মোঃ মেজবাহুল ইসলামঃ পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সুদীর্ঘ দিন থেকে ভারতের সুখ্যাতি রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সরকারী বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ব্যাপক আশংকা ক্রমশ বেড়েই চলছে। এরেই মাঝে ভারতের রাজনীতির অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পশ্চিমবঙ্গের ১৭তম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দামামা বেজে উঠেছে।ভূ-রাজনৈতিক কারণে কলকাতার বিধানসভার নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের বিধানসভার লড়াইকে কেন্দ্র করে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে তুলনামূলক অসাম্প্রদায়িক রাজ্য কলকাতার এবারের নির্বাচনের মুল হাতিয়ারই হলো উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। বামশক্তি সিপিএম দীর্ঘ ৩৪ বছর নানা ঘটনা মধ্যেই নানাভাবে রং বদলিয়ে কলকাতার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের চাবি পায় মমতা ব্যানাজী।ভারতীয়…
Read MoreCategory: মতামত
মে দিবসে তারুণ্যের ভাবনা
মে দিবসকে ঘিরে তারুণ্যের প্রত্যাশা প্রতিবছর পহেলা মে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ঐতিহাসিক শ্রমিক আন্দোলনের কথা। স্মরণ করিয়ে দেয় দৈনন্দিন জীবনে শ্রমিকদের অবদানের কথা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস হিসেবে পরিচিত। সমাজের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে শ্রমজীবীদের উপর নির্ভরশীল। তাদের ন্যায্য অধিকার ও মে দিবস নিয়ে তারুণ্যের অনেক ভাবনা ও প্রত্যাশা রয়েছে। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরুণের মতামত তুলে ধরেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলে এলাহী ফুয়াদ। শ্রমিক নীতিমালা যেন শ্রমিকদের পক্ষেই হয় মে দিবস শ্রমিক আন্দোলনের এক বৈপ্লবিক যুগান্তকারী…
Read Moreকোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ ও আনুষঙ্গিক কিছু কথা
ড. ফেরদৌসী বেগম:সারাবিশ্ব জুড়ে চলছে কোভিড-১৯ অতিমারীর সেকেন্ড ওয়েভ। বলে রাখা ভালো কোভিড-১৯ ই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া প্রথম মহামারী নয়। আবার করোনা ভাইরাস ও মানুষের জন্য নতুন নয়। মানুষ ও অনেক প্রাণীদেহে এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আছে। মানুষের শরীর জুড়ে আছে এমন মিলিয়ন মিলিয়ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া কিন্তু সবাই রোগ সৃষ্টি করে না। কিছু আমাদের সুস্বাস্হ্য, হজম, মুড, ইমোশনসহ বিভিন্ন জৈবিক বিষয়গুলোকেও প্রভাবিত করে। শুধুৃমাত্র প্যাথোজেনিক অনুজীবগুলো নিয়েই সমস্যা। যেহেতু আমরা অণুজীব বেষ্টিত পৃথিবীতে থাকি যাদের জম্ম মানুষ সৃষ্টির আগে এবং সংখ্যায় প্রাধান্য বিস্তার করে আছে তাই এগুলোকে…
Read Moreঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পাতা নিষ্ক্রিয় কেন?
শেখ শাকিল হোসেন বর্তমানে ফেসবুক অনলাইন দুনিয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেবার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও ফেসবুকের উপযোগিতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টাটিস্টা’ এর তথ্য বলছে সারাবিশ্বে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২.৮ বিলিয়ন! বাংলাদেশে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় ৪১ মিলিয়ন! অর্থ্যাৎ, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে। এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটা স্বাধীন দেশের উত্থানে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির যশ ও খ্যাতির কারণে একসময় এটিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বলা…
Read Moreউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবামান হাতুড়ে ডাক্তারের সমান
ইমতিয়াজ হাসান রিফাতঃ বাংলাদেশে প্রায় সকল উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। যা স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু সেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে দেওয়া হচ্ছে না মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। নেই কোন দক্ষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স। স্থানীয় এক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবারের লোক অসুস্থ হওয়ার সুবাদে গিয়ে দেখতে পাই, সিনিয়র নার্স গুলো একটি ‘ক্যানোলা’ লাগাতে হিমশিম খাচ্ছে। টয়লেটের অবস্থা নাজেহাল। খাবারের নেই কোন মান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার অফিস টাইমেও উপস্থিত নেই হাসপাতালে।যে খাবার তাঁরা রোগীদের সরবরাহ করে তাতে রোগী সুস্থ হওয়ার বদলে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে…
Read Moreবেস্টসেলার বই ও লেখক: পাঠকের বিপজ্জনক গতির নির্দেশক
জি. কে. সাদিক দায় এড়ানো: মূল লেখায় যাওয়ার আগে কিছু দায় এড়িয়ে নিই। প্রথম কথা হচ্ছে, এই লেখায় কোনোভাবেই জনপ্রিয় অনলাইন শপ রকমারি ডটকমকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। বরং গোটা লেখায় তাদের নিয়ে কোনো সমালোচনা নেই। আমি নিজেও রকমারির এখন ক্রেতা। পাঠকের দ্বারে বই পৌঁছে দিতে তাদের যে প্রচেষ্টা সেটা সাধুবাদ পাওয়া যোগ্য। লেখাটি মূলত বাঙালি পাঠকের রুচির দৈন্যতা নিয়ে। দ্বিতীয় কথা এই যে, এই লেখার দায় সম্পূর্ণ এই লেখকের। এই লেখাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি অনুভূতি ও চিন্তা। কারো উপর বিশ্বাসের দায় চাপাচ্ছি না। জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্যারের একটা কথা…
Read Moreশহীদ বুদ্ধিজীবী হবিবুর রহমান
প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ১৫ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের আরও একটি শোকের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের স্বনামধন্য শিক্ষক প্রফেসর ড. হবিবুর রহমান পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের হাতে নিহত হন। তিনি মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। শহীদ অধ্যাপক হবিবুর রহমানের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। হবিবুর রহমান জন্মেছিলেন ১৯২১ সালের ১লা জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার বালিয়াধার গ্রামে। তাঁর বাবার নাম কলিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মায়ের নাম সিদ্দীকা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হবিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। বাড়ি থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে বটগ্রামের কাছে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে…
Read Moreশহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার
প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে সর্বজনীন একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। নববর্ষের এই দিনে অনেকে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড় পরিধান করে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ১লা বৈশাখ ভীষণ আনন্দে ভরপুর একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। সরকারও চাকুরীজীবীদের নববর্ষ ভাতা দিয়ে থাকেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দিনটিতে নেমে আসে এক অন্ধকার সময়। এদিনে আমরা আমাদের একজন প্রিয় সহকর্মীকে হারাই। তিনি হচ্ছেন ভাষা বিভাগের (বর্তমানে সংস্কৃত বিভাগ) শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার। সুখরঞ্জন সমাদ্দারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ই…
Read Moreতারুণ্যের চোখে স্বাধীনতা
মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল বিশাল। বাঙালিরা চেয়েছিল এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যা প্রতিষ্ঠিত হবে কিছু আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। এই স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়েছে! শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া ধ্বংসযজ্ঞ, বাঙালির গর্জে উঠা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি এই প্রজন্ম। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ঘিরে তারুণ্যেরা কী ভাবছে? দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের অভিমত তুলে ধরেছেন সুপর্ণা রহমান টুছি। তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মামুন সোহাগ বলেন, দেশ, মা ও মাতৃভূমি ভালোবাসার শব্দমালা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি দেশ এগোচ্ছে, দেশের মানুষ স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছি। অর্থনৈতিক, শিক্ষাক্ষেত্রে, নারী নেতৃত্বসহ সব ধাপে দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য। সামনের…
Read Moreছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ
মোঃ রিয়াজ উদ্দীন রেজা ছাত্র রাজনীতি হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিয়োজিত, অধিকার আদায়ে সোচ্চার, ইতিবাচক সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত, ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে থেকে সর্বদা হীনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী, শিক্ষাঙ্গনে দূর্নীতি অনিয়ম প্রতিরোধে অকুতোভয়, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নীতিবান আর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সৃষ্টির বাতিঘর বা কারখানা। যদিওবা বর্তমানে চর্চিত ছাত্র রাজনীতির ধারা ভিন্ন। তবুও এদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির বর্ণাঢ্য অতীত রয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা দাবি আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বাধীকার…
Read More