রাবিতে বাঁধনের জিয়া হল ইউনিটের নেতৃত্বে নাঈম-ওয়ায়েছ

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‌‘বাঁধন’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হল ইউনিটের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম আহমেদ সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ওয়ায়েছ কুরনী সাধারণ সম্পাদক এবং জোনাল প্রতিনিধি হিসেবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বজন কুমার রায় দায়িত্ব পেয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁধনের রাবির জিয়া হল ইউনিটের উপদেষ্টা
মো. আব্দুর রহিম এ কমিটি ঘোষণা করেন।

অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ পাইন ও শফিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইসরাফিল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকরামুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মধুসূদন বর্মণ, কোষাধ্যক্ষ আজিজুল হাকিম, দপ্তর সম্পাদক মো. শামিম আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিয়াদ খান, তথ্য ও শিক্ষা সম্পাদক সাজিদুল আলম।

এছাড়াও নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন রিংকু রায়, আসাদুল্লা গালিব, ইমন, মো. রাসেল মিয়া ও মাফুজুর রহমান ইমন।

এসময় সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলামীন আলী, রাবি জোনাল পরিষদের সভাপতি মো. শাকিব হোসেন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন, রাবি জোনের উপদেষ্টা মো. আব্দুর রহিম, শহীদ জিয়াউর রহমান হল ইউনিটের উপদেষ্টা মো. ইব্রাহিম আলী।

 

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তালা

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক, ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা। সোমবার কর্মবিরতি চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ৮ অক্টোবর থেকে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও ৩৯ জন শিক্ষকের প্রমোশনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলম বলেন, ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। এ ছাড়া দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের প্রমোশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা এই সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, তারা শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটুক এটা চান না। এজন্যই তারা নানা সমস্যার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বা পরীক্ষা চলমান রেখে আসছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা নিরসনে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। যা শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। তাই অবিলম্বে এর সমাধান ও শিক্ষকদের প্রমোশন না দিলে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক

বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুইজন শিক্ষক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর সমন্বিত জরিপে চলতি বছরের গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

তালিকায় পুরো এক বছরের গবেষণা ও আরেকটি পেশাগত ভিত্তিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। তালিকায় স্থান পেয়েছেন বশেমুরবিপ্রবির ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দীপংকর কুমার।

বিশ্বসেরা গবেষক তালিকায় স্থান পেয়ে ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন , বিশ্বের ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান অর্জন করতে পারাটা ভালো লাগার বিষয়।এ তালিকায় যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এ ব্যাপারে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের উপরে জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের অধিক প্রকাশনা রয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকমান বাঁচতে চায়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন। বাড়ি দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দগঞ্জের শ্রীপুরে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হওয়ার সুবাদে আপাদমস্তক সংগ্রামী জীবন তার। তবে মুখের হাসি কোনোদিন মলিন হয়নি। অমলিন হাসি নিয়ে ছেলেটি দৌড়ে বেড়িয়েছেন মানুষের জন্য, বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। পাশে থেকেছেন সামর্থ্যের মধ্যে সবধরনের সামজিক কার্যক্রমে।

ব্যবসা শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর হলেও ব্যবসার সাথে তার যুক্ততা ছিল না সদালাপী এই ছেলেটির। সংযুক্তি ছিলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। যুক্ত ছিলেন মানুষের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ার কাজে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন লোকমান। অনেকগুলো সংগঠন প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নিভৃত গাঁয়ের এ ছেলেটির হাত ধরেই। লোকমান ক্যাম্পাসে থাকাকালীন সাহায্য চেয়েছে তার বন্ধুর জন্য, তার ছোটো ভাইয়ের জন্য। যেকোন সমস্যায় যেকোন সময়ে লোকমানকে পাওয়া যেত প্রথম ডাকেই; যেন সে ডাকের অপেক্ষায়ই বসে থাকতো! কত কত মানুষের জন্য কত কত কাজ! বন্যার ত্রাণ, শীতে দুস্থ মানুষের কাপড়, অসুস্থ, দুস্থ, অসহায় মানুষের জন্য টাকা সংগ্রহ, হাসপাতালের বারান্দায় রাত কাটানো সবই করেছে অভিযোগহীনভাবে, একান্ত নিজের কাজ মনে করে।

আজ সেই ছেলেটিই সবার সাহায্যপ্রার্থী, কী সকরুণ প্রকৃতির মনোভাব! লোকমান ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। অজান্তেই মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে ৬*৪.৫ সে. মি. আয়তনের টিউমার। খুব দ্রুততম সময়ে লোকমানকে নিতে হবে অপারেশন টেবিলে, প্রয়োজন ১০ লক্ষ টাকারও বেশি! কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের পক্ষে কী করে সম্ভব এত টাকা এত স্বল্প সময়ে ব্যবস্থা করা! তার ওপর, বড় সন্তান লোকমানের আয়েই চলত সংসারের চাকা।

লোকমান মানুষের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজদের জন্য কাজ করেছে, সময় এসেছে লোকমানের পাশে দাঁড়ানোর। লোকমান অর্থাভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত না হোক, কুসুমিত প্রাণ বেঁচে থাক! সুস্থ হয়ে আবার মানুষের জন্য কাজ করুক লোকমান। পৃথিবীর সকলের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, লোকমানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন! আপনার অংশগ্রহণে বেঁচে যেতে পারে এক সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ।

লোকাল কনফারেন্স অফ ইয়্যুথ ২০২৩ এ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতা ও নীতি সংশোধনে তরুণ দের অংশগ্রহণ ও মতবিনিময়

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: লোকাল কনফারেন্স অফ ইয়্যুথ (এলসিওওয়াই) বাংলাদেশ 2023 একটি সাস্টেইনাবল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে, বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে তরুণদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার লক্ষ্যে জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়- নীতি সংশোধনে তরুণদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির সহযোগিতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানটি গত ৮ ও ৯ অক্টোবর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এলসিওওয়াই মুলত জলবায়ু পরিবর্তন ও তরূণদের নিয়ে কাজ করে। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবীবুন নাহার এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অফিসার্স ইন চার্জ, ইউনেস্কো (UNESCO) – ড. সুসান ভিজ, সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-বাংলাদেশের পরিচালক- এম হাফিজুল ইসলাম খান, সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি – গণতান্ত্রিক শাসন -আনোয়ারুল হক, পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব- সঞ্জয় কুমার ভৌমিক সহ অনেকেই। এই কনফারেন্স এ অংশ নেওয়া ও মতবিনিময় এর সুযোগ পেয়েছে বশেমুরবিপ্রবি এর দুই শিক্ষার্থী – সানজিদা বিনতে শাফিন ( ইএসডি ৪র্থ বর্ষ) ও তাহামিম সুবাদ লাবীব ( টুরিজম ১ম বর্ষ)।

 

বেগম হাবীবুন নাহার উপমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তরুণদের এগিয়ে আসতে বলেন, নারী জাগরণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি উদাহরণ সরূপ প্রীতিলতা এর কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন প্রকল্প ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করেন।

 

লাবীব জানান, সম্প্রতি আমি লোকাল কনফারেন্স অফ ইয়্যুথ ২০২৩-এ অংশগ্রহণের অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি, এবং এটি ছিল মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতন আলোচনা সভা। LCOY এর অর্থ হল স্থানীয় যুব সম্মেলন, এবং এটি একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন যেখানে আমাদের মত তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে এবং পদক্ষেপ নিতে একত্রিত হয়। এটা সব যুব ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার সম্পর্কে, আমাদের ওয়ার্কশপ, প্যানেল আলোচনা এবং এমনকি ইন্টারেক্টিভ ক্রিয়াকলাপ ছিল যা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরিতা এবং কীভাবে আমরা একটি পার্থক্য করতে পারি তা বুঝতে সাহায্য করেছিল।

বশেমুরবিপ্রবিতে সেইভের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস’ পালিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) স্টুডেন্ট’স এগেইনেস্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়ার (সেইভ) এর আয়োজনে ‘শান্তির বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী এর সামনে থেকে এ উপলক্ষে র‍্যালি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বশেমুরবিপ্রবি সেভ চ্যাপ্টারের মডারেটর এমদাদুল হক এবং সাদিয়া আফরিন, সেইভের জেনারেল সেক্রেটারি কামাল হোসেন,কো প্রেসিডেন্ট দিসা হালদার পূজাসহ সেইভের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসে অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বশেমুরবিপ্রবি সেভ চ্যাপ্টারের মডারেটর এমদাদুল হক বলেন , সেভ সুনামের সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশ ব্যাপী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও সেভ এর টিম নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ।মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে এ দিনটি প্রতিবছর উদযাপন করা হয় এবং এই অহিংস আন্দোলন এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যা এখন বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মডারেটর সাদিয়া আফরিন বলেন, আমরা যারা যুবক আছি আমাদের হাত ধরেই শান্তির বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে । আমরা চাই আমাদের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাক ।

কো প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল সেক্রেটারি বলেন, সহিংসতাকে বর্জন করি অহিংসা তাকে ধারণ করি, শান্তির বাংলাদেশ গড়ি ।

তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন ইউজিসির খণ্ডকালীন সদস্য

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। মনোনয়নপত্রে সচিব ড. ফেরদৌস জামান রবিবার (০১ অক্টোবর) স্বাক্ষর করেছেন।

নতুন মনোয়ন পাওয়া তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান।

ইউজিসির চিঠিতে উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২ বছরের জন্য আপনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের খণ্ডকালীন সদস্য মনোনীত হয়েছেন। কমিশনের পক্ষ থেকে এজন্য আপনাকে সাদর অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।

এতে আরও বলা হয়, আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সক্রিয় সহযোগিতা কমিশনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।

আগামী ৩ অক্টোবর এ তিন পদে মনোনীত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারা হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য মেজর জেনারেল মো মাহবুব-উল আলম ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

জানতে চাইলে সচিব ড. ফেরদৌস জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এ পদে মনোনীত তিন উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর শেষ হচ্ছে। এরপর আগামী ৪ অক্টোবর থেকে নতুন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। তাদের মেয়াদ কার্যকর হবে ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২ বছর পর্যন্ত। মনোনীত উপাচার্যরা ইউজিসিকে পরামর্শ ও সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে কারণ জানালেন ইউজিসি চেয়ারম্যান

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।

সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল। র‍্যাঙ্কিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্ৰি অর্জনকারীদের অগ্ৰাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান। আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।

তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।

উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।

এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।

পর্যটন দিবসের কেস কম্পিটিশনে প্রথম রানারআপ বশেমুরবিপ্রবি টিম

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:বিশ্ব পর্যটন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট’ এর উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের টিম ‘দা ক্লুলেস এক্সপ্লোরার ‘ প্রথম রানারআপ হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসার শিক্ষা অনুষদে আয়োজিত কেস কম্পিটিশনে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে দশটি টিম আংশগ্রহন করেন । সেখানে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া নির্দিষ্ট কেস সলভ করে তার উপর প্রেজেন্টেশন তৈরি করে অংশগ্রহণকারী দলগুলো প্রেজেন্টেশন দেন। যেখানে প্রতিটা টিমে ৪ জন প্রধান উপস্থাপক এবং ৪ জন সহকারী উপস্থাপক মিলিয়ে ৮ জন করে সদস্য ছিলো। অনুষ্ঠান শেষে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে ঢাকা কমার্স কলেজ চ্যাম্পিয়ন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম রানারআপ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে নির্বাচিত হয়।

বশেমুরবিপ্রবির টিম দা ক্লুলেস এক্সপ্লোরার সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত আবদুল্লাহ (টিম লিডার),কৌশিকী বৈদ্য, অয়ন বণিক ও আবুবকর সিদ্দিক অনিক ।

জাতীয় পর্যায়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগকে রিপ্রেজেন্ট করেতে পারা এবং সফলতা অর্জনে করতে পেরে তারা বলেন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশনের মত এমন বড় একটা ইভেন্টে আমরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিপার্টমেন্টেকে রিপ্রেজেন্ট করতে পেরে গর্ববোধ করছি এবং এই সফলতা অর্জন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের এই সফলতার পিছনে আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের অবদানই বেশি তারা সার্বক্ষণিক আমাদের পরামর্শ দিয়ে এবং সাহায্য সহযোগিতা করে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের এই সাহায্য সহযোগিতায় ভবিষ্যতে আমার আরো ভালো কিছু করতে এবং পর্যটন খাতকে একটা শিল্পতে পরিনত করতে অবদান রাখতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বশেমুরবিপ্রবি সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে।

২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহষ্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে, কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে, স্বাধীনতা দিবস হলের পাশে ৭৭ টি আম্রপালি জাতের আম গাছ রোপণ করা হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার জনাব শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শেখ রাসেল হল এর প্রভোস্ট মোঃ এমদাদুল হক ও অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক সৌরভ কর্মকার।
প্রধান অতিথি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, “আজ বঙ্গবন্ধুর স্নেহের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন। আমাদের নেত্রীর জন্মদিনের উপহার- আমাদের সাতক্ষীরার অসংখ্য আম গাছের চারা। পরিবেশের এই বিপর্যয় রোধে আমাদের সকলকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে এমন পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জনাব মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জনপ্রিয় নেত্রী। তার জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ করে আমরা তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই।” রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শেখ রাসেল হল এর প্রভোস্ট মোঃ এমদাদুল হক বলেন, “সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই বৃক্ষগুলো আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করবে।”
সাতক্ষীরা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক সৌরভ কর্মকার বলেন, “নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা আজ ৭৭ টি বৃক্ষরোপণ করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করলে, বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।”