৬ দফা দবি না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুশিয়ারি রাবি শিক্ষার্থীদের

 

রাবি প্রতিনিধি

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক গুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা।

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়া, সংক্ষিপ্ত সময়ে সকল বর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া, সেশন জট এড়াতে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা, অবিলম্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমাদের ক্লাসে থাকবার কথা ছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ক্লাসের জন্য রাজপথে নামতে হয়েছে। আমরা আমাদের এই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ থেকে মুক্তি চাই। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসময় দীর্ঘ সেশনজট নিরসনে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার পাশাপাশি আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবি জানান তারা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নীতিমালাও দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে আগামীকাল একটি সভা ডেকেছি। সেখানে সকল ডীন, বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নিবেন। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে কিভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিচালনা করা যায়, তার একটি অভ্যন্তীন নীতিমালা তৈরী করার চেষ্টা করবে প্রশাসন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালা এবং রাবি শিক্ষক সমিতির অনুরোধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ৩ জুন সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

রাবি ভিসি পদে উঠে এসেছে নির্বাচিত তিন সদস্যের নাম

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ রাবিতে গত ৬ মে শূন্য হয়েছে ভিসি পদ। নিয়মানুযায়ী সিনেট সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত তিনজনের প্যানেল থেকে একজনকে ভিসি নিয়োগ হওয়ার কথা। রাবিতে এ রীতির প্রচলন এখন আর নেই।নিয়মানুযায়ী ১৯৯৯ সালে সিনেট প্যানেল থেকে রাবিতে সর্বশেষ ভিসি হয়েছিলেন প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান। এরপর থেকে সিনেট প্যানেলে কেউ আর ভিসি হননি। এরপর থেকে সবাই সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ভিসি হয়েছেন।

এদিকে রাবিতে বর্তমানে ভিসি পদ পূরণ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আগামী চার বছরের জন্য কাকে দায়িত্ব দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার জন্য অপেক্ষা চলছে। মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ভিসি পদে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।

ইতিমধ্যে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক ডজন শিক্ষক। তবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে তিনটি নাম। তবে এবার শিক্ষাবান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ একজন কাউকে রাবির ভিসি করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক ছাত্র সহ সর্বমহল।

গত মেয়াদে ২০১৭ সালের ৫ মে দ্বিতীয় বারের মতো ভিসি হয়ে প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহানের কর্মকাণ্ড ভিসি পদটিকে বিতর্কিত করেছেন। শুধু তাই নয়, বিদায় নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও গণনিয়োগ দিয়ে গেছেন। এতে সমালোচনার মুখে রাবির বিদায়ী ভিসি। প্রফেসর সোবহানের মতো আরেকজন কাউকে রাবিতে ভিসি হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন না শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

এদিকে জানা গেছে, পরবর্তী ভিসি আলোচনায় থাকা শীর্ষে নামে রয়েছে সাবেক প্রো-ভিসি চৌধুরী সারওয়ার জাহানের। তিনি এর আগে প্রো-ভিসির দায়িত্বে ছিলেন ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও তার বড় সফলতা বলে মনে করা হয়, নিয়োগে স্বচ্ছতা। যেহেতু বর্তমানে নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে রাবি সমালোচনার শীর্ষে আছে। এর রেষ কাটাতেই দায়িত্ব দিতে পারেন চৌধুরী মো. সারওয়ার জাহানকে বলে শোনা যাচ্ছে।

আলোচনার শীর্ষে থাকা আরেকজন হচ্ছেন ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও রাজশাহী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তার সততা ও দক্ষতা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বিমত নেই।

অন্যদিকে শীর্ষ আলোচনায় আছেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদুজ্জামান। তিনি বর্তমানে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্যানেল থেকে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। শিক্ষক-ছাত্র সমাজে তার ভাল গ্রহণ যোগ্যতা থাকায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশে এ্যাকাউন্টিং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছে ড. সাইয়েদুজ্জামান।

অন্যদিকে আলোচনায় রয়েছে, বর্তমান প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, বর্তমান প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক ও প্রাণ রসায়ন ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রান্তিকাল মুহূর্তেও প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে কনভেনার নির্বাচিত হয়েছেন।

ভিসি হিসেবে আলোচিত অন্যদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর জিনাত আরা, সাবেক লাইব্রেরি প্রশাসক প্রফেসর ড. সফিকুন্নবী সামাদীরও নাম রয়েছে।

ভিসির সাথে ছিলেন হজ যাত্রী, চাকরি পেলেন তিনিও

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সদ্য বিদায়ি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার চাকরির শেষ দিনে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।

ছাত্রলীগ কর্মী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে উপাচার্যের নাপিত, মালি, মিস্ত্রি সবাই পেয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ নানা পদের চাকরি। তারই সাথে চাকরি পেয়েছেন উপাচার্যকে সহযোগিতার জন্য তার সাথে হজে যাওয়া ব্যক্তিও।

অধ্যাপক আবদুস সোবহান ৫ মে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ১৪১ জনকে নিয়োগ দেন। নিয়গের পরেই এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে একজন সহযোগী অধ্যাপক, আটজন প্রভাষক, শরীরচর্চার শিক্ষক পদে দু’জন এবং আবাসিক শিক্ষিকা পদে পাঁচজন রয়েছেন।

এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তারা একে একে সংশ্নিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার সকালেই ক্যাম্পাসে যান কমিটির সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া তদন্ত দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। আরও ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

 

নিয়োগ বানিজ্যকে কেন্দ্রকরে রাবিতে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ

 

রাবি প্রতিনিধি

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা অস্থিরতার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মচারীরা তাদের ধাওয়া করে। এতে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভিসির বিদায় বেলায় বাণিজ্যের মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন খবরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেলা ১২টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।

এসময় মহানগর ছাত্রলীগ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেকশক অফিসার মাসুদের উপরও হামলা চালান। পরে রাবি ছাত্রলীগ এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালান। এসময় রাবি ছাত্রলীগ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া করলে মহানগর ছাত্রলীগেরর সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে মহানগর ছাত্রলীগ পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রাবি ভিসি আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরি প্রত্যাশী ১২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হামলা করে।

এ ঘটনার পরে রাবি ছাত্রলীগ ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা ভিসির ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

জানতে চাইলে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি উপাচার্য অবৈধভাবে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে মতনৈক্য হওয়ায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়।’

নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয়ের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। নিয়োগ হয়েছে কি না সেটাও আমার জানা নেই।’

সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে ফোন এবং মেসেজ করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

রাবির দুই প্রশাসন ভবনসহ তিন ভবনের তালা খুলে দিলো চাকরিপ্রত্যাশীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রশাসন ভবনসহ তিন ভবনের তালা খুলে দিছে চাকরিপ্রত্যাশীরা। তালা খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।এসময় তিনি বলেন, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তালাগুলো খুলে দেয় তারা।

পরে কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত কিছু কার্যক্রম চলছে। ভবনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।

তালা খুলে দেওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, মাস্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন আটকে ছিল। ঈদের আগে যাতে তাদের বেতনগুলো পেতে সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থা করতে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ০২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রশাসন ভবন ও সিনেট ভবনে তালা লাগিয়ে দেন চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ ও স্থানীয়রা। ওই সময়ে ৬ মে পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না বলে ঘোষণা দেন তারা। তবে মাস্টাররোল কর্মচারীদের বেতনের মানবিক বিষয় বিবেচনায় তালা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

উত্তেজনার মুখে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করলো (রাবি) প্রশাসন

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ রাবিতে তৃতীয় দিনের মত উত্তেজনা মুখে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করেছে প্রশাসন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ সিন্ডিকেট সভা মঙ্গলবার (৪ মে) সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো তার নিজ বাসভবনে।সকালে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । উপাচার্য ভবনে শিক্ষকদের প্রবেশ পথে বাঁধা দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

সিন্ডিকেট বানচাল করার জন্য অবস্থান নিয়েছেন রাবি উপাচার্য বিরোধী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা বলছেন, তারা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হতে দিবেন না। আর ও জানিয়েছেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে (রাবি) উপাচার্য অন্যায়ভাবে ‘গণনিয়োগ’ দিতে পারেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর বলেন, উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সদস্যরা অবস্থান করছেন। আজ সভা শুরু হওয়ার কথা, তবে সভা শুরু হয়েছে কিনা, সেটি তিনি বলতে পারেননি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু জানান, কিছুক্ষণ আগেই (রাবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

রাবি উপাচার্যের এই সিন্ডিকেটকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে। ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে।

দ্বিতীয় দিনেও রাবির প্রশাসনিক ও সিনেট ভবনে ঝুলছে তালা!

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যের ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম রুখে দিতে’ টানা দ্বিতীয় দিনে মতো প্রশাসনিক ও সিনেট ভবন তালাবদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির চাকরিপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।

গতকাল সকালে উপাচার্য ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর দুটি প্রশাসন ভবন এবং সিনেট ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের তালা খুলে দিলেও দুটি প্রশাসনিক ভবন ও সিনেট ভবনে আজও ঝুলছে তালা।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, রাবি উপাচার্য যেন আর কোনো ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন, সে জন্য তারা এই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

আরও পড়ুন নিজ বাড়িতেই তারাবিহর নামাজ পড়াচ্ছেন ঢাবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্তমান উপাচার্য ২০১৭ সালের ৭ মে নিয়োগ পেয়েছিলেন। আগামী ৬ মে তার মেয়াদ শেষ হবে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদের শেষ সময়ে যেন তিনি অতীতের মতো আর দুর্নীতি করতে না পারেন সে জন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি।

গতকাল সকালে উপাচার্যের বাসভবনে ফাইনান্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সভা স্থগিতের দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য ভবনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে ‘অনিবার্য কারণে’ ফাইনান্স কমিটির সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা গত দিনের মতো আজও তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। যদিও লকডাউনের কারণে প্রশাসনিক কিংবা সিনেট ভবনে অফিসিয়াল কোনো কাজ ছিল না, তবুও আমরা চেষ্টা করছি যাতে তারা তালা খুলে দেয়।’

 

রাবি উপাচার্যের বাসভবনের পর প্রশাসন ও সিনেট ভবনে তালা!

 

রাবি প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনে তালা লাগানোর পর প্রশাসন ও সিনেট ভবনে তালা লাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির চাকরিপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ৮টায় ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। পরে প্রশাসন ও সিনেট ভাবনে তালা লাগিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য ভবনে ফাইনান্স কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।

সভা শুরুর আগেই ভবনের মূল ফটকে তালা লাগায় আন্দোলনকারীরা। এর ফলে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে উপাচার্য। এতে বন্ধ হয়ে যায় ফাইনান্স কমিটির সভা।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ‘অনিয়ম’ এর অভিযোগ এনে গত বছর ডিসেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। এতে তার দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট। উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সভায় আরও বড় ধরনের ‘অনিয়ম’ করবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এজন্য আমরা মিটিং স্থগিতের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আজ ফাইনান্স কমিটির মিটিং ছিল, কিন্তু আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কমিটির কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।’

এদিকে বেলা ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স এর সামনে আমতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ৬ তারিখ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলেন শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকাল আগামী ৬ মে, ২০২১ তারিখে শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদের শেষে এসে বর্তমান প্রশাসন বরাবরের মতোই চরম অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। চাকরি প্রত্যাশী এবং স্বার্থান্বেষী মহলের চাপের মুখে ও দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃত্বহীন হয়ে পড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সব ধরনের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান প্রশাসন নিয়োগ-বাণিজ্যের জন্য এডহকভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে করোনাকালীন সম্পূর্ণ বন্ধ ক্যাম্পাসে উপাচার্য কর্তৃক তড়িঘড়ি করে এসব আইনবহির্ভূত টেন্ডার নির্মাণ, মেরামতী ও রংকরণ কাজ, এডহক নিয়োগ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে।

সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

রাবির পুকুরে মিলেছে আরো দুটি মর্টার শেল ও রকেট লঞ্চার

টিসিটি ডেস্ক

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমির পাশের সেই পুকুরে আবারও মিলেছে দুটি মর্টার শেল। শুধু মর্টার শেল নয় মিলছে একটি রকেট লঞ্চার ও একটি ল্যান্ড মাইনও।

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে , দুপুরে একব্যক্তি পুকুরে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে মর্টার শেল সদৃশ বস্তু দেখতে পান। পরে সেটি কাজলা ফাঁড়িতে জমা দেন তিনি। এরপর পুলিশ ওই পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে আরও একটি মর্টার শেল, একটি রকেট লঞ্চার ও একটি ল্যান্ড মাইন উদ্ধার করে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ এপ্রিল একই জায়গা থেকে মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছিল। এগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাবি উপাচার্যকে স্টিয়ারিং কমিটির চিঠি

রাবি প্রতনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভাবমূর্তি রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানকে চিঠি দিয়েছে কমিটি।

গত ২৪ মার্চ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্যকে চিঠি দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান।

চিঠিতে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ উল্লেখ করেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইইজিসি) অভিযোগ প্রমাণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং আর্থিক অনিয়মসহ ২৫ টি অভিযোগের প্রমাণ পায়।

এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবির অন্যায় ও অপকর্মের সাথে জড়িত কতিপয় শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে তলব এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বন্ধসহ নির্দেশনামূলক ১২ টি পত্র প্রদান করে। এ কারণে গত ২৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে ৯ টি সিদ্ধান্ত গৃহীত।

উপাচার্যকে বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো সেই সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে নতুনভাবে শিক্ষক/ কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা, গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়া সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫০৩তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সকল নিয়োগ বাতিল করা, ফলিত গণিত বিভাগে নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষককে দেয়া এডহক নিয়োগ বাতিল করা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করার কারণ ব্যাখ্যা করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রেজিস্টারকে অপসারণ না করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রারকে অপসারণের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম অতিসত্বর নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা উপাচার্যকে অবগত করেছি। আমাদের সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্যকে অনুরোধও করা হয়েছে।