গোলাম সারোয়ারের ওপর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদ রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির

 

রাবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিনিউজ বিডি এবং সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারের ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে (৩ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি আরাফাত রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রিজভী আহমেদ এক যৌথ বিবৃতি এসব তথ্য জানান।
যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘উদ্ধার হওয়ার পর সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারের স্বীকারোক্তি থেকে সহজেই বোঝা যায়, সংবাদ প্রকাশের জেরেই তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে বরাবরই গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। কিন্তু হামলা, নির্যাতন করে সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’

‘আমরা লক্ষ্য করেছি, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৬৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন, হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের পাঁয়তারা বলে মনে করছি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারসহ সকল সাংবাদিকের জন্য নির্বিঘ্নে কাজ পরিচালনা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’ এসময় গোলাম সারোয়ারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ অক্টোবর নিজ বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন চট্টগ্রামের স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিটিনিউজ বিডি এবং সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার।

তিনদিন নিখোঁজ থাকার পরে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের বড়কুমিরা গরুর বাজার এলাকায় খালের পাড়ে তাকে পাওয়া যায়। স্থানীয় কয়েকজন জানান, উদ্ধারের সময় গোলাম সরোয়ার বলতে থাকেন, ‘ভাই, আমারে মাইরেন না। আমি আর নিউজ করব না’।

 

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের গুণগত মান নিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের শঙ্কা

 

রাবি প্রতিনিধি

ঢাবি, জাবি এবং জবির পরেই প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল পেলো রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। তবে ই-মেইলটি নিজ নামের পরিবর্তে স্টুডেন্ট আইডি দিয়ে থাকায় মনঃক্ষুণ্ন শিক্ষার্থীরা। নিজ নামে আইডি না হওয়ায় পরবর্তীতে ব্যবহার ক্ষেত্রে ত্রুটি, এবং হ্যাকিং সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জামান বলেন, রাবি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটি চাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল সুবিধা চালু হওয়ার মাধ্যমে। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। তবে ইমেইলটি স্টুডেন্ট আইডি দিয়ে হওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে ত্রুটি হতে পারে। সচারাচর প্রাতিষ্ঠানিক মেইলে যেই বিশেষ সুবিধাগুলো থাকে, আমাদের এই মেইলে তার সবগুলোই সংযোজিত হবে বলে আশা করছি। বিশেষ করে গিটহাব স্টুডেন্ট ডেভলপমেন্ট প্যাক এর ১২ টি সুবিধা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও মেইল এড্রেসে শিক্ষার্থীদের রোলের পাশাপাশি তাদের নাম সংযুক্তির দাবি করছি।

তারিফ হাসান মেহেদী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল সুবিধা যেটা অনেক আগে দেয়ার প্রয়োজন ছিলো। সেটা পরে পেয়েও আনন্দ লাগছে। তবে স্টুডেন্ট আইডির বদলে নাম দিয়ে কররে ভাল হতো। সচারাচর প্রতিষ্ঠানিক মেইল আইডির শেষে ‘edu’ থাকে। এটাতে না থাকায় সকল সুবিধে পাবো কি না সেই বিষয়টি নিয়ে শঙ্কায় আছি।

এছাড়াও উদ্বোধনের পর ‘রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয় পরিবার’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে এবিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ইমেইল আইডির গুণগত মান নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে- ‘ই-মেইল সুবিধাটি গুগলের জি-সুইট এর আওতায় সম্পূর্ণ ফ্রি-তে নেয়া হয়েছে। প্রায় ৪০, হাজার মেইল একই সাথে সক্রিয় রাখতে নামের পরিবর্তে স্টুডেন্ট আইডি ব্যবহার করা হয়েছে।’ তবে এক্ষেত্রে অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও অর্থ ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানিক ই-মেইলে শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হয়েও ‘নির্ভরযোগ্য ও গুণগত’ মানের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল সরবরাহ করতে পারছে কি না প্রশ্ন থেকেই যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রদানকৃত ইমেইলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে না আশা করছি। একই সময় প্রায় ৪০, হাজার মেইল সক্রিয় থাকবে তাই নাম এর থেকে স্টুডেন্ট আইডি দিয়ে করাটা সুবিধাজনক ও নির্ভরযোগ্য। এছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা মেইল পাসওয়ার্ড থাকবে, এতে করে হ্যাকিং-এর সুযোগ নেই বললেই চলে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি নিজ নামে আইডি চায় তাহলে সেটা পরবর্তীতে আমাদের কমিটির সাথে আলোচনা করে দেয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সূত্রে জানা গেছে- শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ই-মেইল আইডির জন্য আবেদন করতে পারবে। এর জন্য প্রথমে http://emailapp.ru.ac.bd-তে সাইন-আপ করতে হবে। আবেদনটির ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আবেদন ফরমে প্রদত্ত ভেরিফিকেশন ই-মেইলে লগ-ইন সম্পর্কিত তথ্য পাঠানো হবে। পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে http://mail.ru.ac.bd-তে লগ-ইন করে ই-মেইল সেবাটি ব্যবহার করা যাবে। এই সুবিধাটি ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত চালু থাকবে। তবে কারো গবেষণা বা বৃত্তির জন্য মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এর আগে রোববার বেলা ১১ টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আজিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউট পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তামণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল সেবা চালু করলো। এর ফলে সংশ্লিষ্ট সকলের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে দেশ-বিদেশে যোগাযোগসহ অন্যান্য সেবা গ্রহণ সহজতর হলো।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে সশরীরে

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সশরীরে নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । তবে কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে, ক্যাম্পাসে, নাকি নিজ শহরে পরীক্ষা হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পরিষদের ২৫২ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে নয়, সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা পরিষদে অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গণমাধ্যমকে বলেন, অনূকুল পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। যেহেতু শীতকালে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তাই নির্দিষ্টকরে পরীক্ষার সময়সূচি বলা যাচ্ছে না। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার পর এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

এছাড়া শুধু মাস্টার্স পাস করা শিক্ষার্থীরাই নয়, অনার্স পাস করা শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজে (আইবিএস) বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ এ বিষয়টি শিক্ষা পরিষদের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রাবির ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করলো বিদ্যানন্দ

 

রাবি প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়া ক্যাম্পাসের ২৮০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলো বিদ্যানন্দ রাজশাহী শাখা।
শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন মাঠে ব্যবসায়িদের মাঝে এই বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘দশ কেজি পরিমাণ প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে চাল, ডাল এবং আটা, যা অনায়াসে দশ দিন খেতে পারবে’ বলে জানান বিদ্যানন্দ রাজশাহী শাখা প্রধান মৌশুমী আক্তার।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছুৃদিন আগেই ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখলাম সেখানকার বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ।
আমাদের কাছে মনে হলো দোকান বন্ধ থাকায় তাঁরা হয়তো অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। মূলত সেই চিন্তা থেকেই আমাদের উদ্যোগ নেয়া। আমরাদের দেয়া প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় দশ দিনের খাবার দেয়া আছে। এতে কিছুটা হলেও তাঁদের উপকার হবে বলে মনে করি।

মৌশুমী আরও বলেন, আমাদের কার্যক্রম মূলত অসহায় ও দুর্যোগপ্রবণদের সহযোগিতা করা। সারাদেশে আমাদের ১১টি শাখা একই ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি, ভবিষ্যতেও থাকবে।

রাবিতে ঝুলে আছে পরীক্ষা; চাকরির আবেদন নিয়ে শঙ্কায় হাজারো শিক্ষার্থী

 

ওয়াসিফ রিয়াদ, রাবি


করোনা মহামারি জনিত সমস্যায় প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। এমতাবস্থায় অনলাইনে ক্লাস নেয়া হলেও আটকে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষা।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী চাকরিতে আবেদন করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা আটকে থাকার কারণে উভয় সংকটে পড়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে মৌখিকভাবে জানায় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও একই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) গ্রুপ খুলে এ দাবি জানায় তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, আইন, আইন ও ভূমি প্রশাসন, ইসলামিক স্টাডিজ, রসায়ন, ফার্মেসী, পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, গণিত, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্সসহ আরও বেশ কয়েকটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝুলে আছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এভাবে যদি চলেতে থাকে তাহলে আসন্ন পাবলিক সাভিস কমিশন, ব্যাংক জব, জুডিসিয়ালসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষায় আবেদন যোগ্যতা হাড়াচ্ছে তারা।
এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেকাংশে এগিয়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন।

জানতে চাইলে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাঈম মিতু বলেন, ‘আমাদের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো যদি হয়ে যেত তাহলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো। কারণ, সামনে অনেক সার্কুলার বের হবে যেখানে আমরা আবেদন করতে পারছি না। এছাড়াও আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের বিশেষ করে জুডিসিয়াল পরীক্ষাও রয়েছে। আগের পরীক্ষার ভাইবা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে।
এর কিছুদিনের মধ্যেই আবার সার্কুলার হবে। আমরা এই সুযোগগুলো থেকে বঞ্চিত হতে চাইনা।’

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চতুর্থ বর্ষের একটা পরীক্ষা বাকি থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে তারা কোন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছে না।
করোনার জন্য শিক্ষাজীবন আর চাকরি উভয় সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে তাদের।’

একই সমস্যার কথা জানিয়ে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ মাহমুদ বলেন, বিশ্বাবিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে তাদের পরীক্ষাগুলো নিতে পারে।
অন্য বিভাগের বন্ধুদের রেজাল্ট বের হলেও তারা অনেক পিছিয়ে আছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে পরীক্ষা নেয়ার বিকল্প কিছু নেই বলে মনে তিনি করেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগগুলোকে একটি রুটিনের আওতায় এনে পরীক্ষাগুলো নেয়া যেতে পারে। এতে আসন্ন সমস্যা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ০৭ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে শেষ করার ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ঘোষণা দিলেও এসবের কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করছে না কর্তৃপক্ষ। আটকে থাকা পরীক্ষা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তাঁরা।

আটকে থাকা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী বলেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলছে এসময়ে পরীক্ষা নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরকারী ঘোষণা এলেই কেবল এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। তাছাড়া, যেসব শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে সীমিত পরিসরে তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন কোন ভোগান্তির শিকার না হয়। যদি স্বাস্থবিধি মেনে তাদের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। কিছুদিন আগে আমার কাছে শিক্ষার্থীরা এই দাবি নিয়ে এসেছিলো।
আগামী ২৭ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা রয়েছে সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবার কথা। আশা করছি তারপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই তাদের পরীক্ষা শেষ হোক।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে একক ভাবে সিদ্ধন্ত নিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যদি নির্দেশনা দেয় তাহলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও আসন্ন একাডেমিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

অনলাইনে ভর্তি হতে পারবে রাবি শিক্ষার্থীরা

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সকল বর্ষের অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের ‘অনলাইন এডমিশন সিস্টেম’ পরিসেবার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি চালু করা হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সকল বর্ষের অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিজস্ব আইডি রয়েছে। সেখানে লগইন করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। যার ফলে শিক্ষার্থীকে আর ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হবে না।

 

রাবি শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল

 

রাবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক নানা দক্ষতা অর্জনে প্রতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দিতে আজ আমরা আলোচনা করেছি। আলোচনায় ই-মেইল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছি। আগামী রোববারে আমরা একটি কমিটি গঠন করব। কমিটির সদস্যদের নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ করার পরে নূন্যতম ৬ মাস এই ই-মেইল ব্যবহারের বৈধতা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল। এর আগে বেশ কিছুদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেসহ বিভিন্নভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের দাবি জানিয়ে আসছিল।

ইউজিসি’র নিকট পাঁচ শতাধিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিয়েছে রাবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে চলতি বছরের গত মার্চ মাস থেকেই । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘ মেয়াদী সেশন-জট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হচ্ছে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম ।

তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে শতভাগ নিশ্চিত করা যায় সেজন্য অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ডিভাইস কিনতে শিক্ষাঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

যার ফলশ্রুতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছিলো ইউজিসি। ইতিমধ্যে ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক অসচ্ছল প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।

সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম.এ.বারী।

অধ্যাপক এম.এ.বারী জানান, রাবি থেকে ইউজিসির কাছে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। মোট ৫১ বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউট থেকে প্রায় ৫৫০ জনের মত তালিকা দেয়া হয়েছে।

এসময় তালিকার সবাইকে সহায়তার বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন,‘এটা আমি জানি না। যাদের তালিকা দেয়া হয়েছে তারা সবাই পাবে কিনা সেটার সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। তারা যাচাই বাছাই করেই অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার ঋণ সহায়তা দিবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অবমাননা করলো রাবি উপাচার্য আবদুস সোবহান !

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শুনানি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে এ শুনানির আয়োজন করে ইউজিসি।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসির মিলনায়তনে উপাচার্যের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য শুনানিতে যাননি।

উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে ‘কর্তৃত্ববিহীন ও বেআইনি’ দাবি করে শুনানিতে যাননি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া অসুস্থতা দেখিয়ে এতে অংশ নেননি।

শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। শিক্ষকরা বলছেন, ‘শুনানিতে না যাওয়ায় যারা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন, তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো’ ।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি এ শুনানি করেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে উপাচার্য পরোক্ষভাবে সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। শুনানিতে না যাওয়ায় উপাচার্যের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। ’

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকার আদিষ্ট হয়ে ইউজিসি এ তদন্ত করেছে। অভিযোগকারীদের সব অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে।

সেক্ষেত্রে তার (উপাচার্য) উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া। কিন্তু সেটি না করে এটাকে (তদন্তের শুনানি) অবৈধ, ৭৩ এর অধ্যাদেশের কথা বলে প্রকারান্তে সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন উপাচার্য। শুনানিতে অংশ না নেওয়ার মাধ্যমে উপাচার্যের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। ’

জানা যায়, চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে দাখিল করেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ।

অভিযোগপত্রে মোট ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং উপাচার্য কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়া, এডহক ও মাস্টার রোলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি অভিযোগগুলো তদন্তে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে এ উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করেছিল।

তবে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির ডাকা গণশুনানিকে বেআইনি, আদালত অবমাননাকর ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্বের শামিল বলে উল্লেখ করে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বলছেন, ‘উপাচার্যের উচিত ছিল শুনানিতে অংশ নেওয়া। উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনের মাধমে সত্য তথ্য বেরিয়ে আসত। শুনানির পরিবর্তে সরাসরি সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিকতর মানহানিকর হতো। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, ‘ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের ভাষ্যমতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত হয়ে ইউজিসি এ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। ইউজিসির মাধ্যমে না করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তদন্ত কমিটি গঠন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তা আরও বেশি মানহানিকর হতো। ’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘উপাচার্যের শুনানিতে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। এতে করে দু’পক্ষের তথ্য উপস্থাপনের ফলে সত্য তথ্য বেরিয়ে আসত।

শুনানিতে না যাওয়ার ফলে যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন, তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো। একদিক থেকে উপাচার্যের শুনানিতে অংশ না নেওয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকেও অবমাননা করার শামিল। ’

সাবেক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিলো না গেইটম্যান!

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি গেইটম্যান। উল্টো তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইটে কর্তব্যরত গেইটম্যান ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের রিমন বানু এবং একই বিভাগের একই সেশনের জান্নাতুল ফেরদৌস।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামক ফেসবুক গ্রুপে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন রিমন। স্ট্যাটাসে তিনি সকলের পরামর্শ চান। সেখানে কয়েকজন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। ওই স্ট্যাটাসের কমেন্টে আরো কিছু শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে গেইটম্যানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আমরা দুই বান্ধবী মিলে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ক্যাম্পাসে হাঁটার উদ্দেশ্য কাজলা গেইটের দিকে যাই। গেইট এ পৌছার পরই সেখানকার কর্তব্যরত গেইটম্যান আমাদের দুজনকে ভিতরে যেতে নিষেধ করলে আমরা ফিরে আসতে উদ্যত হয়। ঠিক সে সময় কয়েকজন ছেলে-মেয়েকে বিনা বাধায় ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখে আমরা গেটম্যানকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে গেইটম্যান আমাদের সাথে চরমভাবে দুর্ব্যবহার শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে গেইটম্যানরা কয়েকজন মিলে, তাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ আমাদের নিয়ে নানান কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে ও ক্রমাগত কটুক্তির মাধ্যমে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করে।’

লিখিত বক্তব্যে গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইটে কর্তব্যরত পুলিশ ও গেইটম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্টরকে অনুরোধ জানান তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের যথাযথ শাস্তির জন্য ইতিমধ্যে মতিহার থানায় চিঠি দিয়েছি। আমি প্রাথমিকভাবে গেইটম্যানদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তবে তারা কেউ স্বীকার করেনি। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

প্রক্টর আরো বলেন, পরবর্তীতে কোনো পুলিশ সদস্য বা নিরাপত্তা প্রহরী যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান যেকোনো শিক্ষার্থীদের সাথে এমন অসদাচরণ না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।