৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় ক্রয় কমিটির বৈঠক।

কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈঠকে সার, এলএনজি এবং মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অতএব অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্লাক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৪৩ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার।

আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকেও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই সার কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সার কেনা সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

অভিভাবকহীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ দিন

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৬ দিন ধরে উপাচার্যবিহীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি ওঠে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। ফলে আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছিলেন, তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা।

গত ৭ আগস্ট ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম পদত্যাগ করেন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসানও পদত্যাগ করেন।

গত ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ পদত্যাগ করেন এবং গত ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক, একাডেমিক জটিলতা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না থাকায় সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী, যারা এখনো সনদ উত্তোলন করেননি।

এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেশন-জটের আশঙ্কা করছেন, তারা বলছেন, যত দ্রুত উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক পদে নিয়োগ প্রদান করবে, তত দ্রুত একাডেমিক অন্যান্য কাজে সচলতা আসবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, উপাচার্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। অভিভাবক ছাড়া যেমন একটা পরিবার চলতে পারে না, অনিরাপদ ও অনিশ্চয়তায় ভোগে, ঠিক আমরা অনিশ্চয়তায় ভুগতেছি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একজন যোগ্য, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ করবেন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসহ সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার জন্য উপাচার্য থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া উপাচার্যবিহীন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার জন্য অনিরাপদ।

তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩তম আবর্তনে অনেকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে এবং ভর্তি হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো ক্লাস শুরু করতে পারেনি। এতে তারা শিক্ষাজীবন থেকে পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমি আশা করব, সরকার দ্রুত একজন দক্ষ উপাচার্য নিয়োগ দেবে।

রাবি শিক্ষার্থী অনিককে আ. লীগ কর্তৃক হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

চলমান আন্দোলনে পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ ও তাদের দলীয় ছাত্র সংগঠন কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও মানবাধিকার কর্মী মো. অনিক আহমেদ এর উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এসময় কয়েকজন শিক্ষক এ আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।

এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এফআরএম ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন,
নজবাংলাদেশের আনাচেকানাচে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। আমাদের সহযোদ্ধা মো. অনিক আহমেদের উপর ঘটা ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না-হয় ছাত্রসমাজকে সাথে আমরা আরেকটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক
রাশেদ রাজন বলেন, ৫ই আগস্টের আগে পুলিশের যে ভূমিকা ছিল ৫ই আগস্টের পর পুলিশের ভূমিকা কিন্তু চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। অনিকের হামলার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পরেও পুলিশ এখনো একজনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে পুলিশ কি এখনো জমিদারি ভুমিকা পালন করছে? আওয়ামী লীগের দোসরদের নির্মূল করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ১৫ বছর ধরে স্বৈরশাসক তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কীভাবে সন্ত্রাসীদের লালন করছে তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। এই সন্ত্রাসীরা এখন ডাকাত, সনাতনী, আনসারসহ বিভিন্নরূপে আবির্ভূত হচ্ছে। ধৈর্যের একটা সীমা আছে, ছাত্ররা এতদিন আইন হাতে তুলে নেয়নি কিন্তু এভাবেে চলতে থাকলে তারা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি তারা দ্রুত এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোষরদের হাতে সময় খুবই কম, যেকারণে তারা যতরকমের কূটকৌশল ও নোংরামি করার চেষ্টা করবে। ছাত্রজনতার যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমরা দেখেছি সেই ঐক্যই আমাদের ভরসা। ন্যায় এবং ন্যায্যতার স্বপক্ষে দাঁড়ানোর প্রেরণা এটি ধারণ করতে পারলে আমরা সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারবো। এর ফলে ন্যায্যতা, সমতা ও বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ দেখতে পাবো।

এসময় প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে পৃথকভাবে হামলার শিকার হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে নিজ নিজ এলাকায় এ হামলার শিকার হন তারা।

KUET VC, Pro-VC resign

KUET: Vice-Chancellor (VC) Professor Dr Mihir Ranjan Halder and Pro-Vice Chancellor Professor Dr Sobhan Mia of the Khulna University of Engineering and Technology (KUET) on 12 August (Monday) resigned from their posts.

Both the VC and Pro-VC submitted their resignations to the University Chancellor, saying they resigned from their posts due to personal reasons, according to a press release issued by the Department of Public Relation of the university.

Professor Dr Mihir Ranjan Halder was made KUET VC on September 1, 2022, while Prof Dr Sobhan Mia was made as Pro-VC on November 22, 2022, the press release added, reports BSS.

 

SUST teachers’ 18-point proposal to interim govt

CAMPUS TODAY DESK: Anti-Repression Teachers’ Society of Shahjalal University of Science and Technology (SUST) in Sylhet has presented an 18-point proposal to the newly formed interim government considering the current situation of the country.

Prof Dr. Sajedul Karim, an organiser of the Anti-Repression Teachers’ Society, confirmed the matter to the media on Sunday morning.

Prof Sajedul said, “We hold the newly appointed head of the government, Professor Dr. Muhammad Yunus, in high regard and believe that under his capable leadership, the current crisis will be resolved swiftly, paving the way for the realization of the nation’s dreams for a new, independent Bangladesh.”

READ MORE NEWS:UGC chairman steps down citing illness

“We extend our congratulations and best wishes to this government and in alignment with the expectations of the students and the public, present some proposals,” he added.

These are their proposals:

1. To restore law and order, all types of licensed firearms must be recovered. During the previous corrupt regime, licenses were granted only to party-affiliated murderers, who, in collaboration with helmet-wearing terrorists and the police, committed massacres against students and the public. Moreover, illegal arms, including those looted from various police stations, must be recovered with the assistance of the armed forces.

2. To eliminate the partisan influence in the administration, all officials at all levels, especially in the administration and police, must undergo a vetting process. Those responsible for unrest, indiscriminate shooting, massacres, and looting must be brought to justice immediately.

3. To establish justice and the rule of law in all sectors, judges appointed on a partisan basis must be removed promptly.

4. Given the current circumstances, the image of the police should be restored, and public trust regained by placing field-level police administration under the supervision of the army.

5. The existing education policy and curriculum, especially at the primary, secondary, and higher secondary levels, must be immediately repealed. A new curriculum should be formulated based on the opinions of renowned educational experts. Until the new curriculum is ready, the 2024 academic year should be conducted according to the previous curriculum.

6. A minimum allocation of 6% of the GDP must be ensured for the development of the education system.

7. Dormitories at all universities and colleges must be reserved exclusively for students. Part of the education budget should be used to improve classroom facilities, research, and the quality of student meals.

8. Only academically qualified, honest, courageous, and experienced educators should be appointed to administrative positions in public and private universities, particularly as vice-chancellors, pro-vice-chancellors, and treasurers.

9. The University Grants Commission must be restructured.

10. The ministries of education, health, and agriculture should appoint ministers and secretaries who are experts in their respective fields. Legislation should be enacted to ensure this.

11. The Bangladesh Public Service Commission must be freed from corruption and made accountable. Its education syllabus and examination system should be revised, and its chairperson and members should be appointed from among academics.

12. light of the current situation, all ongoing development projects must be prioritized and re-evaluated for their economic recovery potential. Effective measures must be taken to repatriate laundered money and to increase domestic and foreign investment by combating corruption.

13. The practice of extorting capacity charges in the power sector must be stopped, along with all forms of corruption.

14. To preserve and restore Bangladesh’s image abroad, ambassadors and other officials must be urgently reassigned based on impartiality and merit.

15. Corruption in all forms of administration—governmental, autonomous, semi-autonomous, and private—must be rooted out. The assets accumulated by those who have amassed wealth through corruption should be confiscated.

16. The Election Commission must be restructured with neutral and acceptable individuals. Fake voters must be identified, and a new voter list must be prepared to ensure a fair and acceptable election at the earliest.

17. To protect minority communities and their places of worship during this critical period, a special team should be formed to ensure their security. Appropriate measures should be taken to prevent terrorists from destroying these places.

18. An education commission must be established immediately to reform the education system and make it suitable for the modern era.

Prof Sajedul said that the expectations and proposals presented to the interim government stem from the people’s struggle over the past 15 years against oppression, exploitation, and discrimination.

He also expressed his condolences to the families of those who were martyred in the 2024 struggle for equality and justice, and expressed hopes that the newly formed interim government will fulfill the dreams of the nation, reports UNB.

বিভিন্ন মেয়াদে বশেমুরবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রক্টরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি, ইট দিয়ে জুনিয়রকে গুরুতর আঘাত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১ শিক্ষার্থীকে জরিমানা এবং ১ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ২ বছরের জন্য স্থগিত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন।

গত ১২ ও ১৩ জুন রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদাভাবে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার ও জরিমানা করার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি গুলোতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ১০ জুন অনুষ্ঠিত আলোচ্যসূচি-১, ২ ও ৪ অনুযায়ী যথাক্রমে জুনিয়রকে ইট দিয়ে আঘাতের ঘটনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লাকে ৪ সেমিস্টার বহিষ্কার ও অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দানের ঘটনায় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎসব কুমার গাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করে এ বিষয়ে পরবর্তীতে খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে।

অন্যদিকে বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রুম বিষয়ক দ্বন্দ্বে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান (মুগ্ধ) কে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার ও দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, আইন বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জাকারিয়াকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও একই ঘটনায় আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: ইমন হোসেনকে ১০০০ টাকা জরিমানা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি প্রদানের কারণে একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইজাজুর রহমানকে দুই বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত ও কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ক্ষমা চাওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সাথে এই ঘটনায় শাস্তি প্রাপ্ত প্রথম তিন জনকে ক্ষমা চেয়ে মূচলেকা প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

একই সাথে অন্য আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কটুক্তির বিষয়ে গত ১০ জুন ২০১৪ শৃঙ্খলা বোর্ড সভার ২ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সভাপতি হিসেবে ছাত্র উপদেষ্টা ডক্টর শরাফত আলী, সদস্য হিসেবে সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবির এবং সদস্য সচিব হিসেবে ল-সেলের সেকশন অফিসার সাজিদুর রহমানকে রাখা হয়েছে।

সাপ-মশার আতুড়ঘর ইবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান

সাপ ও মশার উপদ্রব নিয়ে স্বাস্থ্য শঙ্কায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তীব্র তাপদাহ ও মশার উপদ্রব শিক্ষার্থীদের ঘুম হারাম করেছে, এরই মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাপের বিচরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, হলের বাগান, মফিজ লেকসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে সাপের। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকলের মাঝে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। দায়িত্বে অবহেলা করে সময়মতো ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার না করায় সাপ এবং মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

এরই মধ্যে সাপের উপদ্রব এবং মশা নিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি ৷ নিয়মিত পরিষ্কার না করায় হলের পিছনে, লেকে এবং আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝোঁপঝাড় থেকে বিভিন্ন সময় সাপ বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই গরম বাড়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে যখন তখন সাপের দেখা মিলছে। এতে বিভিন্ন সময় অনেকে ভয় পেয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া হলে মশার উপদ্রব বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে তীব্র গরমে মশারি টানালেও গরমে ঘুমানো যাচ্ছে না। এদিকে মশারি না টানালে মশার কামড়ে ঘুমানো যাচ্ছে না। এ যেনো এক উভয়সংকটে আছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র ময়লার স্তুপ এবং প্রশাসনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদাসিনতাকেও দায়ী করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল, জিয়াউর রহমান হল এবং লালন শাহ হলের চারপাশে অনেক ঝোঁপঝাড় চোখে পড়ার মতো। এছাড়া মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং খালেদা জিয়া হলের মাঝামাঝি জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট খেলার মাঠ সংলগ্ন পেয়ারা বাগান যেনো ঝোঁপঝাড় দিয়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এছাড়াও ফুটবল খেলার মাঠের পূর্বপাশে, শিক্ষার্থীদের সময় কাটানোর জন্য মফিজ লেকসহ আবাসিক এলাকায় ঝোঁপঝাড় চোখে পড়ার মতো। ফলে রাস্তাঘাটে হাঁটতে বা রাত্রে মাঠে বসে আড্ডা দিতে গিয়েও দেখা মিলছে সাপের। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, এস্টেট অফিস, কেন্দ্রীয় দুটি খেলার মাঠ, আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপ মারা পড়েছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সব হলের প্রভোস্টের সাথে আলোচনা করবো এই বিষয়টি নিয়ে। সবগুলো হলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। তবে আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীর কিছু সংকট আছে। ভাড়াকরা লোকদের দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয় ফলে অনেকসময় টাইমলি করা হয়ে উঠে না। এই সিন্ডিকেটে নিয়োগের কথা ছিলো কিন্তু নিয়োগ হয়নি এখনো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়িই ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাছাড়া আগামীকাল থেকেই ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম চলবে।

চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সাপের উপদ্রব ইদানিং আমাদের মেডিকেল সেন্টারেও দেখতে পারছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এর বিকল্প নেই। তবে যদি কাওকে সাপে কামড়ায় তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের এখানে এন্টি ভেনমসহ সকল ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ের পর আমরা যদি দুটি দাঁতের চিহ্ন দেখতে পাই তবে বুঝতে হবে সেটি বিষাক্ত। তাই কাউকে সাপে কামড়ালে সাথে সাথে তার উপর শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে। তারপর মেডিকেল সেন্টারে আসলে আমরা চিকিৎসা যতটুকু দরকার করতে পারবো। আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি ফেয়ার এর আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা। স্কুল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিউনিটির সবাই যেন একে অন্যের সাথে হৃদ্যতার বন্ধনে যুক্ত হতে পারে এ উদ্দেশ্যেই এ মেলায় আয়োজন করা হয়। মেলায় আগতদের জন্য ছিল ডল ক্যাচার, জাঙ্গল বাম্পার, বাস্কেটবল, মিনি ট্রেইন রাইড, মাসকট ডান্স, পাপেট শো, নাগরদোলা, বাবল রুম ও ইনফ্ল্যাটেবল স্লিপারি ফুটবল ফিল্ডসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বাংলাদেশ সফররত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এসময় তারা স্কুলটির শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সংগীত এবং গেইম উপভোগ করেন। মেলার এ আয়োজনকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে অতিথিদের পছন্দের গান পরিবেশন করে শাওন গানওয়ালা ও তার দল।

মেলার টাইটেল স্পন্সর ছিল ইউনিমার্ট, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল স্টেপ মিডিয়া, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও লংকা বাংলা এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে ছিল এভারকেয়ার হাসপাতাল।

এ আয়োজন নিয়ে আইএসডি’র পরিচালক স্টিভ ক্যালান্ড-স্কোবল বলেন, “কমিউনিটির সকল পরিবারকে একসাথে করা এবং আমাদের সবার মধ্যকার বন্ধন গড়ে তুলতে ও উদযাপনে আমরা এ মেলার আয়োজন করে আসছি। এবং আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও আমরা ধারাবাহিকভাবে এ মেলা আয়োজনের ব্যাপারে প্রত্যাশী।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

চুয়েটে “ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে “ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং ফর ফ্যাকাল্টি মেম্বার্স-২” শীর্ষক প্রশিক্ষণ দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে ০৯ই মে (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খ্রি. বিকাল ০৪:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যপক ড. মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী ,ডেপুটি কম্পট্রোলার জনাব ওয়াহিদুল ইসলাম, ডেপুটি কম্পট্রোলার জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ ও ডেপুটি রেজিষ্ট্রার প্রবীর চন্দ্র ভৌমিক।

দুইদিন ব্যাপী উক্ত কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র সেকশন অফিসার মোঃ ইমরান হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এ লক্ষ্যে শিক্ষাখাতের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে এবং শিক্ষকরাও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আমাদের অবগত থাকতে হবে। শ্রেণীকক্ষে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা ও জ্ঞান দিতে পারি। নতুন শিক্ষকগণের জন্য এ ধরণের কর্মশালা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আইকিউএসি’র এ ধরণের ধারাবাহিক আয়োজনে আমাদের শিক্ষকদের উপকারে আসে। প্রেস রিলিজ।

রাবিতে ছাত্রদল নেতাকে হলরুমে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে ক্যাম্পাস থেকে ধরে নিয়ে হলকক্ষে তিনঘণ্টা আটকে রেখে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেন ওই ছাত্রদল নেতা।

গতকাল সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী হলেন, নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তিনি আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তার অনুসারীরা হলেন, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখ্শ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের কর্মী সভা থাকায়
সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল তার এক বন্ধুর সাথে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে আসেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অনুসরণ করলে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। ফলে নাফিউলের সাথে থাকা মোটরসাইকেল করে রোকেয়া হলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরকে পথরোধ করে আটক করেন। এরপর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসেন।

তার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে মারধর করেন গালিব। এক পর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে ওই ছাত্রদল নেতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। পরে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের কাছে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করতে বলেন নাফিউলকে। পরে রাত দেড়টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা মেরেছে। গতকাল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। পরে তার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, “আমাকে রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত জোর করে তুলে নিয়ে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আমাকে মারধরও করা হয়। এসময় গালিব তার পিস্তল দিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। তিনি আমার পায়ে গুলি চালান, কিন্তু পিস্তলে বুলেট ছিল না। এছাড়াও প্রায় তিন ঘন্টা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য করান।”

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘একা পেয়ে আমাদের সংগঠনের এক নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এছাড়া প্রক্টরকে বারবার কল দিয়েও আমরা তাকে পাইনি। ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘ কিছুদিন আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তারা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চেয়েছিল। গতকাল আবারও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করছে সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে সন্দেহ মোতাবেক কোনোকিছু তার কাছে পাওয়া যায়নি। পরে আমরা তাকে পুলিশের কাছে না দিয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছি। তার মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল সকলের সামনেই আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। তার গায়ে আমি বা আমার কোনো নেতাকর্মী হাত তুলেনি।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “ঘটনা জানতে পেরে আমি রাতেই মাদার বখ্শ হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তাদের প্রক্টরিয়াল অফিসে এনে তাদেরকে মারধর করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেই।”