সাকিব ও হুমায়ূন আহমেদ: ব্যাট ও বইয়ের ভালোবাসা

‘মাজহার আমি এইবার ‘ফাউন্টেনপেন’ বইটা এমন একজনকে উৎসর্গ করবো যার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই।’

মাজহার ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘স্যার আপনি তো সাধারণত অপরিচিত কাউকে বই উৎসর্গ করেন না। এই বিশেষ ব্যক্তিটি কে?’

হুমায়ূন আহমেদ সাবলীল গলায় বললেন, ‘সাকিব আল হাসান।’

প্রকাশক কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হঠাৎ উনাকে বই উৎসর্গ করার পিছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে কি?’

তিনি আগ্রহ নিয়ে জবাব দিলেন, ‘ক্রিকেটে এক ওভারে ছয়টি বল করা হয়। বল করা মাত্র গল্প শুরু হয়। নানান সম্ভাবনার গল্প। আউট করার সম্ভাবনা, ছক্কা মারার সম্ভাবনা ইত্যাদি। ছয়টা বল হচ্ছে ছয়টি গল্প। আমার কাছে সাকিবকে এই গল্পের সংকলন মনে হয়। এবার বুঝেছ?’

‘স্যার এইবার বইমেলায় আপনার তিনটি বই বের হচ্ছে। আপনি কেন ফাউন্টেনপেন বইটা তাকে উৎসর্গ করছেন?’

তিনি হাতের কলম ঘোরাতে ঘোরাতে বললেন, ‘সাধারণ বলপয়েন্ট কলমের কালি শেষ হয়ে গেলে আর লেখা যায় না। কিন্তু ফাউন্টেনপেন কালি শেষ হলে আবার কালি ভরে লেখা যায়। সাকিব হচ্ছে আমাদের ফাউন্টেনপেন। সবাই থেমে গেলেও সাকিব থেমে যায় না। ছেলেটা অদম্য, অফুরন্ত।’

সব শুনে প্রকাশক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘স্যার বইয়ের উৎসর্গপত্রে কি লিখবো?’

হুমায়ূন আহমেদ একটি কাগজ ছিড়ে যত্ন করে লিখলেন, ‘ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তরুণকে চিনি না। কিন্তু মুগ্ধ হয়ে তার ক্রিকেট খেলা দেখি!’

প্রকাশক মাজহার আগ্রহ নিয়ে বললেন, ‘স্যার বই উৎসর্গের ব্যাপারটা কি আমি তাকে জানাবো?’

হুমায়ূন আহমেদ অসম্মতি জানিয়ে বললেন, ‘ভুলেও এই কাজ করতে যাবা না। কিছু মানুষকে দূর থেকে ভালবাসতে হয়। ভালবাসা প্রকাশের জন্য সবসময় মানুষকে কাছে টানার প্রয়োজন নেই।’

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর প্রথম আলো ‘ছুটির দিনে’ সাপ্তাহিক সংখ্যায় সাকিবকে হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কিত প্রশ্ন করেছিলেন। সাকিব আল হাসান সাংবাদিককে বলেন,

‘হুমায়ূন স্যারের বই উৎসর্গ আমার জীবনে অন্যতম বড় প্রাপ্তি। স্যারের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। স্যারকে বলতে চাই জ্যোৎস্না রাতের তারা হয়ে যদি কোনো দিন তিনি আমাকে দেখতে পান, নিশ্চয়ই শুনবেন আমার কথাটাও। স্যার, আমি সাকিব। আপনার লেখার একজন ভক্ত।’

ফেসবুক থেকে নেয়া।

অপূর্ণতায় পূর্ণ এক রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

লেট নাইট থাকায় পৌনে দুটায় অফিস থেকে বের হয়েছি। অফিসের নিচে নামতেই চা খেতে ইচ্ছে হলো। এই মধ্যে রাতে আশেপাশে চায়ের দোকান খোলা না থাকায় হাতিরপুল গেলাম। রাস্তাটা একদম নিরব। হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক আর পুলিশ ছাড়া কেউ নেই।

সেই বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। তখন পড়ছিলো। চায়ের নেশায় বৃষ্টি মাথায় হাতিরপুল গেলাম। হাতিরপুল পৌছাতেই বৃষ্টি বাড়লো। তখনো একটি দোকান খোলা। দোকানিকে বললাম দুধ চিনি বেশি দিয়ে চা দিতে। একটু একটু করে বৃষ্টি বাড়ছে। একটু পর ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। ঘোর বর্ষার রাত। চায়ে চুমুক দিতে দিতে ফেসবুকে ঢুঁ মারি। দেখি বৃষ্টি নিয়ে অনেকের কবিতা, সৃতি টাইমলাইন ভরে আছে।

ফেসবুক থেকে বের হবো, হঠাৎ একটা ম্যাসেজ আসে । কি করেন? আমি হাসির ইমোজি দিয়ে বলি বৃষ্টি দেখি। সে বলে আমাকে দেখার কি আছে? ততক্ষণে খেয়াল হলো যে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে তার নাম বৃষ্টি।

কার্তিকের বৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের কথাও এগোয়। যেন কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে বসেছি দুজনেই। মৃদু বাতাস, টুপটাপ টুপটাপ বৃষ্টি, আমাদের কথার পিঠে কথা। হুট করে দমকা হাওয়া ভিজিয়ে দেয় আমাদের। বৃষ্টি আমার হাত ধরে বলে চলেন ভিজি । দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজে যাই। বৃষ্টি ভিজছে আর খিল খিল করে হাসছে। আমি অবাক হয়ে তার হাসি দেখছি।

এমন সময় একটি হাত স্পর্শ করে আমার কাধ। আমি হতচকিত হয়ে তার দিকে তাকাই। দেখি চায়ের দোকানি। লোকটি একটু ধমকের সুরেই বললেন, বৃষ্টি থামছে বাড়ি যান। হঠাৎ ফোনের কথা মনে হলো। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি ওটা অনেক আগেই চার্জ শেষ হয়ে বন্ধে হয়ে গিয়েছিলো।



রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পটি লিখেছেন রিয়াজ হোসেন



 

রুপে নয় যার মন সুন্দর সেই প্রকৃত সুন্দর

একটা ফুল দেখে করা পরবর্তী পদক্ষেপ দেখেই আপনার চরিত্র সম্পর্কে বলে দেওয়া যায়। ফুল দেখে দুরকম মানুষের দুধরণের অনুভূতি হয়। কেউ চায় পছন্দের ফুলটি ছিঁড়ে ফেলতে। নিজের করে পেতে চায় সুন্দরকে। অন্য কারো জন্য এ সুন্দরকে রাখতে চায় না। হিংসে আর লোভে অন্ধ হয়ে কেড়ে নেয় ফুলটি।

কেউ চায় ফুলটি থাকুক ডালে। অন্যরাও দেখুক তার সৌন্দর্য। পথে যেতে যেতে কেউ ফুল ছিঁড়ে নিজের অধিকারে আনলে বঞ্চিত হয় বাকিরা। সৌন্দর্যকে প্রকৃতি সবার জন্য উন্মুক্ত করে রাখে। কিন্তু লোভী ও হিংসুক মানুষের জন্য সৌন্দর্যের দেখা না পেয়ে বাকিদের সৌন্দর্য-তৃষ্ণা অপূর্ণ রয়ে যায়। প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের এই শূন্যতা মানুষের মনেও শূন্যতা তৈরি করে। মানুষের মনের শূন্যতা থেকেই সমস্ত অপরাধের সৃষ্টি হয়।

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি – এই গানটা আমাকে শুধু বহিঃশত্রু থেকেই বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয় না। বরং অন্তরের শত্রুর সাথেও মোকাবেলা করার শক্তি যোগায়। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করি সৌন্দর্যকে বাঁচাবো বলে। যুদ্ধ করি প্রাণকে বাঁচাবো বলে। নিজের সাথেই নিজে যুদ্ধ করি অপরাধকে দমাবো বলে। নিজের সাথেই নিজে যুদ্ধ করি সৌন্দর্যের তৃষ্ণাকে অপূর্ণ ভাববো না বলে। নিজের সাথেই নিজে যুদ্ধ করি মনের মধ্যে শূন্যতা তৈরি হতে দেবো না বলে।

সুন্দরকে দেখি। মন ভরে দেখি। প্রশংসা করি৷ কিন্তু নিজের করে পেতে চাই না৷ সুন্দর সকলের অধিকার। বাইরের সুন্দরের জন্ম মনের অসুন্দর নষ্ট করার জন্য। মনের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় বাইরের কদর্যকেও সুন্দর দেখার মধ্য দিয়ে। কালো মেয়েটিও সুন্দর। সুন্দর সবার মন। সুন্দরকে দেখি অবিরাম। প্রেমে পড়ি সারাক্ষণ। কিন্তু প্রেমকে নিজের করে পেতে চাই না৷ আমার প্রেমকে একজনে আবদ্ধ করা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় নিবদ্ধ করা কোনো একজনের চোখেতে।



লিখেছেন শ্রী অর্পন কৃষ্ণ গোস্বামী, ফেসবুক পাতা থেকে।



 

মেধাবী হওয়াটা গুণ কিন্তু ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটা তো গুণ নয় বরং দোষ: তসলিমা

ফেসবুক পাতা টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে নিহত আবরারকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তসলিমা নাসরিন একটি পোস্ট দেন।



“তাকে যারা পিটিয়েছিল, আমার বিশ্বাস, মেরে ফেলার উদ্দেশে পেটায়নি। কিন্তু মাথায় আঘাত লেগেছে, মরে গেছে।”



তসলিমার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

“আরবাব ফাহাদের গুণের বর্ণনা করতে গিয়ে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পাড়া পড়শি, চেনা পরিচিত সবাই বলছেন আরবাব মেধাবী ছিল এবং আরবাব ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। মেধাবী হওয়াটা নিশ্চয়ই গুণ কিন্তু ২১ বছর বয়সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটা তো গুণ নয়, বরং দোষ।


আরও পড়ুনঃ ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার

বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি, বিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই! সাত আকাশের ওপর এক সর্বশক্তিমান বসে আছে, সে ছ’দিনে আসমান জমিন বানিয়েছে, আদম হাওয়াকেও মাটি দিয়ে বানিয়েছে, কথা শোনেনি বলে জমিনে ফেলে দিয়েছে, কেউ একজন ডানাওয়ালা ঘোড়ায় চড়ে তাকে এবং তার বানানো স্বর্গ নরক দেখে এসেছে — এসব আজগুবি অবিজ্ঞান আর হাস্যকর গাল গপ্প কোনও বুদ্ধিমান কেউ বিশ্বাস করতে পারে? আরবাব পড়তো হয়তো বিজ্ঞানের বই, পরীক্ষা পাশের জন্য পড়তো। তার বিজ্ঞান মনস্কতা ছিল না।

নিজস্ব চিন্তার শক্তি ছিল না। একে আমি পড়ুয়া বলতে পারি, মেধাবী বলবো না। আরবাব ছিল নিব্রাস ইসলামদের মতো। একবিংশ শতাব্দির আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো, কিন্তু মাথায় চোদ্দশ বছর আগের অবিজ্ঞান আর অনাধুনিকতা।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এছাড়া কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।



বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ মুক্তি পাক



সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী, সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোল্যা জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি কাজী বাদশা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যাটাসের বিষয়ে ডা. বাহারুল বলেন, “আমি মনে করি, নাগরিক হিসেবে, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি আমার দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে চাইব।”

এদিকে গত ৬ অক্টোবর বিকেল ৫টা ২৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ভারত – বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বলা হলেও বাস্তবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত – বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ ও অধিকার চরম উপেক্ষিত’ শিরোনামে ডা. বাহারুল যে স্ট্যটাস দিয়েছেন,দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

“দুর্বল অবস্থানে থেকে বন্ধু-প্রতিম শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বৈঠকে-ফলাফল শক্তিধরের পক্ষেই আসে। বাংলাদেশ-ভারত উভয়-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নাম দেওয়া হলেও বাস্তবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হয় দুর্বল রাষ্ট্রকে।

ভারত বাংলাদেশ থেকে তার সকল স্বার্থই আদায় করে নিয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে এখনো ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি।

১. দীর্ঘদিনের আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন এবারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় স্থান পায়নি।

২. ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুংকার দিয়েছে নাগরিক পঞ্জীতে বাদ পড়া জনগণকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হবে। তারপরেও এবারের সমঝোতা চুক্তিতে ‘অভ্যন্তরীণ’ অজুহাতে বিষয়টি স্থান পায়নি।



আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা গ্রেপ্তার



৩. বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারত কিছু বলেনি।

৪. তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুপ থাকলেও বাংলাদেশ অংশের ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরা রাজ্যের পানীয় জল হিসাবে প্রতিদিন ১.৮২ কিউসেক টেনে নেবে ভারত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।



আবরারের ভাবিকেও পিটিয়েছে পুলিশ



৫. বাংলাদেশের জনগণের তরল গ্যাসের চাহিদা পূরণের ঘাটতি থাকলেও ভারতে তরল গ্যাস রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং যৌথভাবে সে প্রকল্প উদ্বোধনও হয়েছে।

৬. চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারত কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারযোগ্য ভারতের কোনো বন্দর সেই তালিকায় ছিল না।

অমানবিক আচরণের শিকার হয়েও বাংলাদেশ পানি ও গ্যাস সরবরাহ দিয়ে মানবিকতার প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষিত রেখে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে।

শক্তিধর প্রতিবেশীর আধিপত্যের চাপ এতই তীব্র যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বজায় থাকবে কিনা আশঙ্কা হয়। কারণ ভারতের চাপিয়ে দেওয়া সকল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মেনে নিতে হচ্ছে।”

আবরার আমার বন্ধু

আবরার আমার বন্ধু। একই সেশনের (‘১৭) ছাত্র আমরা। একই জেলা জন্মস্থান আমাদের। ওকে খুন করা আর আমাকে খুন করার মধ্যে তত্ত্বগত কোনো ভিন্নতা নেই। আজ ও খুন হয়েছে, কাল আমি খুন হবো, পরশু আপনি খুন হবেন। গতপরশুও দ্বীপ খুন হয়েছিলো, গতকালও বিশ্বজিৎ খুন হয়েছিল।


কিন্তু আমি অনেক খুশি এটা দেখে যে, আমার বন্ধু আবরারের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমার দেশের মানুষগুলো চুপ নেই। নিঃসংকোচে প্রতিবাদ করছে সবাই। বিচার চাইছে দেশের কাছে। আজ ওদের এতো এতো প্রতিবাদের এই জোয়ারের কারণেই আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়া তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। তবে এ এক লজ্জাজনক সত্য। বিচারের জন্য কেন হাজার হাজার মানুষ সমস্বরে চিৎকার করে বলবে, বিচার দাও, বিচার চাই? বিচার কেন আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের মতো স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক প্রবৃত্তি নয়? কেন অন্যায় করা মাত্রই বিচার কার্যক্রম শুরু হয় না?


যাক সেসব কথা। আমার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে এটাই বড় কথা। তবে একটা প্রশ্ন, কাল যখন আমি মরবো তখনও কি আমার দেশের মানুষ একইভাবে প্রতিবাদ করবে? বিচার চাইবে?


বুয়েটেরই ছাত্র দ্বীপ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে নৃশংসভাবে কোপ খেয়ে মরেছিলো তখন তো আমার মানুষগুলো বিচার চায়নি। একের পর এক ব্রাহ্মণ যখন সিরিয়ালি খুন হতে থাকলো, তখন তো আমার মানুষগুলো বিচার চায়নি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পরও তো আমার মানুষগুলো হত্যাকারীদের উপর ক্রাশ খাওয়া ছাড়েনি৷


প্রিয়া সাহা ও ইসকন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমার মানুষগুলো তো হিন্দুদের দেশদ্রোহী বলতে থামেনি। একই সফরের মুহিবুল্লাহ যখন দেশে এসে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে সমাবেশ করে বলে রোহিঙ্গারা না চাইলে বাংলাদেশের কেউ তাদের বের করে দিতে পারবে না। রোহিঙ্গারা এই দেশেই এই ভূখণ্ডেই অধিকার নিয়ে থাকবে। তখন তো আমার মানুষগুলো একটুও উদ্বেগ দেখায়নি। অথচ এখন আসাম থেকে নাগরিকত্ব হারানো বাঙালি আসতে না আসতেই আমারই মানুষগুলো বড্ড চিন্তায় পড়েছে।


স্বজাতি বাঙালির চেয়ে বিজাতি রোহিঙ্গা কেন বড়? আমাদের কাছে হিন্দু মারাঠির চেয়ে মুসলিম বাঙালি বেশি প্রিয় – বোধহয় এটাই হিন্দুদের ভুল। আমরা জয় শ্রী রাম বলে সারাবিশ্বের হিন্দু একত্রিত হই না এবং এক হিন্দুত্বের ছায়াতলে পুরো বিশ্বকে আনতে চাই না – বোধহয় এটাই হিন্দুদের ভুল।


কেন আবরার হত্যার দায় হিন্দুদের উপর চাপাতে চাওয়া হচ্ছে? কেন অনিক সরকারকে হিন্দু বলে প্রচার করা হচ্ছে? কেন প্রশাসনের কারণ দেখানোর পরও অমিত সাহাকে হত্যাকারীদের দলে ফেলা হয়নি বলে এতো প্রতিবাদ? প্রতিবাদটা আবরারের খুন হওয়ার জন্য নাকি অমিত সাহাকে খুনি সাব্যস্ত করার জন্য? কেন হঠাৎ খুনি হিসেবে দর্শায়িত মোঃ অনিক সরকারকে নিয়ে এখন আর খুনি বলে চিল্লানো হচ্ছে না?


নাদিয়া, আসিফ মহিউদ্দিন, নয়ন চট্টা আর পিনাকী ভট্টারাই আজ প্রতিবাদের উৎসস্থল। এরা উসকে না দিলে আমার মানুষগুলো বিচার চাইতে পারে না, কথা কইতে চায় না, প্রতিবাদ করতে জানে না৷ একটা হিন্দুকে খুনি বা জঙ্গি বানাতে এদের যেই নিরলস পরিশ্রম, তা হয়তো খুব তাড়াতাড়িই সফলতার সূর্য দেখবে। এরা খুব তাড়াতাড়িই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধিয়ে ওলটপালট করে খাবে।


সব খুনিকে আজ থেকে ধর্ম দিয়েই বিচার করা হোক। মোঃ অনিক সরকার একজন খুনি। শ্রী অমিত সাহা মেজরিটির বিচারে একজন নৃশংস খুনি। করো মূর্খের দল – করো এ বাণী প্রচার। ডাকিয়া আনো আঁধার। খুনির জয়ে অবিকার। আজ থেকে সব নষ্টদের অধিকার।



লিখেছেন শ্রী অর্পন কৃষ্ণ গোস্বামী, ফেসবুক পাতা থেকে।



 

“আবরারের বাব-মা’র অভিশাপে যেন ধ্বংস হয় অসুস্থ সমাজ”

ফেসবুক টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, দেশের গণমাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচলনার শীর্ষে আবররার হত্যাকান্ড ও বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।

স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য……

“বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা।সারা জীবন তার মুখে গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফরম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষাই দিতে পারিনি আমি! সেই দুঃখ ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।



একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনি ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা-এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়! আমি আর ভাবতে পারি না।



এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরারের কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চা দু’টোর পিঠ হাত-পা’র ওপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এ রকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কত রাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে!

একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনি ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা-এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়! আমি আর ভাবতে পারি না।

ফেইসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কী ভয়ংকর! কী নৃশংস! কী কষ্ট! এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনি অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।

নুসরাতকে ভুলে গিয়েছি, আবরারকেও ভুলে যাব, বিচার চাই বলে লাভ আছে কিনা জানি না তবুও, বিচার চাই।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

‘আমার বিশ্বাস, হত্যাকারীরা মারাত্মক নেশাগ্রস্থ ছিলেন’

জোবায়ের চৌধুরীঃ আমার বিশ্বাস, হত্যাকারীরা মারাত্মক নেশাগ্রস্থ ছিলেন। সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে এমন কাজ সম্ভব নয়। বুয়েটে মাদকসেবন নিয়ে সংঘর্ষের নজির রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে নামকরা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে লাভ নেই। শিক্ষার্থীদের মন থেকে মানবিকতা, উদারতা, অসহিষ্ণুতা, সহনশীলতা গুণ দূর করেছে মাদক। হিংস্রতা তাদের জানোয়ার-হায়েনাতে পরিনত করছে।



দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলছে মাদকের সম্রাজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা বুয়েট; কোনটিই এই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়।



দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলছে মাদকের সম্রাজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কিংবা বুয়েট; কোনটিই এই ব্যাধি থেকে মুক্ত নয়। আমি খবর নিয়েই বলছি, দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি শ্রেণি মাদককে সহজলভ্য করছে নিজেদের বহুমুখী স্বার্থের জন্য। এসব মাদকাসক্ত ‘উচ্চ মেধাবী’ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড ছাড়া আর কি আশা করা যেতে পারে! মাদকের প্রভাবে তারা অমানবিক, নিষ্ঠুর কাজ করবে- এটাই স্বাভাবিক।

মাদক ব্যবসায়, বিস্তারের সঙ্গে কারা জড়িত? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নিশ্চয় সকল তথ্য আছে। মাদকের প্রভাবে উচ্চ শিক্ষিত অমানবিক খুনী উৎপাদনের কারখানায় পরিনত হয়েছে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে মাদক নামক ব্যাধি নির্মূল করতে হবে।

ফেসবুক পাতা থেকে।

অসংখ্য স্বপ্নের অপমৃত্যু

অসংখ্য স্বপ্নের অপমৃত্যু
সাইফুল্লাহ মাহফুজ



আমি আর বেঁচে নাই মা।
সন্দেহে, ধোঁয়া ধোঁয়া মাঝরাতে
ওরা আমাকে পিটিয়ে মেরেছে।
বাবাকেও বলে দিও।
আমি আর বেঁচে নেই।
এখন আমি মৃত।



চড়, কিল, ঘুষি
অকথ্য, অশ্রাব্য গালাগালি
ধাতব কিছুর আঘাত
ইত্যাদি ইত্যাদি

নানাবিধ উপায় উপকরণে
তিলে তিলে
অনেকগুলো মানুষের সন্তান
আমাকে পিঁপড়ে ভেবে
পিষে মেরে ফেলেছে।



যে হল ছিল আমার বাড়ি
আমার মত মধ্যবিত্ত ছাত্রের
স্বর্গরাজ্য যে আবাস
সেইখানে ওরা আমাকে শেষ করে দিলো।

অথচ ওরা ছিল আমার ভাই।
হলের সিঁড়িতে উঠতে নামতে দেখা হতো দোতলার ল্যান্ডিং এ
সাইকেল নিতে গিয়ে সালাম ঠুকেছি অনেককে।
টিভিরুমে জড়িয়ে ধরেছিলাম একজনকে
সেবার বাংলাদেশ জেতার পরে।

ক্যান্টিনেও দেখা হত।
খাবার সময় এগিয়ে দিয়েছি ডালের গামলা।
কখনো ওদের কেউ আমাকে লবণের কৌটো এগিয়ে দিয়েছে
অথবা হলের সেলুনে অগ্রজ বলে
বেশ কয়েকবারই আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম আমার সিরিয়াল।

এমনকি একজনকে একটি টিউশনি দিয়েছিলাম।
উনি বলেছিলেন,
বেতন পেলে আমাকে পুরাণ ঢাকায় খাওয়াবেন।
সেই দিন কখনো আসেনি।
এখন তো আর সম্ভব নয় সেসব।



ওদের হয়তো এসব মনে ছিল না।
আসলে ওরকম সময়ে কারো কিছু মনে থাকে না।
ওরকম সময়ে চোখে ভাসে হায়েনার হাসি
শরীরে ভর করে আসুরিক শক্তি

ধরাকে সরা মনে হয়
তাই তিলকে তাল বানাতে
লাগে না একটুকু সময়।

হিংস্রতায় কে কাকে হার মানাবে
কে কোন পোস্ট পজিশনে যাবে
তার অলীক কল্পনায়
আমি যে ওদের কত কাছের ছিলাম
তা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো বোধ হয়।

না হলে একি ঘরে থেকে
একি টেবিলে খেয়ে
একি রিডিং রুমে পড়ে
একি ক্লাসে ক্লাস করে
এইভাবে ওরা আমাকে
একটি সাপের মতো
পিটিয়ে মারতে পারতো না।



তুমি নিজেকে সামলে নিও মা।
ছোটোনকে বলবে গনিতে মন দিতে
গণিতে ও বড্ড কাচা।

দুইয়ের সাথে দুই যোগ করে
পাঁচ বানালে চলবে কি করে?
আমার যত সার্কিট আর হাবিজাবি
বই, সব এখন থেকে ওর।

বাবাকে ওষুধ দিও নিয়ম মত।
তুমি বড় ভুলোমনা।
এবার আসার সময় নাড়ু দিতে চেয়েও
শেষ বেলায় নাকি তোমার মনে ছিল না।

যে আমি তোমাকে সব মনে করিয়ে দিতাম।
সেই আমিই এখন গত।
নিজ থেকে সব কিছু সামলে নিও।



টিউশনির টাকাটা আর পাঠানো হবে না।
তোমার নষ্ট সেলাই মেশিনটা ঠিক করে
দেখো কিছু উপরি আয় হয় কিনা।
ছোটনের মাষ্টারটা খুব ভালো।

ওকে ছাড়িও না।
আর পাড়ার মোনা কে জানিও
আমি আর কখনো আসবো না
কিভাবে এ কথা বলবে জানি না।
তবে তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়ার অধিকার আছে মনে হয়।



কখনো যদি আমার জন্যে সংবাদ সম্মেলন ডাকে কেউ
মাইক ধরে কেঁদে ফেলো না।
শরীরের সব শক্তি কণ্ঠে এনে
দৃপ্তস্বরে মানুষকে জানিয়ে দিও

“পদ, পদবী ও পদকের মোহে
নিত্য দুর্জনের পা চেটে
স্বজ্ঞানে
সুখের নামে
অন্তহীন লোভের নরক যন্ত্রণায়
আপনারা সবাই ফেঁসে যাচ্ছেন।”

এরপর আর একটা কথাও না বলে
ফিরে এসো ঘরে।



বাবা আর ছোটনকে জড়িয়ে
অনেক বেশি করে কেঁদে নিও।
মানুষের সামনে কেঁদো না।
আসলে মানুষ কোথায়?

কে তোমাকে বুঝবে?
কত মা ই তো সন্তান হারাচ্ছে
অথবা সন্তানেরা সম্ভ্রম হারাচ্ছে
এই সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

এজন্যে কেঁদে কেটে লাভ নেই।
অনেক কথা বলে ফেলেছি।
আসলে এ যাত্রা বেশ লম্বা।
জানিনা শেষ হবে কোথায়।

আমি এখন যাই।
আমার মতো আর অনেকে
এপারে আছে বলে মনে করি।
ওদের সাথে এখনি ভাব করি।

এপারে আমি আর মরতে চাই না।
এইপারে আমি মানুষ হতে চাই।
মানুষের মত মাতা উঁচু করে
বিশাল বিরাট একটি বিপ্লব হয়ে উঠতে চাই।



আর তাই, তুমি জেনো;
সন্দেহে, ধোঁয়া ধোঁয়া মাঝরাতে
ওরা আমাকে পিটিয়ে মেরেছে।
বাবাকেও বলে দিও।
আমি আর বেঁচে নেই মা।
এখন আমি মৃত।



৭ অক্টোবর, ২০১৯
কেলৌনা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা।

আহা স্বপ্ন! আহা মৃত্যু!

আরিফুল ইসলামঃ একটা সন্তানকে বুয়েট পর্যন্ত নিয়ে আসতে কতো কাঠখড় পোড়াতে হয় বাবা-মায়ের? কতোটা স্বপ্নবাজ হলে বুয়েটে পড়ার ভাগ্য হয় একজন শিক্ষার্থীর? বুয়েটে ভর্তির সেই আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নটা সত্যি হলেও রাজনীতির নির্মম বলি হল ছেলেটি।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

নিরপরাধ দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎকেও কিন্তু শিবির/ছাত্রদল সন্দ্বেহে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ছেলেটিকেও শুনলাম শিবির সন্দ্বেহে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুয়েটের শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলে আজ রাতে ঘটে নির্মম এই হত্যাকান্ডটি।

সহপাঠীরা বলছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অসম চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি-ই নাকি তার মৃত্যুর কারণ….!

নিহত বুয়েট ছাত্রের শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই: ছাত্রলীগ নেতা

ফেসবুক পাতা থেকে।