পানির অপচয় ও দূষণ

মানুষ প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির নানা উপাদানের উপর নির্ভর করে মানুষ জীবন ধারণ করে। সেসব উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো পানি। পানি ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব না। তাই তো পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু পৃথিবীতে আজ মিঠা পানির চরম সংকট। এর জন্য দায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন, পানির অপচয়, দূষণ ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সমগ্র মিঠাপানির অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এভাবে চললে ২০২৫ সাল নাগাদ বাকি যা আছে তাও শেষ হয়ে যাবে। আর ভূগর্ভস্থ পানি যে হারে উত্তোলন করা হচ্ছে সেই হারে পূরণ হচ্ছে না। কারণ বৃষ্টির পানি ভূমিতে পড়লে তা ঘাস, মাটি ও গাছের শিকড়ের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে ভূগর্ভস্থ পানি জমা হয়। কিন্তু নগরায়নের ফলে খোলা মাটির বেশ অভাব। সেইসঙ্গে আশঙ্কাজনক হারে কমছে গাছ। বাড়ছে কংক্রিটের দালান ও পিচের রাস্তা। ফলে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে পৌঁছানোর সুযোগ পাচ্ছে না।

এবার আসা যাক দূষণের কথায়। শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত পানি পরিশোধন না-করেই সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদী কিংবা খালে-বিলে। ফলে দূষিত হচ্ছে সেসব জলাশয়। কৃষিজমিতে ব্যবহৃত হচ্ছে নানান রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। সেসব রাসায়নিক সার বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নদী ও অন্যান্য জলাশয়ে মিশছে। ফলে দূষিত হচ্ছে পানি। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। মিঠাপানির সংকটের বর্তমান রূপ বোঝাতে দুটি শহরের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। একটি হচ্ছে ইয়েমেনের রাজধানী সানা আর অন্যটি পাকিস্তানের শহর কোয়েটা। সানার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর ছয় মিটার নেমে যাচ্ছে। একই রকম ঝুঁকিতে আছে পাকিস্তানের প্রদেশ বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা। শহরটি তৈরি হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার লোকের জন্য। কিন্তু সেখানে এখন বাস করে দশ লাখেরও বেশি মানুষ। ফলে সেখানে দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।

ঢাকা শহরের অবস্থাও ঠিক তেমনি। অতিরিক্ত জনসংখ্যার পানির চাহিদা মেটাতে ও পানির অপচয় ও দূষণের ফলে দিন দিন নিঃশেষ হচ্ছে মিঠা পানির আধার। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে মাটি ও পানির স্তরের মাঝে খালি জায়গা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন এর কারণে এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে সামান্য ভূমিকম্পেই দেবে যেতে পারে আমাদের প্রাণের এই শহর। পানিদূষণ আজ কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা গোষ্ঠীবিশেষের সমস্যা নয়। এই সমস্যা সমস্ত পৃথিবীর। তাই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে।

নিজ নিজ অবস্থান থেকে পানিদূষণ রোধ এবং পানির পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি ধর্ম মানুষকে পানি ব্যবহারে সচেতন ও মিতব্যয়ী হওয়ার কথা বলেছে। পানির সুষম বণ্টনের কথা বলা হয়েছে মানুষসহ সকল উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের মধ্যে। তাই আসুন, পানি ব্যবহারে সচেতন হই এখনই। পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে পানিসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদ অপচয় রোধ করি।

 

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, কতটুকু সচেতন আমরা?

হৃদয় পাল: একবিংশ শতাব্দীর মতো সময়ে যখন বিজ্ঞানের অগ্রগতি চরম পর্যায়ে, তখন একটি ভাইরাস জনজীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে; সেটি ছিল কল্পনাতীত।চীনের উহানে করোনা ভাইরাস উৎপত্তি হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে ৮ ই মার্চ। তারপর কয়েক দফা লকডাউন এর পরে ফেব্রয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হয়। এরপর মার্চের দিকে করোনা সংক্রমণ আবার উর্ধ্বমুখী হয়।এবছরের মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নামকরণ করে।

আসলে যেকোনো ভাইরাসই ক্রমাগত নিজের ভেতর নিজের পরিবর্তন বা মিউটেশন ঘটাতে থাকে এবং তার ফলেই তার নানা ধরনের সৃষ্টি হয়।সাধারণত আসল ভাইরাস থেকে মিউটেন্ট ভাইরাস দুর্বল হয়।কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.৬১৭, এটি অতিসংক্রাম এবং খুব দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

বাংলাদেশ ভারতের প্বার্শবর্তী দেশ এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কারণে;ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং দ্রুততম সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথমদিকে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ দেখা দিলেও বর্তমানে সারা দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। গত ১ জুলাই থেকে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়,যা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ হিসেবে বলা হয়েছে-লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না।তবে গণমাধ্যম এ নির্দেশ এর আওতাধীন নয়।

এদিকে দেশের মাত্র দুই শতাংশ মানুষ করোনার দুইডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে।তিন শতাংশের মতো মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ অতিমারী আকারে ধারণা করলে,তারা চুক্তিঅনুযায়ী টিকা পাঠাতে পারে না বাংলাদেশে।

তবে বর্তমানে মর্ডানা ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে।বিশ্বব্যাপী গ্যাভি-দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।বর্তমানে সুরক্ষা এ্যাপের রেজিষ্ট্রেশন করে প্রবাসীদের ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার উচ্চ পর্যায়ে, প্রতিদিন ২০০ বা তার কাছকাছি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সামাজিক দূরত্ব অন্যতম হাতিয়ার। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সামাজিক দূরত্ব মানতে চায়ছে না।ফেলে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উচ্চ সংক্রমণ হার থেকে রেহায় নেয় গ্রামীণ জনপদেরও।

গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত মানুষের অর্ধেকই গ্রামের। তবে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বেশিরভাগ মানুষ লকডাউন অমান্য করছে। শহরের প্রধান জায়গার দোকানপাঠ বন্ধ থকলেও, অলিগলির দোকানগুলোতে হরহামেশাই লোকজন যাওয়া-আসা করছে।গ্রামের দিকে বেশিরভাগ দোকানই খোলা থাকছে দিনের সময়টাতে।

এদিকে মাস্ক পড়লেও বেশিরভাগ লোকের মাস্ক থাকছে নাকের নিচে।কথা বলা বা কাশি দেওয়ার সময় মাস্ক খুলে ফেলার কারণেও এক মানুষ থেকে অন্য মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। আবার অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করছে।ঠিকমতো স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে না কাউকে।

এমতাবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি অতিরিক্ত খারাপ হবে,ভারতের মতো অতিমারিতে যাতে সংক্রমণ রূপ না নেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং করা যেতে পারে, তারসাথে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।

সামাজিক দূরত্বের সুফল সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বাস্তবে মানুষকে সচেতন করতে হবে।লকডাউন এবং সরকার প্রদত্ত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে মানতে হবে।সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দ্বারাই করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করা সম্ভব।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

সেশনজট সমস্যাসহ নানা সংকটে জর্জরিত বেরোবি

উত্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন- সংগ্রামের ফসল রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। প্রতিষ্ঠার যুগের বেশি সময় পার করলেও দীর্ঘ সময় নানা আন্দোলন-সংগ্রাম আর সংকটে জর্জরিত এই বিদ্যাপীঠ।এরই মধ্যে চারজন উপাচার্যের আমল শেষ হয়েছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বেরোবি।

শিক্ষার্থীদের কাছে সেশনজট সমস্যা প্রকট।অবকাঠামোগত উন্নয়নেও অনেক পিছিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়।পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা নেই,অপর্যাপ্ত ক্লাসরুম,সেমিনার-লাইব্রেরিতে বই সংকট,নেই টিএসসি-অডিটোরিয়াম, গবেষণার ল্যাবরেটরি,গবেষণার প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত এই বিশ্ববিদ্যালয়।এ অবস্থান থেকে উত্তরণে একজন উপাচার্যের ভূমিকা অপরিসীম বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

এরই মধ্যে গত ১৪-০৬-২০২১ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।দায়িত্ব নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতির হাওয়া ভবন খ্যাত ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিস বন্ধ করেছেন। এনেছেন প্রশাসনিক দায়িত্বের নানা পরিবর্তন। বর্তমান এই উপাচার্যের কাছে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।নতুন এই উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ক্যাম্পাস টুডে প্রতিনিধি রবিউল হাসান সাকীব।

‘সেশন জট কমানো’ মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বেরোবি

‘সেশন জট কমানো’ হলো বর্তমানকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক চাহিদার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।এটি এ অঙ্গনের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রথম ও প্রধানতর আকুলতা। বিগত এক যুগেও কোনো প্রশাসন আমল সেশন জটকে এগিয়ে নিতে পারেনি। একটি কঠিন সত্য হলো একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার দেখা দুই ভিসি মহোদয়ের শাসনামল নিন্দিত হয়েছে কেবলমাত্র এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের শ্বাস-ইন্দ্রিয় বুঝতে পারেনি বলে। শিক্ষার্থীদের মৌলিকতার জায়গাটিতে এ দুই মহোদয়ের কেউই নাড়া দিতে পারেননি ফলে শিক্ষার্থীরাও ওভাবে করে তাঁদেরকে মননে রাখেননি।

নানা সংকট নিয়ে একযুগ পূর্ণ করলো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বেরোবির মৌলিকতায় ক্রমান্বয়ে অগ্রভাগে রয়েছে- একাডেমিক ভবন, শিক্ষক বৃদ্ধি, নতুন আবাসিক হল, প্রবেশ গেট, অডিটেরিয়াম, ইন্টারনেট সংযোগ উন্নতকরণ সহ আরও অনেকগুলো বিষয়াদী। আমরা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক যেভাবেই নেই না কেন আমি বিনয়ের সাথে দেখাতে চাই বিগত ভিসি স্যার ঢাকাস্থ লিঁয়াজো অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জনবহুল ও দক্ষ প্রশাসনকে পরিচালনা করে নজির স্থাপন করেছেন যে ভাইস চ্যান্সেলর স্যার চাইলে অকল্পনীয় অনেক কিছুই সম্ভব।

প্রত্যাশা রাখি আমাদের এবারের ভিসি মহোদয় সত্যিকার অর্থেই এ অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মৌলিকতাকে অর্থাৎ সেশনজট নিরসনকে প্রাধান্য দেবেন আর এরই মধ্যে দিয়েই আসলে তিনি জনমনে নন্দিত হয়ে থাকবেন সেটিও প্রার্থনা।

সোহানুর রহমান সোহান,
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।


“কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ চাই”

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।এই বিশ্ববিদ্যালয় তথাকথিত অনেক সংগঠন থাকলেও নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা ও মুক্তমতের চর্চার বড় অন্তরায়।ফলে শিক্ষার্থীদের সংকটকালীন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মত পর্যাপ্ত নেতৃত্বের অভাব, তাই সকল ক্ষেত্রে সহসা মেনে নিতে হয় প্রশাসনের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত সমূহ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র সংসদের নামে ভর্তির সময় নির্দিষ্ট একটি ফি জমা নেওয়া হয় সেই ফি কোথায় যায়,কোন কাজে ব্যবহৃত হয় তা অজানা। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অতীব প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ৯টি বাস থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিতান্তই কম। মেডিকেল সেন্টারে নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। একটি অডিটোরিয়াম ও দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটক এখন শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবী। তিনটি আবাসিক হল থাকলেও রয়েছে প্রকট আবাসন সমস্যা। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বাসা বা মেস ভাড়া করে।

উত্তরবঙ্গের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন আয়ের পরিবারের। এই মেস ভাড়ার টাকার জন্য হিমশিম খেয়ে হয় শিক্ষার্থীদের।এই প্রকট সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে দরকার কার্যকরী উদ্যোগ আশা করি তা এই বর্তমান উপাচার্য স্যারের সময় আমরা দেখতে পারব।

রুবেল হোসেন আদনান,
লোকপ্রশাসন বিভাগ।


“চাই শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়”

এক যুগ হতে চললো আমাদের ছোট্ট এই ক্যাম্পাসটির। এই সময়ে বেরোবি পেয়েছে চারজন উপাচার্যকে এবং সম্প্রতি পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ।বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজারো সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সেশনজট, আবাসন ও পরিবহন সংকট, শিক্ষকস্বল্পতা, ক্লাসরুম ও ল্যাবের অপ্রতুলতা, গবেষণায় অনগ্রসরতা, দুর্নীতি, শিক্ষক ও প্রশাসকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সমন্বয়হীনতা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেরোবিতেও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরের অংশীজনেরা নিজেদের অধিকার আদায়ে সবসময়ই সোচ্চার থাকলেও সার্বিক উন্নতি হয়নি শিক্ষার্থীদের। নবনিযুক্ত উপাচার্য উত্তরবঙ্গের লাখো মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার কেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব করবেন, সেশনজট ও আবাসন সংকটসহ তাদের সকল সমস্যাকে গুরুত্ব দেবেন ও সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করবেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ভারসাম্য আনয়ন করে গতিশীলতা নিশ্চিত করবেন এবং সর্বোপরি একটি উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেরোবি’র সামগ্রিক ভাবমূর্তির উন্নয়ন করবেন- এমন প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

মোস্তফা কে মুরাদ আহমেদ,
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।


“মৌলিক সুবিধাগুলোর প্রসার চাই”

বেরোবির শিক্ষার্থীদের জীবনে সেশনজট এক মহামারি তূল্য সমস্যার নাম,যার যাতাকলে পিষ্ট আমাদের জীবন।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মৌলিক যেসকল সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার অধিকাংশ সুযোগ সুবিধা নেই বেরোবি ক্যাম্পাসে।একদিকে সেশন জট অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা বঞ্চিত এই দুই মিলিয়ে হতাশায় পর্যবসিত আমাদের ক্যাম্পাস জীবন।

একজন যোগ্য এবং দূরদর্শী উপাচার্য হিসেবে বেরোবির বর্তমান উপাচার্য স্যারের কাছে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে সকল বিভাগে বিদ্যমান সেশন জট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মহামূল্যবান সময় ও মেধা রক্ষা করা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা অতিদ্রুত বেরোবির শিক্ষার্থীদের প্রদান করা।

এছাড়াও পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, সেমিনার-সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে বই সংকট নিরসন,মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ আমাদের সময়ের দাবি।করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস মুখী করে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হবে উত্তরবঙ্গের গৌরবের প্রতীক।

হাশেম বাধন,
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।


“অবকাঠামো নির্মাণ দ্রুত সমাপ্ত হোক”

উত্তরবঙ্গের শিক্ষাঙ্গনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর এর ৫ম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ স্যার কে অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনেক। নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সেশনজটমুক্তকরনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ,শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ,শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন এবং সুস্থ সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র বিনির্মাণে উপাচার্য মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ক্লাস রুম ও নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্তি এখন সময়ের দাবী। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত এর জন্য বাসের সংখ্যা ও মেডিকেল সেন্টারে এ্যাম্বুলেন্স এর সংখ্যা বাড়নো, আবাসিক হলগুলোতে খাবার সমস্যা সমাধান আমাদের প্রাণের দাবী।আশা করি মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমাদের এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ধনঞ্জয় কুমার টগর,
রসায়ন বিভাগ।


“নিজস্বতা বজায় থাকুক সবসময়”

একটা সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হতো অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। তখন হয়তো শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতেন তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসের, নিজস্ব ক্লাসরুমের, নিজস্ব পরিবহনের। যতই বলিনা কেন যেকোন কিছুর নিজের বলতে আলাদা একটা সত্ত্বা আছে। ২০১১ সালে পূরণ হয় তাদের সে স্বপ্ন। নিজস্ব ক্যাম্পাসে বড় হতে থাকে কৃষ্ণচূড়া, দেবদারু, জারুল, সোনালু’রা। দিনে দিনে অনেক বেলা গড়িয়েছে। অনেক কিছুরই স্বাক্ষী হতে হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। স্বপ্ন ভেঙেছে হাজারবার, আবারো স্বপ্ন দেখেছে, দেখছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত উপাচার্যগণ একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে গেছেন তাদের কৃতকর্মে। খুব সম্ভবত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আলোচিত, সমালোচিত উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।বিগত সময়গুলোতে হয়তো স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিছু, স্বপ্ন ভেঙেছে। কিন্তু ওই যে বললাম, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান না। নতুন অভিভাবক পেয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ স্যার৷ উনার দুটি চমকপ্রদ কাজ আমাদের বেশ কৌতুহলী করে তুলেছে। লিঁয়াজো অফিস বন্ধ ঘোষণা এবং সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে আমাদের চাওয়াগুলো, আমাদের স্বপ্নগুলো আপনাকেই বলবো স্যার।

সেশনজটে জর্জরিত হাজারো শিক্ষার্থীদের মর্মবেদনাগুলো আপনাকেই শুনতে হবে স্যার। এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলো স্বরুপে আসুক। আইন, চারুকলার মতো বিভাগগুলো চালু করা হোক দ্রুত। লাইব্রেরির বইয়ের স্বল্পতা দূর করা হোক। ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট, শিক্ষক সংকটসহ হাজারো সংকটকে দূরে ঠেলে দিয়ে সবুজের এ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠুক, যেখানে বুক ভরে তৃপ্তির শ্বাস নিতে পারবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা।

মাহমুদ মিলন,
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ।

আসুন পৃথিবীটাকে বাঁচিয়ে রাখি

“পানির অপর নাম জীবন”- প্রচলিত এই প্রবাদটির জন্য দুঃখিত ৷ এখন থেকে বলুন, “বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন” ৷ রাসায়নিকভাবে পানি হলো H2O যা আমরা অনেকেই জানি। পানি পরিবেশের এমন একটি উপাদান যা ছাড়া সমস্ত পৃথিবীর প্রাণীকুলের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।

পৃথিবীপৃষ্ঠ প্রায় ৭৫% পানি দ্বারা আবৃত। এই ৭৫% পানি সম্পূর্ণটাই পানযোগ্য নয়। পৃথিবীর ১০০% পানির মধ্যে ৯৭% সামুদ্রিক লবণাক্ত পানি, পোলার আইস ক্যাপে সঞ্চিত ২% পানি এবং স্বাদু পানি, নদী, পুকুর, ঝরণা, ভূ-গর্ভস্থ পানি ১%।

বিশ্বে WHO অনুমোদিত পানির গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড:
১. PH → 5.5-8.5.
২. Dissolved Oxygen → 5.0-6.0.
৩. Biological Oxygen Demand → 6.0 ppm.
৪. Chemical Oxygen Demand → 10.0 ppm.
৫. Total Dissolved Solid → 500 ppm.

বর্তমান পৃথিবীর ৯০% লোক এমন সব এলাকায় বসবাস করে যার কমপক্ষে ১০ কি.মি এর মধ্যে নদী বা হ্রদ অথবা মিঠা পানির ব্যবস্থা রয়েছে ৷ পৃথিবীর সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল নদী কেন্দ্রিক ৷ বিগত শতকে বিশ্বে প্রায় ৭ গুণ পানির ব্যবহার বেড়েছে । মিঠা পানির ব্যবহার বাংলাদেশে ৫০% তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে, কৃষিকাজে ৩০%, শিল্পে ১০% এবং গৃহস্থলি কাজে ৭% ৷ এইসব কাজে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরছি ৷ বেশি বেশি ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তলোনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং অনেক এলাকার ভূমি নিচে ধ্বসে যাচ্ছে ।

পৃথিবীর সকল অঞ্চলেই পানির অধিক ব্যবহারের কারণে আর কিছুদিনের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যেতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতেই বৃষ্টি ও তুষারপাত অনেক কমে গেছে ৷ ফলে বিশ্বের সকল অঞ্চলের নদী এবং হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে খরা দেখা দিচ্ছে ৷

গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রতি ৭ জনের বাড়িতেই পানির লাইনের সংযোগ রয়েছে ৷ এভাবে আমরা খুব সহজেই পানি পেয়ে যাচ্ছি ফলে পানির সঠিক ব্যবহার আমরা কেউই করছি না। বিনা করাণে পানির অপচয় করছি ৷ এভাবে পানির অপচয় হতে থাকলে অচিরেই দেশে বিশুদ্ধ মিঠা পানির অভাব দেখা দিবে ৷ আমাদের দেশের মেট্রোপলিটন শহর গুলোতে বিশুদ্ধ মিঠা পানির খুবই অভাব এমনকি সেইসব শহরের নদ নদীর পানিও দূষিত ৷ আমাদের দেশের রাজধানী শহর ঢাকায় পান যোগ্য পানির প্রাচুর্যতা আরও ভয়াবহ ৷

আমরা অনেকেই হয়তো জানি, বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global Warming বিষয়টি সম্পর্কে । আরও জানলে অবাক হবেন যে, দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পোলার আইস ক্যাপে জমানো পানি গলে যাওয়া শুরু করেছে ৷ এই দুই মেরুর বরফ যদি অতিমাত্রায় গলে যায় তাহলে পৃথিবীর পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে। এই বরফ গললে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার আশংকা আছে আর সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত শহর এমনকি অনেক দ্বীপ দেশ পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

এরকম ঝুঁকির মধ্যে আছে লন্ডন, টোকিও, মুম্বাই, নিউইয়র্ক ইত্যাদি বিখ্যাত শহর এছাড়া মালদ্বীপ এর মতো দেশগুলাও তলিয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যেভাবে বেড়ে চলেছে এখনি এর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই হয়তো পৃথিবী বাস যোগ্যতা হারাবে।

এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত বিশ্বের দেশগুলি অত্যাধুনিক জীবন যাপনের কারণে মাত্রাতিরিক্ত CFC গ্যাস, CO2 গ্যাস নিঃস্বরণ করে থাকে যার ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া CFC এর প্রভাবে ওজোন স্তরেও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ওজোনস্তর আমাদের সুর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে ৷ তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত ৷ প্রয়োজন অনুযায়ী অত্যাধুনিক পণ্য ব্যবহার করা উচিত ৷

পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর একটাই উপায় হলো- বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা ৷ সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজে ভরিয়ে তোলা ৷ প্রতিবছর গাছ লাগানোর মৌসুমে অন্তত তিনটি করে যদি আমরা গাছ লাগাই তবে চিন্তা করুন কত গাছে ভরে যাবে এই বিশ্ব ৷

এছাড়াও আপনারা জেনে থাকবেন যে পৃথিবীতে আমরা সবাই বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের উপর অনেক নির্ভরশীল হয়ে পরছি ৷ ফলে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্র, নদী, খাল-বিল এমনকি কৃষি জমিতে গিয়ে জমা হচ্ছে ৷ ফলে আবাদি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে এবং সমুদ্র ও নদীর প্রাণীকুল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ৷ তাই আমাদের সকলের উচিত প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য ব্যবহারে সচেতন হওয়া। রিসাইকেল যোগ্য পণ্য ব্যবহার করা আর ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। সকলের সচেতনতায় পারে এই পৃথিবীকে সুন্দর বাসযোগ্য করে রাখতে ৷

আমাদের সকলকেই এখনি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ৷ পানির অপচয় রোধ করা খুবই জরুরি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আমাদেরকেই করে দিয়ে যেতে হবে ৷ আমরা অনেকেই অযথা পানির টেপ খুলে রাখি, পানি ট্যাংক ভর্তির পরও পানি উপচে পরতে দেখা যায়, সরবরাহ কৃত পানির পাইপ লাইনের ত্রুটির কারণে প্রচুর পরিমাণে পানির অপচয় হয়। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে, স্কুল-কলেজে, বিশ্বিবদ্যালয়ের হল গুলোতে পানির অপচয় আরো বেশি হয় ৷

তাই আমাদের সকলেরইত উচিত কাজ শেষ হয়ে গেলে পানির টেপ বন্ধ রাখা, পাম্প বন্ধ করে দেয়া, সকল প্রকার পানির লাইন বন্ধ করে দেয়া। বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে প্রয়োজন সচেতনতা ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যাতে না হয় সে জন্য যেসব গ্যাস দায়ী সেইগুলার ব্যবহার না করা বা কমিয়ে ফেলা। প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যাতে সেগুলা আবার পুনরায় ব্যবহার করা যায় ৷

পৃথিবীতে প্রাণীকুলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিশুদ্ধ পানির কোন বিকল্প নেই ৷ তাই আসুন- নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি ৷ সেই সাথে পৃথিবীটা সবুজ-শ্যামলীমায় ভরিয়ে বসবাসযোগ্য নির্মল করে গড়ে তুলি ৷

কলমে: রবিউল হাসান সুজন
সম্পাদনায়: তরিকুল ইসলাম মাসুম
শিক্ষার্থী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ৷

 

করোনাকালীন শিক্ষার ক্ষতি

মোহাম্মদ হাসিব উল্লাহ: করোনা মহামারীর প্রকোপে গত বছরের মার্চ মাস থেকে দীর্ঘ ছুটিতে এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা চালু হয়।

তবে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষায় যেমন সুফল রয়েছে তেমনি এর কুফলও বিদ্যমান। যেসকল শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারা এর বেশ সুফল উপভোগ করছে।

অন্যদিকে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের যেসব শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে মফস্বল এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তাদের প্রায় প্রতিনিয়ত বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে উপযুক্ত ইন্টারনেট সুবিধা, উপযোগী ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং ব্যয় বহনের সক্ষমতা। এদিক বিবেচনায় বহু শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে ঠিকমত উপস্থিত থাকতে পারছে না এবং যারা উপস্থিত থাকছে তাদের অধিকাংশ আর্থিক সমস্যা থাকায় নিয়মিত ইন্টারনেট ডাটা ক্রয় দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, শহর থেকে গ্রাম এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা খুবই ক্ষীণ বললে চলে এবং মোবাইল সিমগুলোতেও নেটওয়ার্ক জটিলতায় ঠিকমত নেটওয়ার্ক পাওয়া সম্ভব হয় না।

আবার, অনলাইন ক্লাসের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমত প্রাক্টিক্যালি অনেক কিছুই শিখতে ও জানতে পারছে না, যা স্বশরীরে ক্লাসে অংশ নেওয়া ব্যতীত সম্ভব নয়।

ফলে, ব্যহত হচ্ছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতির প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে একটা বিরাট বৈষম্য থেকেই যাচ্ছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

কুবি টুডে

করোনা মহামারীর কারণে দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসের পর এবার হাঁটছে অনলাইন পরীক্ষার পথে। দুর্বল নেটওয়ার্ক, অধিকমূল্যের ডাটাপ্যাকসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় অনলাইন ক্লাস চললেও পরীক্ষা নেয়া আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।

কেউ কেউ সেশনজট কমানোর জন্য অনলাইনে পরীক্ষা দিতে রাজী থাকলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় অধিকাংশের মত অনলাইনে পরীক্ষার বিপক্ষে। অনলাইন পরীক্ষার নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরছেন ”দ্যা ক্যাম্পাস টুডে ” এর কুবি প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবী।

ছবি:অর্ক

অর্ক গোস্বামী

নৃ – বিজ্ঞান বিভাগ,

শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৫-১৬

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হয়তো এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে অনলাইনে সকল চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের। আপাতঃদৃষ্টিতে এর চেয়ে বিকল্প কোনো রাস্তাও হয়তো আমাদের সামনে খোলা নেই। তবে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কতটুকু যুক্তিসম্মত সেই বিষয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আমরা আধুনিকতার ছোঁয়া পেলেও সেই সক্ষমতা এখনোও অর্জন করতে পারিনি, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইন মাধ্যমে নেওয়া সম্ভব। আর অচিরেই এই সক্ষমতা অর্জন হবে বলেও মনে হচ্ছেনা।

যদি যান্ত্রিক কোনো গোলযোগের কারণে একজন শিক্ষার্থীও পরীক্ষা না দিতে পারেন, তাহলে সেই দায় কে নিবে! আর বাংলাদেশে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বা মেনে চলার নাম করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছুই চলমান। তাহলে শিক্ষার্থীরা কেনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব স্ব ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে পারবেনা। আমি চাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক।

ছবি: তারিকুল

মোঃ তারিকুল ইসলাম
আইন বিভাগ
সেশনঃ ২০১৬-১৭

বিশ্ববিদ্যালয় এক্সাম কোনো গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয় যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পক্ষে মতামত দিলেই অনলাইন এক্সাম নেওয়াটা ঠিক হবে। অনলাইন এক্সামের জন্য যদি একজন শিক্ষার্থীও ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে সেটা হবে চরম অন্যায় এবং অবিচার।

ধরুন, একজন শিক্ষার্থী রুরাল এরিয়াতে অবস্থান করছে তাহলে সে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সমস্যা হতে পারে, এতে করে মেধাবী হওয়া সত্যেও তার রেজাল্ট পিছিয়ে যাবে। এছাড়া সচ্ছতার বিষয়েও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। যেহেতু করোনা মহামারীতে আক্রান্তের হার কিংবা ডেথ কেইস নিম্নমুখী, তাই ঈদের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফলাইনে এক্সাম নেওয়া হোক।

ছবি: সিগমা

ফারিয়া জাহান সিগমা
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগ
শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৬-১৭

অনলাইন পরীক্ষার বিপক্ষে আমি। কারণ দেখা যাচ্ছে সব জায়গায় নেটওয়ার্ক ঠিকভাবে থাকে না। তাছাড়া ক্লাস সব ঠিক ভাবে করতে পারিনি আমরা। অনলাইনে এক্সাম হলে নেটের সমস্যা হতে পারে। তাই আমি স্বশরীরে উপস্থিত থেকে এক্সাম দেয়ার পক্ষে।

ছবিঃ ইয়াসমিন

ইয়াসমিন আক্তার

গনিত বিভাগ

শিক্ষাবর্ষঃ ২০১৮-১৯

জীবনের ভয়ংকর এক চ্যাপ্টারের নাম করোনা। নীরবে আঘাত করে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে বিশ্বকে। প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। থমকে যাওয়ার চেয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে যাওয়াও ভালো।

সরকার নানা উদ্যোগ এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অনলাইনে নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেই। মূল্যায়নের ব্যাপারটিও অনলাইনেই চালিয়ে নিতে চাচ্ছে।

সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এই অনলাইন কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত। করোনা যে খুব দ্রুত চলে যাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। তার ভবিষ্যৎ কেমন সেটা ও আমরা কেউ জানিনা।করোনার লাগাম টানার অপেক্ষা করলে আমাদের কঠিন বাস্তবতার শিকার হতে হবে। তাই স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত অনলাইনেই চালু হোক শিক্ষা কার্যক্রম

 

 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীর বোবা চিৎকার

অনি আতিকুর রহমান

 

বাসার আলমারিতে ছাত্রী নিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; এডমিশনের মত সেনসেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আউট করে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ২০ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ভুয়া পিএইচডি করে ধরা খেলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; বিভাগের টাকা তছরুপ করে ধরা পড়লেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।

পোষ্য কোটায় সর্বনিম্ন মার্কস (কয়েক দফা) কমিয়ে অকৃতকার্য ছেলেমেয়েকে ভর্তি করিয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; স্টেশনে না থেকেও বেতন-বোনাস তুলে ওই হারাম খেয়ে ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না।

স্থানীয় পাতি নেতার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সুধিসমাজের ভৎসনার মুখে পড়লেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না; দিনের পর দিন ক্লাস না নিয়ে সাজেশন ক্লাসে কোর্স শেষ করার ধোঁকাবাজি ধরা পড়লে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; রেজাল্ট টেম্পারিং করে তল্পিবাহক পছন্দের ছাত্রকে কিংবা সুন্দরী ছাত্রীটিকে ফার্স্ট বানিয়ে ধরা খেলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।

আরও পড়ুন

স্যালুট টু আবুল খায়ের গ্রুপ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সেরা ১০ পেশা

ক্যাম্পাসের জমিতে সবজি চাষ করা নিয়ে মারামারি করে পত্রিকার শিরোনাম হলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; সহকর্মীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিবেশ তৈরি করে দেশজুড়ে সমালোচিত হলে শিক্ষক সমাজের মান যায় না; শিক্ষক ক্লাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে মাথা ফাটিয়ে মেডিকেলে পাঠানোর খবর চাউর হলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না; ছাত্রীর সাথে ‘ফোন সেক্স’ করে ভাইরাল হলেও শিক্ষক সমাজের মান যায় না।

আর তখন কোনো তথাকথিত প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘জাত গেল জাত গেল’ বলে বিবৃতিও দেয় না। মাস্টারদের স্বার্থ ও ইজ্জতের হেফাজতকারী পরাক্রমশালী সুবিশাল শিক্ষক সমিতিও কোনো হৈচৈ করে না। মান যায় শুধু শিক্ষার্থীরা কোনো কুকর্মের প্রতিবাদ করলে; নায্য দাবি আদায়ে সোচ্চার হলে!! হায় হিপোক্রেসি!

এ ধরনের হিপোক্রেসি বন্ধ হয় না জন্যেই শিক্ষকদের আজ এই করুন পরিনতি আর তাদের উৎপাদনকৃত শিক্ষার্থীদেরও এই হাল। লজ্জা!

লেখক
অনি আতিকুর রহমান
সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

মে দিবসে তারুণ্যের ভাবনা

মে দিবসকে ঘিরে তারুণ্যের প্রত্যাশা

প্রতিবছর পহেলা মে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ঐতিহাসিক শ্রমিক আন্দোলনের কথা। স্মরণ করিয়ে দেয় দৈনন্দিন জীবনে শ্রমিকদের অবদানের কথা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দিনটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস হিসেবে পরিচিত। সমাজের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে শ্রমজীবীদের উপর নির্ভরশীল। তাদের ন্যায্য অধিকার ও মে দিবস নিয়ে তারুণ্যের অনেক ভাবনা ও প্রত্যাশা রয়েছে। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন তরুণের মতামত তুলে ধরেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলে এলাহী ফুয়াদ।

শ্রমিক নীতিমালা যেন শ্রমিকদের পক্ষেই হয় মে দিবস শ্রমিক আন্দোলনের এক বৈপ্লবিক যুগান্তকারী বৈপ্লবিক স্মৃতির স্মারক। মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের নিমিত্তে সংঘটিত হয়েছিল এটি। বর্তমানে করোনা মহামারী কারণে শ্রমিকরা স্বীকার হচ্ছেন নানান বিড়ম্বনায়। প্রতিষ্ঠানের কাজ কম থাকায় শ্রমিক ছাঁটাই, অর্ধেক বেতনে কাজ করাসহ নানান ভোগান্তি। অন্যদিকে, বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যে যা প্রায় নাগালের বাইরে নি¤œমধ্যবিত্তদের। লকডাউনে উপার্জন করতে হিমশিম খাচ্ছেন দিন মজুররা। অধিকাংশই পাচ্ছেন না কোনো কাজ। একরকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্বীয় শ্রমিকদের প্রতি আরো সদয় হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে বেতনভাতা প্রদানের সাথে অতিরিক্ত কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করা উচিত। এছাড়াও নীতি নির্ধারকের প্রণয়ন করা নিয়মকানুন যাতে অসহায় শ্রমিক ও দিনমজুরদের বিপাকে না ফেলে সেদিকে কঠোর নজরদারি একান্ত কাম্য।

মিজানুর রহমান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে মর্যাদার সহিত আমরা শ্রমিক দিবস পালন করি। একটি বিষয় আমাদের স্মরণ রাখতেই হবে যে শ্রমিকদের ঘামের উপর এই সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ১৮৮৬ সালে ৮ কর্মঘণ্টা কাজ করার দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমে শ্রমিকরা রক্তের বিনিময়ে তাঁদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। কিন্তু ২০২১-এ এসেও শ্রমজীবীরা শোষিত, নিগৃহীত ও বঞ্চিত রয়েই গেল। এখনও তাঁদের আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। সঠিক সময়ে দেয়া হয়না পারিশ্রমিক। সময়ের পরিক্রমায় শ্রমিকরা যখনই নিজেদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয় তখনই তাদের উপর শোষণ-বঞ্চনা বাড়তে থাকে। এইতো কিছুদিন আগে বাঁশখালীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তারই অন্যন্য দৃষ্টান্ত। মে দিবস পালনের স্বার্থকতা তখনই আসবে যখন আমরা শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখে মে দিবস পালনের মাঝে কোন স্বার্থকতা নেই।

নুর নওশাদ, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

সভ্যতা নির্মাণের কারিগররা বেড়ে উঠুক নিজস্ব গতিতে

শ্রমকে ভিত্তি করে সভ্যতার সূচনা হলেও শুরু থেকে শ্রমিকের মর্যাদা বলে কিছুই ছিল না। শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। শ্রমিকদের নাম মাত্র মুজুরী দিয়ে ইচ্ছামত কাজ করাতো মালিকরা। ছিলোনা কোন নির্দিষ্ট কর্ম ঘণ্টা। সেই ঐতিহাসিক পয়লা মে তে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে করা আন্দোলন সেসময় সফল হলেও তার প্রকৃত বাস্তবায়ন ঘটেনি। অনেক ক্ষেত্রে আজও রয়েছে অসামঞ্জস্যতা। শ্রমিকদের শোষণ করার নীতি যেনো অলিখিতভাবে বিদ্যামান। বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশনের স্বাক্ষরিত একটি দেশ হলেও কিছুক্ষেত্রে দেখা মেলে ভিন্ন চিত্র। বিভিন্ন সময় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ধর্মঘট কিংবা আন্দোলন করলে বুর্জোয়া রাষ্ট্রের মালিক তাদের উপর চড়াও হয়। স¤প্রতি এস.আলম কোম্পানি এবং বাঁশখালীর ঘটনা যেনো তার জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি। সভ্যতা নির্মাণের কারিগররা বেড়ে উঠুক নিজস্ব গতিতে। বেঁচে থাকুক নিজেদের স্বপ্ন ও স্বাধীনতা নিয়ে- এই প্রত্যাশা রইলো আজকের মে দিবসে।

ছিদ্দিক ফারুক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তারুণ্যের চোখে স্বাধীনতা

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল বিশাল। বাঙালিরা চেয়েছিল এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, যা প্রতিষ্ঠিত হবে কিছু আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। এই স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়েছে!

শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া ধ্বংসযজ্ঞ, বাঙালির গর্জে উঠা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি এই প্রজন্ম। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ঘিরে তারুণ্যেরা কী ভাবছে? দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের অভিমত তুলে ধরেছেন সুপর্ণা রহমান টুছি

তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মামুন সোহাগ বলেন, দেশ, মা ও মাতৃভূমি ভালোবাসার শব্দমালা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি দেশ এগোচ্ছে, দেশের মানুষ স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছি। অর্থনৈতিক, শিক্ষাক্ষেত্রে, নারী নেতৃত্বসহ সব ধাপে দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য। সামনের দিনগুলোতে দেশের উন্নতি আরো দ্বিগুণ গুণে তরান্বিত হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে পড়ুয়া ছাত্র মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এই স্বাধীন ভূখন্ডটি অনেক কিছু পেয়েছে আবার অনেক কিছুই হারিয়েছে। যে প্রত্যাশা নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছে তার অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এখনও ঘাটতি রয়েছে। তাই তো স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারিনি। আমরা সেদিনই স্বাধীনতার স্বাদ পাবো; যেদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান প্রজন্মের তরুণেরা বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র শাহ্ নেওয়াজ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান যে উন্নত হয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সেই উদ্দেশ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি উদ্দেশ্য ছিলো শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলে দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও শোষণ ও ভেদাভেদ নামক কালো অধ্যায় আমাদেরকে ছাড়েনি। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক করতে হবে এবং মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে দেশ।

মাকসুদা আক্তার মিম অণুজীব বিজ্ঞান নিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিলো রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা। স্বাধীনতা অর্জন হলেও প্রতিবন্ধকতা কাটেনি আমাদের। মৌলিক প্রয়োজন নিশ্চিত হয়নি সমাজের সর্বস্তরের নাগরিকের৷ বেকারত্ব আর হতাশার ভয়াল বেড়াজালের মুখোমুখি আমরা। বিলীন হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। একমাত্র তরুণ্য শক্তির জাগরণই পারে লাল-সবুজের দেশে স্বাধীনতার পূর্ণতা এনে দিতে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র এম ডি নুরুল মোস্তফা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই আনন্দের সময়ে এসে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে স্বগৌরবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের নানা বিষয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। বৈষম্যমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, অন্যায়, অবিচার, শোষণ ও নিষ্পেষণমুক্ত সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক দেশই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাই তারুণ্য ও দেশের সকল মানুষের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য, দারিদ্র্য, অন্যায়, অবিচার।

স্বপ্নের একুশ: ডিজিটাল বাংলাদেশ ও নিরাপদ সড়ক

ইমতিয়াজ হাসান রিফাত: বিষাদে ঢাকা বিশের বিদায়ের পর শুরু হয়েছে স্বপ্নের একুশ। সবাই বিষাদে ঢাকা বিশকে বিদায় দিয়ে আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। সবার মিনতি করোনা নামক মৃত্যুদূত থেকে যেন মুক্ত থাকে একুশ। প্রথম দেশের অর্থায়নে সর্ববৃহৎ সেতুর অবকাঠামো স্থাপনের আনন্দ নিয়ে শুরু করা হয়েছে নতুন বছর। দেশের এই উন্নয়ন হয়েও রোধ করা যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা।

২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে চলছে লকডাউন৷ এই লকডাউন চলার পরেও সড়ক দুর্ঘটনা থেমে থাকেনি। গতবছর সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪০৯২ টি,প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৯৬৯ জনের এবং আহত হয়েছে ৫ হাজার ৮৫ জন। এই পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন নিরাপদ সড়ক চাই ( নিসচা)।

স্বপ্নের একুশ সালের প্রথম মাস চলছে। এই প্রথম মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে অপরিকল্পিত। লক্ষ্য করা যায়, গত ২৩ শে জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জে দুই জনের মৃত্যু। ওইদিন সকালে খাগড়াছড়িতে এক জনের মৃত্যু।
২২ শে জানুয়ারি বান্দরবান জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে ৬ পর্যটক আহত এবং রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় এক দম্পতির মৃত্যু। একই দিনে খুলনা- সাতক্ষীরা সড়কে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ও মাদারীপুরে রোগীরাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেছে দুই জনের।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় গত দুই দিনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮ জনের ও আহত হয়েছে ৬ জন। অপ্রকাশিত রয়েছে অসংখ্য। গত দুইদিনে যদি হয়ে থাকে এই হাল তাহলে আগামীকাল এগারো মাসে এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা অভাবনীয়।

দেশের সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নেওয়া হয়েছে। এই একুশ মানুষের কাছে স্বপ্নের একুশ। কিন্তু এই স্বপ্নের মাঝে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন গুলো ঝরে যাচ্ছে।
বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা গুলো। সরকার তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে সড়কের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।

সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো ফিটনেস বিহীন গাড়ী৷ বর্তমানে রাস্তায় বের হলেই তা চোখে পড়ে। ফিটনেস বিহীন হয়েও তাঁরা চালাচ্ছে বেপরোয়া ভাবে এবং লাইসেন্সও নেই। যার ফলে,প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে বড় বড় সড়ক দুর্ঘটনা এবং অকালে প্রাণ যাচ্ছে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন গুলোর।

সুতরাং, বর্তমান সরকারের উচিত বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য সড়ক পথ নিরাপদ করা। দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে সেই প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। তাহলেই স্বপ্নের একুশে স্বপ্ন গুলো অকালে ঝরে যাবে না। আগাম ভবিষ্যতে তাঁরাও ডিজিটাল বাংলাদেশ ধরে রাখার হাল ধরতে পারবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।