চবিতে ৭ ঘণ্টা পর পুনরায় ভিসি ড. শিরীন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। অবসরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

পুনরায় উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।

গত ৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে জানানো হয়, শিক্ষকতা থেকে অবসরে গেলেও উপাচার্য হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

উল্লেখ, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পান ড. শিরীণ আখতার। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

বন্ধ ক্যাম্পাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার হিড়িক, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি


করোনা মহামারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও সৌন্দর্যবর্ধন,অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ নানা অজুহাতে চবিতে মহাসমারোহে গাছ কাটা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে,লকডাউনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকেই বড় গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।গত দুই দিনে প্রায় ৯টির মতো বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।এর মধ্যে ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের দক্ষিণে রেইনট্রি, কড়ই ও বাদাম গাছসহ তিনটি এবং চবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্ব পাশের পাঁচটি মেহগনি গাছ কাটা হয়। চবির বঙ্গবন্ধু উদ্যানের মাঝখানের গাছটিও কাটা হয়েছে।এছাড়াও আগে ওয়াকওয়ের নাম করে চবির জিরো পয়েন্টের মসজিদ সংলগ্ন গাছও কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্যাম্পাসের গাছ কাটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

ক্যাম্পাসের গাছকাটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও অনেকবার আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীদের দাবি কিছুতেই কর্ণপাত না করে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে।ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চবিতে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে বৃক্ষ নিধন চলেছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়েও জনশূন্য ক্যাম্পাসে আমরা আবার এই নিধন দেখতে পাচ্ছি, যেখানে সম্পদ রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে, যা অজুহাত হিসেবে খুবই দুর্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে। আমাদের সকলের দাবী, প্রশাসন যেন গাছকাটা থেকে বিরত থেকে প্রাণ প্রকৃতির সুরক্ষায় এগিয়ে আসে।

চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস ফেসবুকে লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কি টাকার অভাব এভাবে গাছ কেটে অর্থ যোগান দিতে হবে? বিশেষ কাউকে খুশী করার জন্যই কী এভাবে বৃক্ষ নিধন। তারা কি বেশী ক্ষমতাশালী মনে হয় জনশূন্য ক্যাম্পাসে গাছ খেকো শকুনগুলো কারা? মাননীয় প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা নিন বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না। না হয় আমাদের ক্যাম্পাস রক্ষার জন্য আমরা বসে থাকবো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা প্রদিপ চক্রবর্তী দুর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, এই গাছ গুলো কি অপরাধ করেছে?? গাছ ব্যবসায়ী অসাধু সিন্ডিকেটের হাত থেকে সবুজ ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

চবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতু বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের নাম করে অর্ধশত বছরের সাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এভাবে গাছ কাটলে তাতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার জন্য যে কারণ গুলো দেখাচ্ছে তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।এত পরিমাণ গাছকাটা পরিবেশের জন্য হুমকি।যত দ্রুত সম্ভব গাছকাটা বন্ধ করতে হবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হাকিম আরাফাত বলেন, ২১০০ একরে সৌন্দর্যবর্ধন ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে প্রকৃতির প্রতি বারবার যে হচ্ছে তা মূলত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেই নিধন করে যাচ্ছে, গাছখেকো একটি মহল। প্রকৃতির উপাদানের ক্ষতি না ঘটিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন করা যায়, তা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকে দেখিয়েছে। পৃথিবী যখন সবুজের জন্য কান্নায় চোখ ভাসাচ্ছে, এমন পরিবেশ বিপর্যয়ে চবি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের এরূপ কর্মকাণ্ড অত্যন্ত ঘৃণিত।আমরা চাই,বৃক্ষ নিধন বন্ধ করে এই ক্যাম্পাসকে সুষ্ঠু উপায়ে বাঁচতে দিন।সকল ধরণেরর বন ধ্বংসে জড়িতদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হোক।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আল জুবায়ের নিলয় বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন খুব গরীব হয়ে পড়েছে কি? ব্যয় নির্বাহের উৎস হিসেবে আপনাদের এত প্রাচীন গাছগুলোও কাটতে হচ্ছে যে?গাছ চবিতে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে লাগানো হয় নাই। যখন তখন গাছ কেটে বাইরে চালান দেয়া হবে আর ছাত্ররা কিছু বলতে পারবে না তা হবে না। এর জবাবদিহি চাই৷বৃক্ষনিধনের বিচার চাই।

প্রশাসনের বক্তব্য

এবিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসান দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে বলেন, “গাছ যা কাটা হচ্ছে সেগুলো পারমিশন নিয়ে প্রপারওয়েতে কাটা হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রক্রিয়ায় গাছ কাটে এগুলা সেভাবেই কাটা হচ্ছে।’’

হঠাৎ এই গাছকাটা কেন এই প্রশ্নের উত্তরে চবি রেজিস্ট্রার বলেন, “হঠাৎ না, যে গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ,ঝড়ে পড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে সেগুলোই কাটা হচ্ছে।ঝড়ের সিজন আসছে।’’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গার্ডেন ইনচার্জ ড. শেখ বগতিয়ার উদ্দীন বলেন, “দুদিনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯টি গাছ কাটা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ, বাগান তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং সৌন্দর্যহানির কারণে কিছু গাছ কাটতে ব্যবসাপ্রশাসন অনুষদ ও ল্যাবরেটরি কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। আমরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা কাটার অনুমতি দিয়েছি।’’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত

চবি প্রতিনিধি: যথাযোগ্য মর্যাদা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার (১৭মার্চ) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পুস্পস্তবক অপর্ণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে চবি উপাচার্য বলেন, ‘সর্বকালের সফল নেতা, বাঙালি জাতির পথ প্রদর্শক, মহান স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতাই নন; তিনি বিশ্বনেতা শেখ মুজিব। তিনি মা, মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাঙালি জাতিকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করতে চাইলে তাঁকে নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও গবেষণাধর্মী লেখা, বই, প্রবন্ধ রচনার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রসারিত হৃদয়ে মানুষকে ভালোবাসতে হবে।’

চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস. এম. মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জনাব প্রণব মিত্র চৌধুরী এবং চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।এসময় চবির শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ সহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে চবি প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।

এছাড়াও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।পাশাপাশি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

এক দিনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহিবুল আজিজ!

চবি প্রতিনিধি: অবসর গ্রহণ করার পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য থাকছেন চবির বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

এদিকে ড. শিরীণ আখতারের বর্তমান চাকরির বয়সপূর্তিতে অবসর গ্রহণের দিন (২৯এপ্রিল) এক দিনের জন্য উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ।

মঙ্গলবার (৯মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ সচিব মোঃ নুর-ই-আলম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আদেশে বলা হয়, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে তার মূল কর্মস্থল বাংলা বিভাগে প্রত্যাবর্তনপূর্বক একই দিন অপরাহ্নে ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদানের অনুমতি প্রদান করা হলো।”

উক্ত আদেশে শিরীণ আখতারের অনুপস্থিতিতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মোহাম্মদ মহীবুল আজিজকে নিজ দ্বায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।

উল্লেখ্য,প্রফেসর ড.শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য। ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৯৬ সাল চবির বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে চবিতে তার কর্মজীবন শুরু হয়। পদোন্নতির মাধ্যমে ২০০৬ সাল থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

চবি : প্রক্টরের কার্যালয়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীকে মারধর!

 

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) চলমান পরীক্ষার স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের জন্য স্মারকলিপি দেওয়ার সময় মারধরের শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার(২৫ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১.৪৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কার্যালয়ের মধ্যেই এঘটনা করে।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাবকে মারধর করেন চবি ছাত্রলীগ কর্মী মুজাহিদুল চৌধুরী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাব ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।মুজাহিদ চৌধুরী সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।মুজাহিদ চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের অনুসারী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিহাব বলেন, একটা কল আসায় মোবাইল ফোন বের করেছিলাম। তখন মোবাইল বের করেছি কেন জানতে আমাকে ‘ঘুষি’ দেওয়া হয়।তার সাথে আমার আগে থেকে কোন পরিচয় নেই। তবে পরে ছাত্রলীগ নেতারা বলেছে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রক্টর স্যার তাকে চিহ্নিত করছেন।তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টা তিনি দেখবেন।

এবিষয়ে চবি প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভুইঁয়া বলেন, “আমি অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সময় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি ঘটে।সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।ছেলেটির নামে আগেও অনেক অভিযোগ আছে।’’

মুজাহিদ চৌধুরী মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সেখানে জনসমাগমের কারণে হয়তো ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে আমি এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করিনি।

চবি ছাত্রীকে হয়রানির দায়ে স্থানীয় যুবক আটক

 

চবি প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে অশালীন ইঙ্গিতে যৌন হয়রানির ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার(২৩ফেব্রুআরি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রাম থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।আটক যুবকের নাম মোহাম্মদ খোরশেদ আলম প্রকাশ ‘আলম (১৯)’। তিনি একটি সিগারেট কোম্পানিতে নৈশপ্রহরীর চাকুরি করেন। তার বাড়ি জোবরা পশ্চিম পাড়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডে।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পসের মধ্যেই যৌন হয়রানির শিকার হন এক আদিবাসী ছাত্রী।বাজার থেকে ফেরার পথে অশ্লীল কথা ও ইঙ্গিতের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে স্থানীয় এক যুবক।

বিষয়টি নিয়ে দ্য ক্যাম্পাস টুডেতে ‘অশ্লীল ইঙ্গিতে চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযুক্তকে খুঁজতে স্থানীয় প্রশাসন ও হাটহাজারী থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে ছাত্রলীগের মানববন্ধন

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “চবিতে ইভটিজিং এর ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।পরবর্তীকালে, আমরা প্রক্টোরিয়াল বডি ও ভিক্টিম মেয়েটিসহ হাটহাজারী থানাতে যাই।মেয়েটি দেখে সেদিনের সে বখাটে ছেলেটিকে সনাক্ত করে।’’

এবিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের দায়ে আমরা একজনকে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’

প্রসঙ্গত,চবি ক্যাম্পাসে ছাত্রী হয়রানির ঘটনায় ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে পরদিন দুপুরে(১৭ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায় চবি ছাত্রলীগ।

চবি:পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে,প্রজ্ঞাপন হাতে পেলেই বিজ্ঞপ্তি

 

চবি প্রতিনিধি


সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার আগে পরীক্ষা না নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সাথে একমত পোষণ করবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) প্রশাসন।ফলে চলমান অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষা স্থগিত হতে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার(২২ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চবি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান পরীক্ষার ব্যাপারে দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে বলেন, “আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত মানবো,মেনে চলবো।যেহেতু ছাত্রদের অভিযোগ, তারা হলে থাকতে পারছে না,আন্দোলন করছে,এখন তাহলে পরীক্ষা স্থগিত করা ছাড়া উপায় নেই।’’

চবি রেজিস্ট্রার বলেন, “আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিব।’’

পরীক্ষার জন্য যারা মেসে বা কটেজে থাকছে তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, “ছাত্ররা যদি হল খোলার জন্য আন্দোলন করে,তাহলে তো হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।এক্ষেত্রে হলে খোলার ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’’

এর আগে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী এক প্রেস বিফিং-এ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে ১৭ মে থেকে হল খুলে দেয়া হবে।হল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নিশ্চিত করা হবে।এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরই সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা নিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আগামী ২২জুন

চবি প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২২জুন থেকে শুরু হবে।

সোমবার(২২ ফেব্রুয়ারি ) চবি ডিনস কমিটির জরুরি সভায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক(সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগামী ২২জুন থেকে ২৪জুন,২৮জুন থেকে ১জুলাই এবং ৫জুলাই থেকে ৮জুলাই ২০২১ তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.এস এম মনিরুল হাসান দ্য ক্যাম্পাস টুডে’কে বলেন, “ডিনস কমিটির সভায় আমরা ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছি।ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তি পরীক্ষার স্থানসহ বাকি সব বিষয় ‘ভর্তি পরীক্ষা কমিটি’র মিটিংএ চুড়ান্তভাবে নেওয়া হবে।এটি প্রথমিক সিদ্ধান্ত।’’

এবিষয়ে চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস.এম সালামত উল্ল্যা ভূঁইয়া দ্য ক্যাম্পস টুডে’কে বলেন, “আজকে শুধু ভর্তি পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।আগামী ২৪জুলাই তারিখের মিটিং এ বাকি বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত বছর ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ-ইউনিটে চবিতে ভর্তি কার্যক্রম হয়েছিল। ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন।গতবছর প্রতি আসনে আবেদন করেছিলেন ৫২ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ আছে ৯টি, বিভাগ ৪৮টি ও ইনস্টিটিউট রয়েছে ৬টি।

 

চবির সাবেক কর্মচারীর মৃত্যুকে রহস্যজনক সন্দেহ করে ছাত্রলীগের ৫ দফা

চবি টুডে


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) সাবেক কর্মচারী মুহাম্মদ আবুল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুকে রহস্যজনক সন্দেহ করে তদন্তের দাবি জানিয়ে চবি কর্তৃপক্ষকে ৫দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে চবি ছাত্রলীগ।

সোমবার(১৫ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চবি উপচার্য বরাবর এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।উপাচার্যের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন চবি প্রক্টর ড.রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

চবি ছাত্রলীগ থেকে বলা হয়,গত ৯ফেব্রুয়ারি সাবেক কর্মচারী মুহাম্মদ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা ও আমানত হলের কর্মকর্তা কামরুল আলম রাশেদের বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে কর্মরত ছিল।সেখানে কাজ করতে গিয়েই তার আকস্মিক মৃত্যু ঘটে।মৃত্যু পরবর্তীকালে চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ অফিসার সমিতির কার্যালয়ে মৃত হোসেনের পরিবারকে ডেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগ জাবেদকে হস্তক্ষেপের কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি সদুত্তর করতে ব্যর্থ হন।তাই চবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়।

ছাত্রলীগের দাবীসমূহ হলো- হোসেনের মৃত্যু তদন্ত করা,তার পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করা, তার পরিবারের একজন সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা, অফিসার সমিতির সভাপতি জাবেদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও অনৈতিক প্রস্তাবনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং কর্মকর্তা রাশেদ কর্তৃক পরিবারের দায়িত্ব ও চাকরির ব্যবস্থা করা ।

এবিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, “একজন অফিসার কখনো ব্যক্তিগত কাজে কোন কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারেন না।অফিসার রাশেদের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।তার মৃত্যুকে ধামাচাপা দেবার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে অফিসার সমিতির সভাপতি জাবেদ।তার পরিবারের দায়িত্ব রাশেদকে গ্রহণ করতে হবে।এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছি আমরা।’’

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, “কর্মকর্তা রাশেদ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো ।তার বাড়িতে কাজ করার সময় কর্মচারী হোসেনের মৃত্যু হয়।এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অফিসার সমিতির সভাপতি জাবেদ স্বপ্রনোদিত হয়ে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।যেহেতু বিষয়টি গোপনে হচ্ছিল,তারা গোপনে মিটিং করছিল,আমরা ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চাচ্ছি এটার রহস্য উন্মোচন হোক।’’

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “উপাচার্য ববাবর স্মারকলিপিটি পাঠানো হয়েছে।উনার সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

স্মারকলিপি প্রদানকালে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় – University of Chittagong

নুর নওশাদ, চবিঃ শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস হিসেবে খ্যাত দেশের সর্ববৃহৎ আয়তনের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) University of Chittagong. শহুরে যান্ত্রিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম নগরী থেকে ২২কি.মি দূরে অবস্থিত চিরসবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর তারিখে যাত্রা শুরু করে গৌরবের ৫৪টি বছর অতিক্রম করে শিক্ষার দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছে সর্বত্র ।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কি.মি. দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি ও সমতল ভূমির উপর অবস্থিত দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ । আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ (২১০০ একর বা ৮৫০ হেক্টর) ক্যাম্পাস এটি । বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯৪০ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক চিন্তা থেকে প্রায় দুই যুগ অতিক্রম করে ১৯৬৬ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয় চবি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনে তাই রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসীরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করেন।

১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মাওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াং-এ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। ২ বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন। ষাটের দশকে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ড. কুদরাত-এ-খুদা, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ড. মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারি উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে।

১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রাথমিকভাবে ১টি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, বিভাগীয় অফিস, শ্রেণিকক্ষ ও গ্রন্থাগারে জন্য একতলা ভবন তৈরি করার পাশাপাশি শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে।

মুক্তিযুদ্ধ ও আন্দোলন সংগ্রামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠা হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান পর্বততূল্য। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। পরবর্তীকালে ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে শহীদ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১জন শিক্ষার্থী, ১জন শিক্ষক, ৪জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।

উপাচার্যবৃন্দ

চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক আজিজুর রহমান মল্লিক।আজিজুর রহমান মল্লিক ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা সচিব, ভারতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত, দেশের প্রথম টেকনোক্র্যাট অর্থমন্ত্রী, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। আজিজুর রহমান মল্লিক সহ এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জন চবিতে উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হলেন বর্তমান উপাচার্য শিরীণ আখতার যিনি সম্প্রতি রোকেয়া পদকে ভূষিত হয়েছেন।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদের তালিকা ও সময়কাল:-

উপাচার্যের নাম

সময়কাল

১.অধ্যাপক আজিজুর রহমান মল্লিক, ০১-১০-১৯৬৬ থেকে ৩১-০১-১৯৭২
২.ইউ এন সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত), ২১-০৪-১৯৭১ থেকে ৩০-০১-১৯৭২
৩. অধ্যাপক এম ইন্নাস আলী, ০১-০২-১৯৭২ থেকে ১৮-০৪-১৯৭৩
৪.অধ্যাপক আবুল ফজল , ১৯-০৪-১৯৭৩ থেকে ২৭-১১-১৯৭৫
৫.অধ্যাপক আব্দুল করিম , ২৮-১১-১৯৭৫ থেকে ১৮-০৪-১৯৮১
৬.অধ্যাপক এম এ আজিজ খান, ১৯-০৪-১৯৮১ থেকে ১৮-০৪-১৯৮৫
৭.অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ১৯-০৪-১৯৮৫ থেকে ২২-০৫-১৯৮৮
৮.অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দীন, ২৩-০৫-১৯৮৮ থেকে ২৯-১২-১৯৯১
৯.অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, ৩০-১২-১৯৯১ থেকে ০৬-১১-১৯৯৬
১০. অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ০৬-১১-১৯৯৬ থেকে ১৩-০২-২০০১

১১. অধ্যাপক মোহাম্মদ ফজলী হোসেন,১৪-০২-২০০১ থেকে ০২-০২-২০০২
১২. অধ্যাপক এ জে এম নুরউদ্দীন চৌধুরী ,০২-০২-২০০২ থেকে ০২-০২-২০০৬
১৩. অধ্যাপক এম বদিউল আলম, ০৩-০২-২০০৬ ২৪-০২-২০০৯
১৪. অধ্যাপক আবু ইউসুফ আলম, ২৫-০২-২০০৯ থেকে ২৮-১১-২০১০
১৫ .অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন (ভারপ্রাপ্ত), ০৯-১২-২০১০থেকে ১৪-০৬-২০১১
১৬.অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ১৫-০৬-২০১১ থেকে ০১-০৬-২০১৫
১৭ .ডক্টর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ০২-০৬-২০১৫ থেকে ১৩-৬-২০১৯
১৮.ডক্টর শিরীণ আখতার, ৩ নভেম্বর ২০১৯ থেকে বর্তমান …

শিক্ষা কার্যক্রম

১৯৬৬ সালে চারটি বিভাগ (বংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ইতিহাস) নিয়ে যাত্রা শুরু করে চবি। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে ৯টি অনুষদ, ৪৮ টি বিভাগ, ৬টি ইন্সটিটিউট, ৫টি গবেষণা কেন্দ্র,১৩টি হল, ৯২০ জন শিক্ষক এবং প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।

অনুষদ ও বিভাগসমূহ

বাণিজ্য অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ হলো-

  • একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ
  • ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ
  • ফাইন্যান্স বিভাগ
  • মার্কেটিং বিভাগ
  • ব্যাংকিং বিভাগ
  • হিউম্যান রিসোর্স এন্ড
  • ম্যানেজমেন্ট বিভাগ

কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ হলো-

  • বাংলা বিভাগ
  • ইংরেজি বিভাগ
  • ইতিহাস বিভাগ
  • ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
  • ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
  • দর্শন বিভাগ,নাট্যকলা বিভাগ
  • আরবি বিভাগ,ফারসি বিভাগ
  • সংস্কৃত বিভাগ,পালি বিভাগ
  • বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ

বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ-

  • রসায়ন বিভাগ
  • পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
  • গণিত বিভাগ
  • পরিসংখ্যান বিভাগ
  • ফলিত ও পরিবেশ রসায়ন

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ-

  • কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
  • ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগ
  • ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

জীব বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ-

  • উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
    প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
  • মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
  • প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ
  • ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ
  • মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
  • জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজী বিভাগ
  • মনোবিজ্ঞান বিভাগ
  • ফার্মেসী বিভাগ

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন বিভাগসমূহ হলো-

  • যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
  • অর্থনীতি বিভাগ
  • রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ
  • সমাজতত্ত্ব বিভাগ
  • লোক প্রশাসন বিভাগ
  • নৃবিজ্ঞান বিভাগ
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
  • ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ
  • ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিস সাইন্স বিভাগ

আইন অনুষদের আওতাধীন আইন বিভাগ।

ইন্সটিটিউট

ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ এর অন্তর্ভুক্ত বিভাগসমূহ হলো-

  • মেরিন সায়েন্স বিভাগ
  • ফিশারিজ বিভাগ
  • ওশানোগ্রাফী বিভাগ

ইন্সটিটিউট অব ফরেষ্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর অন্তর্ভুক্ত বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।

চারুকলা ইন্সটিটিউট এর আওতাধীন চারুকলা বিভাগ।

আধুনিক ভাষা বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট আওতাধীন ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব।

ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ এর আওতাধীন শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগ।

আবাসিক হলসমূহ

১৩টি হলের মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৮টি,ছাত্রীদের জন্য ৫টি হল রয়েছে। ছাত্রদের হলগুলো হলো, আলাওল হল, স্যার এ এফ রহমান হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শাহজালাল হল,শাহ আমানত হল, শহীদ আব্দুর রব হল, মাস্টার দা সূর্যসেন হল।

ছাত্রীদের হলগুলো হলো, প্রীতিলতা হল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল, জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, শামসুন নাহার। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর হল এবং ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নির্মাণাধীন রয়েছে। হলগুলোতে আবাসন সংখ্যা চার হাজার ৯০০টি। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হোস্টেলও আছে।

গ্রন্থাগার

চবি গ্রন্থাগার চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ও দেশের সর্ববৃহৎ গ্রস্থাগারগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনের সাথে এই গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৩০০ বই নিয়ে। বর্তমানে ৫৬,৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকা জুড়ে বিস্তৃত তিন তলা বিশিষ্ট এই গ্রন্থাগারে বর্তমান সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় ৩.৫ লক্ষ যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও-ভিজুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি এবং অন্ধদের জন্য ব্রেইল বই। এটি বাংলাদেশের একটি প্রধান গবেষণা গ্রন্থাগার, যেখানে বিভিন্ন ভাষায় ও বিন্যাসে মুদ্রিত এবং ডিজিটাল সংস্করণে: বই, পাণ্ডুলিপি, সাময়িকী, সংবাদপত্র, পত্রিকা, উপাত্ত, গবেষণা, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল, মানচিত্র সহ বিভিন্ন সংগ্রহ রয়েছে।

জাদুঘর

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই রয়েছে নিজস্ব জাদুঘর।১৯৭৩ সালে জাদুঘরটি কার্যক্রম শুরু করে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে পাঁচটি গ্যালারিতে বিভক্ত এই জাদুঘর রয়েছে, প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি, লোকশিল্প গ্যালারি এবং সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি।জাদুঘরের মূল কক্ষের প্রবেশ পথে রয়েছে দ্বাদশ শতকের একটি প্রাচীন শিলালিপি।

এখানে অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির চিত্র ফলক, বৌদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০-১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র-শস্ত্র, বিভিন্ন রকম মুদ্রা, প্রাচীন বই, বাদ্যযন্ত্র, আদিবাসীদের বিভিন্ন নিদর্শন, চিনামাটির পাত্র ইত্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে।এছাড়াও রয়েছে, দেশের খ্যাতিমান চিত্রকরদের পেইন্টিংস, প্রাচীনকালের চিত্রকর্ম, জীবাশ্ম, কাঠের মূর্তি, পোড়ামাটির মূর্তি, মোঘল আমলের কামান, স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা, হস্তলিখিত কুরআন, মধ্যযুগীয় অস্ত্র, প্রাচীন মসজিদের ও তাদের ধ্বংসাবশেষের ছবি। জাদুঘরটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে সকল দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকে।

কেন্দ্রীয় জাদুঘর ছাড়াও চবিতে রয়েছে আরও দুইটি জাদুঘর। যার মধ্যে একটি প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর অন্যটি সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর। প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পাঠক্রমের সমর্থনে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিত হয়।এই জাদুঘরে প্রায় ৫৪০ টি নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। হাঙ্গর থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক মাছ, আজব বাণাকেল, অক্টোপাস, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ সহ রয়েছে অসংখ্য বিস্ময়কর জৈববৈচিত্রের সংরক্ষণে গড়ে তুলা হয়েছে চবির সমুদ্র বিজ্ঞান জাদুঘর। এটি সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের একটি কক্ষে স্থাপিত হয়।

যাতায়াত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন যেটি শিক্ষার্থী ও সবার কাছে শাটল ট্রেন হিসেবে পরিচিত। দুইটি শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন শহর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ৯বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে যাওয়া আসা করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলা ফেলার জন্য আছে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা।বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস এবং মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা।

জীব বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

অনন্য সৌন্দর্যের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জীব বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও অন্যতম।দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে বোটানিক্যাল গার্ডেন, হেলিপ্যাড,কলা ফ্যাকাল্টি পেছনের ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ, চালন্দা গিরিপথ, জীববিজ্ঞান অনুষদ পুকুর, প্যাগোডা, স্লুইচ গেট, ভিসি হিল, টেলিটক হিল, হতাশার মোড়, দোলা সরণী, ফরেস্ট্রি ও বিশাল সেন্ট্রাল ফিল্ড।জীব বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে মায়া হরিণ,সজারু,নান রঙের পাখি,বিভিন্ন প্রজাতির সাপ সহ রয়েছে অনেক প্রজাতির প্রাণী।

আরও রয়েছে জয় বাংলা ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল, স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ, মাস্টার দা সূর্যসেন স্মৃতিস্তম্ভ, বঙ্গবন্ধু চত্বর।

স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক, ১১ জন ছাত্র এবং ৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সর্বমোট ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ আর বীরত্বের স্মৃতিস্বরূপ নির্মিত হয়েছে স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ।এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে অবস্থিত।চবি চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ সাইফুল কবীর এটির স্থপতি।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়।কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের অপর পার্শ্বে স্তম্ভটির অবস্থান যেটি বুদ্ধিজীবী চত্বর নামে পরিচিত। প্রথিতযশা শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভের নকশা প্রণয়ন করেন।১৯৮৫ সালে ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয়।

শহিদ মিনার

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের বিপরীত পাশে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার অবস্থিত। এটি ১৯৯৩ সালে স্থাপন করা হয়।এর নকশা প্রণয়ন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ও ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।ত্রিভুজাকৃতির তিনটি মিনারের চূড়ায় রয়েছে একটি শাপলা ফুলের কলি।

স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে ‘স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল’ ভাস্কর্যটির অবস্থান।ভাস্কর্যটিতে ৪টি পাখির প্রতীকী নির্মাণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালির ছয় দফা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রমধারা এবং পাখির ডানায় ২১টি পাথরের টুকরায় লিপিবদ্ধ হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সমৃতি। ভাস্কর্টির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার ওপর।এটি নকশা প্রণয়ন করেছেন চবি চারুকলা শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল কবীর।

জয় বাংলা

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে নির্মিত হয় জয় বাংলা ভাস্কর্য।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ভাস্কর্যের দুটি স্তরের, উপরের অংশে রয়েছে চামড়া সংযুক্ত তিনজন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব; যাাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। নিচের অংশে ব্যবহৃত ২০টি মানব অবয়বের মধ্যে রয়েছে রয়েছে দুজন পাহাড়ি-বাঙালির অবয়ব, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ও বাঙালিদের অংশগ্রহণ তুলে ধরা হয়েছে। বেদি থেকে প্রায় ১৮ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটির প্রস্থ প্রায় ২০ ফুট।সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহানের নকশাকৃত ভাস্কর্যটির নির্মাণ করতে সময় লাগে ৯মাস।

ঝুপড়ি ও ক্যাফেটেরিয়া

আড্ডা,জ্ঞানচর্চা,গানবাজনা,রাজনীতির অন্যতম জায়গা চবি ঝুপড়ি।ঝুপড়িগুলোকে ঘিরেই সারগম থাকে চবি ক্যাম্পাস।ঝুপড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুপড়ি কলা ফ্যাকাল্টির ঝুপড়ি।এছাড়াও রয়েছে মেরিন সাইন্স ঝুপড়ি,সোশ্যাল সাইন্স ঝুপড়ি,লেডিস ঝুপড়ি।ঝুপড়ির গান ও আড্ডাকে ঘিরে হাজারো স্মৃতি তৈরি হয় শিক্ষার্থীদের।ঝুপড়িতে পাওয়া যায় হরেক রকম ভর্তা,সামুদ্রিক মাছ,খিচুড়িসহ সকাল বিকালের নাস্তা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। যার মধ্যে চাকসু ক্যাফেটেরিয়া,আইটি ক্যাফেটেরিয়া,সোশ্যাল সাইন্স ক্যাফেটেরিয়া ও বিবিএ ক্যাফেটেরিয়া অন্যতম। এছাড়াও শিক্ষদের জন্য আলাদ শিক্ষক লাউঞ্জ রয়েছে।হলগুলোতও রয়েছে ক্যান্টিন।হলে ২০টাকা মূল্যে প্রতিবেলার খাবার পাওয়া যায়।

মেডিক্যাল ও জিমনেশিয়াম

চবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জরুরি ও দৈনন্দিন চিকিৎসার জন্য রয়েছে আলাদা মেডিকেল সেন্টার।সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এখানে ১১জন চিকিৎসক নিয়মিত চিকিৎসা দেন।কাউন্সিলিং এর জন্য আছে মনোবিদ। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনের জন্য সার্বক্ষণিক ৪টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে শহীদ শেখ কামাল নামে একটি জিমনেশিয়াম। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সুযোগ রয়েছে।এছাড়া খেলাধুলার জন্য আছে কেন্দ্রীয় বিশাল খেলার মাঠ যেটি জিমনেশিয়ামের পাশেই অবস্থিত।

অন্যান্য সংগঠন-

বিতর্ক চর্চার জন্য চবিতে আছে দুইটি বিতর্ক সংগঠন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি এবং অন্যটি হচ্ছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ডিবেট।

সংস্কৃতি চর্চার জন্য আছে উত্তরায়ণ, অঙ্গন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ। দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের জন্য আছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি এডভেঞ্চারস ক্লাব। লিডারশীপ শেখার জন্য আছে ‘ছায়া জাতিসংঘ’ চিটাগং ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশন।সাংবাদিকতার জন্য আছে সাংবাদিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

সিনেমা প্রেমীদের জন্য আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ। সাহিত্য চর্চা ও আলোচনার জন্য আছে প্রতীতি, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি লিটেরাচার সোসাইটি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আছে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ। উচ্চ শিক্ষায় সহায়তার জন্য আছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি।

আরও আছে প্রথম আলো বন্ধুসভা,কালের কন্ঠ শুভসংঘ, এগারোজন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র,বইয়ের ফেরিওয়ালা-চবি, চবি হিস্ট্রি ক্লাব সহ আরও বেশ কিছু সংগঠন। এছাড়াও প্রত্যেক অঞ্চলভিত্তিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা আঞ্চলিক ফোরাম বা এসোসিয়েশন।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তনী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্তনদের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছে জামাল নজরুল ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, বিশ্বতত্ত্ববিদ), সবচেয়ে কম বয়সে ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে বিশ্বস্বীকৃতি পাওয়া বিজ্ঞানী সাজীদ আলী হাওলাদার,আলাউদ্দিন আল আজাদ (ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার,গবেষক), আনিসুজ্জামান (শিক্ষাবিদ ও লেখক; প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ), ড.মুহাম্মদ ইউনূস (অর্থনীতিবিদ, ২০০৬ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী),সৈয়দ আলী আহসান (জাতীয় অধ্যাপক), ড.আব্দুল করিম (প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য), দেবদাস চক্রবর্তী (চিত্রশিল্পী), জনপ্রিয় রকস্টার আইয়ুব বাচ্চু (এলআরবি ব্যান্ড),ময়ুখ চৌধুরী (কবি, গবেষক, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ), মুর্তজা বশীর(চিত্রশিল্পী), মাহফুজা খাতুন শিলা (এসএ গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী ক্রীড়াবিদ), আবুল মোমেন (একুশে পদক বিজয়ী সাহিত্যিক, কলামিস্ট), ভূইয়া মো. মনোয়ার কবির (বিশিষ্ট পররাষ্ট্র ও সীমান্ত সমস্যা গবেষক, রাষ্টবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, প্রতিষ্ঠাতা: সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিজ), অনুপম সেন(সমাজবিজ্ঞানী, লেখক এবং দার্শনিক), সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ(ভাস্কর, অপরাজেয় বাংলার নির্মাতা), হুমায়ুন আজাদ(কবি, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী; প্রাক্তন অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ), মনজুরুল কিবরিয়া(হালদা নদী গবেষক), আজিজ আহমেদ(সেনাপ্রধান), আবুল হোসেন (জেনারেল, বিজিবি প্রধান), শফিউল আলম(মন্ত্রিপরিষদ সচিব), মোমিনুর রশিদ আমিন (অতিরিক্ত সচিব,শিক্ষা মন্ত্রণালয়), ফজলে কবির (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর), আনিসুল হক (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র), মোহাম্মদ আবদুল মোবারক (নির্বাচন কমিশনার), মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক), রাজিয়া বেগম(বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক), সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং ২১-তম প্রধান বিচারপতি), বিমল গুহ (কবি), হরিশংকর জলদাস (ওপন্যাসিক), মাহবুবুল হক (প্রবন্ধকার), আলতাফ হোসেন (কবি), মহিবুল আজীজ (কথাসাহিত্যিক), ময়ুখ চৌধুরী (কবি), বিখ্যাত চিত্রশিল্পী উত্তম সেন (একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী), উত্তম গুহ (৭ বার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক ), জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ,পার্থ বড়ুয়া (সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা), নকীব খান(রেঁনেসা ব্যান্ড), বাপ্পা মজুমদার (দলছুট), এস.আই.টুটুল (সঙ্গীত শিল্পী), মোশারফ হোসেন শরিফ (ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী) ,বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী মাসুম আজিজ, চিত্রলেখা গুহ, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর ,হাসান মাসুদ,সোহেল খান, জিয়াউল হাসান কিসলু সহ আরও অনেক জ্ঞানি গুণীজন।

করোনাকালেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ল্যাবে করোনা পরীক্ষা ও গবেষণা করে চলছে।ইতোমধ্যে প্লাজমা থেরাপি কার্যকারিতা,করোনা জিনোমসিকোয়েন্স উন্মোচন সহ বেশকিছু গবেষণাকার্য সকলের সামনে উপস্থাপন করেছেম চবির গবেষকরা। চট্টগ্রামে করোনা নিয়ে গবেষণাধর্মী ২৫টি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

দেশের অন্যতম বিদ্যায়তন চবি জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্নের গন্তব্য। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ ইউনিটে চবিতে পরীক্ষা দিতে হয়।গতবছর ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। প্রতি আসনে আবেদন করেছিলেন ৫২ জন শিক্ষার্থী।

এই প্রতিবেদনটি সাজিয়েছেন দ্য ক্যাম্পাস টুডের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুর নওশাদ এবং ছবিগুলো তুলেছেন হুসাইন তন্ময়, শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।