বিশ্ব কফি দিবস: কফির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

আজ ১ অক্টোবর, ২০২৩। এই দিনটিকে বিশ্ব কফি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে কফিপ্রেমীরা তাদের প্রিয় এই পানীয়টি উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান করে। পৃথিবীব্যাপী লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি কফি পানের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করে।

আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও) ২০১৪ সাল থেকে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস উদযাপিত হয়।

আন্তর্জাতিক কফি দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল কফি শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত লোকের কর্মপ্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া। কৃষক থেকে কোম্পানি পর্যন্ত সমস্ত লোকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা, যাদের অক্লান্ত চেষ্টায় আমরা সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় উপভোগ করতে পারি।

আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালনের মাধ্যমে কফির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এছাড়াও, টেকসই কফির চর্চা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

কফির অর্থনৈতিক তাৎপর্য

কফি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পণ্য। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী কফির বাজারের আকার ছিল ১৪২ বিলিয়ন ডলার। কফি চাষ ও রপ্তানি বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কফি চাষের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছোট কৃষক। কফি চাষের মাধ্যমে এই কৃষকরা তাদের পরিবারের জন্য জীবিকা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

কফি রপ্তানিও অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের উৎস। ২০২২ সালে কফি রপ্তানি থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে।

কফির সামাজিক তাৎপর্য

কফি সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কফির দোকান ও ক্যাফে অনেক দেশে সামাজিক মিলনস্থল হিসেবে কাজ করে। কফির মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।

কফি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্যে কফি পান একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক রীতি।

কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা

কফির কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। কফি শরীরকে সতেজ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এটি মেজাজ উন্নত করতে ও মনোযোগ বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

টেকসই কফি চাষ

কফি চাষের ফলে পরিবেশের ওপর কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যেমন, কফি চাষের জন্য প্রচুর জল ও সার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, কফি চাষের ফলে বনের ক্ষতি হতে পারে।

টেকসই কফি চাষের মাধ্যমে এই নেতিবাচক প্রভাবগুলি কমানো সম্ভব। টেকসই কফি চাষের কয়েকটি নীতি হল:

জল ও সার ব্যবহার কমানো
বনের ক্ষতি রোধ করা
কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য প্রদান করা

কফি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ।

জানাজার নামাজের দোয়া, সওয়াব, পদ্ধতি ও ফজিলত

জানাজার নামাজের গুরুত্ব ইসলামে অনেক বেশি। মৃতের জানাজা, কাফন-দাফন ইত্যাদি জীবিত মুসলমানদের ওপর মৃতদের অধিকার এবং অবশ্য পালনীয় ফরজ নির্দেশ। কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজার নামাজ আদায় করা ফরজে কিফায়া।

জানাজার নামাজ কি?

জানাজা। আরবি শব্দ। অর্থ মৃতদেহ বা লাশ। আর জানাজার নামাজ অর্থ মৃতদেহের নামাজ। এজন্য কোনো মুসলমান মারা গেলে তার মাগফেরাতের জন্য তার মৃতদেহ সামনে নিয়ে বিশেষ নিয়মে যে দোয়া করা হয়, তার নাম জানাজার নামাজ। এই নামাজ মহল্লার দু-একজন আদায় করলেই আদায় হয়ে যায়। তবে কেউই যদি আদায় না করে, তাহলে সবাই গোনাহগার হবে।

জানাজায় অংশগ্রহণের সওয়াব

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের জানাজার নামাজ পড়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কিরাত সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য দুই কিরাত সওয়াব রয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), দুই কিরাতের পরিমাণ কতটুকু? তিনি বললেন, দুই বড় পাহাড়ের সমান।’ সহিহ বোখারি : ১৩২৪/১৩২৫

জানাজার নামাজ পড়ার পদ্ধতি

জানাজার নামাজ আদায়ের আগে মৃতকে কিবলার দিকে জমিনে রাখতে হবে। ইমাম তার বক্ষ বরাবর দাঁড়াবেন। এরপর জানাজার নিয়ত করতে হবে। নিয়ত মনে মনে করলেই যথেষ্ট। মুখে আলাদা করে উচ্চারণ করতে হয় না; তবে কেউ করলে অসুবিধা নেই।

তাকবির বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত ওঠাতে হয়। এরপর নাভির নিচে হাত বেঁধে সানা (নামাজের) পড়তে হয়। তবে সানার মধ্যে ‘ওয়া তাআলা জাদ্দুকা’-এর পর ‘ওয়া জাল্লা সানাউকা’ও পড়তে হয়। এরপর তাকবির বলে দরুদে ইবরাহিম পড়তে হয়। তারপর তাকবির বলে নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। চতুর্থ তাকবির বলে ডানে-বাঁয়ে সালাম ফেরাতে হয়।

জানাজা নামাজের দোয়া

রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, যখন তোমরা জানাজার নামাজ আদায় করবে, তখন মাইয়াতের জন্য খালেস অন্তরে দোয়া করবে। (আবু দাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬৭৪)

প্রাপ্ত বয়স্ক

জানাজার নামাজে মৃতের জন্য যে দোয়া পড়া হয় তা শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। মৃত ব্যক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিম্ন স্বরে এই দোয়া পড়তে হয়-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িবিনা ওয়া সাগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনছানা। আল্লাহুম্মা মান আহইয়াহতাহু মিন্না, ফাআহয়িহী আলাল ইসলামি ওয়া মান তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহ আলাল ইমান।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সঙ্গেই মৃত্যু দান করেন।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারাতাও ওয়াজ আলহু লানা আজরাও ওয়াজ আলহু লানা শাফিআও ওয়া মুশাফফাআ।

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি তাকে আমাদের জন্য অগ্রবর্তী হিসেবে কবুল করুন, তাকে করুন আমাদের জন্য প্রতিদান স্বরূপ এবং তাকে বানান আমাদের জন্য সুপারিশকারী -যার সুপারিশ কবুল করা হবে।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক লাশ মেয়ের হলে ‘হু’ স্থানে ‘হা’ বলতে হবে। এই দুআ পাঠের পর ইমাম চতুর্থ তাকবীর বলে প্রথমে ডানে ও পরে বামে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি’ বলে সালাম ফিরাবে। মুক্তাদীরাও তার অনুকরণ করবে।

জানাজা নামাজের আগে বক্তৃতার রীতি

জানাজা সামনে রেখে ভাষণ দেওয়ার প্রচলন দিন দিন বাড়ছে। প্রায়ই দেখা যায়, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কারও লাশ সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে নানা স্তরের লোকজন পালা করে বক্তৃতা করে যাচ্ছেন। অথচ আমরা ভুলেই যাই, কারও মৃত্যু হলে গোসল দিয়ে কাফন পরিয়ে দ্রুত জানাজার নামাজ পড়ে দাফন করতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন।

একাধিক হাদিসে মৃত্যুর পর থেকে দাফন পর্যন্ত সব কাজ দ্রুত আঞ্জাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং বিলম্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তোমরা তাকে আটকে রেখো না। তাকে দ্রুত দাফন করে দিয়ো। -আল মুজামুল কাবির, তাবারানি : ১৩৬১৩

লাশ সামনে রেখে নবীজি (সা.) কী বলতেন?

নবী করিম (সা.) এর অভ্যাস ছিল কোনো জানাজা সামনে এলে জিজ্ঞেস করতেন তার ঋণ রয়েছে কি? যদি জবাব হতো ঋণ নেই। তাহলে জানাজা পড়িয়ে দিতেন। অন্যথায় পড়াতেন না। কোনো এক সাহাবির লাশ সামনে রেখে নবী করিম (সা.) প্রশ্ন করেছিলেন, তার কোনো ঋণ আছে কি না? জবাবে সাহাবিরা বলেছিলেন ঋণ রয়েছে। নবী করিম (সা.) বললেন, তোমরা তার জানাজার নামাজ পড়ে নাও, আমি তার ঋণ থাকাবস্থায় জানাজার নামাজ পড়াব না। সাহাবিরা বললেন, আমরা ঋণের জিম্মাদার হয়ে গেলাম। তখন নবী করিম (সা.) জানাজার নামাজ পড়ালেন। -সহিহ বোখারি : ২২৮৯

জানাজা পড়ানোর যোগ্যতা

জানাজা পড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যোগ্য কে? মৃতের আত্মীয়স্বজন নাকি এলাকার ইমাম?

মৃতব্যক্তির জানাজায় কারা উপস্থিত থাকছেন সেটা লক্ষণীয়। মৃতের আত্মীয়স্বজন ও এলাকার ইমাম– উভয়ে-ই যদি উপস্থিত থাকেন আর ইমাম ইলম ও আমলে মৃতের আত্মীয়ের চেয়ে বেশি যোগ্য হন, তাহলে জানাজা পড়ানোর বেশি যোগ্য ওই ইমাম। প্রখ্যাত তাবেয়ি ইবরাহিম আন-নাখায়ি (রহ.) বলেন, ‘জানাজা পড়াবেন মসজিদের ইমামরা। তোমরা তাদের পেছনে ফরজ নামাজ পড়ত রাজি। কিন্তু জানাজা পড়তে রাজি না (এটা কেমন কথা)! (কিতাবুল আসার, হাদিস : ২৩৭)

অন্য বর্ণনায় তাবেয়ি সালেম (রহ.), তাউস (রহ.), কায়েস (রহ.), মুজাহিদ (রহ.) ও আতা (রহ.) প্রমুখ আলেমরা ইমাম সাহেবকে জানাজা পড়ানোর জন্য আগে বাড়িয়ে দিতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ১১৪৩২)

পক্ষান্তরে মৃতের আত্মীয়রা যদি এলাকার ইমামের চেয়ে বেশি যোগ্য ও বড় আলেম হন, তাহলে অবশ্যই তারা বেশি হকদার।

তথ্যসূত্র: আল-বাহরুর রায়েক : ২/১৮০; আদ্দুররুল মুখতার : ২/২১৯; কিতাবুল আছল : ১/৩৪৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৬৩।

জুতা পায়ে জানাজার নামাজ

জুতায় নাপাক লেগে না থাকলে জানাজার নামাজের সময় জুতা পায়ে রাখতে অথবা জুতার ওপর দাঁড়াতে অসুবিধা নেই। তবে জুতা পরা অবস্থায় থাকলে দাঁড়ানোর স্থানও পবিত্র হওয়া জরুরি। আর জুতার নিচের অংশে নাপাকি থাকলে পা থেকে খুলে জুতার ওপর দাঁড়াবেন। এ ক্ষেত্রে জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া যাবে না।

সূত্র : আল-মুহিতুল বুরহানি : ২/২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২/৩১; আল-বাহরুর রায়িক : ২/১৭৯; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকি, পৃষ্ঠা ৩১৯; রদ্দুল মুহতার : ১/৪০২)

অভাব মোচনের দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা মিন ফাদলিকা ওয়া রহমাতিকা; ফা-ইন্নাহু লা ইয়ামলিকুহা ইল্লা আনতা।

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার দয়া ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা কেবল আপনিই দয়া ও অনুগ্রহ করার ক্ষমতা রাখেন।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একজন অতিথি এলেন। তিনি তার স্ত্রীদের কাছে খাবারের জন্য সংবাদ পাঠালেন। কিন্তু কারও কাছে খাবার পাওয়া গেল না। তখন তিনি উল্লিখিত দোয়া পাঠ করেন। অতঃপর তাকে ভুনা গোশত হাদিয়া দেওয়া হলো। এটা আল্লাহর দয়া, আমরা তার অনুগ্রহের অপেক্ষা করছি। -সুনানে তাবারানি : ১০৩৭৯

পারমাণবিক জ্বালানির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি কী কী?

পারমাণবিক জ্বালানি হল এমন একটি পদার্থ যা পারমাণবিক বিভাজনের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে। পারমাণবিক বিভাজন হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভারী পরমাণু দুটি হালকা পরমাণুতে বিভক্ত হয়, প্রচুর পরিমাণে শক্তি এবং বিকিরণ উৎপন্ন করে।

পারমাণবিক জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত দুটি প্রধান ধরনের পদার্থ হল ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়াম। ইউরেনিয়াম-235 হল একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন আইসোটোপ যা পারমাণবিক বিভাজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। প্লুটোনিয়াম-239 হল একটি কৃত্রিম আইসোটোপ যা পারমাণবিক বিভাজনের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

পারমাণবিক জ্বালানি সাধারণত পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরে ব্যবহৃত হয়, যা একটি যন্ত্র যা পারমাণবিক বিভাজনের নিয়ন্ত্রিত চেইন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরগুলি বিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌচালনা এবং চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

পারমাণবিক জ্বালানি একটি শক্তিশালী শক্তি উৎস যা বৈদ্যুতিক শক্তির একটি পরিষ্কার এবং দক্ষ উৎস হতে পারে। যাইহোক, পারমাণবিক জ্বালানির উৎপাদন এবং নিষ্পত্তি উভয়ই বড় পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা উদ্বেগ উত্থাপন করে।

পারমাণবিক জ্বালানির কিছু সুবিধা হল:

এটি একটি দক্ষ শক্তি উৎস যা প্রচুর পরিমাণে শক্তি তৈরি করতে পারে।
এটি একটি পরিষ্কার শক্তি উৎস যা বায়ু দূষণের কারণ হয় না।
এটি একটি নির্ভরযোগ্য শক্তি উৎস যা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে না।

পারমাণবিক জ্বালানির কিছু অসুবিধা হল:

এটি একটি বিপজ্জনক শক্তি উৎস যা পারমাণবিক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
এটি একটি ব্যয়বহুল শক্তি উৎস যা উৎপাদন এবং নিষ্পত্তির জন্য ব্যয়বহুল।
এটি একটি বিতর্কিত শক্তি উৎস যা অনেক লোকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

তামিম ইকবাল: তার ব্যক্তিগত জীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অজানা দিক

তামিম ইকবাল কে? তামিম ইকবালের ছবি- তামিম ইকবাল হলেন একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি একজন বাঁহাতি ওপেনার ব্যাটসম্যান যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটেই খেলেছেন এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

তামিম ইকবাল ২০০৭ সালে তার ওয়ানডে অভিষেক করেন এবং পরের বছর তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ২০২১ সালের মার্চে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি হাফ সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করার জন্য তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচিত হন।

তামিম ইকবালের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলির মধ্যে রয়েছে:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (টেস্ট, ওয়ানডে, এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে)
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (১০টি)
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (৬৮৯২)
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (৪৪০১)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (১৭১৭)

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তিনি তার দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস, এবং নেতৃত্বের দক্ষতার জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশি ক্রিকেট আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

তামিম ইকবালের স্ত্রী ?

তামিম ইকবালের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী। তারা ২০১৩ সালের ২৭ জুন বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। আয়েশা সিদ্দিকী একজন বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তা। তিনি একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মালিক। তিনি তামিম ইকবালের দীর্ঘদিনের বান্ধবী ছিলেন। তারা ১৫ বছর বয়সে প্রথম দেখা হয়। তামিম ইকবাল এবং আয়েশা সিদ্দিকীর বিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় এবং জমকালো অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

তামিম ইকবালের সেঞ্চুরী?

তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার সেঞ্চুরিগুলো হল:

ওয়ানডে: ১৪টি
টেস্ট: ১০টি
টি-টোয়েন্টি: ১টি
তামিম ইকবাল সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান।

ওয়ানডে সেঞ্চুরি:

২০০৮ সালের ২২ মার্চ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০০৯ সালের ১৮ জুন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১০ সালের ১৭ আগস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১১ সালের ১১ মার্চ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১১ সালের ২৪ মার্চ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১২ সালের ৮ মার্চ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১২ সালের ২৬ মার্চ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১৪ সালের ১৪ জুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১৪ সালের ১৬ জুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ, ওমানের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১৬ সালের ২৫ মার্চ, ওমানের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১৯ সালের ১১ জুন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, মিরপুর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার স্টেডিয়াম, মিরপুর
টেস্ট সেঞ্চুরি:

২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, চট্টগ্রাম টেস্ট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর, পাকিস্তানের বিপক্ষে, শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, চট্টগ্রাম টেস্ট স্টেড

তামিম ইকবালের মোট রান কত?

তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫১৪৮ রান করেছেন। তার রান বিভাজন হল:

টেস্ট: ৪৭৮৮ রান (৩৯.৫৭ গড়)
ওয়ানডে: ৮৩১৩ রান (৩৬.৬২ গড়)
টি-টোয়েন্টি: ১৭০১ রান (২৪.৬৫ গড়)
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিনি টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও।

তামিম ইকবাল ২০২৩ সালের ৫ জুলাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

তামিম ইকবাল কত টাকার মালিক?

তামিম ইকবালের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা)। এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে তার ক্রিকেট থেকে আয়, ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয়।

তামিম ইকবাল ক্রিকেট থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন। তিনি আইপিএলে খেলেছেন এবং সেখানেও ভালো অর্থ উপার্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে একটি ফার্ম এবং একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটারদের একজন। তিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন।

তামিম ইকবাল: নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা

তামিম ইকবাল হলেন একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি একজন বাঁহাতি ওপেনার ব্যাটসম্যান যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটেই খেলেছেন এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

তামিম ইকবাল ২০০৭ সালে তার ওয়ানডে অভিষেক করেন এবং পরের বছর তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১১ পর্যন্ত জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ২০২১ সালের মার্চে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি হাফ সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন তামিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক রান করার জন্য তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসাবে বিবেচিত হন।

তামিম ইকবালের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলির মধ্যে রয়েছে:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (টেস্ট, ওয়ানডে, এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে)
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (১০টি)
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (৬৮৯২)
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (৪৪০১)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান (১৭১৭)

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তিনি তার দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস, এবং নেতৃত্বের দক্ষতার জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশি ক্রিকেট আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

তামিম ইকবালের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে, তিনি ২০১৩ সালে আয়েশা সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে।

তামিম ইকবাল একজন সফল ক্রিকেটার এবং একজন দৃঢ় ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশি ক্রিকেট আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে আ

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা যাবে নাকি যাবে না?

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

আচ্ছা ধরুন, পরীক্ষায় আপনাকে ধাণ নিয়ে রচনা লিখতে দিল।ধাণ আপনার দৃষ্টিতে খুব সাধারণ একটা জিনিস।আপনি যদি ধাণের বদলে খুব সুন্দর করে বাড়িয়ে বাড়িয়ে সাহিত্যিক ভাষা প্রয়োগ করে কাঁশফুল নিয়ে রচনা লেখেন, তাহলে আপনাকে কি ঐ রচনায় কোন নাম্বার দেওয়া হবে? নাকি শূণ্য দেওয়া হবে?

ইসলাম একটা পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যাবস্থা। এখানে কী কী করতে হবে তা খুব পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া আছে।কী কী করা নিষেধ, তাও পরিষ্কারভাবে বলা আছে।এরপরও যদি কেউ ইসলামের নাম করে কোন নিষিদ্ধ কাজ করে, তাহলে সে কি আল্লাহর নিকট কোন পূণ্য আশা করতে পারে?

আমাদের দেশসহ উপমহাদেশের মুসলিমরা খুব ঘটা করে ১২ই রবিউল আউয়াল নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর জন্মদিন হিসাবে “ঈদে মিলাদুন্নবী” পালন করে থাকে।অথচ নবী(ﷺ) এরও এই ‘ঈদের’(!) কথা জানা ছিল না।শুধু তাই নয়, এই ‘ঈদের’(!) কথা জানা ছিল না সাহাবী, তাবিঈ, তাবে-তাবিঈ কারো।
তাহলে কোত্থেকে এলো এই ‘ঈদ’ ?

ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে বিজয়ী মহান মুজাহিদ সুলতান সালাহুদ্দিন আইউবী(র) (৫৩২-৫৮৯ হিজরী) ইরাকের ‘এরবল’ এলাকার গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন আবু সাঈদ মুযাফফরুদ্দীন কুকুবুরী(৫৮৬-৬৩০ হি.)কে। সর্বপ্রথম মুযাফফরুদ্দীন কুকুবুরী ৬০৪ হিজরীতে[কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে ৬২৫ হিজরীতে] মিলাদের প্রচলন ঘটান। সময়টি ছিল রাসুলের(ﷺ) মৃত্যুর ৫৯৩ বা ৬১৪ বছর পরে। [আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ (দারুল ফিকর, ১৯৮৬) পৃঃ ১৩/১৩৭।]

প্রথম দিকে এইদিনটিতে তারা শুধুমাত্র নবী(ﷺ) এর জন্ম ও জীবনকাহিনী স্মরণ করতেন এবং মানুষজনের খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। লক্ষ্যনীয় যে প্রথম দিককার সেই মিলাদে কিন্তু আজকের মত নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নাবী সালামু আলায়কা’ বলা, জিলাপী বিতরণটাইপের ‘মিলাদ মাহফিল’ এমন কিছুই হত না। ছোট্ট বিদআত আস্তে আস্তে ডালপালা মেলে বিশাল আকার ধারণ করল, একেবারে “ঈদে” পরিনত হল। বিদআতী সুফীদের দ্বারা আস্তে আস্তে বিভিন্ন শির্কী আকিদাও এর সাথে যুক্ত হল— মিলাদ মাহফিলের সময়ে নাকি নবী(ﷺ) এর রূহ মোবারক সেখানে হাজির হয়[এই আকিদাটি খ্রিষ্টানদের বাইবেল থেকে ধার করা; দেখুনঃ বাইবেল, মথি(Matthew) ১৮:২০; খ্রিষ্টানরা তাদের নবীর উপর এমন মিথ্যা আরোপ করেছিল।] নাউযুবিল্লাহ।এদেশে দু’ধরনের মিলাদ চালু আছে। একটি ক্বিয়াম(দাঁড়ানো)যুক্ত, অন্যটি ক্বিয়াম বিহীন। ক্বিয়ামকারীদের যুক্তি হ’ল, তারা রাসূলের ‘সম্মানে’ উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর দ্বারা তাদের ধারণা যদি এই হয় যে, মিলাদের মাহফিলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর রূহ মুবারক হাযির হয়ে থাকে, তবে এই ধারণা সর্বসম্মতভাবে কুফরী।

ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত(নব উদ্ভাবিত আমল)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “কোনো ব্যক্তি যদি আমাদের এই দ্বীনের ভেতর এমন কিছু সৃষ্টি করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত।” [বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সলিহীন, বই ১,হাদিস ১৬৯, বিদ’আত বা দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয়ের প্রচলন নিষিদ্ধ অধ্যায় ]

তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হ’তে সাবধান থাক। নিশ্চয়ই প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদ‘আত ও প্রত্যেক বিদ‘আতই পথভ্রষ্টতা’। [আবু দাউদ ৪৬০৭; মিশকাত ১৬৫, সনদ সহীহ] জাবির(রা) হতে অন্য বর্ণনায় এসেছে, ﻭَﻛُﻞَّ ﺿَﻼَﻟَﺔٍ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺭ
‘এবং প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম’। [আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ১৫৭৯; দুই ঈদ-এর খুৎবা’ অধ্যায়]

ইমাম মালিক(র) স্বীয় ছাত্র ইমাম শাফিঈ(র)কে বলেছিলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীদের সময়ে যেসব বিষয় ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত ছিল না, বর্তমান কালেও তা ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত হবে না। যে ব্যক্তি ধর্মের নামে ইসলামে কোন নতুন প্রথা চালু করল, অতঃপর তাকে ভাল কাজ বা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’ বলে রায় দিল, সে ধারণা করে নিল যে, আল্লাহর রাসুল(ﷺ) স্বীয় রিসালাতের দায়িত্ব পালনে খেয়ানত করেছেন’।
[আল ইনসাফ, পৃষ্ঠা ৩২]

মিলাদ বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে চার মাযহাবের ঐক্যমত রয়েছে। ‘আল-ক্বওলুল মু‘তামাদ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, চার মাযহাবের সেরা বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে প্রচলিত মিলাদ অনুষ্ঠান বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। উপমহাদেশের উলামায়ে কিরামের মধ্যে মুজাদ্দিদ আলফে সানী আহমাদ সারহিন্দী(র), আল্লামা হায়াত সিন্ধী(র), রশীদ আহমাদ গাংগুহী(র), আশরাফ আলী থানভী(র), মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী(র), আহমাদ আলী সাহারানপুরী(র) প্রমুখ উলামায়ে কেরাম ছাড়াও আহলে হাদীস আলিমগণ সকলে এক বাক্যে প্রচলিত মিলাদ অনুষ্ঠানকে বিদ‘আত ও গুনাহের কাজ বলেছেন।

অনেকেই মনে করেন যে ১২ই রবিউল আউয়াল বুঝি আসলেই নবী (ﷺ) এর জন্মদিন।এ ব্যাপারে সব থেকে শক্তিশালী মত হচ্ছে— রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মদিবস ৮ই রবিউল আউয়াল সোমবার। ৯ই রবিউল এর মতটিরও প্রসিদ্ধি আছে। ১২ই রবিউল আউয়াল এর মতটি নিতান্তই দুর্বল। ৮ ও ৯ রবিউল আউয়ালের মতগুলোও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নয়। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে ১২ রবিউল আউয়াল রাসুলের(ﷺ) মৃত্যুদিবস। অথচ ১২ রবিউল আউয়াল রাসুলের(ﷺ) মৃত্যুদিবসেই তাঁর জন্মবার্ষিকী বা ‘মিলাদুন্নবী’ অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।

মিলাদ উদযাপনকারীরা বলে থাকেন যে, মিলাদ বিদ‘আত হ’লেও তা ‘’বিদ‘আতে হাসানাহ’’। অতএব জায়েয তো বটেই বরং করলে সওয়াব আছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষকে কিছু বক্তব্য শোনানো যায়। উত্তরে বলা চলে যে, সলাত(নামাজ) আদায় করার সময় পবিত্র দেহ- পোশাক, স্বচ্ছ নিয়ত সবই থাকা সত্ত্বেও সলাতের স্থানটি যদি কবরস্থান হয়, মৃত কবরবাসীর ফায়েজ লাভের জন্য নামায পড়ে, তাহলে সে সলাত কবুলযোগ্য হয় না। কারণ এরূপ স্থানে সলাত আদায় করতে আল্লাহর নবী (ﷺ) নিষেধ করেছেন। রাসূল (ﷺ) -এর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐ সলাত আদায়ে কোন ফায়দা হবে না। তেমনি বিদ‘আতী অনুষ্ঠান করে নেকী অর্জনের স্বপ্ন দেখা অসম্ভব। কলসি ভর্তি দুধের মধ্যে অল্প একটু গোবর পড়লে যেমন পানযোগ্য থাকে না, তেমনি সৎ আমলের মধ্যে সামান্য শিরক-বিদ‘আত সমস্ত আমলকে বরবাদ করে দেয়।

হানাফী মাযহাবের কিতাব ‘ফাতাওয়া বাযযারিয়া’তে বলা হয়েছে, ﻣَﻦْ ﻇَﻦَّ ﺃﻥَّ ﺃﺭﻭﺍﺡَ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕِ ﺣﺎﺿﺮﺓٌ ﻧَﻌْﻠَﻢُ ﻳَﻜْﻔُﺮُ – ‘যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, মৃত ব্যক্তিদের রূহ হাযির হয়ে থাকে, সে ব্যক্তি কাফের’। [মিলাদে মুহাম্মাদী পৃঃ ২৫, ২৯]

অনুরূপভাবে ‘তুহফাতুল কুযাত’ কিতাবে বলা হয়েছে, ‘’যারা ধারণা করে যে, মিলাদের মজলিসগুলিতে রা্সুলুল্লাহ (ﷺ) -এর রূহ মুবারক হাযির হয়ে থাকে, তাদের এই ধারণা স্পষ্ট শিরক’। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় জীবদ্দশায় তাঁর সম্মানার্থে উঠে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ধমকি প্রদান করেছেন। [তিরমিযী, আবু দাউদ; মিশকাত ৪৬৯৯ ‘আদাব’ অধ্যায়]

অথচ মৃত্যুর পর তাঁরই কাল্পনিক রূহের সম্মানে দাঁড়ানোর উদ্ভট যুক্তি ধোপে টেকে কি?

‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার নামে মিথ্যা হাদিস রটনা করে, সে জাহান্নামে তার ঘর তৈরী করুক’।
[সহীহ বুখারী ১১০]

‘‘তোমরা আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেভাবে খ্রিষ্টানগণ ঈসা(আ) সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে।… বরং তোমরা বল যে, আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল।’’ [সহীহ বুখারী ৩৪৪৫]

মিলাদ উদযাপনকারী ভাইদের মিথ্যা ও জাল হাদীস বর্ণনার দুঃসাহস দেখলে শরীর শিউরে ওঠে। সেখানে এই সব লোকেরা কেউবা জেনে-শুনে, কেউবা অন্যের কাছে শুনে ভিত্তিহীন সব কল্পকথা ওয়াযের নামে মিলাদের মজলিসে চালিয়ে যাচ্ছেন ভাবতেও অবাক লাগে। তারা নবী মুহাম্মাদ(ﷺ)কে নূরের তৈরি বলে মিথ্যাচার করেন। ‘নূরে মুহাম্মাদী’র আকিদা মূলতঃ আহলে কিতাব খ্রিষ্টানদের কিছু ফিরকা [Jehovah’s Witness খ্রিষ্টানরা ঈসা(আ)কে ফেরেশতা মনে করে] এবং হিন্দুদের অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী আকিদার নামান্তর। যাদের দৃষ্টিতে স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে কোন পার্থক্য নেই। এরা ‘আহাদ’ ও ‘আহমাদের’ মধ্যে ‘মীমের’ পর্দা ছাড়া আর কোন পার্থক্য দেখতে পায় না [নাউযুবিল্লাহ]। তথাকথিত মা‘রেফাতী পীরদের মুরীদ হলে নাকি মিলাদের মজলিসে সরাসরি রাসুল(ﷺ) -এর জীবন্ত চেহারা দেখা যায়। এই সব কুফরী দর্শন ও আকিদা প্রচারের মোক্ষম সুযোগ হল মিলাদের মজলিসগুলো। বর্তমানে সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতেও চলছে যার জয়জয়কার।

আল্লাহ আমাদেরকে এসব থেকে রক্ষা করুন- আমিন!

Tamim Iqbal: A Bangladeshi cricket legend

Tamim Iqbal is a Bangladeshi cricketer who is currently the captain of the Bangladesh national cricket team. He is a left-handed opening batsman who has played in all three formats of international cricket and is Bangladesh’s highest run-scorer.

Tamim made his ODI debut in 2007 and his Test debut the following year. He was the vice-captain of the national team from December 2010 to September 2011. In March 2021, he became the first Bangladeshi player to score 50 ODI half-centuries. He is widely regarded as one of the best batsmen in Bangladesh’s history.

Some of Tamim’s notable achievements in his cricket career include:

Bangladesh’s highest run-scorer in international cricket (across Tests, ODIs, and T20Is)
Bangladesh’s highest century-maker in ODIs (10)
Bangladesh’s highest run-scorer in ODIs (6892)
Bangladesh’s highest run-scorer in Tests (4401)
Bangladesh’s highest run-scorer in T20Is (1717)

Tamim is an iconic figure in Bangladeshi cricket. He is known for his skill, confidence, and leadership qualities. He is a valuable asset to the Bangladesh cricket team and it is hoped that under his leadership, Bangladesh cricket can reach even greater heights.

In addition to his cricketing achievements, Tamim is also a role model for many young Bangladeshis. He is known for his humility, dedication, and hard work. He is also a vocal advocate for social change and has spoken out on issues such as gender equality and poverty alleviation.

Tamim Iqbal is a true Bangladeshi legend. He is a source of inspiration for many and his contributions to Bangladesh cricket are immeasurable.

বিল গেটসের উক্তি – Bill Gates quotes

বিল গেটস আমাদের সাথে খুবই পরিচিত হবার সাথে সাথে বিল গেটসের উক্তি গুলো আমাদের জীবনে এক অমূল্য মোটিভেশান রূপে উঠে আসে। জীবনকে বর্ণনাকারী তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হল:

  1. আপনি যদি গরীব হয়ে জন্মান তাহলে সেটা আপনার দোষ নয় কিন্তু গরীব থেকেই মারা যান, তাহলে সেটা আপনার দোষ।
  2. আমি কোনো কঠিন কাজ করার জন্য সবসময় একজন অলস ব্যক্তিকে পছন্দ করবো, কারণ সে সেই কাজটি করার একটি সহজ উপায় বের করবে।
  3. সাফল্য একটি পরিপূর্ণ শিক্ষক, এটি স্মার্ট মানুষদের চিন্তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় যে তারা কখনো ব্যর্থ হবেনা।
  4. পুঁজিবাদ একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যা মানুষের মাঝে প্রেরণা যোগায়। ইহার কারনে কিছু উদ্ভাধন হতে পারে, কিন্তু এ পৃথিবীর সকল এলাকার জন্য এটা মঙ্গলজনক নয়।
  5. যখন তোমার পকেট ভর্তি টাকা থাকবে তখন শুধুমাত্র তুমি ভুলে যাবে যে ‘তুমি কে?; কিন্তু যখন তোমার পকেট ফাঁকা থাকবে তখন সমগ্র দুনিয়া ভুলে যাবে ‘তুমি কে?’.
  6. সবচেয়ে অসুখী মানুষের প্রতি লক্ষ্য করুণ, অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
  7. একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।
  8. সফলতা উৎযাপন করা ভালো তবে ব্যর্থতার দিকেও নজর দিতে হবে।
  9. তোমরা স্নাতকেরা অসংখ্য উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেবে, পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তোমাদের বয়সে আমি পৃথিবীকে যতটা চিনতাম, আমি বিশ্বাস করি, আজ তোমরা তার চেয়ে অনেক বেশি জানো৷
  10. আমার সন্তান চাইলে এক হাজার ডলার বকশিস দিতে পারে কারন তার বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি লোক। কিন্তু আমি পাঁচ ডলারের বেশি দিতে পারি না, কারন আমার বাবা ছিল একজন কাঠুরে।

বিল গেটস কে, কত টাকার মালিক

বিল গেটস একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী, সফটওয়্যার ডেভেলপার, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৭৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ছিলেন। তিনি ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম বিখ্যাত উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হন। বিল গেটস কত টাকার মালিক-

জন্ম ও শিক্ষা

বিল গেটস ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫ সালে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম এইচ. গেটস সিনিয়র একজন আইনজীবী এবং তার মা মেরি ম্যাক্সওয়েল গেটস একজন শিক্ষক ছিলেন। গেটস সিয়াটলের লেকসাইড স্কুলে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি একটি প্রতিভাবান কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ১৩ বছর বয়সে তার প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখেছিলেন এবং ১৬ বছর বয়সে তিনি লেকসাইড হাইস্কুলের জন্য একটি কম্পিউটার ভাষা তৈরি করেছিলেন।

মাইক্রোসফ্ট প্রতিষ্ঠা

১৯৭৫ সালে, গেটস এবং তার বন্ধু পল অ্যালেন মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফ্টের প্রথম পণ্য ছিল মাইক্রোসফ্ট ডস, যা একটি অপারেটিং সিস্টেম যা আইবিএম পিসিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। মাইক্রোসফ্ট ডস ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং এটি মাইক্রোসফ্টকে একটি সফল ব্যবসায় পরিণত করে।

মাইক্রোসফ্টের উত্থান

১৯৮০-এর দশকে, মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে। উইন্ডোজ মাইক্রোসফ্টকে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত করে। গেটস মাইক্রোসফ্টের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কোম্পানির দ্রুত বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেন।

বিল গেটসের ধন-সম্পদ

২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। গেটসের ধন-সম্পদ মূলত তার মাইক্রোসফ্টের শেয়ার থেকে আসে।

বিল গেটসের সমাজসেবা

বিল গেটস একজন সক্রিয় সমাজসেবক। তিনি এবং তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে।

উপসংহার

বিল গেটস একজন সফল ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং প্রযুক্তিবিদ। তিনি মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কোম্পানির দ্রুত বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেন। তিনি একজন সক্রিয় সমাজসেবকও এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছেন। বিল গেটস কত টাকার মালিক

বিল গেটসের কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন

মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
১৯৭৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফ্টের সিইও
মাইক্রোসফ্ট ডস এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনক
বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি
একজন সক্রিয় সমাজসেবক

বিল গেটসের কিছু উক্তি

“সফলতা হলো একটি মৌলিক বিষয়, আপনি যদি এটি অর্জন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”
“আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন তবে তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”

“আপনি যদি কিছু অর্জন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।”
“আপনি যদি অন্যদের সাহায্য করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে নিজেকে সাহায্য করতে হবে।”

“শিক্ষা হলো সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার যা আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ব্যবহার করতে পারি।” বিল গেটস কত টাকার মালিক-