অক্টোবরেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা নেই!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত পৃথিবীতে থমকে আছে শিক্ষাজীবনও। জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিথর হয়ে আছে। অদম্য প্রাণচাঞ্চল্য থাকা স্থাপনাগুলো হয়ে পড়েছে প্রাণহীন। শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর থাকা ক্লাস রুম, করিডোরগুলোও আজ নিস্তব্ধ। চলমান এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা।

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা ধরণের ঘোষণা আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট আর কোন নির্দেশনা নেই। ফলে সেশনজটসহ শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আবাসিক হলসহ শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। আর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানালেন ইউজিসি।

এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা লম্বা সময় আমাদের শিক্ষা জীবন থেকে চলে গেছে। আমরা ক্লাস করতে পারিনি, পরীক্ষাগুলো দিতে পারিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য আমরা যখন ভাবব তখন অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রেখে তারপর আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, যদি কোন সময় কোন কিছু করতে হয় যতটুকু পারব আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেটা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৯১টি যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখের বেশি।

সূত্র: সময় টিভি

‘বিদায় টিএসসি’: জাতিসংঘের ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ সৈকতের স্ট্যাটাস

ঢাবি টুডে


মানবতার ফেরিওয়ালা তানভীর হাসান সৈকত। ‘বিদায় টিএসসি’ শিরোনামে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে টিএসসিকে বিদায় জানালেন তিনি।
মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতিসংঘের ‘বাস্তব জীবনের নায়ক’(রিয়েল লাইফ হিরো) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তানভীর।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত ১৮ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা যখন বাড়ি চলে যায়, তখন ক্যাম্পাসের ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) থেকে যান ডাকসু এই সদস্য।
টিএসসিতে অবস্থান নিয়ে তিনি তার দীর্ঘদিনের কার্যক্রম শেষ করে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্থল ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে তিনি ‘বিদায় টিএসসি’ শিরোনামে নিজের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তানভীর জানান, দেশের প্রয়োজনে নৈতিক, মানবিক দায়বোধ থেকে সঙ্কটাপন্ন সময়ে টিএসসিতে অবস্থান করে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়েছি। এখন আমাদের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়ে গেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তিতে অবস্থান করাটা নৈতিকভাবে সমীচীন মনে করছি না।

মানবতার ফেরিওয়ালা তানভীর বলেন, করোনা দুর্যোগের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে আমরা টিএসসিতে অবস্থান করে অসহায়, ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। একটানা ১২১ দিন এই প্রয়াস অব্যাহত রাখার পর সময়ের প্রয়োজনে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সুনামগঞ্জ ছুটে যাই আমাদের দল নিয়ে। সুনামগঞ্জ থেকে ফেরার পর আমাদের কয়েকজন সদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় টিএসসির গেস্ট হাউজে কোয়ারান্টিনে থাকে।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাস একটা পরিবার হয়ে আমরা টিএসসিতে ছিলাম। প্রান্তিক মানুষের জীবন সংগ্রামটাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমার জীবনে এই কয়েক মাস একটি অনন্য এবং বিশাল অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষত টিএসসির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদার সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এই সময়টাকে এবং এই মানুষগুলোকে আমি খুব মিস করবো। আমাকে এবং আমার সাথে যারা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন তাদেরকে আপনাদের শুভাশিস-প্রার্থনায় রাখবেন।

তানভীর সম্পর্কে ইউএনওসিএইচএর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত মার্চে বাংলাদেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজেদের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু তানভীর ও তাঁর সঙ্গের কয়েকজন ক্যাম্পাসে থেকে প্রান্তিক মানুষকে সহায়তা করেন। গত এপ্রিলের শুরু থেকে টানা ১১৬ দিন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার পর তিনি সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত মানুষকে সহায়তা করতে সেখানে যান। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থসহায়তা নিয়ে তিনি মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

ঢাবি থেকে ২৭ জন পিএইচডি, ১০ জন এমফিল ডিগ্রি পেলেন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২৭ জন গবেষককে ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ও ১০ জনকে মাস্টার অব ফিলোসফি (এমফিল) ডিগ্রি দিয়েছে।

ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ ডিগ্রি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ২৭ জন গবেষককে পিএইচডি ডিগ্রি এবং ১০ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।

চাকরিচ্যুত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষক

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ভিন্ন ভিন্ন কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চাকরিচ্যুত দুই শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাদিয়া তাইসির।

গতকাল(বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌন হয়রানি সংক্রান্ত কারণে সাইফুল ইসলাম এবং অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করায় রাদিয়া তাইসিরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার খবর জানানো হয়।

করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু

ঢাবি টুডে


করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাকন মিয়া নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টান্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন।

আজ বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে ওই ছাত্রের সহপাঠীরা জানিয়েছেন।

জানা যায়, করোনার বন্ধে নিজ এলাকায় রাজবাড়ীর পাংশাতেই ছিলেন কাকন মিয়া। এলাকার সহপাঠীদের নিয়ে করোনার লকডাউনের সময় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবারও পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

কাকন মিয়ার সহপাঠী ও ঢাবি ছাত্র মোস্তফা মুসা সজীব জানান , গত কয়েকদিন তার যাবৎ জ্বর-সর্দি ছিল। এজন্য আজ ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত চারদিন আগে কাকন মিয়া তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘জ্বর!’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এটি ছিল তারা সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস। এর চারদিনের মাথায় তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

অবশেষে মায়ের কোলে টিএসসি কন্যা জিনিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া টিএসসি কন্যা বলে খ্যাত জিনিয়া অবশেষে মায়ের কোলে ফিরেছে।

গতকাল সোমবাার নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটী থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) তার মা সেনুরা বেগমের কোলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার পথশিশু জিনিয়াকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। জিনিয়া নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় লোপা তালুকদার নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিশু বিশ্বাস সাংবাদিকদেরকে জানান, জিনিয়াকে ফুসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তবে কী উদ্দেশে তাকে নিয়ে গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

গত ১ সেপ্টেম্বর রাত থেকে জিনিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন দুই তরুণীকে সর্বশেষ কথা বলতে দেখা যায় জিনিয়ার সাথে। টিএসসির পাশের একটি দোকানে তিনজন মিলে চটপটিও খায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় জিনিয়া।

পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন জিনিয়ার মা সেনুরা বেগম। তাছাড়া জিনিয়াকে খুঁজে বের করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই তরুণীকে শনাক্ত করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে জিনিয়ার বড় বোনও নিখোঁজ হয়েছিলো। দেড় বছর পর খোঁজ মিলেছিলো তার। বাবা হারানো তিন মেয়েকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন জিনিয়ার মা।

এ বিষয়ে একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, ‘আমাদের আদরের জিনিয়া; সম্প্রতি নিখোঁজ টিএসসি কন্যাকে, গতকাল নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, বাংলাদেশ পুলিশ।’

হার্ট অ্যাটাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী মারা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তার নাম সৈকত মাহমুদ। তিনি অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের মাস্টার্সে পড়তেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একথা জানিয়েছেন।

সৈকতের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে উপাচার্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বন্ধু সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার শরীর হঠাৎ খারাপ করে। অবস্থার অবনতি দেখে তার রুমমেটরা বেলা ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হ্যার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বিজয় ৭১ হল সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) আবু ইউনুস বলেন, সকালে তার রুমমেটরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে জানা গেল তিনি মারা গেছেন।

উপাচার্য শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘কোনও শিক্ষার্থীর মৃত্যু সংবাদ আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছে, সৈকত অত্যন্ত মেধাবী ও ভালো ছেলে ছিল।’

হুয়াওয়ে সদরদপ্তর থেকে আইসিটি প্রশিক্ষণের সুযোগ পেল দুই ঢাবি শিক্ষার্থী

 

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সমাধান প্রদানকারী হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাঁচটি নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ টি অসামান্য আইসিটি প্রতিভা ঘোষণা করেছে। চ্যাম্পিয়নরা আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ‘ভবিষ্যতের বীজ ২০২০’ এর জন্য কার্যত সংগঠিত গালা ইভেন্টে ঘোষণা করা হয়েছে।

এদের মধ্যে সেই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদিবা তাবাসসুম চৌধুরী ও আরিফুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তারা উভয়ই তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী আদিবা তাবাসসুম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলা।আরিফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।তিনি ত.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের আবাসিক ছাত্র।

মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থী বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছিল এবং সেখান থেকে ১০ টি চ্যাম্পিয়ন তাদের সিজিপিএ (কমিউলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ), স্পট পরীক্ষা এবং নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী সংস্থাগুলির উপস্থাপনার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে।

হুয়াওয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছে। ঐতিহ্যগতভাবে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দু’সপ্তাহের জন্য অধ্যয়ন ভ্রমণের জন্য চীনে যেত; তবে কভিড -১৯ এর কারণে প্রশিক্ষণটি একটি অনলাইন প্রোগ্রামে স্থানান্তরিত হয়েছে।

পাঁচ দিনের এই অনলাইন প্রোগ্রামে বাধ্যতামূলক পাঠ্যক্রম, হুয়াওয়ে বিশেষজ্ঞ এবং অতিথি বক্তাদের সাথে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন, নির্বাচনী কোর্স এবং চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে স্ব-শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত হবে। মূল পাঠ্যক্রমটিতে জি৫, ক্লাউড কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং আরও অনেক কিছু থাকবে cover অন্যদিকে, বৈকল্পিক কোর্সগুলি ডিজিটাল অর্থনীতি, শিল্পের প্রবণতা থেকে নেতৃত্বের দক্ষতায় পরিবর্তিত হতে পারে।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন “আমাদের এক বিশাল আশ্চর্য সম্পদ রয়েছে এবং এটিই বাংলাদেশের যুবসমাজ ও মেধার বৃহত অংশ। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করেন যে যুবকরা ডিজিটাল অগ্রগতির পাশাপাশি বিকাশের মূল ইঞ্জিন। আমরা তাদের মূল্য এবং তাদের দক্ষতার প্রশংসা করি। এবং আমরা তাদের গাইড করার জন্য আমাদের দায়িত্ব অনুভব করি যাতে তারা সঠিক পথটি বেছে নিতে পারে; তাদের মূল্য উপলব্ধি এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান।

সেই অনুপ্রেরণায় হুয়াওয়ে দেশে তার সামাজিক বেনিফিট কর্মসূচির জন্য এই বিষয়টি নিয়ে হাজির হয়েছে; ‘ভবিষ্যতের বীজ’, একটি আইসিটি প্রতিভা শিকার শিক্ষা প্রোগ্রাম যা আইসিটি প্রতিভা সংকট হ্রাস করার জন্য নিবেদিত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা তাদের মনে সেই স্বপ্নদর্শন বীজ রোপণ করতে চাই যাতে আগামী বছরগুলিতে তারা এই সমাজকে পুরোপুরি সংযুক্ত ও বুদ্ধিমান করে তুলতে নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারে। “

১০০তে ১৫ পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা! হতাশ শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টাইমস হায়ার এডুকেশন এর বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং ২০২১ এ টিচিং এ ১০০ এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেল মাত্র ১৫ দশমিক ৩। যা গত বছর থেকে অবনমিত হয়েছে। গত বছর এ স্কোর ছিল ১৭.০০।

বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং শিক্ষকদেরকে আরো যত্নশীল হতে হবে।

এ বছর টিচিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র পেয়েছে ১৫.৩ (১০০) এবং গবেষণায় একশোর মধ্যে ৭.৭। যা গত বছর ছিল ১০০ এর মধ্যে ৮.৮।

এদিকে এই র‌্যাংকিংয়ে ১০০০+ তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার এ তালিকা প্রকাশ করে ব্রিটেনভিত্তিক এই সংস্থাটি। পৃথিবীজুড়ে এর একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
বিশ্বের ৯২টি দেশের ১৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ র‌্যাংকিং করা হয়। সাধারণত র‌্যাংকিং করার ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়। তার মধ্যে টিচিং, রিসাইটেশন, আন্তর্জাতিক আউটলুক এবং শিক্ষার্থীরা কিরকম উপার্জন করে থাকে। এসবের ভিত্তিতেই করা হয় এ র‌্যাংকিং।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, রাতারাতি কোন কিছুই পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে আমরা গবেষণার সেক্টরে উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং বিশ্ব র‌্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যেন আরও উপরের দিকে হয় সে চেষ্টাও করা হচ্ছে।

এ বছর র‌্যাংকিংয়ে প্রথম হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় হয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন ।মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তুলনামূলক কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ পেয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ শত শিক্ষক। তার সময় এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র‌্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ নয়, প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘র‌্যাগ ডে’ উদযাপন নিষিদ্ধ নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার জনসংযোগ দফতর কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘র‌্যাগ-ডে নিষিদ্ধ’ সংক্রান্ত তথ্যটি অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য দুঃখিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূলত একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছিল- র‌্যাগ-ডে পালন নামে ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলে অনাকাঙ্খিত, অমানবিক, অসৌজন্যমূলক, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কোন আচরণ যাতে সংঘটিত না হয়, তৎপ্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক নজর রাখার জন্য বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শিক্ষা সমাপনী’, গ্র্যাজুয়েশন উৎসব পালনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠান,উৎসব, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ইত্যাদি আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এজন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।

কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে কমিটির আহবায়ক (প্রশাসন) এবং কলা অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ডিনদের সদস্য ও প্রক্টরকে সদস্য সচিব করা হয়।