ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে ‘৭১’র চেতনা’ বাঙলা কলেজ শাখার মানববন্ধন

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় ৭১`র চেতনা, বাঙলা কলেজ শাখা’র উদ্যোগে নারী নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে এবং নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিসহ মোট ৮ দফা দাবিতে বাঙলা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

উক্ত কর্মসূচীতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থেকে ৭১’র চেতনার দাবির সাথে তাদের সম্মতি প্রকাশ করেন। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন পলাশ বলেন, ধর্ষকদের কোন পরিচয় নেই,তাদের কোন ধর্ম নেই, তাদের কোন জাত নেই; তারা অমানুষ, সমাজের কীট। আমরা এদের সর্বোচ্চ শাস্তীর দাবি জানাই।

এছাড়াও কলেজের একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বাঁধন, যুব থিয়েটার, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভীন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মতি প্রকাশ করে।

সংগঠনটির কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দু লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। ৭১ সালে ধর্ষণ করত পাকিস্তানিরা।

এখনো এই স্বাধীন দেশে যারা নারী নিপীড়ন করে তারা জেনারেল নিয়াজীর সন্তান। তাদের এই দেশে থাকার কোন অধিকার নেই। এদের সর্বোচ্চ শাস্তী মৃত্যুদন্ডের বিধান প্রণয়ন করে নতুন আইন করার দাবি জানাই আমরা। আমরা ধর্ষকদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, মনে রাখবেন আপনারা যদি নিয়াজীর সন্তান হন, তাহলে ৭১ এ যেমন নিয়াজীর সন্তানরা ছিল তেমনি দেশমাতৃকার জন্য জীবন বিসর্জন দেওয়ার মতো বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাও ছিল। আপনারা যদি তাদের উত্তরসূরি হন তাহলে মনে রাখবেন এই প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরীরাও আছে। আপনাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করলাম সকল ধরনের ধর্ষণ নিপীড়ন বন্ধ করে ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়বই।

জাফর ইকবাল আরো বলেন সেই সাথে আমরা সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করব,ধর্ষকের সাথে কোন ধর্মীয় কিংবা সাংগঠনিক রাজনৈতিক ট্যাগ লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কারন এই ধরনের ট্যাগ লাগালে বিচার সংশ্লিষ্টতার সাথে জড়িত ব্যক্তিও যদি একই ঘরানার হয় তাহলে অপরাধীর সিমপ্যাথী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ন্যায় বিচার ব্যহত হওয়ার আশংকা থাকে।

সভাপতি ফয়সাল হোসেন নোলক ৮ দফা দাবি সম্পর্কে বলেন,
১/ ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২/যেকোন ধরনের নারী নিপীড়ন মুলুক মামলার বিচার(৬০- ৯০) দিনের মধ্যে যেকোন মূল্যে সমাপ্ত করতে হবে।

৩/নারী নিপীড়ন মামলার বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
৪/আদালতে ঝুলে থাকা দেড় লক্ষাধীক নারী নিপীড়নের মামলা আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৫/ ধর্ষিতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৬/ শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।
৭/ধর্ষিতার চিকিৎসার ব্যয় এবং আইনী লড়াইয়ের সম্পূর্ণ ব্যায় রাস্ট্রকে বহন করতে হবে।

৮/কোন দলীয় রাজনৈতিক মদদে কিংবা প্রশাসনের মদদে কোন নারী নিপীড়ন হলে সেক্ষেত্রে অপরাধীর প্রতি কোন ধরনের সিমপ্যাথী দেখানো যাবে না।

আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে এই আট দফা দাবি বাস্তবায়ণে পদক্ষেপ নেওয়া হোক ।

টেস্ট-ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে প্রমোশন দিয়ে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে, আমরা পরীক্ষাগুলো নিতে পারছি না এসএসসি-এইচএসসি । তাদের টেস্ট পরীক্ষা, ক্লাসের পরীক্ষা, সেই সব পরীক্ষাগুলো নিয়ে তাদের রেজাল্ট দিয়ে… আপনারা দেখেছেন আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের প্রমোশনটা দিয়ে দেয়া হবে। তারা যেন পড়াশুনাটা অব্যাহত রাখতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে হাওরের বিস্ময় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে কষ্টের বিষয় আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, কলেজে যেতে পারছে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। তাদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও আমরা চাচ্ছি, তাদের পড়াশোনাটা যাতে চলমান থাকে।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যহত রাখতে ডিজিটাল পদ্ধতি, টেলিভিশনে ক্লাস নেয়াসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলার দিকেও নজর দিতে হবে। খোলা বাতাসে থাকা, রোদে থাকা। করোনাভাইরাস দূর করার জন্য এটা একান্তভাবে প্রয়োজন। আপনারা সেটা মেনে চলবেন। আপনারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন যাতে এই করোনাভাইরাসে আর কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কলকাতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

সারা দেশে ২৪টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় গজিয়ে উঠেছে। বুধবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ঘোষণা করছে ইউজিসি। ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় বেশিভাগেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, এরপরই তালিকায় নাম দিল্লির।

সেই তালিকায় রয়েছে বাংলার দুটি কলেজের নাম। খাস কলকাতাতে গজিয়ে উঠেছে ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা ইউজিসি অনুমোদিত নয়। অর্থাৎ এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করার পর দাম নেই সার্টিফিকেটের। এদিকে গুচ্ছের টাকা নিয়ে ভর্তি হয়েছে একাধিক পড়ুয়া।

কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন এবং ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের নাম রয়েছে তালিকায়।

ইউজিসির সচিব রজনীশ জৈন বলেন, “শিক্ষার্থীদের এবং জনসাধারণকে অবহিত করা হচ্ছে যে ২৪টি স্ব-স্বীকৃত, অ-স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ইউজিসি আইন লঙ্ঘন করে কাজ করছে, যেগুলি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এগুলি কোনও ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়।”

কোনও ইউনিভার্সিটি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে সেটি ইউজিসি অনুমোদিত কিনা তা জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

২৪টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উত্তরপ্রদেশেই। দিল্লিতে রয়েছে সাতটি। ওড়িশায় দুটি। কর্নাটক, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি এবং মহারাষ্ট্রে একটি করে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

পুলিশের পদোন্নতি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ২০২০ সালের বিভাগীয় পদোন্নতি বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ)
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গড় নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সমস্যা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। পরীক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। গড় নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তাদের সমস্যা হবে না।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

দীপু মনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের আগের দুটি পাবলিক (জেএসসি ও এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে। মূল্যায়ন হবে আন্তর্জাতিক মানের। সেই ফলাফল নিয়ে দেশ-বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সমস্যা তৈরি হবে না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলতে এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। আগের দুই পাবলিক পরীক্ষার গড় নম্বর মূল্যায়ন করে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ওপর চাকরির বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি চাকরিদাতারা বিবেচনা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ১ এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।

এইচএসসি বাতিল হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবে নির্ধারিত সময়ে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গড় নম্বর মূল্যায়ন করে প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে বলে জানান তিনি।

পরীক্ষা না-কি মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব জানান।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য হাতে দুই মাস সময় রয়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আগের দুটি পাবলিক পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন পদ্ধতি ও গ্রেড নির্ণয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সে কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না সেহেতু একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের ফাইনাল ধাপ হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি। এক্ষেত্রে পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়া হবে।

এর আগে মন্ত্রী স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে এসএসসি এবং জেএসসির ফলের গর ভিত্তিতে মুল্লায়নের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি এবং জেএসসির ফল অনুযায়ী গড়ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক এসএসএসি পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে ভিন্ন বিভাগে যান। সেক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে কী হবে সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংযুক্ত ছিলেন।

এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। প্রাইভেট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৯০ এবং খারাপ ফলের কারণে ১৬ হাজার ৭২৭ জন পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।

এইচএসসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরীক্ষার্থী শতাব্দী রায় পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, বুধবার (৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে নোটিশ প্রদানকারীসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করার প্রস্তুতি থাকার পরেও আগের জিপিএর কারণে ভালো ফলাফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি ভাবে কোনও কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসিতে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। আগের ফলাফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ এক ধরনের জোরপূর্বক এবং বেআইনি আরোপ। যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।

করোনার কারণে যদি পরীক্ষা একেবারেই না নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে নিজ নিজ কলেজে অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের দাবি জানানো হয়েছে।

আগামী ৩ দিনের মধ্যে নোটিশে উল্লেখিত দাবি মানা না হলে শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে জনমত তৈরি হওয়া প্রয়োজন: শিক্ষা উপমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে গণমাধ্যমের দ্বারা জনমত তৈরি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেছেন, জনমত তৈরির ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনাদের মাধ্যমে কোটি জনমত তৈরি করতে হবে বা এ বিষয়ে একটি আলোচনা সমাজে আনতে হবে যেন একটা পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হয়।

আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে আলোচনায় আনতে হবে যে, আসলে আমাদের মতো দেশে সংক্রমক ব্যাধি সবসময় আছে এবং থাকবে। এই মুহুর্তে সকল প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চলছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। তাই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের একটা মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিকভাবে গ্যাপ হয়ে যাওয়ার কারণে মাসনিক প্রস্তুতিটা আরও বেশি দরকার। সেজন্য জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

ধর্ষনের পর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রীকে হত্যা, গ্রেফতার ৩

ডেস্ক রিপোর্ট


দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রাস্তার পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। রুখিয়া রাউৎ (২৩) নামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (আদিবাসী) ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে কোনো একসময় রুখিয়া ডায়েরিতে লিখে যায় লিখেছেন, ‘আত্মহত্যা করতে গিয়ে কোনোভাবে বেঁচে গেলাম। আজ ৫/১০/২০২০ আমাকে আনিছুল দূরে কোথাও ডেকেছে। যেখানে ও নিজের হাতে আমাকে হত্যা করবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার ভোরে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শালবাগানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত রুখিয়া রাউৎ রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের মিশনপাড়ায়। তার বাবার নাম দিনেশ রাউৎ।

রুখিয়া রাউৎকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আনিছুর রহমান (৩০) এবং তার সহযোগী অটোচালক রাজ মিয়া (২৮) ও আশিকুজ্জামানকে (২৭) গতকাল বুধবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাদের দিনাজপুর আদালতে নেওয়া হয়।

পারিবারিকভাবে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রংপুরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন রুখিয়া। বান্ধবীদের সঙ্গে একরাত থেকে পরের দিন তার ফিরে আসার কথা ছিল। শেষবার ফোনে মা সুমতিকে তিনি বলেন, ‘মা রংপুর যাচ্ছি। চিন্তা করিস না। সকালে আবার ফিরে আসব।’ এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই দিন তিনি আর বাড়িতে ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।
পরের দিন মঙ্গলবার সকালে বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের ঘুনুরঘাট এলাকার পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়ার শালবাগান থেকে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করেন মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। উদ্ধারের সময় মরদেহের হাত-পা ওড়না দিয়ে গলার সঙ্গে বাঁধা ছিল। পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ। রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত ছিল মুখ, দাঁতগুলো ছিল ভাঙা।

দুর্বৃত্তরা নির্দয়ভাবে হত্যার পর অটোরিকশায় করে সেখানে লাশটি ফেলে যায়। পরে মধ্যপাড়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে লাশের পরিচয় জানতে ওই দিন সন্ধ্যায় দিনাজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি তদন্তদল মরদেহের হাতের আঙুলের ছাপ নেয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে চেহারার ছবি মিলে যাওয়ায় রুখিয়ার পরিচয় নিশ্চিত হয় পিবিআই। পরে জানা যায় তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের মেয়ে। বাড়ি বদরগঞ্জে। এরপর বদরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করে।

এ বিষয়ে রুখিয়ার বাবা দিনেশ রাউৎ বলেন, ‘একই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে আনিছুল প্রায় সময় রুখিয়াকে বিরক্ত করত। হোস্টেল থেকে বাড়িতে এলে সে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে রুখিয়াকে। একপর্যায়ে সে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আমার মেয়েকে।’
এদিকে , গত সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে রুখিয়া তার ডায়েরিতে কিছু কথা লিখে যান। তিনি লিখেছেন, ‘আত্মহত্যা করতে গিয়ে কোনোভাবে বেঁচে গেলাম। আজ ৫/১০/২০২০ আমাকে আনিছুল দূরে কোথাও ডেকেছে। যেখানে ও নিজের হাতে আমাকে হত্যা করবে।

এ কথা ও নিজে বলেছে যে, ও আমাকে নিজের হাতে হত্যা করবে। আমার সবকিছুর জন্য আনিছুল দায়ী।’ বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে কোনো একসময় রুখিয়া ডায়েরিতে এসব লিখে যান। পড়ার টেবিল থেকে রুখিয়ার ডায়েরি উদ্ধার করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দয়ভাব মেয়েটিকে হত্যার পর লাশ ফেলে যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আনিছুল হকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এতে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানতে তদন্ত চলছে।’

পার্বতীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আলামত হিসেবে বেশকিছু জিনিসপত্রও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।’

জেএসসি-এসএসসিতে ৫ থাকলে এইচএসসি রেজাল্টেও জিপিএ-৫

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি।

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ দেয়া হবে। তবে এ দুটির একটিতে খারাপ হলেও তা যোগ করে তার অর্ধেক দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে গড় নম্বর দেয়া হবে সেটি নির্ণয় করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে তার অর্ধেক নম্বর এইচএসসিতে দেয়া হতে পারে। এ দুটি পরীক্ষার মধ্যে কারও একটি স্তরের মোট নম্বর কম হলেও তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। তবে যাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ রয়েছে তাদের এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ দেয়া হবে।

অন্যদিকে যারা এক অথবা দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের অটোপাস দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকবে এইচএসসিতেও তাদের জিপিএ-৫ দেয়া হতে পারে। এক ও দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে পাস করিয়ে মোট জিপিএ দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, নিচের স্তরের উভয় পরীক্ষায় কম জিপিএ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করবে সেই সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ কারণে তাদের পাস করিয়ে দেয়া হলেও জিপিএ নম্বর কম থাকবে। তবে সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন।