গ্রাফিক ডিজাইনার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি | Graphic Designer Jobs Notice

চাকরি ডেস্কঃ গ্রাফিক ডিজাইনার নিবে জানিয়ে ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে Hatersodai Consumer And Agro Ltd.কোম্পানি ।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ।

পদ ফাঁকাঃ ৩ টি
চাকরির ধরনঃ ফুল টাইম
চাকরির দায়িত্বসমূহঃ কঠোর পরিশ্রমী এবং উৎসর্গী প্রার্থীদের প্রয়োজন।

কর্মস্থলঃ ঢাকা।
বেতনঃ আলোচনা সাপেক্ষ।
কর্মক্ষেত্রঃ অফিসে ( রোড ১, হাউস ২৯৭/ই, আদাবর, ঢাকা – ১২০৭)
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ HSC
অভিজ্ঞতাঃ সর্বনিম্ন ১ বছর
অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র: Graphic Design/ গ্রাফিক ডিজাইন/ ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরাও আবেদন করতে পারেন।

চাকরির প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহঃ
১) বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর
২) উভয় পুরুষ এবং নারীরা আবেদন করতে পারবেন

কোম্পানীর সুযোগ সুবিধাদি
Mobile bill, Tour allowance, Performance bonus, Over time allowance
বেতন পর্যালোচনা: অর্ধ-বার্ষিক
উৎসব ভাতা: ২টি ( বার্ষিক )

আবেদনের পূর্বে যা জানা প্রয়োজনঃ ফটোশপ অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর ভিডিও এডিটর হিসাবে ৬ মাসের অভিজ্ঞতা।

রিজিউমি গ্রহণের উপায়ঃ আপনার জীবনবৃত্তান্ত যেখানে পাঠাবেন info.hatersodai@gmail.com অথবা মাই বিডিজবসের মাধ্যমে পাঠাতে এখানে ক্লিক করুন

কোম্পানির তথ্যাবলী
Hatersodai Consumer And Agro Ltd.
ঠিকানা: রোড ১, হাউস ২৯৭/ই, আদাবর, ঢাকা – ১২০৭
ওয়েব: https://hatersodai.com/
ব্যবসা: Online and Offline Store

সূত্রঃ বিডিজবস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি | Dhaka University Job Circular

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুটি শুন্য স্থায়ী সহকারী অধ্যাপক পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০ প্রকাশ করেছে। Dhaka University Job Circular 2020

আবেদনের সময়সীমা: ২৬ নভেম্বর ২০২০

চাকরির স্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) | Dhaka University (DU)
পদবীঃ সহকারী অধ্যাপক (স্থায়ী)
বেতন স্কেল : ৩৫,৫০০ থেকে ৬৭, ০১০ টাকা

আবেদনের সময়সীমা: ২৬ নভেম্বর ২০২০
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞপ্তি অনুসারে
অভিজ্ঞতা: চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখুন এবং বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি | Dhaka University Job Circular

 



সেন্টার ফর এডভেন্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিমিনোলজি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি পরিচালকের দপ্তর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ রসায়ন বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ডিপার্টমেন্ট অফ ফিসারিজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে চাকরি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষন বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ডিপার্টমেন্ট অফ একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ,ঢাকা ইউনিভার্সিটি
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট,ঢাকা ইউনিভার্সিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্সটিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মাটিউসিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ মৃত্তিকা,পানি ও পরিবেশ বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি ইন্সটিটিউট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাবসায় শিক্ষা ইন্সটিটিউট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সাইন্স বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ কল্যাণ বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ক্যারিয়ার ডেস্ক


বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বেকার যুবকদের সংখ্যা।‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ চেষ্টা করে যাচ্ছে যুবসমাজকে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্রের তথ্য দেবার জন্য। কারণ সঠিক কর্মক্ষেত্রের তথ্য পাওয়া ও বাছাই করা আপনার অধিকার। নিয়মিত চোখ রাখুন চোখ রাখুন ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র ক্যারিয়ার ডেস্কে। দ্য ক্যাম্পাস টুডের সঙ্গেই থাকুন……


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট দপ্তর ও শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদসমূহে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য আবেদন আহবান করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের নিম্নবর্ণিত পদের বিপরীতে উল্লিখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, ও অন্যান্য যোগ্যতা থাকতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১২ নভেম্বর , ২০২০

জব টাইপ: ফুলটাইম
জব ক্যাটাগরি: সরকারি

বয়সসীমা: ২৫/৩/২০২০ তারিখে ১৮ থেকে ৩০ বছর

বেতন: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩)

আবেদনের শেষ তারিখ: ১২ নভেম্বর , ২০২০

সহকারী-শিক্ষক-পদে-প্রাথমিক-মন্ত্রণালয়ের-নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি

সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম নারী চিকিৎসক হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা

ডেস্ক রিপোর্ট

দেশের ইতিহাসে চিকিৎসা প্রশাসন থেকে প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন কর্নেল নাজমা বেগম। তিনিই প্রথম নারী কর্মকর্তা, যিনি ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।

আজ (৮ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম নারী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দু’বার জাতিসংঘের লেভেল-২ হাসপাতাল কমান্ড করেন নাজমা বেগম। পাশাপাশি দু’বার মিশন এরিয়ায় কান্ট্রি সিনিয়রের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরিকালে তিনি দুটি (বিএএফ বেস জহুর এবং বেস বাশার) মেডিকেল স্কোয়াড্রন কমান্ড করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ফোর্স কমান্ডার, এসআরএসজি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের সেনাপ্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রশংসাপত্র লাভ করেন।

আরও বলেন, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে তিনি ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগমের অবদানের কথা উল্লেখ করে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কন্টিনজেন্টের অবদান শুধু জাতিসংঘ ও স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার জন্য সবাই স্মরণ করবে না, বরং সর্বপ্রথম নারী কমান্ডার হিসেবে কর্নেল (তৎকালীন) নাজমার জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শখ পূরণে অনলাইন বিজনেস | প্রথম পর্ব

 

বিশেষ প্রতিনিধি


একদিকে চলছে করোনা মহামারী, তাই বন্ধ প্রাতিষ্ঠানিক সকল শিক্ষা কার্যক্রম। অন্যদিকে অনলাইন ক্লাসেরও তেমন বাধ্যবাধকতা না থাকায় শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেয়েছেন অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করার।

পড়ালেখার চাপে হয়তো কারও কারও দীর্ঘ কাল ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার প্রিয় তুলি, রং – পেন্সিল কিংবা শখের আলপনা। কেউবা কাজ করতে চেয়েছিলেন নিজ জেলার ঐতিহ্যবাহী কোনো পণ্য নিয়ে। তবে মায়ের বকুনি খেয়ে সেই স্বপ্ন সেখানেই শেষ। অনেককে তো মায়ের বকুনির ভয়ে নিজের শখের আঁকাআঁকি আর অন্যান্য সব স্বপ্নও বাদ দিতে হয়েছিল।

তবে করোনায় সবকিছুতে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি এমন অনেক শিক্ষার্থীও নতুন করে নিজের পুরনো শখকে পূরণ করতে নেমে পড়েছেন নতুন করে। কিন্তু তারা এখন যথেষ্ট পরিপূর্ণ, তাই নিজেদের দৃঢ় ইচ্ছার পাশাপাশি শখকে পুঁজি করে গড়ে তুলছেন স্ব-স্ব অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কিছু তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে থাকছে দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজকের প্রথম পর্বে জবি’র দুজন শিক্ষার্থী- ছাবেকুন মোস্তফা ঋতু ও মারদিয়া রহমান তাদের অনলাইন ভিত্তিক বিজনেসের গল্প বলেছেন “দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে”।

চাঁদপুরের মেয়ে ছাবেকুন মোস্তফা ঋতু পড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। গ্রামীণ ঐতিহ্যের বাহক নকশিকাঁথা, একই সাথে কাঠের গহনা ও টি-শার্ট নিয়েও কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি ‘কাঁকন’ নামের এক ফেইসবুক পেইজ দিয়ে তিনি তার কার্যক্রম শুরু করেছেন।

অন্যদিকে মারদিয়া রহমান পড়ছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগে। কাজ করছেন তারই নিজ জেলা টাংগাইলের প্রসিদ্ধ সব মিষ্টি নিয়ে, ‘মিষ্টান্ন’ নামের এক পেইজ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন তিনিও।

কীভাবে শখকে পুঁজি করে তারা দু’জন তাদের নিজস্ব অনলাইন বিজনেস শুরু করেছেন? আর কী কী নিয়ে তারা কাজ করছেন? এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? এমন নানান প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছি তাদের কাছে,
চলুন সেসব গল্প শোনা যাক তাদের মুখ থেকেই-

“আমি ছাবেকুন মোস্তফা ঋতু। মূলত কাজ শুরু করছি নকশিকাঁথা,দেশীয় গহনা, পেন্টিং, টি-শার্ট ইত্যাদি নিয়ে। মূল ধারার বাহিরে গিয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যের দিকে মানুষের ঝোঁক সৃষ্টির লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি।
‘সাশ্রয়ী মূল্যে রুচিশীল পণ্যের সমাহার ‘ এই মোটোকে সঙ্গী করে দেশীয় পণ্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রথম নিজের কাজ শুরু করি।

নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করার ইচ্ছে আমার বহুদিনের। তাই করোনাকালীন এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চেয়েছি। যদিও শুরু করতে সময় লেগেছে তবে পরিশেষে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস “কাঁকন” ( পেইজের নাম)।

বর্তমান সময়ে অনলাইন একটি বড় প্লাটফর্ম, আর সামাজিক যোগাযোগের এই যুগে ফেইসবুক এক বিশাল প্লাটফর্ম। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে একসাথে পাওয়া যায় এখানে। তাই আমার মূল টার্গেট এখানেই।

ইচ্ছা ছিলো অনেক আগে থেকেই নতুন করে কিছু করার, কিন্তু করা হচ্ছিলো না। করোনায় তাই হঠাৎ ই মাথায় এলো নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়নের সুযোগ তো আমার হাতের মুঠোয়। তাই আর দেরী করলাম না।

কাছের মানুষদের উৎসাহ উদ্দীপনা আর নিজের ইচ্ছাকে পুঁজি করে গড়ে তুলেছি নিজেরই এক বিজনেস প্লাটফর্ম – কাঁকন। ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু নিয়ে যাতে এগিয়ে যেতে পারি এই দোয়া করবেন সবাই।”

অন্যদিকে মারদিয়া রহমান বলেন – “আমি মারদিয়া রহমান। আমার ছোট্ট একটি পেইজ “মিষ্টান্ন”। যেখানে টাংগাইলের৷ প্রসিদ্ধ পোড়াবাড়ির চমচম সহ আরও বাহারি মিষ্টি রয়েছে।

আমি সব সময় টাংগাইলের এই মিষ্টি নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি।কিন্তু সেইভাবে সুযোগ হয়ে উঠে নি। তবে করোনায় এই দীর্ঘ সময় বাসায় বসে কিছু পরিকল্পনা করা হয়- কিভাবে কাজ করা যায়?

আর পরবর্তীতে আমার বোন আর আমার মিলিত চেষ্টায় এই উদ্যোগ নেওয়া। আর টাংগাইলের এই বিখ্যাত মিষ্টি গুলো ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার। আমরা খুব ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ করছি।

কিন্তু ভবিষ্যতে আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যে,আমরা আরও কিছু জিনিস যুক্ত করবো।যেমন হোমমেড মিষ্টি । আর ঢাকার বাহিরেও আমাদের এই প্রসিদ্ধ মিষ্টি গুলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ | Khulna University Jobs Circular

বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বেকার যুবকদের সংখ্যা। ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ চেষ্টা করে যাচ্ছে যুবসমাজকে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্রের তথ্য দেবার জন্য। কারণ সঠিক কর্মক্ষেত্রের তথ্য পাওয়া ও বাছাই করা আপনার অধিকার। নিয়মিত চোখ রাখুন চোখ রাখুন ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র ক্যারিয়ার ডেস্কে। দ্য ক্যাম্পাস টুডের সঙ্গেই থাকুন……

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ধরনের পদে কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ১ অক্টোবর ২০২০

পদের নাম: ডাটাবেজ প্রোগ্রামার/কম্পিউটার প্রোগ্রামার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা

পদের নাম: সহকারী রেজিস্ট্রার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা

পদের নাম: সহকারী লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা

পদের নাম: সেকশন অফিসার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: মেডিকেল অফিসার
পদসংখ্যা: ২টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: সায়েন্টিফিক অফিসার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: একাউন্টস অফিসার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার (লাইব্রেরি)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: প্রটোকল অফিসার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: পেশ ইমাম
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতনস্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

পদের নাম: নার্স
পদসংখ্যা: ২টি
বেতনস্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

আবেদনের শেষ তারিখ: ১ অক্টোবর ২০২০

বিস্তারিত…

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ

এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ বেকার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তথা বিআইডিএস-এর গবেষণা বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ পুরোপুরি বেকার।

গত ডিসেম্বরে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। বিআইডিএস-এর গবেষণার ফল বলছে, দেশে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩.১৯ শতাংশ পুরোপুরি বেকার।

বিআইডিএস এর ওই গবেষণার আলোকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়েচে ভেলে বাংলা। এতে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১৫ হাজার ২৫ জন শিক্ষিত তরুণ ফেসবুক ও ইমেলের মাধ্যমে এই জরিপে অংশ নেন।

জরিপ অনুযায়ী, শিক্ষাজীবন শেষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বেকার ছিলেন ১১.৬৭ শতাংশ, দুই বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে বেকার ১৮.০৫ শতাংশ এবং ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বেকার ১৯.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া প্রায় ৩৬.৬ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার। স্নাতকোত্তরদের মধ্যে এই হার ৩৪.৩ শতাংশ। আর এসএসসি ও এইচএসসি পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার যথাক্রমে ২৬.৭৯ ও ২৭.৯৫ শতাংশ।

গবেষণা বলছে, পড়াশোনা শেষ করার ছয় মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছেন অর্ধেক তরুণ (৫০.৭৪)। ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩১ শতাংশকে। আর ১৮ শতাংশ তরুণকে দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মাস্টার্স পাস করার দুই বছর পরও বেকার ছিলেন ১৯.২১ শতাংশ।অনার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৮.৭৩ শতাংশ। অনার্সে প্রথম শ্রেণি পাওয়াদের ১৭.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী দুই বছরেরও বেশি সময় কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। মাস্টার্সের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও বেশি, ২৬.৮ শতাংশ!

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা মাস্টার্স পাস করেছেন তাদের ২৮.৭৫ শতাংশের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার উপরে। আর অনার্স ডিগ্রিধারীদের ১৮.২ শতাংশ মাসে ৪০ হাজারের বেশি বেতন পান। অর্থাৎ মাস্টার্স করলে বেশি বেতনে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মাস্টার্স পাস করে মাসিক ১০ হাজার টাকার নীচে বেতনে চাকরি করছেন ৫.৯২ জন৷। আর ১১.৪৩ শতাংশ অনার্স ডিগ্রিধারীর বেতন মাসে ১০ হাজার বা তার চেয়ে কম।

টেনেটুনে পাস করা আসিফ মাইক্রোসফটের সফল ইঞ্জিনিয়ার, গুগলের অফারকেও না!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

জীবনে কখনো ভাবিনি যে ছোট বেলার স্বপ্নের কোম্পানি গুগল থেকে আমার ইন্টারভিউয়ের জন্য অফার আসবে আর আমাকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। তার পিছে কারণও ছিলো অবশ্য, সেটা পরেই বলি।

আমার শৈশব কাটে সাতক্ষীরাতে। বাবা মা ছিলেন চাকরিজীবী। স্কুল জীবনে কখনও তেমন আহামরি ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না। তৃতীয় শ্রেণিতে যখন সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয় তখন ক্লাসের শেষ ছেলেটি ছিলাম আমি, রোল ছিল ৫৭। পরের শ্রেণিগুলোতেও এই অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। একটি মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারের সব থেকে বড় অভিভাবক হওয়ার কারণে বাবা-মার অনেক দায়িত্ব ছিল, যে কারণে আমার প্রতি কখনো এক্সপেক্টেশন রাখতেন না। আমার যেদিকে ইচ্ছা ওইদিকেই লাইফ গোল সেট করার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। যেই বিষয় আমার ভালো লাগতো, কেবল ওই বিষয়টাই বেশি পড়তাম সবসময়। যে কারণে একটা বিষয়ে ভালো ফলাফল আসলেও বাকিগুলোতে টেনেটুনে কেবল থার্ড টার্ম পরীক্ষায় পাস করেও পরের ক্লাসে উঠছি এমন অনেকবার ঘটেছে। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ আমার খুব বেশি ছিল। এখনও মনে আছে ক্লাস সিক্সে একবার একটি টেলিফোন বানিয়েছিলাম নিজের পেট প্রোজেক্ট হিসেবে। এইভাবেই কাটে স্কুল জীবন। কলেজে উঠে প্রথম কম্পিউটার পাই। কলেজ প্রথম বর্ষে বন্ধু শুভর কাছ থেকে পাওয়া “নিটনের সি” বইটি দেখে কিছু বেসিক প্রোগ্রাম লিখছিলাম। তখন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনতে শুরু করি। এবং মাইক্রোসফট, গুগলের মত কোম্পানিগুলোতে কোটি মানুষের জীবন সহজ করার সফটওয়্যার বানানোর দিবাস্বপ্ন দেখতে থাকতাম।

কলেজ শেষে এইচএসসি-তে রেজাল্ট তেমন ভাল হল না। বুয়েটের ফর্ম তুলতে পারলাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও মা জোর করলে রুয়েট, কুয়েটের ফর্ম তুলি। ভাগ্যক্রমে রুয়েটে স্বপ্নের ডিপার্টমেন্ট কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পেলাম। রুয়েট জীবন নিয়ে গল্প বলতে গেলে কয়েক রাত পার করে দেয়া যাবে। ডিপার্টমেন্টে আমি খুবই ভাল একটা ফ্রেন্ড সার্কেল পাই, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী বন্ধু পাই। পাশাপাশি হল লাইফটাও এনজয় করতে থাকি। রুয়েট লাইফটা জুনিয়র, সিনিয়র, ক্লাসমেটদের জন্যই মূলত আনন্দমুখর ছিলো। সেলিম হল, হামিদ হল, টিনশেড হলে থাকার মুহূর্তগুলো ছিল অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে সন্ধ্যায় কারেন্ট চলে গেলেই টিনশেড হলের মাঝে গোল চত্বরে বসে সবাই মিলে বসে গান, মাঝে মধ্যে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে গিটার বাজানো, রাতে ১৫-২০ জন মিলে রাজশাহীর গলিতে গলিতে ঘুরে গান গাওয়া আজও মিস করি।

রুয়েটে এসে সিনিয়রদের কাছ থেকে কমপিটেটিভ প্রোগ্রামিং-এর সাথে পরিচয় ঘটে। প্রোগ্রামিং করতে গিয়ে খেয়াল করলাম গণিতে আমার ব্যাসিক খুবই দুর্বল। সে সময় ক্লাস ৯-১০ এর গণিত বই থেকে শুরু করলাম। রুয়েটে আমাদের প্রোগ্রামিং এর জন্য তেমন সুবিধা ছিলনা। একটা অ্যালগরিদম শিখতে দেখা যেত ২-৩ সপ্তাহ লাগতো। এরপর আমরা একজন শিখে আরেকজনকে সেটা শেখাতাম। সে সময়টা প্রোগ্রামিং শেখার জন্য বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। অনেকবার এমনও হয়েছে যে নিজের টাকা দিয়ে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করতে গেছি আমরা যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সব টীমগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই অর্থায়ন করে কনটেস্টে পাঠানো হতো। মনে পড়ে আমাদের অ্যালগরিদম চর্চা করার কোন জায়গা না থাকায় রুয়েট প্লে-গ্রাউন্ডে বসে জুনিয়রদের সাথে হোয়াইট বোর্ড নিয়ে এক সাথে আলোচনা করার কথা। অনেক প্রচেষ্টার পর ফোর্থ ইয়ারে এসে আমাদের সবার এত বছরের চেষ্টা দেখে হেড স্যার আমাদের একটা ল্যাব দেন চর্চা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি ল্যাবের নাম দেন এনালাইটিক্যাল প্রোগ্রামিং ল্যাব। এটা হয়ে উঠেছিলো আমাদের প্রোগ্রামিং হাব। রাজশাহীর গরমে মশার কামড় খেয়ে এই ল্যাবে জুনিয়রদের সাথে সারা রাত জেগে প্রোগ্রামিং করে ভোরবেলা তালাইমারী যেয়ে এক কাপ চা খাওয়ার স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনও মুখের কোণে একটা হাসি চলে আসে। এই ল্যাবেই আমরা অনেক রকম অ্যাক্টিভিটি করতাম, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “জ্ঞান-jam” নামক কনটেস্টটি। প্রতিবছর বিদায়ী ব্যাচের দায়িত্ব থাকে বিদায়ের আগে একটা “জ্ঞান-jam” আয়োজন করা। ভাবলেই খুবই গর্ব হয় যে সেই সংস্কৃতিটা জুনিয়ররা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি আমরা RUET জীবনটা আরও মজার করার জন্য বেশ কয়েকটি সংগঠন বানাই সবাই মিলেই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Science and Astronomy Society of RUET (ASSR), চিরকুমার সংঘ, সমানুপাতিক, প্রচেষ্টাসহ বেশ কিছু সংগঠন।

আমি রুয়েটে এসে নিজস্ব “Reason to Live” নামের একটি লিস্ট তৈরি করি। কেউ আমাকে কোন কিছু পারবো না এমন কিছু বললে আমি সেটা লিখে রাখতাম। যদি কখনও ভুল প্রমাণ করতে পারি এটা ভেবে। আলহামদুলিল্লাহ বেশ অনেকগুলোই ভুল প্রমাণ করতে পেরেছি। ফোর্থ ইয়ারে উঠে একবার একটা কনটেস্টে একটা প্রবলেমও সলভ করতে পারল না আমাদের টিম, আমরা খুবই লজ্জায় পড়ে যাই। ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষিকা ক্লাসে সবার সামনে অপমান করে বলছিলেন, “রুয়েট থেকে কখনও কেউ গুগল মাইক্রোসফটে চাকরি পাবে না। তাই পড়াশোনায় মনোযোগ দাও”। কথাটা খুবই গায়ে লেগেছিলো। সেটা শোনার পর আমার এক বন্ধু রবিকে বলেছিলাম শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো আমি মাইক্রোসফট বা গুগলে যাওয়ার জন্য।

ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় শেষ সেমিস্টার শুরুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জব ফেয়ারে সেলিস রকিং সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি পাই। জীবনের মোড়টা ঘুরে সুইডেনের অ্যাডফেনিক্স এবি নামক স্টার্টআপে চাকরির মাধ্যমে। প্রথমে দেশ ছাড়া লাগবে ভেবে রিজেক্ট করার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সবার পরামর্শে এক্সেপ্ট করি। একটু ভ্রমণপিপাসু হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরে চাকরি অফার আসলেও ইউরোপকেই বেছে নিয়েছিলাম। এরপর সুইডেনের স্বনামধন্য ন্যাসডাক কোম্পানিতে চাকরি পাই। এর মাঝেই ২৩ মার্চ, ২০১৮ তে ডাক আসে স্বপ্নের কোম্পানি থেকে। ফোনে যখন বলল মাইক্রোসফট কোম্পানি থেকে বলছেন, আমি ভেবেছি আমি হয়তো ভুল শুনেছি। বিশ্বাস হচ্ছিল না, উত্তেজনায় জিজ্ঞাস করে বসি,”তুমি সিরিয়াসলি মাইক্রোসফট থেকে বলছো?” চাকরি পাওয়ার খবর জানাতে ফোন দেই মা-বাবাকে। মা-বাবাকে চাকরির খবর দেয়ার পর খেয়াল করলাম আমার চোখে পানি চলে এসেছে। জীবনের এতো সময় পর আমি প্রথম বুঝতে পারলাম এটাই আনন্দের অশ্রু। অবশেষে ডেনমার্কে এসে জয়েন করি স্বপ্নের কোম্পানিতে। দিনটি ছিল ঈদের দিন। আমার জীবনের বেস্ট ঈদ। ইনফ্যাক্ট বেস্ট মোমেন্ট।

এবার আসি কেন আর একটা স্বপ্নের কোম্পানির ইন্টারভিউ অফার আমাকে রিজেক্ট করতে হলো। মাইক্রোসফটে জব হওয়ার ঠিক তিন মাসের মধ্যেই গুগল থেকেও ইন্টারভিউ-এর ডাক আসে। কিন্তু কেবলই মাইক্রোসফটে জয়েন করার কারণে গুগলে আর ইন্টারভিউ দেয়া হয়নি। রিক্রুটারের সাথে এখনও মাঝে মধ্যে কনট্যাক্ট হলেও মাইক্রোসফট ছাড়ার মন এখনও হয় নাই।

আমির খানের থ্রি ইডিয়টস মুভিটা আমার খুবই প্রিয় একটা মুভি। এই মুভিতে যেমনটা দেখেছিলাম, আমি খুব করে চাইতাম এমন কিছু যেন আমার সাথেও হয়। এখন নিজের পছন্দের কাজ করছি, পৃথিবীর অন্যতম সেরা সফটওয়্যার কোম্পানিতে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলেও অনেক সময়েই আমি রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস করি। আমার কাজ আমার এতো প্রিয় বলেই হয়ত টের পাইনা সময় কখন চলে যাচ্ছে। বছর খানেক আগে ডেনমার্কে একটি শিক্ষক সেমিনার আয়োজন করে মাইক্রোসফট যেখানে আমাকে একটা টক দেয়া লাগছিল। আমি সেখানে গিয়ে রুয়েটে আমার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি। কিভাবে রুয়েটে RAPL, ASSR এর মত শিক্ষণীয় সংগঠনগুলো তৈরি করেছিলাম আমরা। সবাই বেশ মুগ্ধ হয়ে আমাদের কাহিনীগুলো শুনেছিলেন।

অন্য সবার মতই রুয়েটে থাকা অবস্থায় অনেক সময় নিজের মধ্যে হতাশা কাজ করত। মনে হত, যদি আশে পাশে কোন নিদর্শন থাকতো যাকে দেখলে মনে হতো যে আমরাও পারবো। সে সময়ে সামাদ ভাই, মুফতি ভাই, রিফাত ভাই, মেরিন ভাই সহ বেশ অনেকে ছিলেন যাদের অনুপ্রেরণায় নিজেকে অনেক বড় জায়গায় কল্পনা করতে পারতাম। এক-একজন মানুষের কাছে সফলতার মাপকাঠি এক-একরকম। প্রতিটা মানুষ তার নিজের মত করে সফল হয়। আমার মতে আমার মত below average একটা ছাত্রের মাইক্রোসফটে আসাকে যদি সত্যিই সফলতা মনে হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলবো রুয়েটে প্রতিটা স্টুডেন্ট এর এই পটেনশিয়াল আছে।

উজ্জল ক্যারিয়ার গঠনে প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর বিকল্প নেই

বিশেষ প্রতিনিধি


বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির মেম্বার নিয়ামুল ইসলাম এবং ফারজানা তাসনিম সিমরানের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটি কর্তৃক “প্রেসেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশন অনুষ্ঠিত হয় গত ২২ আগস্ট, ২০২০ তারিখে। অনুষ্ঠানটিতে চেয়ার অফ দি সেশন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস সোসাইটির চিফ এডভাইসর আবু জাফর আহমেদ মুকুল।

আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এর ডিরেক্টর জামাল উদ্দিন জেমি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর আওয়াল আল কবির এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার জুবায়ের ফয়সাল।

স্বাগত বক্তব্যে আবু জাফর আহমেদ মুকুল উপস্থাপন দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জামাল উদ্দিন জেমি উপস্থাপন আরো প্রাণবন্ত এবং সুন্দর করে তোলার বিভিন্ন স্কিল নিয়ে বিশদ বর্ণনা করেন। সাথে সাথে উপস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়ার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

আওয়াল আল কবির শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশনে প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং প্রতিযোগিতামূলক উপস্থাপন আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জুবায়ের ফয়সাল প্রেজেন্টেশন ভীতি দূরীকরণের উপায় বর্ননা করেন এবং ভবিষ্যৎ সাংবাদিকদের জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এছাড়া প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সম্মানীত সদস্যসহ প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, যুব প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যাক্তিখাতের উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী সহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জীবিকার সন্ধানে ঢাকামুখী হচ্ছে গ্রামীণ তরুণেরা

 

মাজেদুল ইসলাম


জীবন ও জীবিকা এই নিয়ে মানবসভ্যতা গঠিত।মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা প্রাণী জীবিকার তাগিদে পথে প্রান্তরে ছুটে বেড়ায়।

৩য় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দারিদ্র্য যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে এ দেশের জনগোষ্ঠীকে। বিশ্বায়নের যুগেও দারিদ্র্যতাকে ছুটি দিতে পারে নি এদেশের প্রান্তিক লেভেলের জনগোষ্ঠী।তার উপর প্রাকৃতিক দূর্যোগ তো আছেই দারিদ্র্যকে পুঁজি করে জীবন কাটিয়ে দেয়ার সহায়ক রুপে।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ।এর শতকরা ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত।তবে শিক্ষা ব্যবস্হার অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নামমাত্র।

বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে উচ্চশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা।দারিদ্র্য যার নিত্যসংগী তাদের এত্ত টাকা পয়সা খরচ করে পড়াশোনা খরচ করা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত হওয়ায় গ্রামীন মানুষের প্রধান পেশা কৃষি এখনও হাল আমলের।তাছাড়া মধ্যস্হভোগীদের দৌড়াত্মে কৃষকরা তেমন লাভের মুখ ও দেখতে পায় না।

কৃষিতে এ বেহাল দশার দরুণ গ্রামীণ অশিক্ষিত কিশোর, তরুনেরা পাড়ি জমাচ্ছে বিশ্বের জনবহুল ও অস্বাস্হ্যকর শহরগুলোর অন্যতম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুকে।

এসব কিশোর,তরুণেরা মূলত ঢাকায় বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন ও গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকে।তারা এসব নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাসের পর মাস দিনাতিপাত করে।
বাংলাদেশের প্রায় ৬৮০০০ গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটা পরিবার থেকেই কিছু না কিছু লোক ঢাকায় গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে।

আমরা জানি,ঢাকায় প্রায় ২ লাখ লোক ভাসমান অবস্হায় জীবন অতিবাহিত করে।আর প্রতিবছর এ হার বেড়েই চলতেছে।

অশিক্ষিত তরুণদের কথা না হয় একটু বাদই দিলাম।যারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতেছে বা করার দিকে হাটতেছে তাদের কি অবস্হা???

আমরা জানি,৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় , প্রায় ৯০ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়,প্রায় ৫০ টি কলেজের প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে ঢাকা শহরে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর পাড়ি জমায় এ শহরে।

ঢাকা শহরে যোগাযোগ ও জীবনব্যবস্হা সহজবোধ হওয়ায় অন্যান্য বিভাগীয় শহরের তুলনায় ঢাকায় থাকার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি জনমানুষের মধ্যে।

তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো ঢাকায় অবস্হিত হওয়ায়, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকাতেই থাকার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।

ফলে বাড়ছে প্রতিনিয়ত জনসংখ্য।নস্ট হচ্ছে বসবাসযোগ্য পরিবেশ।বাড়তেছে বস্তি,ভাসমান লোকের সংখ্যা বাড়তেছে অগনিতভাবে। ফলে বর্তমানে বিশ্বের মধ্য বসবাসের দিক দিয়ে নিকৃষ্টতমের তালিকায় ২য় স্হানে।

এমতাবস্থায় আমাদের বিভাগীয় ও জেলাশহরগুলোতে ঢাকার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্হাপন করা অতীব জরুরী।নাগরিক সকল চাহিদা যদি আমরা এসব শহরগুলোতে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ঢাকাকে স্বাস্হ্যকর ও বসবাসযোগ্য শহরে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

যারা গ্রামীণ অশিক্ষিত কিশোর- কিশোরী ও তরুণ তরুণী তাদের জন্য এলাকাভেদে কর্মমুখী শিক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করতে পারি যাতে তারা গ্রাম বা জেলাশহরগুলোতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।মধ্যস্হভোগীদের দৌড়াত্ম কমিয়ে কৃষক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ের মধ্য সহজ যোগাযোগের পন্হা তৈরী করা।বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির অবদানে ই-লার্নিং,ই- কমার্স, টেলি- মেডিসিন,কৃষি সেবা,রাইড শেয়ারিং প্রশংসার দাবিদার।

প্রত্যেকটি বিভাগীয় ও জেলা শহরে ল্যাবসমৃদ্ধ উন্নতমানের বিদ্যাপীঠ তৈরী করা,শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো এক জায়গায় গুচ্ছিভূত না করে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তরে স্হাপন করা যাতে জনগণ সব জায়গায় সমান অনুপাতে বাস করতে পারে এবং ঢাকার এ চাপকে প্রশমিত করতে পারে।

এছাড়াও জেলাশহরগুলোতে এক্সপোর্ট প্রজেক্টিং জোন (ইপিজেড) তৈরী করা যাতে বিপুল পরিমাণ জনগণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদে রুপান্তর করতে পারি এবং বেকারত্মের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়ে দারিদ্র বিমোচনে কয়েক ধাপ এগোতে পারি।
মনে রাখবেন গ্রামীণ অশিক্ষিত তরুণেরা পরিবার পরিজন ছেড়ে ঢাকামুখী হয় শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে!!

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি, যদি বাংলাদেশের জনগণকে শিক্ষিত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করার মাধ্যমে এবং ঢাকা শহরের স্হাপনাগুলো বিভাগীয় ও জেলাশহরগুলোতেও বেশি বেশি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং নাগরিক সুবিধা জেলা,উপজেলা, গ্রামীণ লেভেলে আনতে পারলে ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতা
কমবে। ফলে আমাদের ঢাকা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে আগামীর দিনগুলোতে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সর্বস্তরের উন্নয়নের বিকল্প নেই।এক ঢাকাকে নিয়ে বেশিদূর আগানো সম্ভব না!!