আবরার হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ-মিছিল

কুবি টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর টাউনহলে বিক্ষোভ মিছিলটি করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।



“আবরারসহ যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সবগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন নতুন আবরার হত্যার স্বীকার না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।”



বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানের মূখরিত হয়ে উঠে কুমিল্লা নগরী।

স্লোগানের মধ্যে ছিলো- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাই নাই’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভ মিছিলের সময় কুবি শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, “আবরারসহ যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সবগুলোর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বজিৎ হত্যার মতো যেন আসামীরা আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে না আসে। ভবিষ্যতে যেন নতুন আবরার হত্যার স্বীকার না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।”

এছাড়াও কুবি’র আবদুর রহিম, ভিক্টোরিয়া কলেজের মহিউদ্দিন আকাশ ও সরকারী কলেজের সৈকতসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশগ্রহণ করে।



সংবাদ প্রেরক ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ এর কুবি প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার


 

“৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড”: আবরারের বাবা

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে আবরারের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ কথা জানান। সেখানে হাজারও মানুষ জড়ো হন। এ সময় প্রতিবেশী-স্বজনদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদেরও কাঁদতে দেখা যায়।



“৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড”: আবরারের বাবা



এ সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে আবরারের বাবা বলেন, “এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যে ছেলেটা বিকেল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছাল, তাকে ৮টার দিকে নির্যাতন করার জন্য ডেকে নিয়ে গেল। ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালাল, এটা অবশ্যই পরিকল্পিত।”

এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবরারের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ৬টায় তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। বেলা ১০টার পর আবরারের তৃতীয় জানাজা হয়। এরপর দুপুরে গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (০৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

আবরারকে মারার পর তার নিথর দেহ সিঁড়ির রেখে যান এমন সিসিটিভি ফুটেজ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে প্রকাশিত হলে এই মর্মান্তিক ঘটনা আরো সমালোচনায় আসে।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

আবরার হত্যা: খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৮ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ (ভিডিও)

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহতের ঘটনায় ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ফাহাদ হত্যকান্ডে জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসি চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

৮ টি দাবি হলো


১. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের সবার ছাত্রত্ব বাতিল করে আজীবন বহিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।


৩. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।


৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি তা উনাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তা উনাকে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে সকলের সামনে জবাবদিহি করতে হবে।


৫. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।


৬. মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরার ফাহাদের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।


৭.আবাসিক হলগুলোতে র‍্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে এর সঙ্গে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের আগের ঘটনাগুলোতে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।


৮. সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।


গত রবিবার (০৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ।

ভিডিওঃ

https://www.facebook.com/thecampustoday/videos/1362470377235500/

আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি চেয়ে বশেমুরবিপ্রবিতে প্রতিবাদ

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।



“স্বাধীন দেশে (বাংলাদেশে) মতামত প্রকাশ কখনো অপরাধ হতে পারে না। আর যদি অপরাধ হয়েও থাকে তার জন্য আইন রয়েছে, বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই।”



এ বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে অবশেষে জয়বাংলা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী মাসুম কবির বলেন, “স্বাধীন দেশে (বাংলাদেশে) মতামত প্রকাশ কখনো অপরাধ হতে পারে না। আর যদি অপরাধ হয়েও থাকে তার জন্য আইন রয়েছে, বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ৩ টার দিকে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি স্থানে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

ব্রেকিং নিউজ: বশেমুরবিপ্রবির চলতি উপাচার্য ড.শাহজাহান

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চলতি (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. শাহজাহান । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি।



চলতি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. শাহজাহান



মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ড. শাহজাহান বলেন, “আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের চলতি (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে এখনো চিঠি হাতে পাইনি।”

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

 

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

বুয়েট ছাত্র ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) মানে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এ প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।


এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।


রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। এটি যে হত্যাকাণ্ড সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলের শিক্ষার্থী। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

ফাহাদ হত্যার ঘটনায়, বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে।



ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।



ফাহাদ হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রকে হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।



“এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই”



এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দু‘জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ।

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব, হল অফিস ঘিরে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সহপাঠিরা ও পরিবার।



রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। অতপর জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।



এমন মর্মান্তিক ঘটানায় সকাল থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারের দাবিতে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সিসিটিভির ফুুটেজ চেক করতে গিয়ে দেখা যায় রাত ২টা ৬ মিনিটের পর থেকে আর কোন সিসিটিভি’র ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। অতপর জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

নিহত বুয়েট ছাত্রের শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই: ছাত্রলীগ নেতা

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

নিহত বুয়েট ছাত্রের শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই: ছাত্রলীগ নেতা

বুয়েট টুডেঃ শেরে বাংলা হল থেকে উদ্ধার করা নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের (২১) ‘বিতর্কিত’ ফেইসবুক পেজে লাইক দেয়া এবং তার শিবির সম্পৃক্ততার ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ।



ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।”_____ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম



পিটিয়ে হত্যা হওয়া ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত থাকা বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু এমন দাবি করেছেন।

ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, “ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।”

বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরও বলেন, “ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।”

এ বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “প্রমাণ পাওয়ার পরে চতুর্থ বর্ষের ভাইদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার সেখানে আসেন। একপর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। পরব হয়তো ওরা মারধর করেন । পরে রাত ৩টার দিকে শুনি আবরার ফাহাদ মারা গেছেন।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাহাদের পরিচিত একজন বুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, “টিউশনি শেষে ফিরে জানতে পারি তাকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে গেছে। পরে রাত আড়াইটার দিকে সিঁড়ি রুমের দিকে গিয়ে তোশকের ওপরে ফাহাদ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে।”

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে ফাহাদ বাড়ি থেকে রবিবারই হলে ফেরেন।

 

দ্য ক্যাম্পাস টুডে