নুর মামুনদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন : তদন্ত কমিটি

 

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সারমর্ম প্রকাশ করেছে সংগঠনটির তদন্ত কমিটি দল । প্রতিবেদনের সারমর্মে বলা হয়েছে ,অপহরণ ও ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

তদন্ত প্রতিবেদনের কপিটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে নুরুল হক নূর লিখেছেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদ বরাবরই সোচ্চার ছিলো, আছে, থাকবে। কোন ষড়যন্ত্রই তারুণ্যের নতুন ধারার রাজনীতিতে থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে তারুণ্যের লড়াই-সংগ্রাম চলছে, চলবে।তারুণ্যের এ লড়াইয়ে যোগ দিন”।

তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের সারমর্ম প্রকাশ করেছে। পাঠকদের উদ্দেশ্য তা তুলে ধরা হলো –
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৩/০৯/২০ ইং তারিখে সূত্র N.2020.09.04 এর পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের সারমর্মঃ
১/ অভিযোগকারীকে বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে প্রচার ও সাংগঠনিক পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হলেও আদতে অভিযোগকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী নন। কখনো ছাত্র অধিকার পরিষদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথেও যুক্ত ছিলেন না।

২/ অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। তবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হাসান আল মামুনের সাথে তার পরিচয় ছিলো বলে জানিয়েছেন।

৩/ একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তাদের সাথে পরস্পরের পরিচয় হয়, সাংগঠনিক কাজের সূত্রে নয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনা ঘটছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি। এমনকি অভিযোগকারীও এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।

৪/ অভিযোগকারী এজাহারে ২৪/০৬/২০ ইং তারিখ ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক নুরুল হক নুরের সাথে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নীলক্ষেত দেখা করার কথা উল্লেখ করলেও অভিযোগকারীর সাথে নুরুলহক নুরের কখনো সরাসরি দেখা বা সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আনুমানিক মাস তিনেক আগে অভিযোগকারী একবার নুরুলহক নুরের কাছে ফোন করে ঢাকায় এসে দেখা করবেন বলে জানালেও আর দেখা করেননি।

৫/ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাবি শাখার সহসভাপতি নাজমুল হুদা ও আব্দুল্লাহ হিল বাকীকে দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার উপযুক্ত কোন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজেশে অভিযোগকারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মাণ হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যগণ
মোঃ বিন ইয়ামীন মোল্লা (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
তারেক রহমান (যুগ্ম আহবায়ক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ)
রাফিয়া সুলতানা (যুগ্ম আহবায়ক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ)

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির নতুন সভাপতি মেহেদী সাধারণ সম্পাদক কবির

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পেয়েছেন কবির আবরার। জানা যায়, সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ (রবিবার) তাদেরকে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

মেহেদী হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে পড়াশোনা করছেন কবির আবরার।

মেহেদী হাসান জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং কবির বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নোবেল পেলেও আমি বিস্মিত হব না : ঢাবি উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘একদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিওএইচও) নোবেল পেলেও আমি বিস্মিত হব না।’এদিকে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিওএফপি)।

আজ (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবনিয়ারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে জুম প্লাটফর্মে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। করোনা মানে আইসোলেশনে থাকা নয়। এখন আমরাতো সবকিছু চমৎকারভাবে করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, মহামারির মধ্যেও একটি ভলো নিউজ যে ডাব্লিওএফপি এবার নোবলে পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ডাব্লিওএইচও এই পুরস্কার পেলে আমি বিস্মিত হব না। আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটি করোনাসহ যেকোন সংকটময় মুহুর্তে বিশ্বের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আামি আশাবাদী ঠিক সময়ে সংগঠনটি নোবেল অর্জন করবে।
ওয়েবনিয়ারে করোনাকালে ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন বিষয়ে ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্টগণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি চারজনে একজন ব্যক্তি তাদের জীবনদশায় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিবসটি পালন করে আসছে।

ছাত্রলীগ সব অন্ধকারের আলো হয়ে থাকবে: সাদ্দাম হোসেন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ছাত্রলীগ সব অন্ধকারের আলো হয়ে থাকবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আলো হয়ে থাকবে। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে। আপনারা জানেন, সারা বাংলাদেশে কিছুদিনের মধ্যে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সরকার প্রত্যেকটির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আমরা বলতে চাই, ধর্ষণের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার এবং বিচার করতে হবে।’

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতারসহ সারা দেশে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন সাদ্দাম হোসেন।

“আলো হয়ে থাকবে ছাত্রলীগ অন্ধকারের প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে”।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, “৭৫ এর খুনীরা ইনডেমনিটি পাওয়া সত্ত্বেও পার পায়নি, ২০২০ এর নয়া পপুলিস্ট ধর্ষকেরাও পার পাবেনা”

‘আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিতা ছাত্রীর পাশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৫০ লক্ষ নেতাকর্মী রয়েছে তিনি একা নন।’

প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করে সাদ্দাম হোসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্যে বলেন, “তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী, আমি অবাক্‌ হয়ে শুনি কেবল শুনি।”

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরমান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নেতৃত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ মহানগর উত্তর সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদী। এ সময় কেন্দ্রীয়, ঢাবি ও বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার আরেকটি ১/১১ চাচ্ছে : নুর

ডেস্ক রিপোর্ট


ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন বর্তমান সরকার ভোট ডাকাত, তারা আরেকটি ১/১১ চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ভিপি নুর।আরও বলেন,সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সারাদেশে দেলোয়ার বাহিনী গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে নারী নিপীড়ন বিরোধী গণসমাবেশে বক্তব্যর সময় নুর এই অভিযোগ করেন।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পাকিস্তান আমলেও দেশের এতো বাজে অবস্থা ছিল না। নুর ও তার সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসিফ নজরুল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট নাগরিকগণ।

মামুন-নুরদের গ্রেপ্তার দাবিতে অনশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ নিজের করা ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি অনশনে বসেন।

অনশনকারী ওই ছাত্রী বলেন, ধর্ষকরা জাতির শত্রু। তাদের কোনো ক্ষমা নেই।

হাসান আল মামনু ও নুরুল হক নুরদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমার অনশন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তখনকার আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রী।

এদিকে, এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতয়ালী থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণ-নিপীড়ন: শাহবাগে বিক্ষোভ শুরু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমূখে যাত্রা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো ছাত্র জনতার ব্যানারের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনের কর্মসূচি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, বিক্ষোভ মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু করে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে। বর্তমানে মিছিলটি কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছে। সেখান থেকে ছাত্র জনতার ব্যানারে মিছিলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিক্ষোভে সেভ আওয়ার উইমেন বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রিফাতুল হক বলেন, ধর্ষকের কোনো পরিবার থাকে না। আমাদের বোনেরা, মায়েরা নিরাপদে থাকবে। আমরা দেখেছি, ধর্ষণের ঘটনায় সহজে ও যথাসময়ে বিচার হয় না। উল্টো ধর্ষকদের সাপোর্ট ও ব্যাকআপ দেওয়া হয়। এর জবাব দিতে হবে।

ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের আহ্বানে সংঘটিত সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী সোমবার বলেন, বর্তমানে দেশে ধর্ষণ জৈবিক বিকারের চেয়ে ক্ষমতার বিকারে পরিণত হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া প্রায় প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত। সে সময় ‘ধর্ষণ সব জায়গায় হয়’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য প্রমাণ করে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। আমরা এই ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর দেখতে চাই না।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঢাবি প্রশাসনের , এরপর যেকোন সময় আকস্মিক অভিযান

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ক্যাম্পাসে মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।জানা যায়, মাদক বিক্রি, সেবন এবং পরিবহনের কারণে গত এক মাসে আট জনকে থানায় সোপর্দ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।আরও জানা যায়, ক্যাম্পাসে মাদক নির্মূল ও সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদেরকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গতিবিধির প্রতিও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।

সূত্রমতে, বর্তমানে চার ধরনের লোক ক্যাম্পাসে মাদকের সাথে যুক্ত। এদের মধ্যে রয়েছে পেশাজীবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মচারীও রয়েছেন। বিশেষ করে চতুর্থ শ্রেণির কিছু চিহ্নিত কর্মচারী ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় সুযোগের চেষ্টা করে থাকে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

শাহবাগ থানার তথ্যমতে, গত মাসে বিভিন্ন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে ১৩ জনকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আট জনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা ছিলো। আটককৃতদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তাছাড়া রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র দু’জন ও তাদের সাথে থাকা এক বন্ধু। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভিন্ন ইনস্টিটিউটের দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং বাকি দু’জন বহিরাগত।

এদিকে চলতি মাসের ১ অক্টোবর পুলিশ নীলক্ষেত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মালি সুমন রায় এবং লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মালি আকতার হোসেনকে নীলক্ষেত থেকে মাদকসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে তাদেরকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

এছাড়া, মাদক সংশ্লিষ্টায় গ্রেফতার ও আটক হওয়াদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ প্রশাসন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের প্রতি কড়া নজর রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেকোনো সময় আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যক্তি এবং ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকান, হকার এবং কিছু কিছু রিকসাচালকের মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও মাদকের সাথে যুক্ত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে যেমন মাদকসেবী রয়েছে, তেমনি রয়েছে মাদক ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরাও।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের যারা মাদকাসক্ত তাদেরকে কাউন্সিলিংয় করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং বিভাগের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাদের কাউন্সিলিং করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে আটক হওয়াদের কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোবাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার বলেন, মৌখিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। নাম ঠিকানা নিয়ে আসলে বলা যাবে।

গত মাসে মাদকসেবনের স্পট হিসেবে চিহ্নিত ক্যাম্পাসে চারটি জায়গায় ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। এসব স্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরদারিতে থাকবে। এছাড়া ভবিষ্যতেও সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের একটি নির্দিষ্ট জায়গা, শহীদ মিনার এলাকা, টিএসসি এলাকা এবং কার্জন হল এলাকা।

এছাড়াও ক্যাম্পাস খোলা থাকা অবস্থায় বিভিন্ন হলের ছাদে মদ-গাঁজা খাওয়ার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রয়েছে। ক্যাম্পাস খোলা হলে সেখানেও আকস্মিক অভিযান চালাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসে যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য বহন এবং বিপণন নিষিদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তাগিদ পেয়েছি। আমদের প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় থাকবে। তাই আমরা চাই মাদকসেবী এবং মাদক কারবারীরা যেন আমাদের ক্যাম্পাসকে তাদের কাজের স্থল হিসেবে ব্যবহার না করে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

মাদক নির্মূলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ঢাবি প্রক্টর বলেন, মাদকসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। তাই সামাজিকভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ক্যাম্পাসে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করেন তিনি বলেন, বহিরাগতদের অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে টহল অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। নিয়মিত মাইকিং করে নির্দিষ্ট সময়ের পরে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হচ্ছে। করোনাকালীন কারো মাস্ক না থাকলে তাদেরকেও ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এই মহামারীর সময়ে আমাদের স্লোগান হলো- ‘আমি ভালো থাকি, আপনাকেও ভালো রাখ’।

 

ভার্চুয়ালি পরীক্ষা নেয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্য সফটওয়্যার নেই : ঢাবি উপাচার্য

 

ঢাবি টুডে


করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা না নিয়েই অনলাইনে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তের পর সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে পরের সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন।দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে গত ১৫ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরে সরকার ঘোষিত ছুটি দীর্ঘায়িত হওয়ায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ইউজিসির নির্দেশনা মেনে ঢাবিতে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু হয়েছে।

ঢাবি ডেপুটি-রেজিস্টার মুন্সী শামস উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ঢাবি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা পরবর্তী সেমিস্টার ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য বলেন, “ভার্চুয়ালি পরীক্ষা নেয়ার মতো আমাদের কাছে কোনো বিশ্বাসযোগ্য সফটওয়্যার নেই। আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ভাবছি না। বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খোলার পরে পরীক্ষা নেয়া হবে।”

ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্জ্বলন

ঢাবি টুডে


নোয়াখালীতে নারী নিপীড়নের ঘটনাসহ সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় সম্পৃক্ত ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তার ও বিচার এবং নারীর প্রতি সহিংসতার স্থায়ী অবসানের দাবিতে পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্জ্বলন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিস্থ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। এসময় কর্মসূচিতে অংশ নেয়া প্রত্যেকের হাতে একটি করে মোমবাতি ছিল। পরে পদযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ধর্ষকের কোন দল-মত নেই। সে যেই হোক না কেন আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই। আজকে আমরা আঁধারের বিরুদ্ধে আলোক মিছিল করে সেই বার্তাটি দিতে চাই।