শিক্ষামন্ত্রীর লাইভে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘চুমু’ দেয়ার ছবি ভাইরাল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অবশেষে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস স্থগিত থাকার পর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বুধবার জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আয়োজিত এই বৈঠক কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। লাইভ চলাকালীন পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণার সময় টিভি স্ক্রিনে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘চুমু’ দেন এক পরীক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, নেভি-ব্লু টি শার্ট পড়া জনৈক ছাত্রী টেলিভিশনের স্ক্রিনে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘চুমু’ দিচ্ছেন। তবে ছবিটি কোথা থেকে তোলা কিংবা ওই শিক্ষার্থী কে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে আপলোডের পর থেকেই ছবিটি অনেকে শেয়ার করছেন। ফলে তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এইচএসসি: গতবার ফেল করা সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর কপাল খুলল

এদিকে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসার পর ফেসবুকেসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণাকে তারা ‘এইচএসসির ফল প্রকাশ’ হিসেবে দেখছেন। আর সাথে সাথে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, আজকের এমন ঐতিহাসিক ঘোষণার পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে সবাই ভুলে গেলেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কখনও ভুলবেন না।

এইচএসসি: গতবার ফেল করা সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর কপাল খুলল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


এইচএসসিও সমামানের পরীক্ষায় একবার ফেল করে যারা এবার পরীক্ষায় বসায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে তাদের কপাল খুলে গেছে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এদিকে গতবার এই পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন তাদেরও জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন।

এইচএসসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “গতবার যারা ফেল করেছে, তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।”

গতবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।

সেই হিসেবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার আর কোনো পরীক্ষায় অংশ না দিলেও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ পাবেন।

এইচএসসি-তে দুই বিষয়ে (সর্বোচ্চ চার পত্র) ফেল করলে পরের বছর শুধু ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে একজন শিক্ষার্থীকে সাতটি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসতে হয়।

ধর্ষণের প্রতিবাদে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

সুপর্না রহমান, গবি প্রতিনিধি


নোয়াখালীতে গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ব্যানার ও পোস্টার হাতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (জিবিডিএস) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে ধর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমাদের এখন জান-মালের নিরাপত্তা নাই। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছিল এবং আছে। ধর্ষককে ক্রসফায়ার দেয়া হোক। এই আইন প্রনয়ণ করা হোক বাংলাদেশে।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা অতি শীঘ্রই জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে গবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বড় ধরনের মানববন্ধন করতে যাচ্ছি। এতে ধর্ষকদের তীব্র নিন্দা জানানো হবে। আজ তার সূচনা হলো।

এ সময় বক্তারা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’, ‘নারীর নিরাপত্তা দাও রাষ্ট্র’- প্রভৃতি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। কর্মসূচিতে জিবিডিএস ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

ডিসেম্বরে এইচএসসির ফল

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার ফল মূল্যায়নের ভিত্তিতে এইচএসসির গ্রেড দেয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ফল প্রকা্শ করা হবে। বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হবে। আমাদের বিশেষজ্ঞরাও এই পরিস্থিতিতে সরাসরি পরীক্ষা না নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, এভাবে মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি থাকবেন। তারা এ বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই। কখন পরীক্ষা নেয়া যাবে বলা কঠিন। এরমধ্যে যথার্থতা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণ করতে ৩০ থেকে ৩২ কর্মদিবস প্রয়োজন হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে এক বেঞ্চে দুজন বসানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দ্বিগুন কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। প্রশ্নপত্র প্যাকেটজাত করা হয়। নতুন প্যাকেট করারও সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র দ্বিগুন করলে আরও জনবল প্রয়োজন হবে। প্রশাসনসহ সবার জনবল বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে। বিষয় কমানো হয়তো যায়, কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকে এতে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করতে পারবে। কোভিড আক্রান্ত হলে তখন কী হবে। এ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। ভারতের পরীক্ষাও আমরা দেখেছি। তিনটি পরীক্ষা নেয়ার পর তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনেক দেশে পরীক্ষা বাতিল কিংবা স্থগিত করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনাদের সময় জানিয়ে দেব। যখন সময় হবে, তখন বিস্তারিত জানানো হবে। আজ (মঙ্গলবার) জানাতে পারব না। কাল হয়তো আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ছয় মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্থগিত হয়ে গেছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও। এরমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর করা হয়েছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকার ছাড়াও উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এ অবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার তোড়জোড় শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এবার ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় দুই হাজার ৫০০ কেন্দ্রে প্রস্তুত করেছিল ১১টি শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনার কারণে এখন প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্র প্রয়োজন হবে।

জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। সমন্বয় পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ দুপুরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। একটি পরামর্শক কমিটি করা হবে। কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফল রয়েছে। এর ভিত্তিতেই করতে হবে মূল্যায়ন। অন্যকিছুতে যাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো বলেতে পারেন টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে, এবং সেই ফলগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। সেখানেও তো নানা ধরণের সমস্যা থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরিতে জেএসসি ও এসএসসির ফলের কত শতাংশ হিসেব করা হবে, দৈনিক শিক্ষার রিপোর্টার রুম্মান তুর্য প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাতে সময় আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ লক্ষাধিক অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লক্ষাধিক, প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, সহ সারাদেশে ১১ বোর্ডের অধিনে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ লক্ষাধিক। করনোর মধ্যমে সারাদেশে ২৫৭৯ কেন্দ্র এক বেঞ্চে দুইজন সম্ভব না। কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশ্নপত্র ও তৈরি ছিল। বিষয় কমিয়ে সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় তবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ওই পরীক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে কি হবে?

এইচএসসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ দুপুরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। একটি পরামর্শক কমিটি করা হবে। কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফল রয়েছে। এর ভিত্তিতেই করতে হবে মূল্যায়ন। অন্যকিছুতে যাওয়া যাবে না। কেউ হয়তো বলেতে পারেন টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে, এবং সেই ফলগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। সেখানেও তো নানা ধরণের সমস্যা থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরিতে জেএসসি ও এসএসসির ফলের কত শতাংশ হিসেব করা হবে, দৈনিক শিক্ষার রিপোর্টার রুম্মান তুর্য প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাতে সময় আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ লক্ষাধিক অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লক্ষাধিক, প্রাইভেট পরীক্ষার্থী, সহ সারাদেশে ১১ বোর্ডের অধিনে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ লক্ষাধিক। করনোর মধ্যমে সারাদেশে ২৫৭৯ কেন্দ্র এক বেঞ্চে দুইজন সম্ভব না। কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশ্নপত্র ও তৈরি ছিল। বিষয় কমিয়ে সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় তবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ওই পরীক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে কি হবে?

সকল বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হলো অল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে এবং স্বল্প ব্যয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা প্রদান করা। এ লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।

আগের গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ প্রাপ্তিতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হতে হতো। সরকার G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে ভোগান্তির নিরসন করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বরাদ্দকৃত বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বিতীয় পর্যায়ে G2P পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় অনলাইন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষাসহ মোট চারটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতি বছর মেধা ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়।

এ ছাড়া প্রতি বছর পূর্ব থেকে বিভিন্ন শ্রেণির চলমান বৃত্তির সংখ্যা দুই লাখ ৭২ হাজার ৫৬৯ জন। চলমান ও ঘোষিত বৃত্তিসহ এক বছরে মোট চার লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৭৭ হাজার ৮৫টি EFT এর মাধ্যমে ৫১ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ টাকা G2P পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি প্রেরণ করা হলো।

এর আগে গত ২২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাধারণ কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থীকে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫ টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে EFT এর মাধ্যমে প্রেরণ করে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা: মাঠ পর্যায়ের ৫১ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ৫১ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চলতি দায়িত্বে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) তাদেরকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দিয়ে নতুন দফতরে পদায়ন করে এক আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ৫১ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চলতি দায়িত্বে এ পদে পদোন্নতি হয়েছেন এসব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি দায়িত্বকে পদোন্নতি হিসেবে গণ্য করা যাবে না। ওই পদে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগ বা পদায়ন করা হলে এসব কর্মকর্তাকে আগের পদে ফেরত যেতে হবে।

চলতি দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তার পদোন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মূল পদ বা ফিডার পদ শূন্য ঘোষণা করা যাবে না বলেও আদেশে বলা হয়েছে। চলতি দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে যোগদান করতে হবে।

ডিগ্রির ফল প্রকাশ, ৬৫.৭৮ শতাংশ পাস

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ডিগ্রির ফল প্রকাশ, ৬৫.৭৮ শতাংশ উত্তীর্ণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স (পুরোনো সিলেবাস) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্সে ৬৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এবং মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ১ হাজার ১৯৪টি কলেজের মোট ৬৩৫টি কেন্দ্রে নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়নসহ সর্বমোট ৮ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট কিংবা যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে NU স্পেস DEG স্পেস রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করে ফল জানা যাবে।

 

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে হয়তো আগামীকাল কথা বলব: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল বুধবার সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।

আজ মঙ্গলবার বা তার আগের দিন সোমবার এই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও তা জানাতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) সময় জানিয়ে দেব। যখন সময় জানানো হবে তখন বিস্তারিত জানানো হবে। আজ জানাতে পারব না। হয়তো কাল আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর চিন্তা রয়েছে এবং সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। চিন্তা অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য পূর্ণমান ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ শতাংশের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে।

এই পরীক্ষায় মোট বিষয় কমানোর চিন্তাও আছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এ চিন্তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন না করে সময়োপযোগী ভিন্ন কোনো উপায়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, মন্ত্রণালয়ের আরও একটি সভা রয়েছে। সেটার পর আমরা এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে একটি সুনির্দ্দিষ্ট ধারণা দিতে পারবো। সেটি আগামী সোম কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যে জানাতে পারবো বলে আশা করছি।