Read More