রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উড়ো চিঠিতে হত্যার হু’মকি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাধিক শিক্ষককে একের পর এক উড়ো চিঠি দিয়ে প্রাণ-নাশের হু’মকি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উড়ো চিঠির মাধ্যমে হ’ত্যার হু’মকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নিজের নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

রাবি অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কারো সঙ্গে আমার বিরোধ নেই। তবে, আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে থাকি৷ হতে পারে আমার কথা কারো অপছন্দ হওয়ায় তারা এই হু’মকি দিয়েছে।’

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিভাগের অফিস কক্ষে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে একটি বেনামি চিঠি পায় বিভাগের একজন কর্মচারী। চিঠি খুলে দেখা যায় সেখানে তাকে হ’ত্যার হু’মকি দেওয়া হয়েছে।

 

সুবিধাবঞ্চিতদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলো ‘আলোর ভুবন’

 

রাবি প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর ভুবন’।
গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী শহরের রেলস্টেশন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এই সংগঠনটি।

জানা গেছে কর্মসূচিতে প্রায় ৭০ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান ফিরোজুল ইসলাম সাজ্জাদ, সভাপতি এহসান দূর্জয়, সাধারণ সম্পাদক তাইয়েবা খাতুন লাবনি। এছাড়া সারোয়ার হোসেন সাইফ, মাসুকুর রহমান মাসুকসহ সংগঠনের অন্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সংগঠনটির চেয়ারম্যান ফিরোজুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ‘আলোর ভুবন’ একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সেবামূলক সংগঠন। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ চিন্তাধারা থেকে সকলের সহযোগিতা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসের হাত ধরে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের স্বপ্ন এক সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে প্রতিটি মানুষ হাসিখুশিভাবে তার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারবে।

এছাড়া সংগঠনটি আগামী ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ করবেন বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক তরুণ-তরুনীদের যৌথ উদ্যোগে ছয়টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সমানে নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে ‘আলোর ভুবন’ যাত্রা শুরু করে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলো- সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও অংশগ্রহন, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রথা নির্মূল, স্বেচ্ছায় রক্তদান প্রকল্প গ্রহণ, সমাজে অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে আর্থিক ও মানসিকভাবে সহায়তা প্রদান, সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহযোগিতা, একটি সুশীল সমাজ গঠন করা। উক্ত সংগঠনের অভিপ্রেত লক্ষ্য অসহায় পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো। করোনাকালীন পরিস্থিতেও অনলাইনে সংগঠনটির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সরূপ রাবিকে বাস উপহার দিল ভারতীয় হাইকমিশন

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে (রাবি) দুইটি বাস উপহার দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন দপ্তর রাজশাহী। ভারতীয় হাইকমিশনের রাজশাহী মিশনের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি এই উপহার দেন।
ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সরূপ এ উপহার দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের জনগনের পক্ষ থেকে রাবিকে ভারতীয় হাইকমিশনের রাজশাহী মিশনের সহকারী হাই কমিশনার দুটি বাস উপহার দিয়েছেন। বাস দুটি গত সোমবার রাবিতে আনা হয়েছে। বিজয় দিবসের আগে অথবা পরে বাস দুটির আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুন চারটি বাস ক্রয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভারতের হাইকমিশন থেকে প্রাপ্ত নতুন দুইটি বাসসহ রাবির মোট বাসের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫।

স্নাতক শেষ বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার দাবি

 

রাবি প্রতিনিধি

স্নাতক শেষ বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করাসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে তারা কর্মসূচিতে এসব দাবি জানান। এসময় অবিলম্বে পরীক্ষা না নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।এছাড়া স্নাতক শেষ বর্ষের বাকি থাকা ক্লাস সম্পন্ন করে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া এবং তা আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার দাবি জানানো হয়।

এর আগে একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং এর অনুলিপি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর দেয়া হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার অজুহাত দিয়ে বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো কিছুই বন্ধ নেই। দু-একটি কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকায় আমাদের সবকিছু আটকে আছে। চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারছি না। চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছি আমরা। এক অনিশ্চিত জীবন অতিবাহিত করছি। অবিলম্বে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন , ’ইতোমধ্যে ৪২ তম ও ৪৩ তম বিসিএসসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। এ অবস্থায় ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের পরীক্ষাসমূহ নেয়া না হলে, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারাবে।’

এসময় তারা আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সম্মান শেষ বর্ষের স্থগিত লিখিত পরীক্ষাসমূহ নেয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই পরীক্ষাগুলো হোক। কিন্তু ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা না পেলে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।’

এদিকে স্মারকলিপি প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৯ জানুয়ারী পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সভাপতিদের সাথে আলোচনা-পর্যালোচনা করে খুব দ্রুতই একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা দুবছরেও হয়নি তদন্ত!

 

ওয়াসিফ রিয়াদ
রাবি প্রতিনিধি

সাংবাদিক আলী ইউনুস হৃদয়ের ওপর ছাত্রলীগ নেতার হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগের দুই বছরেও তদন্ত করেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। প্রশাসন বলছে, ‘দুই বছর আগের ঘটনা এখন মনে নেই। শুনেছি, ঘটনাটি ছাত্রলীগের সঙ্গে সাংবাদিকদের সমঝোতা হয়েছিলো। তাই কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’

এর আগে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি আলী ইউনুস হৃদয়ের ওপর ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর হামলা চালায় রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুল জামিল সুষ্ময়।

পরের দিন ছাত্রলীগের ওই নেতার বহিস্কারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী। এছাড়াও অভিযোগ পত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও জনসংযোগ দপ্তর বরাবর দেন তিনি। সেসময় অভিযোগ পত্র হাতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দুবছরেও হয়নি তদন্ত।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলী ইউনুস হৃদয় বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। তবে সাংবাদিক আরাফাত রহমানের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাটি আমাদের সামনে মুখ্য। ক্যাম্পাসে একজন শিক্ষার্থী অন্য একজন শিক্ষার্থীকে আঘাত করলে প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা প্রতিবারই মারধরের ঘটনায় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয় নি। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমি জানি ব্যাপারটা নিয়ে ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সমঝোতা করে নিয়েছে। কিভাবে করেছে সেটা জানি না। তাছাড়া দুই বছর আগের ঘটনা এখন মনে নেই।

সমঝোতা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রাহমান বলে, মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাথে সাংবাদিকদের কখনও সমঝোতা হয়নি, সেটা একটা বোঝাপড়ার মধ্যে ছিল। সে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি সেটার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু প্রশাসন শুধু এ ঘটনাতেই নয় সাংবাদিক নির্যাতন সংক্রান্ত সকল অভিযোগের ক্ষেত্রেই নিশ্চুপ ছিল। এ ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রশাসনের বেখেয়ালি মনোভাব প্রতীয়মান হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম বলেন, সাংবদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় সময় হামলা মামলার স্বীকার হয়। এসব বিষয় উপেক্ষা করেই তাদের পথচলা। পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশের সংস্কৃতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক উপর হামলা চালায় নামধারী একজন ছাত্রলীগের নেতা। কিন্তু তার আদৌতে কোন বিচার হয় না। এ সংস্কৃতি আমাদের জন্য লজ্জার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সালমান শাকিল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলো থেকে অভিযোগের কপি হারানোর ঘটনা নতুন নয়। মূল ঘটনা হলো শিক্ষার্থী, সাংবাদিক কারও অভিযোগ আমলে নিতে চায় না প্রশাসন। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই হামলাগুলো প্রশাসনের মদদেই হয় কিনা। সেজন্য তদন্ত করতেও উদ্যোগী হন না তারা। দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার দাবি করছি।

 

সংবাদ প্রকাশের জেরে রাবি সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ শিক্ষিকার

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল ও কলেজে ‘বিধিবহির্ভূত’ পদন্নোতির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন স্কুল শিক্ষিকা।
গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাবি প্রতিনিধি মর্তুজা নুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও মানহানির অভিযোগ এনে নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগ করেন স্কুলের প্রভাষক রুনা লায়লা।

শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার এসআই মাজেদ আলী জানান, অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভূক্ত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও হয়রানি করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রাবি প্রতিনিধি মর্তুজা নুর তার ফেইসবুক আইডি থেকে ‘রাবিতে বিধিলঙ্ঘন করে শিক্ষিকাকে পদোন্নতি দেওয়ায় আইইআর পরিচালকের পদত্যাগ’ শীর্ষক একটি সংবাদ শেয়ার করেন।

সংবাদটি নির্জলা মিথ্যা, বিদ্বেষপ্রসূত ও হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন অভিযোগকারী শিক্ষিকা। তিনি উল্লেখ করেন, তার পরিবার ও উপাচার্যের মানসম্মান ভূলণ্ঠিত করার জন্যে এই সংবাদ পরিবেশন ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উক্ত সাংবাদিক মানহানীকর তথ্য উপাত্ত ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সংবাদটিতে জানানো হয়, রাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষিকা রুনা লায়লা আগের সরকারি চাকরির ছাড়পত্র জমা না দিয়েই চাকরি নেন। পরে পদন্নোতির জন্যে পূর্বের সার্ভিস কাউন্টের আবেদন করেন। এটি বিধিবর্হিভূত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, স্কুলের সভাপতি ও আইইআর পরিচালক এবং স্কুলের অধ্যক্ষ এই আবেদন নাকচ করে দেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই ওই শিক্ষিকাকে পদন্নোতি দিতে ফের উপাচার্য আব্দুস সোবহান চাপ দেয়ায় গত ২৪ নভেম্বর আইইআর পরিচালক অধ্যাপক গোলাম কবীর পদত্যাগ করেন।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকা প্রোপার চ্যানেলে সার্ভিস কাউন্টের জন্যে আবেদন না করায় একবার তার আবেদন নাকচ হয়। দ্বিতীয়বার তার আবেদনটির অনুমোদন নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আমার বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি বিধিবর্হিভূত হওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর আমি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করি।

এদিকে এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত সংবাদকর্মীরা। দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি ও রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রাহমান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করে।

কিন্তু অভিযোগকারী শিক্ষিকা রুনা লায়লা তা না করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় চরম আঘাত। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে অভিযোগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য তাকে আহ্বান জানাই।

না ফেরার দেশে রাবি শিক্ষার্থী

 

রাবি প্রতিনিধি

ব্রেইন স্ট্রোক জনিত কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী প্রিন্স লিয়ন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু বরণ করেছেন।

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শুক্রবার বিকেলে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড মর্তুজা খালেদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার সহপাঠীরাও বলেন, গতকাল পর্যন্ত লিয়ন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আজ সকালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে আনুমানিক ১ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে লিয়ন।

ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মর্তুজা খালেদ তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, লিয়ন বিভাগের যথেষ্ট বাধ্যগত শিক্ষার্থী ছিল। সে অনেক আন্তরিক হৃদয়ের একটা ছেলে। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।

এসময় তিনি বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তোপ্ত পরিবারকে ধৈর্যধারণ করতে বলেন।

 

তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় গ্রেপ্তার রাবি সাংবাদিক বাপ্পীর মুক্তি দাবি সাংবাদিকদের

 

রাবি প্রতিনিধি

তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মানিক রাইহান বাপ্পীকে নিশঃর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকরা দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, রাজশাহীর স্থানীয় সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ ৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন বিপ্লবের সঞ্চালনায় মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকরা।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি আরাফাত রহমান বলেন, এধরণের মামলা গোটা সাংবাদিক মহলের জন্য হুমকি স্বরূপ। মূলত অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টা থেকে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানি করাই এ মামলার উদ্দেশ্য বলে মনে করি।

এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরিসরে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হয়রানির শিকার হতে হয় তবে, অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোতেও সাংবাদিকতার পথ আরো সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি একই সাথে গ্রেপ্তার মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সবসময়ই সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কোন সাংবাদিক শিক্ষকদের স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিলেই তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে উনারা উঠেপড়ে লাগেন।

এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সালমান শাকিল বলেন, শুরু থেকেই আমরা আইনের বিরোধিতা করে আসছি। ধারায় অপরাধ ও আইনের সামঞ্জস্যতা নেই। আমরা চাই অবিলম্বে সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক এই আইন বাতিল করা হোক। আর দ্রতই সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাবি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকরাম হোসাইন, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদ, রাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম, সাবেক সভাপতি সুজন আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে , ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে সিট বরাদ্দ দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদের বিরুদ্ধে।

সেই ঘটনায় রাবির আবাসিক হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘সিট বরাদ্দে চাঁদা দাবির অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে ওই শিক্ষকের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

শিক্ষা ঋণ পাচ্ছেন রাবির ৪ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী

 

ওয়াসিফ রিয়াদ
রাবি প্রতিনিধি

করোনার সময় অনলাইন শিক্ষাকে ফলপ্রসূ করতে স্মার্টফোন (মোবাইল) কিনতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ৪ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ঋণ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে এই ঋণ পাবে তালিকায় থাকা প্রত্যেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর অথবা অধ্যয়নকালীন আসল টাকা চার কিস্তিতে বা এককালীন শিক্ষার্থীরা পরিশোধ করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চত করতে অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই ঋণ প্রদান করবে ইউজিসি।

আজ সোমবার দুপুরে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকবে।

অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুলাই থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়।

কিন্তু ক্লাস শুরুর পর শিক্ষকেরা দেখতে পান, বিভাগভেদে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবন্ধকতা দুর করার লক্ষেই এই ঋণের ব্যবস্থা করেছে ইউজিসি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু ঋণই নয়, পাশাপাশি ইন্টারনেটের সহজলভ্য প্যাকেজ সর্বরাহের জন্য আমরা সিম কম্পানিদের সাথে কথা বলছি। খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

গত বুধবার (৪ নভেম্বর) ইউজিসি’র এক ভার্চ্যুয়াল সভায় দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

রাবি শিক্ষার্থীর ফুসফুসে ক্যান্সার; ৭দিনে প্রয়োজন ৮ লক্ষ টাকা

 

রাবি প্রতিনিধি

আনোয়ারুল ইসলাম। ছোট থেকেই স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে শত দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগে। হয়ে ওঠেন দরিদ্র পরিবারের আশার আলো। কিন্তু সেই আশার আলো যেন নিভতে বসেছে।
বেশ কিছুদিন হলো দুরারোগ্য ব্যাধি ‘ফুসফুসে ক্যান্সারে’ আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তার উন্নত চিকিৎসা বাবদ আগামী ৭দিনে ৮লক্ষ টাকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে চিকিৎসায় ১২ লক্ষাধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে। অর্থাভাবে আক্রান্ত আনোয়ার এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

আনোয়ারের বাড়ি লারমনিরহাট জেলার নামুড়ী উপজেলার আদিতমারী গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। চলতি বছরের ১৯ মার্চ তার ফুসফুসে ক্যান্সার রোগটি শনাক্ত হয়।

সম্প্রতি ভারতের চিকিৎসক থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মেডিকেল অনকোলজীর বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক দেখে জানান, ‘ অন্যান্য রিপোর্ট ঠিক থাকলেও PET CT SCAN রিপোর্টে দেখা গেছে ৩ টি lymphnodes আবারো ফিরে এসেছে যা এখন সক্রিয় আছে ও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তিনি কোন ধরণের চিকিৎসা না করে পুনরায় সেখানে যাবার পরামর্শ দেন।

ভারতের চিকিৎসক ডা. আরাতি নারায়নানের বরাত দিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে অন্য ডাক্তারদের সাথে রিপোর্ট পর্যালোচনা করে জানান- আমার MUCOEPIDERMOID CARCINOMA বা ফুসফুসের ক্যান্সার একবারেই rare disease হওয়ায় প্রথমে কেমোথেরাপি/স্পেশাল কোন ট্যাবলেট দিয়ে কিছু হবে না। তাই প্রথমে রেডিওথেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

চিকিৎসায় যে রেডিওথেরাপি দেয়া হবে এর নাম হলো IMRT। এটি একটানা ৬ সপ্তাহ প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে দিতে হবে।৬ সপ্তাহে রেডিওথেরাপিতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। ৬ সপ্তাহ রেডিওথেরাপি শেষে সিটি স্ক্যান টেস্ট করবে। তারপর কেমোথেরাপি দেওয়া হবে। একটা করে কেমোথেরাপিতে খরচ হবে প্রায় ৩৫ হাজার রুপি।

এ পর্যন্ত চিকিৎসায় বাবদ ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান আনোয়ার। এই মুহুর্তে আবারও তার চিকিৎসার জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজন প্রায় আট লক্ষ টাকা। যার একাংশও জোগার করারা সামর্থ্য তার পরিবারের নেই।

যে কারণে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের সহায়তা চেয়েছে আনোয়ার।

যোগাযোগ-
আনোয়ারুল ইসলাম
০১৭৯৬০৩৭৭৫০

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
বিকাশঃ ০১৭৯২০০৮৮৬৯(পার্সোনাল)
রকেটঃ ০১৭৯৬০৩৭৭৫০(পার্সোনাল)
নগদঃ ০১৮৭১৪৪৯৯৭৪(পার্সোনাল)