এক শতাব্দী পেরিয়ে দ্বিতীয় শতাব্দীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই প্রতিষ্ঠানটি গৌরবের পথচলায় এক শতাব্দী পেরিয়ে দ্বিতীয় শতাব্দীতে পা দিয়েছে আজ (১ জুলাই) বৃহস্পতিবার। বয়সের হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি আজ শত বছর পূর্ণ করল। আর পা দিল ১০১ বছরে।

১৯২১ সালের এইদিনে ঢাকার রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবনগুলো ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনগুলোর সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল।

ঢাবিতে অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি, নির্দেশিকা প্রকাশ

৬ কোটি টাকা অনুদান পেল প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৪টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ১৯৮৬জন শিক্ষক, প্রায় ৪৭হাজার শিক্ষার্থী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে দেড় শতাধিক বিভিন্ন একাডেমিক ঘরানার অধিভুক্ত/উপাদানকল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের মাহমারির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সশরীরে আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পসে কোন অনুষ্ঠান হবে না। অনলাইনে প্রতীকী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি।

অনলাইন প্রতীকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল বক্তা হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন ভাষাসৈনিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তির মূল অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ওইদিন নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।

শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রিয় মাতৃভূমি ও গণমানুষের প্রতি আমাদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সকল লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশ সেবায় রেখেছে অনন্য অবদান। দেশের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ ও চিরকৃতজ্ঞ চিত্তই এগিয়ে চলার পাথেয়। ইনশাল্লাহ, আমরা এগিয়ে যাবই।

“এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন গর্বিত শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অভিযাত্রার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী হয়ে এই জ্ঞানপীঠ যেন পৃথিবীর সাম্প্রতিকতম জ্ঞানকে আরও বেশি আয়ত্ত করার সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারে- বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সেটাই হোক প্রত্যাশা।”

১৯২১ সালে তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলো ছিল— সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।

প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। যেসব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তারা হলেন— হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ. সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, জি এইচ ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ এ জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, এ এফ রহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও দেশভাগের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বা পরবর্তী সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫টি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। ১৯৪৭-৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে সব জন-আন্দোলন ও সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ শহীদ হয়েছেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের আইয়ুব সরকারের জারি করা অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ-১৯৭৩ জারি করেন। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

না ফেরার দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তুষ্টি

 

ঢাবি টুডে

রাজধানীর আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের একটি ভবনের টয়লেট থেকে ইসরাত জাহান তুষ্টি (২১) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।মারা যাওয়া ওই ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত ছিলেন।

রবিবার (০৬ জুন) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, করোনার কারণে হল বন্ধ থাকায় সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের সাবলেটে থাকতেন।

আত্মহত্যা করেছেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী রাকিন

ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পলাশী মোড়ের স্টাফ কোয়ার্টারের ১৮ নম্বর ভবনের একটি বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ওই শিক্ষার্থী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে থাকতেন। করোনার কারণে হল বন্ধ থাকায় তিনি আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে সাবলেটে থাকতেন।

জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার। তার বাবার নাম আলতু মিয়া।

হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর সব ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

আজ সোমবার (২৪ মে) রাতে তিনি বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে হাফিজের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে দুপুরে এ ঘটনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে নির্দেশ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অনলাইনেই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবির কলা অনুষদ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ

মহামারীর সঙ্কট বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ কর্তৃক গঠিত কমিটি।

এ সময় প্রয়োজনীয় ও গ্রহেণযোগ্যতা বিবেচনায় পরীক্ষা দিতে অসমর্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ তিনবার পর্যন্ত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে জরিমানা ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে আয়োজিত অনলাইনে সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ক অনুষদ কর্তৃক গঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব সুপারিশ উঠে এসেছে।

গত ৬ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এবং কলা অনুষদের অনলাইনে সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ক কমিটির ১৬ মে-র সভার প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।

ফ্যাকাল্টির সভায় পরীক্ষা ৩০ নম্বরের জন্য ১ ঘণ্টায় পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়। পাশাপাশি সেই ৩০ নম্বরকে ৬০ নম্বরে কনভার্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে কোনো বিভাগ চাইলে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে পারে। পরীক্ষা নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মোবাইল ফোনের ভিডিও অন করে রাখতে হবে।

ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো আগামী ৪ জুন। কিন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও চলমান লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত হয় যাওয়া আইবিএর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।

‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই ক্যাম্পাস খোলা হবে’

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ টিকার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চায় ঢাবি। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার (অনুরোধ পত্র) পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের অফিসিয়াল লেটার প্যাডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বরাবর এই অনুরোধ পত্র পাঠানো হয়।

করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ক্লাস পরীক্ষা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও অনেক শিক্ষার্থীর আপত্তি থাকায় সেটি বাস্তবায়ন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

এখনো ঢাবির প্রায় এক হাজার শিক্ষক করোনা ভ্যাকসিন পায়নি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাদেরও টিকা নিশ্চিত করতে চায় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলছে সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ক্যাম্পাস খুলতেই হবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে সেটি অনিশ্চিত।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই ক্যাম্পাস খোলা হবে।

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে যে টিকার চালান দেশে আসবে সেখানে যেন আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় চিঠিতে আমরা সেটিই অনুরোধ করেছি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ (রবিবার) থেকে ক্যাম্পাস খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২৯ মের পর ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে।

হাফিজুর নিখোঁজ হওয়ায় আমরা সবাই চিন্তিত

 

 

ঢাবি টুডে

 

ঈদের পরদিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান। নিখোঁজের সময় তার পরনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোযুক্ত ডাকসুর টি-শার্ট ছিল। এদিকে হাফিজের দুশ্চিন্তায় তার বাবা-মা-বোন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে ।

 

শনিবার (২২ মে) ওই শিক্ষার্থীর নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সভাপতি লিজাইনুল ইসলাম রিপন।

 

নিখোঁজ হাফিজুর রহমান তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত।

 

 

 

এদিকে বন্ধু মারফতে জানা যায় , ঈদুল ফিতরের পরদিন গত ১৫ মে দুপরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে হাফিজুর। বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে রাত ৮-৯টার দিকে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। পরে বন্ধুরা তাকে বিদায় দেয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। আমরা বিভিন্নভাবে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। বাধ্য হয়ে সর্বশেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি শেয়ার করছি।

 

তারা আরও বলেন, আজ প্রায় আট দিন হতে চললো, কোনোভাবেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হাফিজুর রহমানের নিজের এলাকায় জিডি করা হয়েছে, শাহবাগ থানায়ও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ছেলেটি নিখোঁজ হওয়ায় আমরা সবাই চিন্তিত। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কেউ শিক্ষার্থী হাফিজুরের খোঁজ জানতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অথবা উল্লেখ্য নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি।

 

হাফিজুর রহমানের সন্ধান পেলে +8801681571977 (মীর লোকমান), +8801827949378 (লিজাইনুল ইসলাম রিপন) নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে ডিনস কমিটির জরুরি সভা বসছে আগামীকাল

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি সভা বসছে আগামীকাল বুধবার (৫ মে)। ঢাবি ডিনস কমিটির এ জরুরি সভার মূল আলোচ্য বিষয় অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা।

সভার বিষয়ে একটি সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতেই এ সভা ডাকা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ডিনস কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ডিনস কমিটির একটি স্পেশাল সভা আছে আগামীকাল।তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা সেশন জটে আটকে আছে । আমরাতো আর বসে থাকতে পারিনা। সেখানে আমরা কি করতে পারি সেসব নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের যেতেই হবে, আমাদের হাতে কোন উপায় নেই।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনষদ আগামীকাল সন্ধ্যায় জুমে একটি মিটিংয়ে বসবে। মিটিংয়ে আমরা কিভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া যায় সেজন্য একটি ওয়ার্কশপ করবো। এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) একজন কনসালটেন্ট সেখানে প্রশিক্ষণ দিবেন।

সেখানে থাকবেন অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপকরা। সেখানে আমরা প্রতি বিভাগের দুজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে পারলেই, বাকী শিক্ষকদের তারা প্রশিক্ষণ দিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের ২০ মার্চ হল খালি করার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কার্যক্রম বন্ধ আছে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও দুটি সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা হলেও বাকি আছে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় কোনো পরীক্ষা হবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভা ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তখন বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার টিকা নেওয়ার প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর ইমিউনিটি তৈরি হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়।

সেটি সম্ভব হলে তারা শিক্ষার্থীদের ১৭ মে থেকে হলে উঠাতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছিলেন। এরপর করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়েব লিংকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন টিকা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনার টিকা নেওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা যায় নি।

নিজ বাড়িতেই তারাবিহর নামাজ পড়াচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান করোনা ভাইরাসের কারনে মসজিদে গিয়ে আদায় করতে পারছেন না তারাবিহর সালাত। মসজিদে না যেতে পারায় নিজ বাড়িতেই আদায় করছেন তারাবিহর সালাত।

তারাবিহর নামাজের ইমামতিও নিজেই করছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।এক সাক্ষাৎকারে নিজ বাড়িতে তারাবিহর সালাতের ইমামতি করার কথা বলেছেন তিনি।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, রোজা মুসলমানদের জন্য আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। করোনার আগে আমি প্রতিবছর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তাম। তবে করোনার কারনে আর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরিবারের সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়িতেই তারাবিহর সালাত আদায় করি।

নামাজে ইমামতি কে করে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমি নিজেই তারাবিহর সালাতের ইমামতি করি। আমার পেছনে দাড়য়ে সালাত আদায় করে আমার ছেলে-মেয়ে ও আমার স্ত্রী । আমরা প্রত্যেকেই ২০ রাকাত তারাবিহর সালাত আদায় করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ মে এর পরিবর্তে আগামী ৩১ শে জুলাই থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বৈঠক বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইউনিট প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, আগামী ৩১ শে জুলাই থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। আমরা আগস্টের ১৪ তারিখের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করব।

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আরও জানান, পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ আগস্ট, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৭ আগস্ট, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ আগস্ট, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ আগস্ট এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (অংকন)-এর তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

পুন:নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ জুলাই ২০২১ তারিখ হতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত ডাউনলোড করা যাবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন।