ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ তৈরি ও বিক্রি, আটক ৩

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট ও সিল প্রস্তুতকারী জালিয়াতচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতাররা হলেন- কামরুজ্জামান মো. সালাম (৫৭), রুবিনা আক্তার (৪০) সহযোগী মাহমুদুল হাসান সোহাগ (৩৩)।

রোববার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি দল রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের সেঞ্চুরি ডেল ভবনের দ্বিতীয় তলায় হোমোসেপিয়েন্স নামক কোচিং সেন্টার থেকে ও ডেমরা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার সালাম দীর্ঘদিন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে স্ত্রীকে নিয়ে ফার্মগেট ইন্দিরা রোডের ভবনের কোচিং সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করে।

ওই কোচিং সেন্টারটির অন্তরালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদ তৈরি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর হেফাজতের প্রতারণা করে আসছিল তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক বলেন, কিছু ব্যক্তি প্রতারণামূলকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসহ, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলমোহর প্রস্তুত করে নিজেদের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে আসছিল মর্মে অভিযোগ পায় সিআইডি।

ওই খবরে সিআইডির একটি দল গতরাতে ফার্মগেট ইন্দিরা রোডের ওই কোচিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৬টি জাল সনদ ও ৬টি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিল উদ্ধার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সহযোগী মাহমুদুল হাসান সোহাগকে ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া বাজার সাকসেস কোচিং সেন্টার থেকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ২১টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাল সনদ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩টি জাল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৭। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাবি অবকাঠামো উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবকাঠামো উন্নয়নে তৈরি করা মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসাটার প্ল্যানের কাজটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গতকাল শনিবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের একটি ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

রবিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনে আমাদের এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে কিছু সংশোধনী এসেছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কিছু সংশোধনী এসেছে। এটি ফাইনালাইজ করে আমরা মাস্টার প্ল্যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়। এটিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান।

এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই নতুন সেমিস্টার শুরু

ঢাবি প্রতিনিধি


করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে এক শিক্ষাবর্ষ/সেমিস্টার ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ/সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউট প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কথা মাথায় রেখে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে চালু রয়েছে অনলাইন ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা আগ্রহ সহকারে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করছেন। আর শিক্ষকরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করছেন।

শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ । তিনি বলেন, সম্প্রতি এক সেমিস্টার শেষ করার পর আরেক সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার একটি নোটিশ বিভিন্ন বিভাগে গেছে।

‘করোনায় যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে, তাই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আমাদের বিভাগে পরীক্ষা ছাড়াই নতুন আরেকটি সেমিস্টার শুরু করার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে পরীক্ষা নেয়া হবে। চলতি সপ্তাহে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে।’ এমন তথ্য দিয়েছেন ঢাবির এক শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১২ টাকায় পড়ে, ইটস অ্যামাজিং: ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক আছেন দুই হাজারের অধিক। বিদেশি ডেলিগেটরা এলে তারা যখন শোনেন ১২ ও ১৫ টাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে, তখন তারা অবাক হয়ে বলেন, ইটস অ্যামাজিং! এটা আমাদের রেকর্ড।’

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন আছে। আমরা বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকলে এর একটি প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য বছরব্যাপী বাজেট থাকে। টাইমস হায়ার এডুকেশন, ইউএস র‌্যাঙ্কিংও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক সময় আমরা সেগুলো উপেক্ষা করতাম। এ কারণে এতদিন আমরা তথ্য দিইনি। আমরা বলতাম, র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করব না। তবে কয়েক বছর ধরে আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করছি, একটু একটু তথ্য দিচ্ছি। বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কম থাকায় র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান পেছনে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘টিএসসি যখন নির্মাণ হয়েছিল, তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম। এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই আছে। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী টিএসসির পুনর্বিন্যাসের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরই হয়তো সেটা দেখবেন।’

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এ আমার অহংকার- এখনই সময় দায় মোচনের’। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে গেল বছর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের দেয়া একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ঐ বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি চপ এবং একটি সমুচা পাওয়া যায়। পাবে বাংলাদেশে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, তাহলে এটি গিনেস বুকে রেকর্ড হবে। ১০ টাকায় এক কাপ চা, গরম পানিও তো রাস্তায় পাওয়া যাবে না। ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি সমুচা এবং একটি চপ- এগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। এটি আমাদের গর্ব, এটি আমাদের ঐতিহ্য।’

নুরদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করল ছাত্রলীগ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। পাশাপাশি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির আখ্যা দিয়ে তাদেরকেও অবাঞ্চিত ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসেও নুরদের অবাঞ্চিত করার ঘোষণা দেন সনজিত। সেখানে তিনি লেখেন, সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর এবং তার সহযোগীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।

সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এ বিক্ষোভ করছেন তারা।

কীসের ছাত্র অধিকার পরিষদ, তারা তো ‘ধর্ষণ অধিকার পরিষদ’ খুলে বসেছে: জয়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে নাট্যকার ও নাটকবাজ আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেছেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের বিচার না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে, তা হতে পারে না। এর বিচার হতে হবে। এ সময় তিনি নুরদের সংগঠনকে ‘ধর্ষণ অধিকার পরিষদ’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানান।

আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তারা ধর্ষণও করবে, আবার আন্দোলনও করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ইতিহাস নেই। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নুরের সহযোগীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হুশিয়ার উচ্চারন করেন। জয় বলেন, ‘‌নুরের চেলা’ আমার নেত্রী সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছে। আমি হেসেছি। ছাত্রলীগ কিন্তু কোনো অন্যায়কে প্রশ্ন দেবে না। সাবধান!

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ফেসবুকে লাইভ করে হুমকি দেয়ার কথা তো আগে কখনও শুনিনি। অথচ নুর সেটা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক করেছে সে। গুজবের মাধ্যমে ভিপি পদ বাগিয়ে নেয়া নুরের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। কিছুদিন আগে তারা অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সে টেন্ডারবাজির কথা বলেছে।

তিনি আরও বলেন, নুর সব ডাকসু ভিপির মর্যাদা হানি করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ‌পতিতা আখ্যায়িত করেছে, এত সহজ? তিনি বলেন, এই ধর্ষকের কোনো দল নেই। এই কুলাঙ্গাররা যেই হোক, তার বিচার করতে হবে। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ফাতেমা আপনার কোনো ভয় নেই, ছাত্রলীগ আপনার সাথে আছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, কীসের ছাত্র অধিকার পরিষদ, তারা তো ‘ধর্ষণ অধিকার পরিষদ’ খুলে বসেছে। যেখানেই এই ধর্ষকদের পাবেন, তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। নুর-কামাল হোসেনদের বাংলাদেশের শত্রু আখ্যায়িত করে তাদেরকে দেশ থেকে চলে যাওয়ার আহ্বানও জানান জয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাকারিয়া বিন হক নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

প্রক্টর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়ার আত্মহত্যার খবর শুনেছি। সে বিজয় একাত্তর হল ডিবেটিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিল। আমরা জাকারিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, গত দুইদিনে আমরা আমাদের দুইজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শিক্ষার্থীরা কেন এ ধরনের পথ বেছে নিচ্ছে সেটি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন পদক্ষেপ না নেয় আমরা তাদের সেই আহবান জানাচ্ছি।

‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ফেসবুক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক ফেসবুক গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরার অন্যতম প্লাটফর্ম এটি। জনপ্রিয় এই গ্রুপের বিরুদ্ধেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর নামে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ ।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ গ্রুপসহ নয়টি ফেসবুক আইডি ব্যাবহারকারীকে আসামী করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এক শিক্ষার্থী।

এর আগে ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাময়িক অব্যাহতি প্রাপ্ত আহবায়ক হাসান আল মামুনসহ সংগঠনটির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে নারী নির্যাতন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর লালবাগ ও কোতওয়ালী থানায় দুটি মামলা করেন।

শহবাগ থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা হলেন, তামান্না ফেরদৌস শিখা, তামান্না আকতার, তাজুল ইসলাম আকাশ, শারমিন রিজিয়া, এইচএম, হোসাইন বিন নুর, মো. তুহিন মোল্লা হৃদয়, মেহেদি হাসান সুজন এবং রেজাউল করিম কাজল।

ওই ছাত্রী জানান, সম্প্রতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি এবং গ্রুপে আমার নামে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মিথ্যা সংলাপ পাবলিক পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি করে আসছে। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ওই শিক্ষার্থী।

ঢাবি জিয়া হলের সাবেক ভিপি শাকিল মারা গেছেন

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) শরিফুল ইসলাম শাকিল আর নেই।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসাপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জিয়া হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হাসিবুল হাসান শান্ত বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি শুনেছি। তার কিডনি জনিত সমস্যা ছিলো আর সেখান থেকে ব্রেনে সমস্যা হয়। তিনি ২৩-২৪ দিন ধরে হাপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। সেখানেই তিনি আজ মারা গেছেন।

জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট রাজধানীর মিলেনিয়াম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হন শাকিল। পরে ১ সেপ্টেম্বর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিন আজ মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ সেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত বছরের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছিলেন শাকিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ৩০ জিবি ডাটা প্যাকেজ চুক্তি করলো গ্রামীণফোন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অনলাইন ক্লাস ফলপ্রসূ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা ৩০ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা পাবেন। অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে গ্রামীণ ফোনের সাথে ইতিমধ্যে ৩০ জিবি ডাটা প্যাকেজ সিমের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের উদ্যোগ ও গ্রামীন ফোনের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের বর্তমান ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে এই ডাটা প্যাকেজ সিম প্রেরণ করা শুরু হয়েছে।