বশেমুরবিপ্রবি: হাল্ট প্রাইজে চ্যাম্পিয়ন টিম ‘রেড রাইডার্স’

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

শহরের পরিত্যক্ত খালি ছাদে ছাদকৃষির আইডিয়া প্রদান করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হাল্ট প্রাইজের অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম রেড রাইডার্স।

গতকাল (২৭ নভেম্বর) রাতে অনলাইন প্লাটফর্মে এই প্রোগ্রামের বশেমুরবিপ্রবি রাউন্ডের ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে ৯টি টিমকে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ৭টি টিম ফাইনালের জন্যে নির্বাচিত হয়। গ্রান্ড ফিনালে এই ৭টি টিমের সদস্যরা নিজেদের বিজনেস প্লান উপস্থাপন করেন।

উপস্থাপন শেষে, বিচারকদের বিচারে টিম রেড রাইডার্স চ্যম্পিয়ন হয় এবং ১ম রানার-আপ ও ২য় রানার-আপ হয় যথাক্রমে টিম ইনফ্লুয়েন্সার এবং টিম ডায়নামিক।

উক্ত প্রোগ্রামের আয়োজক আবুল বাশার কৌশিক বলেন , হাল্ট প্রাইজের এ বছরের টার্গেট ছিল খাদ্য সংক্রান্ত এমন একটি বিজনেস আইডিয়া প্রদান, যেটি দশ বছরে এক কোটি লোকের জীবনমান উন্নয়ন করবে। অনক্যাম্পাস চ্যাম্পিয়ন টিমটি রিজিয়নাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করে বিজয়ী টিম রেড রাইডার্স এর ঐশী বলেন, এই সাফল্যতে আমরা অবশ্যই অনেক খুশী। আমাদের বিজনেস আইডিয়াটা ছিল মূলত শহরে বাসার ছাদগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি কোনোভাবে সেই জায়গাগুলো নিয়ে শাকসবজি ফলাতে পারি এবং বাজারজাত করতে পারি তাহলে আমরাও লাভবান হলাম,জায়গাটা পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকল না এবং শহরবাসী ফরমালিন ছাড়া টাটকা শাকসবজিও পাবে।

প্রসঙ্গত, হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।বিশ্বের প্রায় ১২১ টির বেশি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিবছর জাতিসংঘের একটি চিহ্নিত সমস্যা সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক পরিকল্পনার জন্য ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পদোন্নতি নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি’র

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশােধন করে প্রাপ্যতার তারিখ (Due Date) থেকে আর্থিক সুবিধাসহ শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
গত সোমবার(২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জ ও জুম মিটিং প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির ২য় সভায় এ কথা জানান তারা৷এসময় অনলাইনে ও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মােট ১৬০ জন শিক্ষক অংশগ্রহন করেন।

সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ সভা শুরু হয়।

উক্ত সভায় শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাস আরাে ফলপ্রসু করতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মােবাইল ইন্টারনেট ডেটা প্রদানের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি জোর অনুরােধ ও প্রতি বিভাগে অনলাইন ক্লাসের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার দাবি সহ উল্লেখযােগ্য সংখ্যক সম্মানিত শিক্ষকদের পদোন্নতির জট নিরসন, আর্থিক ও পেশাগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকদের ক্ষতি প্রশমনে করনীয় নির্ধারন, শিক্ষকদের পারিতােষিক হার যুগােপযােগীকরণ, শিক্ষক ক্লাবের পরিচালনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শিক্ষকদের আবাসন এবং আমলাতান্ত্রিক নানান জটিলতাসহ বর্তমান শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষে নতুন শিক্ষক সমিতি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে আলােচনা হয়।

এছাড়া দুই বছর ধরে আপগ্রেডেশন এবং রিজেন্ট বাের্ড না হওয়ায় প্রায় ১০০ জনের ও অধিক শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন সর্বনিম্ন ৮ মাস থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ বছর যাবত আটকে থাকায় প্রায় ১৮০ জন শিক্ষক ভীষণভাবে আর্থিক, সামাজিক, মানসিক এবং পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এ মর্মে সর্বোসম্মতিক্রমে এই ক্ষতি প্রশমনে প্রশাসন আগামি ২০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশােধন করে প্রাপ্যতার তারিখ (Due Date) থেকে আর্থিক সুবিধাসহ এসকল শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আলোচনা করা হয়।

সভায় বক্তারা আরাে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত এবং তারই পুণ্যভূমিতে অবস্থিত অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পারিতােষিকের হার বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সর্বোনিম্ন দীর্ঘ ০৯ বছরেও বৃদ্ধি করা হয়নি যা খুবই হতাশাজনক৷

আরও বলেন, সবশেষে ইতিহাস এবং ইটিই বিভাগের সমস্যা দ্রুত নিরসন করার তাগিদ দেয়া সহ শিক্ষক ক্লাব পরিচালনার জন্য এসিসিই বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক ড. মােঃ কামরুজ্জামানকে সভাপতি এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মােঃ সােলাইমান হােসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

একই সাথে বিএমবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুব হাসান কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, যার অন্য দুইজন সদস্যরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মােঃ মজনুর রশীদ এবং বিলওয়াবস এর প্রভাষক জনাব নুসরত জাহান।

প্রসঙ্গত শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মােঃ রকিবুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বশেমুরবিপ্রবি: কম্পিউটার চুরির ঘটনায় আরও একজন আটক

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় কম্পিউটার পরিবহনকারী ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের ইমরান নামক ওই ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করা হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান(মামলার তদন্ত-কর্মকর্তা) আটকের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,” যে ট্রাকে করে কম্পিউটার গুলি ঢাকায় নেয়া হয়েছিলো তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনি কোন তথ্য বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করতে পারছি না। ”

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক মামলা করা হলে এর আগে ঢাকা ও গোপালগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সহ মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ।

স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষাঋণ পাচ্ছেন বশেমুরবিপ্রবির ১৫০৮ শিক্ষার্থী

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে শিক্ষাঋণ পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ১৫০৮ শিক্ষার্থী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. মো. শরাফত আলী।

তিনি বলেন, “ইউজিসিকে আমরা শিক্ষাঋণ প্রদানের জন্য মোট ১৫০৮ শিক্ষার্থীর তালিকা দিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসির পক্ষ থেকে সফটলোন প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে এবং নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ প্রদানের জন্য আগামী রবিবার একটি কমিটি গঠন করা হবে।”

সফটলোনের বিষয়ে ইউজিসি থেকে প্রেরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কি-না তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের আলোকে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে।”

ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত এই ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ১০ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২১ এর মধ্যে সফটলোন অনুমােদন কমিটি’র সদস্য-সচিব এর নিকট জমা দিতে হবে।

নীতিমালা সম্বলিত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খােলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশােধ করিতে হইবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সক্রিস্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষাঋণের জন্য প্রায় ৩১০০ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রদান করা হয়েছিলো। কিন্তু ইউজিসি থেকে জানানো হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ঋণ প্রদান করা হবে। এর প্রেক্ষিতে সর্বশেষ ১৫০৮ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রেরণ করা হয়।

বশেমুরবিপ্রবি: অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি গণনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক


৩০-৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) একমাস ধরে অনলাইন ক্লাস চলছে। তবে অনলাইন ক্লাস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

নিজ অর্থায়নে ইন্টারনেট এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ডিভাইস কিনে যুক্ত হতে হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির অনলাইন ক্লাসে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মুখপানে চেয়ে বসে আছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এসমস্ত অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি গণনার বিষয়ে তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। জানা যায়, নির্দেশনা না থাকলেও কিছু শিক্ষক অতি উৎসাহী হয়ে অনলাইন ক্লাসকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে গণনা করছেন। আর এতে বিপদে পড়েছেন নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং দারিদ্র্যের কারণে ক্লাসে অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা। এসমস্ত শিক্ষার্থীদের দাবি, অনলাইন ক্লাসকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষক তাঁর লেকচার ভিডিও করে দিলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চলবে অন্যদিকে নেটওয়ার্ক সমস্যা তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময়ে ক্লাসটি করে নিতে পারবে।

বিভিন্ন বিভাগে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগের মধ্যে অধিকাংশ বিভাগের অনলাইন ক্লাস গত ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। তবে এখনও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়নি এমন বিভাগও রয়েছে কয়েকটি। অনলাইন ক্লাস চলা বিভাগগুলোর মধ্যে অধিকাংশ বিভাগে উপস্থিতি গণনা করা হচ্ছে না। কিন্তু মানবিক অনুষদের কয়েকটি বিভাগসহ বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষকেরা অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি গণনার বিষয়ে কড়াকড়ি নির্দেশনা আরোপ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অনলাইন ক্লাস শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক শিক্ষক জানতেন না কিভাবে অনলাইনে ক্লাস নিতে হয়। কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা ছাড়া এখন অনেক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমন। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেটওয়ার্ক দুর্বলতার জন্য অনেক শিক্ষার্থী এসমস্ত ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। আবার অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের স্মার্টফোন বা প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করেই উপস্থিতি গণনা করা বা সেগুলোকে অফিসিয়াল ক্লাস হিসেবে বিবেচনা করা অমানবিক।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, আমার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। প্রতিটা ক্লাস করতে আমাকে বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। তারপরও অনেকসময় নেটওয়ার্ক পাই না।

লাইভস্টক সাইন্স অ্যাণ্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য পড়া বুঝতে সমস্যা হয়। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে না। ক্লাসের মাঝে মাঝে শিক্ষকেরাও ডিসকানেকটেড হয়ে যান। ৪০ মিনিটের ক্লাসে কানেকটেড, রিকানেকটেড,ডিসকানেকটেড করতে গিয়ে সময় চলে যায়।

পঞ্চগড় জেলার শিক্ষার্থী মো. পারভেজ বলেন, বাড়ি থেকে অনেক দূর গিয়ে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে হয়। অনেক সময় নেটওয়ার্কের কারণে ক্লাসে যুক্ত হতে পারি না সেক্ষেত্রে উপস্থিতি বাদ পড়ে যায়।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি নিজের পড়ালেখার খরচ নিজে চালাই। আমার পরিবারের মোট ছয় সদস্য রয়েছে তাদের ভরণপোষণ দিতে গিয়ে বাবাকে হিমশিম খেতে হয়। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট ক্রয় করা নিয়ে। পকেটে নেট কেনার টাকা না থাকলে ক্লাস করতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট কেনার বিশেষ সুবিধা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার ব্যাপারে সুবিধা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘সব জায়গাতে চোরের আড্ডা। আমি ৫০০ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে গেলে আরও ৫০০ বড়লোক শিক্ষার্থী চলে আসবে। তাছাড়া সাত আটমাস ধরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না, সেখানে যে টাকা খরচ হতো বাড়িতে থাকার কারণে সেটা হচ্ছে না। ফলে ক্লাসের জন্য তারা পাঁচ-সাত হাজার টাকা খরচ করতে পারবে না? বাড়িতে থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া করতে গিয়ে ইনভেস্ট করবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে তেমন টাকা নেই। ইউজিসি টাকা-পয়সা দিলে সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। আর শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি আমি কমিয়ে দিবো।’

বশেমুরবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

দীর্ঘ প্রতিক্ষা, অবশেষে তার অবসান। নানা জল্পনা কল্পনার পর ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।জানা গেছে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। ২৪০ বর্গমিটার স্থানে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ম্যুরাল কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানা গেছে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপ-পরিচালক তুহিন মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন প্রদান করেছেন।

আগামী দু-একদিনের মধ্যে অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি আমাদের কাছে এসে পৌঁছাবে এবং এরপর যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির জনকের পূণ্যভূমিতে অবস্থিত। তাই আমাদের দায়বদ্ধতাও বেশি। আমরা চেষ্টা করবো সর্বোচ্চ সুন্দরভাবে ম্যুরাল কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করার।”

এর আগে, যোগদানের পরপরই বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.এ.কিউ.এম মাহবুব জানিয়েছিলেন মুজিববর্ষেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে, ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমোদন পাওয়ায় আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

আইন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ আকাশ বলেন, “জাতির পিতারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না থাকা টা ছিল আমাদের জন্য অতীব দুঃখজনক একটা ব্যাপার৷ মূলত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল অনেক আগেই তৈরি করা উচিত ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। তবে দেরিতে হলেও অবশেষে ম্যুরালের কাজ শুরু হচ্ছে জেনে খুবই উচ্ছ্বসিত।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা ছিলো। ওইসময়ে ম্যুরালের জন্য বরাদ্দ ছিলো দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো।
কিন্তু ২০১৭ সাল পর্যন্ত ম্যুরালটির নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি। পরবর্তীতে বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং ২০১৮ সালে প্রকল্পটির বাজেট রিভাইজড করা হয়। রিভাইজড বাজেটে ২৪০ বর্গমিটার স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত অনশনে ভর্তিচ্ছুরা

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ছয় শিক্ষার্থী টানা দ্বিতীয় দিনের মত ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব তাদেরকে মুঠোফোনে অনশন বন্ধ করে রবিবার দেখা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা ভর্তির নিশ্চয়তা না পাওয়ায় উপাচার্যের প্রস্তাবে সম্মত হন নি এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে ই ইউনিটের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থী মো: মিলন আলী বলেন, “আমরা ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি৷ তারা বলেছিলেন পরবর্তীতে ভর্তি নেয়া হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটা হয় নি। পরবর্তীতে আমরা নতুন উপাচার্য যোগদানের পর তাকে চিঠি দেই, কিন্তু তিনিও কোনে পদক্ষেপ নেননি। একারণে আমরা ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন করছি।”

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার এ বিষয়ে বলেন, “আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো। যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.একেএম মাহবুব বলেন,এখানে তাদের ভর্তি না নেওয়ার কিছু নেই। তাদের আন্দোলন যদি যৌক্তিক হয় তাহলে এটা রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করবো। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এখনো খোঁজ নিতে পারিনি যে সিট খালি আছে কিনা।যদি সিট খালি থাকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সম্মতি থাকে তাহলে তাদের অবশ্যই ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বশেমুরবিপ্রবি : অপেক্ষামান শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের একাংশ ভর্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে।

আজ (মঙ্গলবার ) সকালে এ ইউনিট, বি ইউনিট, এফ ইউনিট, এইচ ইউনিট এবং ই ইউনিটের মোট আটজন শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন।

এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবিতে আসন ফাঁকা থাকার পরেও তাদেরকে ভর্তি নেয়া হয়নি আর এর ফলে তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ই ইউনিটে( ১৩৫৭ সিরিয়াল) অপেক্ষামান শিক্ষার্থী মো: নাইম হোসেন ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “আমরা ভর্তি হতে আসা বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি এখনও অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই আমরা আশা করেছিলাম আমাদেরকে ডাকা হবে।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এই ফাঁকা আসনের বিপরীতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে ডাকে নি।

শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সমাধান পাইনি।”

কুমিল্লা থেকে আগত এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “আমরা বিষয়টা নিয়ে সেপ্টেম্বরের ৭ অথবা ৮ তারিখের দিকে উপাচার্যকে চিঠিও দিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।”

এছাড়া এইচ ইউনিটে ৪২৭ সিরিয়ালে থাকা মোঃ হুমায়নুল ইসলাম বলেন, “আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরের একজনের মাধ্যমে জেনেছি এখনও ৩৩০ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই এইসকল ফাঁকা আসনের বিপরীতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক।”

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. এম.এ.সাত্তার বলেন, “আমরা মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়ার পরেও তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডেকেছি। এমনকি তৃতীয়বারে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও ফোন দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আসন ফাঁকা ছিলো।

যেহেতু তিনবার ওয়েটিং তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ডাকার পরেও সিট ফাঁকা ছিলো এবং আমাদের শিক্ষক সংকট, রুম সংকটসহ বিভিন্ন সংকট ছিলো তাই ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেই আর কোনো শিক্ষার্থী ডাকা হবে না।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা যেহেতু কাউকে ডাকিনি তার অর্থ আমরা আর কাউকে ভর্তি নিবো না, এক্ষেত্রে পৃথকভাবে ভর্তি বন্ধের নোটিশ দেয়ার কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের যারা কল দিয়েছিলো তাদেরকেও জানিয়ে দিয়েছি আর কাউকে ভর্তি নেয়া হবে না।”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া হয়েগেছে প্রায় এক বছর আগে আমি এখন কিভাবে স্টুডেন্টদের ভর্তি করাই। আর এখম যদি নিয়ম ভঙ্গ করতে হয় তাহলে এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং এ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সাথে ইউজিসির অনুমতি লাগবে। এছাড়া এ মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং আমি ঢাকাই আছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে কথাবার্তা বলা যেতো।”

বশেমুরবিপ্রবিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক রফিকুন্নেসা আলী, আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, মানবিকী অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস. এম. গোলাম হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস এম এস্কাদার আলী, বৃক্ষরোপণ ও ল্যান্ড স্কেপিং কমিটির সভাপতি তছলিম আহম্মেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।

১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ফলদ, বনজ ও শোভাবর্ধনকারী প্রায় ৫০০টি বৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে।

প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল চালু করেছে নোবিপ্রবি

বশেমুরবিপ্রবিতে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন পালন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রাসেল হলে সীমিত আকারে কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (১৮ই অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ডাইনিংয়ে কেক কাটার পর উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এসময় তিনি ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

জন্মদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়া, সহকারী প্রভোস্ট রাজিব হোসেন, মোঃ শরিফুজ্জামান, মোঃ হাসেম রেজা, বাপন চন্দ্র কুরিসহ আরো অনেকে।

প্রসঙ্গত,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নরপিশাচরা তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।