আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে বশেমুরবিপ্রবিতে অনলাইন ক্লাস শুরু : উপাচার্য

 

সাগর দে


প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যান, ডিনদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আগামী( ১৮ অক্টোবর) রবিবার থেকে সকল বিভাগের অনলাইন ক্লাস শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই সকল বিভাগে অনলাইন ক্লাসের জন্য নোটিশ পাঠানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বল্প মূল্যে ডাটা বা বিনা সুদে স্মার্টফোন দেওয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে চাইলেই দ্রুত কিছু করা সম্ভব না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন তারা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবো। তবে তাদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকলে তো চলবে না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে এই অনলাইন ক্লাস নিয়মিত হবে বলে আশা করি।

এসময় অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হয় তবে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস শুরু হলে অনুপস্থিতির সংখ্যা কমে যাবে বলে আশা করি।

এর আগে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছিলো বশেমুরবিপ্রবি। ক্লাসগুলোতে প্রথমদিকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার ৫০-৬০ শতাংশ থাকলেও এক পর্যায়ে সেটি ১০-২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসে। এর ফলে তিন থেকে চারটি বিভাগ ব্যতিত প্রায় সকল বিভাগই অনলাইন ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দেয়।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ডিভাইস সংকট, আর্থিক সক্ষমতা না থাকা, নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং নির্দিষ্ট ক্লাস রুটিন ও শিক্ষা পরিকল্পনার অভাবেই অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষার্থীরা মনে করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বশেমুরবিপ্রবিও যদি শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করে তাহলে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে।

গণধর্ষণের হুমকি পাওয়া বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী’র থানায় জিডি

গোপালগঞ্জ টুডে


সারাদেশে ধর্ষণ এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় গণধর্ষণের হুমকি পাওয়া গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আলিফ লায়লা থানায় জিডি করেছেন।

আলিফ লায়লা (আজ বুধবার) মাগুরা সদর থানায় জিডি করেছেন বলে মুঠোফোনে দ্যা ক্যাম্পাস টুডেকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, হুমকিদাতা হাসান আল মামুন ফেসবুকের মেসেঞ্জারে আলিফ লায়লাকে (সোমবার) আনুমানিক রাত ১ টার দিকে এ হুমকি প্রদান করেছেন।এসময় নিজেকে মাগুরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।

 

ধর্ষণের বিরুদ্ধে পোস্ট, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি

 

গোপালগঞ্জ টুডে


সারাদেশে ধর্ষণ এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় গণধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। হুমকিদাতা হাসান আল মামুন নিজেকে মাগুরা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আলিফ লাইলা বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নন। দেশে একের পর এক হওয়া ধর্ষণের ঘটনা এবং বিচারহীনতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু এসকল পোস্টের জেরেই তাকেসহ তার মা এবং দুই বোনকে ধর্ষনের হুমকি দেয়া হয়েছে।

হুমকি প্রদানকারী ফেসবুকের মেসেঞ্জারে আলিফ লায়লাকে (সোমবার) আনুমানিক রাত ১ টার দিকে এ হুমকি প্রদান করেছেন।

হুমকি প্রদানকারী মামুন দাবি করেন তাদের হাজার হাজার কর্মী বাহিনী রয়েছে এবং আলিফ লায়লার ক্ষতি করতে তাদের ১ সেকেন্ড প্রয়োজন। এসময় হুমকি প্রদানকারী নিজেকে “মুক্তা ভাই” নামে একজনের কর্মী হিসেবে দাবি করেন এবং বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বলেন, রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় অনেকেই তাকে চেনে, তার নাম জানে কিন্তু তিনি হয়ত তাদের সবাইকে চেনেন না। হতে পারে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ তার নাম ব্যবহার করেছে। তবে তিনি বিষয়টি জানার পরেই এই ফেসবুক আইডির বিষয়ে থানায় জিডি করেছেন এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, “একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি মনে করি ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে যেহেতু আমাদের নাম জড়ানো হয়েছে তাই আমি চাই এই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে জানা হোক প্রকৃতপক্ষেই আমরা জড়িত কিনা এবং এধরণের ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এছাড়া বশেমুরবিপ্রবির একজন শিক্ষার্থী হিসেবে চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবো। সে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ল সেল এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল সমন্বিতভাবে কাজ করবো এবং বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এ ঘটনা মাগুরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। তবে তিনি লিখিত অভিযোগ না নিয়ে পরে কোনো সমস্যা হলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া আলিফ লায়লা জানিয়েছে আগামীকাল তিনি এ ঘটনায় জিডি করবেন।

ডিপ্রেশন থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী’র

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিস বিভাগের শিক্ষার্থী মনীষা হীরা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ সকালে গোপালগঞ্জের সবুজবাগে তাদের ভাড়া বাসার কক্ষে মনীষার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় তার বাবা-মা।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ডিপ্রেশন থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে আগামী মাসের ২ তারিখে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।

আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শেখ আশিকুররহমান প্রিন্স বলেন, “আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়ার পর পরই আমাদের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। কি ঘটেছে কিংবা কেনো আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না তবে আমাদের এই শিক্ষার্থী আগে থেকেই কিছুটা ডিপ্রেসড ছিলো। হতে পারে ডিপ্রেশন থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে।”

জানা যায়, মৃত মনীষার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানায়।

এদিকে মনীষার মৃত্যুতে তার পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বশেমুরবিপ্রবি: ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন

সাগর দে

সারাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এখন শুধু ধর্ষণ এক কথায় টক অফ দ্যা ক্যান্ট্রি। তবে নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে মহিলাকে পাশবিক নির্যাতনের পর বর্তমানে বহুল আলোচিত বিষয় এখন ধর্ষণ। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সোচ্চার সচেতন সমাজ, শিক্ষক সমাজের পাশাপাশি ছাত্র সমাজ।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল ভিডিও, স্কুল শিক্ষক, পিতা কর্তৃক মেয়ে , মাদ্রাসা শিক্ষক, গীর্জার গড ফাদার, মসজিদের ইমাম কর্তৃক ধর্ষণ, একে একে প্রতিদিন বেড়িয়ে আসছে এসব চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের খবর।

এসকল নরপিশাচ ধর্ষক যা ৭১ এর গণধর্ষণকেও হার মানায়। আর এসকল নরপিশাচদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চোখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমার মা বোনের স্বাধীন রাষ্ট্রে নিরাপদ নয়। তাহলে এ লজ্জা আমরা কোথায় লুকাবো? যেখানে দেশের ডিজিটাল আইন সহ সকল আইন সংশোধন হচ্ছে সেখানে ধর্ষণের আইন কেন সংশোধন হবে না বলে প্রশ্ন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এখানে মানববন্ধন করছি নিজের বা সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে নয়। নিজের মা বোনদের সুরক্ষায় এ মানববন্ধন। এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইন প্রনয়ণকারী তাদের সকলের কাছে ধর্ষক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বিধান রেখে আইন পাশের আহ্বান জানান।

এসময় মানববন্ধনে তারা ৭ দফা দাবি দেন। দাবি সমূহ হলো –

১. ধর্ষণ আইন পুনঃবিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা।
২. ধর্ষণজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া তৈরি করা।

৩. ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
৪. জেলায় জেলায় ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা।

৫. নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন।
৬. পূর্ববর্তী সকল ধর্ষণ মামলার রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা।
৭. দলীয় মদদে কোন ধর্ষণকে বা কোন অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১০ মাস পর ডাক্তার পেলো বশেমুরবিপ্রবি

গোপালগঞ্জ টুডে

দীর্ঘ দশ মাস পর অবশেষে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ডা. অভিষেক বিশ্বাসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব রবিবার বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক লাইভে জানান তিনি চেষ্টা করবেন ভবিষ্যতে আরও একজন চিকিৎসককে নিয়োগ প্রদান করতে।

এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বশেমুরবিপ্রবির দুজন চিকিৎসক ই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসক শূণ্য ছিলো বশেমুরবিপ্রবির একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটি।

কমবে আসন সংখ্যা, থাকবে না ভিসি কোটা: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় আসন সংখ্যা কমানো এবং ভিসি কোটা বিলুপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

রবিবার (৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি শীর্ষক এক ফেসবুক লাইভে এ কথা জানান তিনি।

ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সমস্যা আর শিক্ষক স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পূর্বের উপাচার্যের বিভাগ বৃদ্ধি আর আসন বাড়ানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা বেড়েই চলছে ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গবেষণা, শিক্ষার মান ও পরিবেশ।

তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এক প্রশ্ন উত্তরে উপাচার্য বলেন, ভিসি কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি এখানে ভিসি কোটা নামে কোটা রয়েছে কিন্তু আমার সময়ে এরূপ কোনো কোটা থাকবে না। ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই কোটা বাদ দেয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যেহেতু সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো তাই এ লক্ষ্যে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ৩০% আসন রাখা যায় কিনা এমন একটি চিন্তা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবিতে ৭টি অনুষদ এবং ৩৪টি ডিপার্টমেন্টের অধীনে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়।

‘মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নির্মিত নয় শুনে অবাক হয়েছি’

শাফিউল কায়েস ও সাগর দে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ লাইভ প্রোগ্রামে বশেমুরবিপ্রবিতে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ক্যাম্পাসের ধর্মীয় মন্দির শিক্ষার্থীদের টাকায় নির্মাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় নির্মিত নয় শুনে অবাক হয়েছি। তবে এটা পরবর্তীতে আরও আধুনিক ও সুন্দর একটি মন্দির উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

রবিবার (০৪ অক্টোবর) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

‘ইতিহাস বিভাগের সমস্যা, বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করব তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’ তিনি যোগ করেন।

অন্যদিকে ইইই ও ইটিই বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, ‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইইদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

‘অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে হলেও ইতিহাস বিভাগ চালু রাখার চেষ্টা করব’

শাফিউল কায়েস


‘ইতিহাস বিভাগের সমস্যা, বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করব তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।

অন্যদিকে ইইই ও ইটিই বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, ‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইইদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ বিষয়ক বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত লাইভ প্রোগ্রামে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

 

‘ইইই সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে ইটিই শিক্ষার্থীদের’

শাফিউল কায়েস


‘ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের কোর্স প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সেম বাকিটা সিলেবাসে সংযুক্ত করে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে এক করে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে দেখলাম টিচারদের এ বিষয়ে একটু দ্বিমত তবে এ সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।’

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের সমস্যা নিয়ে বলেন, এটা বড় সমস্যা তবে এদের স্থায়ী সমাধানে পরবর্তীতে অল্প ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে ডিপার্টমেন্ট চালু রাখার চেষ্টা করবো তবে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সমাধান হবে বলে আশা করি।

আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) ‘কেমন হবে আগামীর বশেমুরবিপ্রবি’ বিষয়ক বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত লাইভ প্রোগ্রামে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।