আমরা প্রেমের বিরুদ্ধে নই পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে : কুবি সিঙ্গেল সোসাইটি

 

কুবি প্রতিনিধি


“কেউ পাবে কেউ পাবেনা তা হবেনা তা হবেনা” এমন সব প্রেম বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সিঙ্গেল সোসাইটি।

আজ( রবিবার) তারিখে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে দুপুর ১২ টায় প্রেম বিরোধী মিছিল বের করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সিঙ্গেল সোসাইটি। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরে আবার ক্যাম্পাস গেইটের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন সিঙ্গেল সোসাইটির নেতৃবৃন্দ।

সিঙ্গেল সোসাইটির শহর শাখার সভাপতি আলামিন বলেন, ” আমরা সিঙ্গেল সোসাইটি প্রেম ভালোবাসা এসবের বিরুদ্ধে নয় কিন্তু আমরা বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের বিরুদ্ধে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চলবেনা। প্রেম হবে বিবাহিত প্রেম। দরকার হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গন বিবাহের আয়োজন খরা হবে তাও অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেওয়া হবে না।”

সিঙ্গেল সোসাইটির সভাপতি অনিক বলেন, ” আজ সুন্দরবন দিবস তাই আমরা সুন্দর বনের বাঘের সাথে মিল রেখেই সিঙ্গেল সোসাইটির এই বছর টি শার্ট হলুদ বানানো হয়েছে। আমরা প্রেমের বিরুদ্ধে নই পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে। এই বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রেস্টুরেন্টে গুলো কাপলদের নিয়ে যে ৫০% ৬০% ডিসকাউন্ট দিচ্ছে এগুলো বৈষম্য সৃষ্টি করছে। তাই আমরা এই ভালোবাসা দিবস মানিনা। আমরা বিবাহিত প্রেমের মাধ্যমে পারিবারিক মর্যাদা দিতে চায়।

বক্তৃতা শেষে কেক কাটার মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সিঙ্গেল সোসাইটি তাদের আজকের কার্যক্রম শেষ করে।

 

অশ্লীলতা ও পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে বেরোবি সিঙ্গেল ঐক্যজোটের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

 

বেরোবি প্রতিনিধি


সিঙ্গেল আছি,প্যারা নাই, সিঙ্গেল থাকুন, প্যারা মুক্ত থাকুন” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গেল ঐক্যজোট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রেমের নামে অশ্লীলতা বন্ধ ও পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে ।

রবিবার (১৪ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিঙ্গেল চত্বর থেকে সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সভাপতি শিহাব মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান সাকিবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল টি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সিঙ্গেল চত্ত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শেষ হয় ।

সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সভাপতি শিহাব মন্ডল জানান, “প্রেম একটি স্বর্গীয় বিষয় । কিন্তু বর্তমানে প্রেমের নামে বেহায়াপনা,অশ্লীলতায় সব কিছু ভরে গেছে । বেরোবিতে আর কোন অশ্লীলতার জায়গা নেই বলে কঠোর হুঁশিয়ারি ও দেন তিনি ।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গেল ঐক্যজোটের সহ সভাপতি নেসার উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান শাহীন,কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ।

ভালোবাসা দিবসের বিশেষ রম্য ‘প্রেমের ক্ষেত্রে মনের চেয়ে মানিব্যাগের গুরুত্ব বেশি’

 

ইবি প্রতিনিধি


বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবকে ঘিরে বহিরাগতদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন বিভাগের অনার্স-মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান আছে। স্বাস্থবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আগামীকাল ক্যাম্পাসের সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে তাদের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি প্রস্তুত থাকবে।’

এদিকে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ইবিয়ান পরিবার।

প্রথমদিন রাত ৮টায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশেষ আঞ্চলিক রম্য বিতর্ক ‘ভাষা থেকে ভালোবাসায়, আমাদের কে টপকায়?’ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয়দিনে একই সময়ে সাবেক কৃতি বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে ‘প্রেমের ক্ষেত্রে মনের চেয়ে মানিব্যাগের গুরুত্ব বেশি’ বিশেষ রম্য বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন রাত নয়টায় ক্যাম্পাস তারকাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

‘ভাই’য়ের মন পেতে হলে

চারপাশে নানা রকম ‘ভাই’ দেখা যায়। এই ভাইদের মন জয় করার জন্য অনেকে অনেক রকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তাই সহজেই ‘ভাই’দের মন জয় করার কিছু অমূল্য পরামর্শ জেনে রাখুন…

ভাইয়ের ফেসবুক পোস্টে যে ৫টি কমেন্ট করবেন

১. সহমত ভাই।
২. অস্থির হইছে ভাই!
৩. অসাধারণ, নাইস, ভাই।
৪. সেই ভাই, সেই!
৫. সেরা ভাই, সেরা!

ভাইয়ের ফেসবুক পোস্টে যে ৫টি কমেন্ট কখনোই করবেন না

১. একমত হতে পারলাম না, ভাই।
২. ভালো হয় নাই, ভাই।
৩. এটা ঠিক না, ভাই।
৪. এটা অসম্ভব, ভাই।
৫. বুঝলাম না, ভাই।

ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে যে ১০টি কথা বলবেন

১. গত রাতে আপনাকে স্বপ্নে দেখছি, ভাই।
২. আমার আব্বা-আম্মা প্রতিদিন আপনার প্রশংসা করে, ভাই।
৩. আপনার মতো হতে চাই, ভাই।
৪. আপনি দিন দিন হিরো হয়ে যাচ্ছেন, ভাই।
৫. আপনি তো সব মেয়েদের ক্রাশ, ভাই।

৬. আপনি শুধু একবার অর্ডার দিয়ে দেখেন, ভাই।
৭. আমরা আপনার সাথেই আছি, ভাই।
৮. আপনার দয়ায় এখনও করে–মিলে খাচ্ছি, ভাই।
৯. আপনার কথা বললেই সবাই সালাম দেয়, ভাই।
১০. আপনিই তো আমাদের বাপ–মা, ভাই।

ভাইয়ের জন্য যে ৫ টি কাজ করবেন

১. ভাইকে নিয়ে ‘ভাই আমার আদর্শ’ শিরোনামে একটা কবিতা লিখুন।
২. ভাইয়ের ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে গার্লস স্কুল-কলেজের দেয়ালে টাঙিয়ে দিন।
৩. মনিষীদের উক্তি পোস্ট করে কার্টেসি হিসেবে ভাইয়ের নাম দিয়ে দিন।
৪. ভাইয়ের সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুক প্রফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করুন।
৫. ভাইয়ের ইনবক্সে কথার আগে ও পরে ‘ভাই + লাভের ইমো’ দিন।

(পরামর্শগুলোর পছন্দ হলে ‘সহমত ভাই’ না বলে যাবেন না!)

লেখা- মাহবুব আলম/ প্রথম আলো ।

করোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চায় কারা?

এক নজরে দেখে আসি যারা অক্টোবরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরত যেতে চায়:

১) প্রথম তালিকায় আছেন যারা ক্যাম্পাসে অসমাপ্ত প্রেম রেখে এসেছেন। অনেকদিন দেখা সাক্ষাত না হওয়ায় সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা এখন তুমুল। প্রেমিকার হাতের নরম স্পর্শ থেকেও তারা বঞ্চিত। তাই তারা চান অতিসত্ত্বর ভার্সিটি খুলুক।

২) ভার্সিটির কিছু বড়ভাই ফার্স্ট ইয়ারের নিব্বিদের হাফ পটিয়ে এখন ছয় মাস ধরে বাসায় হাপিতেশ করছেন। এরমাঝে অনেক নিব্বি পাড়াতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করে ঘন্টায় ঘন্টায় “ফলো মি” ক্যাপশনে স্টোরি দিচ্ছে। দাদাদের নতুন নিব্বি খুঁজতে ক্যাম্পাসে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন৷

(৩) সিগারেট এবং অন্যান্য খোরেরা বাইরে থেকে “খেয়ে” আসার পর বাবা-মা মুখে গন্ধ পেয়ে প্রচুর মার দিয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, তাদের নিতম্ব আজ হুমকির মুখে। উত্তম মধ্যমের কারণে ছাল চামড়া উঠে যাওয়ায় সেখানে ব্যান্ডেজ ও লাগিয়েছেন কেউ কেউ। শান্তিপূর্ণভাবে “খাওয়া দাওয়া”র জন্য দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরত যাওয়া জরুরি।

(৪) অনেক আপুরা ক্যাম্পাসে যেতে চাইছেন কারণ বাসায় তাদের কোনো ফটোগ্রাফার নেই। ক্যাম্পাসে থাকলে বন্ধুরাই ছবি তুলে দেয়। ফেসবুকে নতুন প্রোফাইল পিকচার আপলোড করতে পারছেন না অনেকদিন ধরে, তাই তারা ক্যাম্পাসে ফেরার অপেক্ষায় আছে।

(৫) প্রেমিক প্রেমিকার সাথে রাতে ফোনে কথা বলার সময় ছোট ভাইবোনের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিয়ম করে তারা আব্বা-আম্মার কানে পৌঁছে দিচ্ছে ফোনের ওপাশে বাবুদের খবর। এর থেকে মুক্তি পেতে ক্যাম্পাসে ফেরার আশা নিয়ে আছেন কেউকেউ।

(৬) বাসায় ওয়াইফাই নাই, কিন্তু হলে আছে। শুধুমাত্র একারণেই ক্যাম্পাসে যেতে চান অনেকেই।

(৭) করোনাকালীন সময়ে গৃহকর্মীদের ছুটি থাকায় বাসায় ভাতের মাড় গালা থেকে শুরু করে শৌচাগার পরিষ্কার —সবকিছুর ভার কিছু আপুর উপর এসেছে। এ দাসীবৃত্তি থেকে তারা মুক্তি পেতেই ক্যাম্পাসে ফিরতে চান।

(৮) যারা একমাসে বাসায় না জানিয়ে অন্তত দুই তিনটা ট্যুর দেন, অথচ এই লম্বা সময় ধরে এখন গৃহবন্দী তারাও ক্যাম্পাসে যেতে চান।

(৯) অনলাইন ক্লাসে স্যারদেরকে মন খুলে প্রশ্ন করার নামে তেলবাজি করা যায় না। এতে কিছু শিক্ষার্থীর মন ভেঙে সাতানব্বই টুকরো হয়ে আছে! তাছাড়া ক্লাসের পর শিক্ষকদের ডিপার্টমেন্টে যেয়ে আলাদাভাবে সাক্ষাত না করতে পারায়ও অনেকে ব্যথিত। তাই এরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য।

(১০) এই ছয় মাসে অনেকে শুধু পড়া গিলেছেন, এখন বসে বসে পরীক্ষার খাতার জন্য অপেক্ষা করছেন যেনো তা উগড়ে দিতে পারেন। ভালো সিজিপিএ ছাড়া তাদের আর কিছুই চাওয়ার নেই।

(১১) ভোর পাঁচটায় ঘুমিয়ে দুপুর দুইটায় ওঠার নিয়ম মেনে চলতে পারছেন না৷ এই দুঃখে অনেকে যেতে চান।

(১২) অনেকের উপরের কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু এদের একজায়গায় বেশিদিন মন টিকে না। বাসায় থাকলে মনে হয় ক্যাম্পাসে যাই, ক্যাম্পাসে গেলে মনে হয় বাসায় যাই। এরাও এখন ফেরত যেতে চাইছেন৷

[পুনশ্চঃ ফানপোস্ট। সেশন জট, অনেকেরই টিউশনি ছাড়া জীবিকা নির্বাহনে কষ্ট ইত্যাদি বিষয়ে সবাই আমরা জ্ঞাত এবং সমব্যথী (আমার অর্ধেক মনও চায় অক্টোবরে সব খুলে দিক)।

লেখা- Zarin Tasnim