রাকসু নির্বাচন না দিয়ে আইন অমান্য করেছে রাবি প্রশাসন : নুর

 

রাবি প্রতিনিধি

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের করা ৭৩-এর অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু নিজস্ব সুবিধার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন না দিয়ে এই আইন অমান্য করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।রাকসু না থাকায় প্রশাসন খুব সহজেই নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নুরুল হক নুর।তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁরা ভুল ভাবে পরিচালনা করেছে।’

বুধবার বিকেলে ভার্চুয়্যাল আলোচনায় এসব জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. নুরুল হক নুর।

ভিপি নুর বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও রাকসু না থাকায় প্রশাসন খুব সহজেই নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় সম্পূর্ণ দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নির্বাচন হয়, কর্মচারী নির্বাচন হয়, তাহলে রাকসু নির্বাচন না হওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি রাবিতে নিয়োগ কেন্দ্রীক জটিলতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে। নিজের মেয়ে এবং জামাতাকে বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করার মত গুরুতর অভিযোগ থাকার পরও তিনি কিভাবে উপাচার্য পদে বহাল রয়েছেন! ছাত্র সংসদ থাকলে প্রশাসন এ ধরণের দুর্নীতিতে জড়ানোর সুযোগ পেত না। এটিও রাকসু নির্বাচন না দেয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।’

এ সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘খেজুর রস উৎসব’

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘ফ্রুটস হান্ট’ আয়োজনে খেজুর রস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে থাকে। সুস্বাদু খেজুর রস খেতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা, কর্মচারীরা ভিড় করে।

এ সময় উৎসবে উপস্থিত রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, অনেক দিন পর শীতের সকালে খেজুর রসের আয়োজন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজকের এ রস উৎসবে সবাই আসছে। সত্যি অনেক ভালো লাগছে। এরকম উৎসব প্রতি বছর আয়োজন করুক এমন প্রত্যাশা করছি।

ম্যাটারিয়াল সাইন্স এবং ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জি.এম শফিউর রহমান বলেন, অনেক দিন পর রস উৎসবে আসলাম সত্যি ভালো লাগছে।আমার সন্তানেরাও আসছে, ওরা এই প্রথম খেজুর রস খাচ্ছে। আমি ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

রস উৎসবের আহ্বায়ক অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুয়েল মামুন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুক রাখতে আমাদের এ আয়োজন। তবে আপনারা যারা খেজুর রস খাবেন অবশ্যই তা সুরক্ষা করে খাবেন, যাতে জীবাণু কিংবা পাখির মল না থাকে।

রস উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন ফ্রুটস হান্টের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

মেয়াদোত্তীর্ণ নেতৃত্বে চলছে রাবি শিক্ষক সমিতি

রাবি প্রতিনিধি: মেয়াদোত্তীর্ণ নেতৃত্ব দিয়েই চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক বছর পর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস পরও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ করেছেন, করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছে।

শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল। নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের হলুদ প্যানেল সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে এবং বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সাদা প্যানেল সভাপতিসহ ৫টি পদে জয়লাভ করে। এক বছর মেয়াদি এ কমিটি ২০১৯ সালের ৫ মে দায়িত্ব গ্রহণের পর মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৫ মে।

জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরই আমরা অনলাইনে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সাধারণ সভা করেছি। সভায় সাধারণ সদস্যদের অধিকাংশই বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বৈধতা প্রদান করেন।

যদিও সম্মিলিতভাবে এ ধরনের কোনো বৈধতা দেয়া হয়নি বলে দাবি করছেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ সদস্যরা মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার শিক্ষক সমিতিকে বলেছি এবং কিছুদিন আগে ৭৪ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের পক্ষে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছি। সেখানে জানতে চেয়েছি শিক্ষক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আর কতকাল ক্ষমতায় থাকবে। যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন দিচ্ছে সেখানে রাবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়?

অধ্যাপক টিপু আরো বলেন, ‘এছাড়া তারা যে কমিটির বৈধতা নিয়েছেন এমন কোনো লিখিত ডকুমেন্টসও নেই। বর্তমানে এই কমিটি পুরোপুরি ‘অবৈধ’।’

কবে নাগাদ নির্বাচন এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, সমিতির অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষকরা বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন না দেওয়ার পক্ষে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্বাচন দিলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেহেতু এর পক্ষে না তাই আমরা দেইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে আমরা এক মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবো।

করোনার অজুহাত দেখিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে রাবি শিক্ষক সমিতি মেয়াদ শেষ করে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না। আসলে তারা করোনার অজুহাত দেখাচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তো নির্বাচন হচ্ছে। এর মানে এরা ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকতে এমনটা করছে। এটা অনৈতিক এবং সংবিধান বিরোধী।

রাবি প্রশাসনের অপসারণ চেয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরর (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার অপসারণ চেয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী’ মঞ্চ। দাবি আদায় না হলে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলনে’ তারা লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণাও দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

সম্মেলনে ছাত্র ফেডারেশন রাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি, রাবির অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গঠিত ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দুই দফা তদন্ত করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ টি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করলেও প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। যা আমাদেরকে আশাহত করেছে।’

লিখিত বক্তব্যে মিলন আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, মানবিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জ্ঞান বিকাশের প্রাণ কেন্দ্র। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়েই যদি দুর্নীতি চলে এবং দুর্নীতিবাজরাই ক্ষমতায় থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকৃত স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলবে। অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেমন আমরা তা মেনে নিতে পারি না, তেমনি দেশের কোন মানুষ এই অপরাধকে সহ্য করবেন না। ফলে আমরা আচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান, রাকসু আন্দোলর মঞ্চের পক্ষে আলহাজ হোসেন।

মহানগর আ. লীগ নেতার আশ্বাসে রাবিতে আন্দোলন স্থগিত

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান চাকরি প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার পৌনে একটায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে রাবি প্রশাসন, মহানগর ও স্থানীয় আ. লীগ নেতা ও ছাত্রলীগের যৌথ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্টার আবদুস সালাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মতিহার থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাদিকুল ইসলাম স্বপনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আলোচনায় বসেন। আলোচনায় মহানগর আ. লীগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংসদ সদস্য যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

রাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আন্দোলনে অংশ নেয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিল। তারা ছিল তৎকালীন সময়ের ত্যাগী ছাত্রনেতা। তারা তাদের প্রত্যাশার জায়গা থেকেই আন্দোলন করছে। এর আগে একজন প্রতিবন্ধীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিবন্ধীদের ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ছিল। সেটি মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে। এখানে একটি ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রশ্ন তুলছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগ দেয়া হলো!

তিনি আরও বলেন, নিয়োগের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে আমরা এমপি এবং মেয়রের সহযোগিতায় সেটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো। এবং এটি প্রত্যাহার হলেই নিয়োগের দুয়ার আবার খুলে যাবে। যারা আবেদন করেছে তাদের এখানে রিজিক থাকলে নিয়োগ হবে। আমাদের আলোচনার পর আন্দোলনকারীরা আমাদের ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন স্থগিত করেছেন।

জানতে চাইলে চাকরি প্রত্যাশী রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, রাজশাহী মহানগরের আ. লীগের নেতৃবৃন্দ আমাদের অবিভাবক। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করি। ভবিষ্যতেও করবো। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন চলমান বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন। তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে আমরা আমাদের চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ববৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা তুলে নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেকের পরীক্ষা শেষ হয়েছে, ভাইভা বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পূর্ণ করেই নিয়োগ দেওয়া হবে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে একজন প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হন। কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে বাহিরে এসে রাত নয়টায় উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির চাকরি প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।

প্রায় ১২ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল আটটায় উপাচার্য ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়। এদিন সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। দুপুরে রাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসেন তারা। এক শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা বিবেচনায় ও উপাচার্য বুধবার আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।

 

রাবি: আলোচনায় বসার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত

 

রাবি প্রতিনিধি

আলোচনায় বসার আশ্বাস ও এক শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান চাকরি প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে রাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।

চাকুরি প্রত্যাশী রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য দুইজন উপ-উপাচার্যের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার ফারুক স্যার মারা যাওয়ায় তারা অন্তত আজকের
দিনটি আন্দোলন স্থগিত করতে অনুরোধ করেন। তাই আমরা ফারুক স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের আন্দোলন স্থগিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আগামীকাল (বুধবার) দুপুর ১২টায় আমাদের সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। আলোচনা ফলপ্রসু হলে আমরা সরে যাবো। নাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২ টায় নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের মৃত্যু এবং প্রশাসনের আলোচনায় বসার আশ্বাস সব মিলিয়ে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে।

জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার বলেন, আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের মত আন্দোলন স্থগিত করেছে। আবার তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।

সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রার দপ্তরের এড-হকে একজন প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হন। কিছুক্ষণ অবস্থানের পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয় জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে বাহিরে এসে রাত নয়টায় উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির চাকরি প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। প্রায় ১২ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল আটটটায় উপাচার্য ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়। এদিন সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। দুপুরে রাবি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসেন তারা।

রাবি অধ্যাপক আখতার ফারুক আর নেই

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সভাপতি ড. মো. আখতার ফারুক মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা নিউ মার্কেট সিটিতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন তিনি।

অধ্যাপক আখতার ফারুক ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের মালঞ্চা গ্রামে। তিনি ১৯৮১ সালের ব্যাচে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি ও ১৯৯৬ সালে জাপানের ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালের অক্টোবরে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

রাবিতে যোগদানের আগে প্রায় ৬ বছর তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপনা জীবনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ (২০০৯-২০১২), বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্য (২০১৬-২০১৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২০ সালের ৩০ জুন তিনি রসায়ন বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অজৈব রসায়নে কোঅর্ডিনেশন কেমিস্ট্রি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর প্রায় ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পিআর রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকটি পিএইচডি ও এমফিল গবেষণা তত্ত্বাবধান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য শোক বার্তায় বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ এক অন্যতম কৃতি রসায়নবিদ ও প্রথিতযশা শিক্ষককে হারালো। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শাহীন সম্পাদক নুরুজ্জামান

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) ২০২১-২২ বছরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।যেখানে দৈনিক দেশ রূপান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহীন আলমকে সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি মঈন উদ্দিন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি-১ রাজ কিরণ দাস (বাংলাদেশ পোস্ট), সহ-সভাপতি-২ তাপস কুমার সরকার (দৈনিক প্রথম আলো), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর আলম (আলোকিত বাংলাদেশ), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ইসলাম (বিডি মর্নিং), কোষাধ্যক্ষ তৌসিফ কাইয়ুম (বাংলা ট্রিবিউন), দফতর সম্পাদক আব্দুর সবুর লোটাস (বার্তা ২৪.কম), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুর রহমান (রাইজিংবিডি.কম), সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক সোহানুর রহমান রাফি (ইউএনবি), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সানজানা শরীফ শ্রুতি (লাল সবুজের কণ্ঠ), ক্রীড়া সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ (রাজশাহী পোস্ট), কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক মরিয়ম খাতুন পলি (খবর ২৪ ঘণ্টা), কার্যনির্বাহী সদস্য-১ রিফাত ইসলাম (দ্য পিপল্স টাইম) ও কার্যনির্বাহী সদস্য-২ মেহেদী হাসান আকাশ (যুগবার্তা.কম)।

প্রসঙ্গত, কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, সুব্রত গাইন। উপদেষ্টা-১ হিসেবে আছেন মঈন উদ্দিন (বাংলানিউজ২৪) ও উপদেষ্টা-২ রেদওয়ানুল হক বিজয় (দৈনিক কালের কণ্ঠ)।

 

রাবির আটকে থাকা পরীক্ষা শুরু দুই জানুয়ারি, বন্ধ থাকবে হল!

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের আটকে থাকা চতুর্থ বর্ষ স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষাসমূহ নতুন বছরের দুই জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। তবে, আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে না।

আজ(সোমবার) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পরিষদের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিল্ডওয়ার্ক, ইন্টার্নশিপ, মৌখিক ও ইনকোর্স পরীক্ষা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি ও পরীক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

আরও জানা যায়, পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে পূর্বনির্ধারিত ৩ থেকে ৭ জানুয়ারির শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসমূহ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।ওই শিক্ষার্থীর নাম দেবজ্যোতি বসাক পার্থ। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

 

জানা যায়, শনিবার শকালে পটুয়াখালী শহরে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবার। পরে পটুয়াকালী সরকারি মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, গতকাল রাতেও পার্থ স্বাভাবিক ছিল। আমাদের সাথে তার কথা হয়েছিল। মানসিক চাপে থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতো। হঠাৎ করে তার এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মত নয়।

পরিবারিক ভাবে জানা যায়, ওই দিন সকালে পার্থকে তার কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার পরিবার। পরে মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পার্থর লাশ মর্গে রাখা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি তার সহপাঠীদের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। শুনেছি তিনি মানসিক চাপে ছিলেন।

প্রাথমিক ভাবে এঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এভাবে আর কোন পার্থকে হাড়াতে চাইনা। এসময় পার্থ’র শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।