বশেমুরবিপ্রবিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলন চলমান

ইকবাল হোসেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।

বশেমুরবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব কর্মস্থলে যোগদানের দ্বিতীয় দিনেই এই অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।

চাকরি স্থায়ীকরণ আন্দোলনকারী কর্মচারীদের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে আমরা ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। তবে স্থায়ী নিয়োগ এবং নীতিমালা অনেকটা একই দাবি হওয়ায় বর্তমানে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ, এই ২টি দাবি আদায়ে কাজ করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অস্থায়ী চাকরি হবে সেটা মেনে নেয়া যায় না। কর্মচারীদের চাকরি অস্থায়ী হওয়ার ব্যাপারে আমি জ্ঞাত ছিলাম না ৷ তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মচারীদের নিয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, কর্মচারীদের বেতন ইউজিসি থেকে পাঠানো হয় ৷ সেক্ষেত্রে ইউজিসি যদি বেতন পাঠায় তাহলে কর্মচারীদের বেতন অবশ্যই পরিশোধ করা হবে। তবে তার আগে রেজিস্ট্রার এবং ডিনদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৩ মাস যাবৎ অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি নিয়ে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

বশেমুরবিপ্রবি: নতুন উপাচার্য যোগদান করতেই ফের ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) গতকাল(৬ সেপ্টেম্বর ) যোগদান করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব। যোগদানের দ্বিতীয় দিনেই ২দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আস্থায়ী কর্মচারীরা।

সোমবার (৭সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে কর্মচারীরা বলেন, ইতঃপূর্বে আমাদের ৩দফা দাবি ছিলো তবে স্থায়ী নিয়োগ এবং নীতিমালা অনেকটা একই দাবি হওয়ায় বর্তমানে দুটি দাবি আদায়ে কাজ করছি। দাবি দুটি হলো কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১৩মাস যাবৎ অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি নিয়ে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর হতে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

‘আমরা সফলভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছি, অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসবে’

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৬ টায় তদন্ত কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদের নিকট প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেন, “আমরা সফলভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। আশা করছি প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসবে এবং আমাদের অবশিষ্ট কম্পিউটারগুলোও উদ্ধার হবে।”

এসময় তিনি গণমাধ্যমের ভুমিকা নিয়ে বলেন, “আমরা আশা করি গণমাধ্যম সবসময় তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরবে।”

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চুরির ঘটনা তদন্তে গত ১০ আগস্ট সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে বশেমুরবিপ্রবিতে নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

আজ রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধির বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন বশেমুরবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপাচার্য।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমি সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করি। তিনি অনন্যসাধারণ এবং প্রতিশীল বিশ্ববরেণ্য একজন নেতা ছিলেন । তিনি বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের কণ্ঠস্বর ও পথিকৃৎ।’

ভারমুক্ত বশেমুরবিপ্রবি: সংকট নিরসনে কাজ করবেন নতুন ভিসি, প্রত্যাশা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সাগর দে


নতুন উপাচার্য নিয়োগের মধ্য দিয়ে ভারপ্রাপ্তের শিকল ভেঙ্গে ভারমুক্ত হলো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে নানা সমস্যার, আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

একটু পিছনে ফিরে তাকানো যাক, সাল ২০১৯, তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রদের আন্দোলনে মুখে পদত্যাগ করেন সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। তারপর ৮ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহাজাহানকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পান। অবশেষে এক বছরের মাথায় এই ভারপ্রাপ্ত থেকে মুক্তি পেল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এদিকে প্রায় এক বছর পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডঃ এ কিউ এম মাহবুব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক (অবঃ)।

বুধবার (০২ সেপ্টম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগ তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নতুন ভিসি পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীরা যেমন তাকে অভিনন্দন ও শুভাশিস জানাচ্ছেন।

একই সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চুরির বিচার সহ ইতিহাস বিভাগের সমস্যার সমাধান, শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউটের সমস্যার সমাধান, আবাসন সংকট,হল ভাড়া কমানো, সেমিস্টার ফি কমানো সহ শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারলে তখন তাকে অভিনন্দন জানানো সমিচিন বলে মনে করেন অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।

শুধু শিক্ষার্থীরা নয় শিক্ষকরাও মনে করেন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক যেন শিক্ষার্থী বান্ধব হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ছিলেন, আশা করি তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসন উত্তরণ করতে সক্ষম হবেন”।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক -ছাত্র সম্পর্ক উন্নয়ন, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে শুধু একজনের পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষক সমাজ, তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বশেমুরবিপ্রবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবের সাথে দ্য ক্যাম্পাস টুডের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।

প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর ভারমুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার অগ্রগতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন,সংস্করণ সহ বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু এগিয়ে যায় এটাই দেখার বিষয়, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা জাতির পিতার পূর্ণ্যভূমিতে ইতিহাসের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়!

নতুন ভিসি পেল বশেমুরবিপ্রবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডঃ এ কিউ এম মাহবুব।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক (অবঃ)।

আজ বুধবার (০২ সেপ্টম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ আলী রেজা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগ তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য পদে তাকে বর্তমান বেতন-ভাতা সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাস সীমানায় অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর চাইলে যেকোনো সময় তার এ নিয়োগ বাতিল করতে পারেন। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

পরে ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে কাউকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবি: স্থায়ী ভিসি নিয়োগের দাবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


স্থায়ী ভিসি নিয়োগের দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মচারী সমিতি কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ বুধবার (০২ সেপ্টম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন, বেতন স্কেল অনুযায়ী ওভারটাইম নীতিমালা প্রণয়ন, কর্মচারীদের কোয়ার্টার শতভাগ বরাদ্দ নিশ্চিতকরন, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কর্মচারীদের সকল ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে স্থায়ী ভিসি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভিসির পদ শূন্য রয়েছে। ফলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে স্থায়ী ভিসি নিয়োগ না হলে এসকল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। তাই আমরা এই বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং স্থায়ী ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

পরে ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে কাউকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির বিচার হলো না এখনও!

কামরুল হাসান মামুন


বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়: শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি গোপালগঞ্জে এটি অবস্থিত।

আর বঙ্গবন্ধুরই দল ক্ষমতায় এবং তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির মত পবিত্র স্থান থেকে ঈদুল আজহার ছুটিতে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়।

বঙ্গবন্ধুরই দলের অঙ্গসংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ। কেমন রাজনীতি? বঙ্গবন্ধুর নামকে পুঁজি করে যাদের রাজনীতি তারাই আবার তার নামের এবং তারই এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন চুরি কি মানা যায়?

ঈদ পার হয়েছে অনেকদিন হলো। অথচ এখনো বিচার হলো না। সারা দেশের সকল সংস্থায় এইরকমই চলছে।

চুরি করা পাপ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চুরি আরো বড় পাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে চুরি আরো বড় পাপ। সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি জাতির পিতার নামে হয় সেখান থেকে চুরি আরো অনেক বড় পাপ।

সেই চুরির বিচার না হওয়া না কেবল উল্টো যারা বিচার চাচ্ছে তাদের হুমকি ধামকি দেওয়া কত বড় পাপ একটু বুঝুন।

কামরুল হাসান মামুনের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।

শিক্ষকদের দেখে নেওয়ার হুমকি, নিন্দা জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ডিন,আইন অনুষদ, প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খান, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ,এবং ড.মোঃ রাজিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগকে জনাব নজরুল ইসলাম(সহকারী রেজিস্ট্রার ) কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দেখে নেওয়ার হুমকির ঘটনায় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

রবিবার (৩০ আগস্ট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.হাসিবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ রাকিবুল ইসলাম সাক্ষরিত এই বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হলো এর প্রাণ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একটি নিবিড় জ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।এখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়ক শক্তি,কোনোভাবেই পরিপূরক বা প্রতিপক্ষ নয়।

সম্প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরী ভবন থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি এবং উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ঘটে যাওয়া সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও অত্যন্ত তড়িৎ গতিতে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ৭ জন অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

তদন্ত কমিটি থেকে একজনকে অব্যাহতি, পদত্যাগ, রদবদল, একজন অব্যাহতি প্রাপ্ত সদস্যর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হওয়া বক্তব্য রেজিস্ট্রার অফিসে দাখিল হওয়া নথিপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাইরাল হওয়া প্রতিক্রিয়া, প্রতিবাদলিপি আমাদের নজরে এসেছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শুরু হতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে শিক্ষক সমিতি অতি নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে।

আমরা শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে এই ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সমাধান আশা করছে। যেকোন গঠনমূলক বক্তব্য, প্রতিবাদলিপি, কর্মসূচি শিক্ষক সমিতি সাধুবাদ জানায়। আরো উল্লেখ্য যে, তদন্ত কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব নজরুল ইসলামের বাক বিরোধিতা এবং উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনা আমরা শুরু থেকেই পর্যবেক্ষণ করে আসছি।

আরও বলা হয়,শিক্ষক সমিতি মনে করে ব্যক্তির দায় ব্যক্তিকেই নিতে হবে।এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ডিন,আইন অনুষদ,প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খান, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ,এবং ড.মোঃ রাজিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগকে জনাব নজরুল ইসলাম কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দেখে নেওয়ার হুমকির প্রেক্ষিতে গত ২৭/০৮/২০২০ ইং তারিখে তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২৯/০৮/২০২০ ইং তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষক সমিতি অনুরোধ জানাচ্ছে।

শেষে বলা হয়, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা সকল শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে এবং মর্যাদা রক্ষার্থে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নতি এবং এই অচলায়তন ভাঙতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানাই।

অর্থের অভাবে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বাবা

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

 

পৃথিবীর সেরা সম্পদ বাবা – মা। সেখানে একটি ছেলে মেয়ে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করে পিতা মাতা দু’জনে। কিন্তু পিতার ভূমিকা অপরিহার্য কারণ বেশিরভাগ পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম থাকেন। আর যদি তিনি অচল বা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকেন তাহলে সেই পরিবারের অবস্থা কি হয়! আর যদি হয় মধ্যবিত্ত। এক কথায় মরার উপর খরার ঘাঁ।

আর এমনি নির্মমতার শিকার গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী
মোঃ সালাহউদ্দিন সুমন। অর্থের অভাবে অসুস্থ বাবার জীবন পড়েছে চরম সংকটে। জানা গেছে, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে। বাবাকে বাঁচাতে প্রয়োজন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।

 

 

 

তার বাবার সম্পর্কে কথা বলে জানা যায় “একসময় আমার বাবা ওমানে ব্যবসা করতেন। আমাদের অবস্থা বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর আগে বাবা ব্যবসায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং এক কাপড়েই দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই আর্থিক সমস্যার শুরু। সম্প্রতি বাবার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত অপারেশন না করলে বাবাকে বাঁচানো যাবেনা।”

এ সময় সুমন আরও বলেন , তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিতে হবে এবং অপারেশন করাতে প্রয়োজন প্রায় ২.৫লক্ষ টাকা। কিন্তু সর্বস্ব দিয়েও এই মুহুর্তে তার পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

এ সময় তিনি বাবার জীবন বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহপাঠী, বড় ভাই, আপু সহ সকালের নিকট সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার অনুরোধ জানান।সুমনকে সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা 01710075481 (বিকাশ ব্যক্তিগত)।