স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিল ঢাবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিভাগগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিষদ। যে সব বিভাগের স্বল্প সংখ্যক পরীক্ষা নেওয়া বাকি আছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই পরীক্ষাগুলো নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দসহ একাডেমিক পরিষদের তিন শতাধিক সদস্য সংযুক্ত ছিলেন।

ভার্চুয়াল সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ’র‌্যাগ-ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভূত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ ’ইথিক্যাল রিভিউ কমিটি’ গঠন করার সুপারিশ করা হয়।

সভায় অনুষদ/বিভাগ/ইনস্টিটিউটকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সমন্বিতভাবে অসমাপ্ত পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ ও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মৌলিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও গবেষণাধর্মী প্রকাশনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিভাগগুলোর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুক কামাল বলেন, যে সব বিভাগে একটি বা দুটি পরীক্ষা নেওয়া বাকি আছে। শিক্ষার্থীরা যদি বিভাগে আসতে সম্মতি জানায় তাহলে সে সব বিভাগ চাইলে তাদের অবশিষ্ট পরীক্ষা নিতে পারবেন। তবে এটা অনলাইনে নেওয়া যাবে না । তবে আবাসিক হল খোলা হবে না বলেও জানা তিনি।

ঢাবি’র টিএসসি আরও আধুনিক হবে: প্রধানমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রকে (টিএসসি) নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন হল, পুকুরগুলোও সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি পাবলিক লাইব্রেরিকে ডিজিটাল করে উন্নত করা হবে, সেখানে যুক্ত হবে ডিজিটাল ব্যবস্থা।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন করে নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি করতে চাই। এটা দলের ও আমার করা উচিত। সম্পূর্ণ আধুনিকভাবে টিএসসি প্রতিষ্ঠা করবো। এটা হচ্ছে আমাদের ছাত্র-শিক্ষকদের মিলন কেন্দ্র। তাই সেটাকে আরও সুন্দরভাবে তৈরি করবো। সেই নির্দেশ আমি দিয়েছি। ওখানে নতুনভাবে যা যা করার দরকার করবো।

ঢাবির উন্নয়নের বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। আমি জানি যে, বিশ্ববিদ্যালয় এটা করতে পারবে না। কাজেই যে টাকা পয়সার লাগবে দেবো। আমিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, জাতির পিতাও ছাত্র ছিলেন। কাজেই আমরাই এটা করে দেবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। এদেশটাকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই এবং আমরা স্বাধীন দেশ, স্বাধীন জাতি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে চাই।

ঢাবিতে ‘র‌্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে র‌্যাগ ডে উদযাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কথিত ‘র‌্যাগ ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভুত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”

আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দসহ একাডেমিক পরিষদের তিন শতাধিক সদস্য সংযুক্ত ছিলেন।

 

 

ঢাবির নতুন ট্রেজারার মমতাজ উদ্দীন আহমেদ

ডেস্ক রিপোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ।

আজ (২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগামী চার বছর পদটিতে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের মেয়াদ পূর্ণ হয় গত ১১ জুলাই। এরপর থেকেই শূন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রম সম্পাদনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রিফাত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


সড়ক দুর্ঘটনায়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আমজাদ হোসেন নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় মোহাম্মদ তারেক (২২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটনা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, রবিবার দুপুরে জিদ্দাবাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাবি শিক্ষার্থী রিফাতের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, নিহত রিফাত হারবাং ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মোহাম্মদ বশিরের ছেলে। আর তারেক একই ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের পুত্র।

এই ঘটনায় তানজিলুর রহমান (১৯) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা কাভার্ডভ্যানটি আটক করেছি।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই ঢাবির হল খোলা হবে: ঢাবি উপাচার্য

ডেস্ক রিপোর্ট

করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব আবাসিক হল বন্ধ রয়েছে। তবে যে সময়ই হল খোলা হবে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং করোনার কারণে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব আবাসিক হল বন্ধ রয়েছে। তবে যখন খোলা হবে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই খোলা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

শনিবার ( ২৯ আগস্ট ) উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ক্যাম্পাসে ও হলে শিক্ষার্থীদের জীবনাচার বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

পরে বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে আবাসিক হলগুলো খোলা যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

কবে নাগাদ হল খোলা হবে, এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন , এটা সামগ্রিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে যখন খোলা হবে তখন স্বাস্থ্যবিধি ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খোলা হবে।

এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা হবে: ঢাবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাবির সব আবাসিক হল বন্ধ রয়েছে। তবে যখন খোলা হবে তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই খোলা হবে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পরিবেশ পরিষদভুক্ত ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ১৩ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ক্যাম্পাসে ও হলে শিক্ষার্থীদের জীবনাচার বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

পরে বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে আবাসিক হলগুলো খোলা যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

কবে নাগাদ হল খোলা হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সামগ্রিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে যখন খোলা হবে তখন স্বাস্থ্যবিধি ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খোলা হবে।

আজকের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় জাদুঘরের নতুন সভাপতি হলেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকি

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি হিসেবে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের স্থলাভিষিক্ত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আজ (২৫ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি হিসেবে যোগ দেন।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নবনিযুক্ত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতির মেয়াদ তার কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে তিন বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে কর্ম জীবনে ১৯৮০ সালে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ ও ১৯৯৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৪ ও ২০০৫ সালে ওই সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এ অধ্যাপক ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের জন্য কুরআনের অর্থ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো ঢাবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ‘কুরআনের অর্থ পাঠ প্রতিযোগিতা-২০২০’ আয়োজন করা হয়েছে। কুরানিক অ্যান্ড অ্যারাবিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

আগামী মাসের পহেলা সেপ্টম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হবে। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন করতে হবে ২০ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে।

আয়োজকরা সূত্রে জানা যায় , প্রতিযোগীতার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআনের অর্থ একবার পাঠকারী সবাই বিজয়ী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সকল বিজয়ীকে একই পুরস্কার দেয়া হবে, প্রত্যেকে পাবেন কুরআন সম্পর্কিত আকর্ষণীয় বই প্যাকেজ পুরস্কার। সকল বিজয়ী সার্টিফিকেট পাবেন। বিজয়ীদের জন্য প্রতিযোগিতা শেষে অনলাইন কুইজের আয়োজন করা হবে, সেরা ৫ জনের প্রত্যেকে পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
প্রতিযোগিতার বিষয়ে সার্বিক যোগাযোগ: হোয়াটস অ্যাপে কল বা মেসেজ করুন +8801312143812 নম্বরে। ফেসবুক পেজ-https://www.facebook.com/umudhakauniversity, ফেসবুক গ্রুপঃ United Muslim Ummah- Dhaka University। ই-মেইল ঠিকানা: qaribd@gmail.com

প্রতিযোগিতার নিয়মসমূহ
১। আগ্রহী ব্যক্তিকে নিবন্ধন করতে হবে। নিম্নোক্ত লিংকে গিয়ে সেখানে চাওয়া তথ্যগুলো পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। নিবন্ধন লিংকঃ https://cutt.ly/Vd6gXiM। কেউ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপারগ হলে উপরোক্ত মোবাইল নম্বর বা ফেসবুকে যোগাযোগ করুন।
২। নিবন্ধনের আবেদনের পর পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে নিবন্ধনকারীর মোবাইল নম্বরে ‘প্রতিযোগিতার নিবন্ধন আইডি’ মেসেজ করে জানানো হবে এবং তার ইমেইল আইডিতে বিস্তারিত কার্যকরী পরিকল্পনা সরবরাহ করা হবে।

৩। অর্থ পড়ার ক্ষেত্রে বাংলা/ অন্য যে কোন ভাষার অনুবাদ পড়া যেতে পারে। প্রতিযোগীকে অবশ্যই কুরআনের শুরু থেকে পড়া শুরু করতে হবে এবং কোন সূরা বা সূরার অংশ বাকী না রেখে ধারাবাহিকভাবে পড়ে যেতে হবে।

৪। ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিযোগিতার পড়া শুরু হবে। প্রতি ৭ দিন পরপর কুরআনের শুরু থেকে কোন পর্যন্ত পড়া হয়েছে তা আমাদেরকে গুগল ফর্মের মাধ্যমে জানাতে হবে। আপডেট জানানোর গুগল ফর্ম সময়মত সরবরাহ করা হবে।
আপডেট জানানোর তারিখ- (প্রতি মঙ্গলবার) ৮ সেপ্টেম্বর, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২৯ সেপ্টেম্বর, ৬ অক্টোবর, ১৩ অক্টোবর, ২০ অক্টোবর, ২৭ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর।

আপডেট পাওয়ার পর সবার আইডি, পঠিত মোট আয়াত সংখ্যা উল্লেখ করে একটি পিডিএফ ফাইল তৈরী করা হবে। প্রতিযোগীদের নিয়ে তৈরী করা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ এবং ফেসবুক গ্রুপে তা আপলোড করা হবে। সবাই নিজ ও অন্যের পাঠের অবস্থান জেনে নিতে পারবেন। নাম উল্লেখ না থাকায় সবাই একে অপরের কাছে ‘অপরিচিত’ থাকবেন।

৫। নির্ধারিত ৬১ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআনের অর্থ একবার পাঠকারী সকল প্রতিযোগীই বিজয়ী বলে বিবেচিত হবেন। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। দিনে সর্বোচ্চ ৩ পারার বেশী না পড়ার অনুরোধ। এক আপডেট থেকে পরবর্তী আপডেট দেয়ার সময় ১০ পারার বেশী (পড়া যাবে না) গৃহীত হবে না।
প্রতিবার আপডেটে পঠিত সর্বশেষ সূরা ও আয়াতের বিষয় উল্লেখ করতে হবে। আপডেট জানানোর গুগল ফর্ম সময়মত সরবরাহ করা হবে।

* সম্পূর্ণ কুরআনকে দুই মাসে ভাগ করে প্রতিদিনের নির্ধারিত সম্ভাব্য সর্বনিম্ন পাঠ্য সরবরাহকৃত পরিকল্পনায় উল্লেখ থাকবে। প্রতিযোগী নিজের সাধ্যমত এর কম বা বেশী পড়তে পারবেন। দুই মাসে সম্পূর্ণ কুরআনের অর্থ একবার পাঠ করতে প্রত্যেক দিনে প্রায় ১০০ আয়াত করে পড়তে হবে, মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
* কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে প্রতিযোগিতা সংশ্লিষ্ট নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন।

আজ ঢাবির কালো দিবস | ২৩ শে আগস্ট

ডেস্ক রিপোর্ট


আজ (২৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মদদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেফতার, নির্যাতন করে তত্কালীন সেনা সদস্যরা।

তবে ঘটনার সূত্রপাত ওই বছরের ২০ আগস্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। পাশেই ছিল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প। খেলা দেখার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও সেনা সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে কিছু ছাত্রকে ধরে সেনাক্যাম্পে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। উপস্থিত ছাত্ররা তাৎক্ষণিক এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করে। ঘটনাটি পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। মিছিল বের হয় সাধারণ ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে। কিন্তু সেই মিছিলেও হামলা চালায় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা।

এরপর ২১ আগস্ট বিক্ষোভ চলে সারাদিন। ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে। সারাদেশে শুরু হয় ‘সেনা হটাও’ ছাত্র আন্দোলন। পরদিন ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় দেশের পাঁচটি বড় শহরে কারফিউ জারি করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ছাত্রদের দুর্ভোগ বেড়ে যায় আরো বহুগুণে। রাস্তাঘাট, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটগুলোতে ছাত্রদের আইডি কার্ড চেক করে নির্যাতন শুরু করে পুলিশ। এদিকে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হলেও ২৩ আগস্ট রাতের বেলায় কোয়ার্টার থেকে চোখ বেঁধে শিক্ষকদের আটক করে অজানা স্থানে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায় স্বৈরাচারী শাসকদলের সেনারা। ঢাবি’র চারজন শিক্ষক এবং ৭ জন ছাত্রকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করে পুলিশ। সারাদেশে ৮২ হাজার ছাত্রকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই ঘটনার ৬২ দিন পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম চালু হয়। পরবর্তীতে ছাত্র শিক্ষকদের ও মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

প্রসঙ্গত ২০০৮ সাল থেকেই প্রতিবছর এই দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।