নাবালক মাইয়্যেতের জন্য দু‘আ

নাবালক মাইয়্যেতের জন্য দু‘আ

উচ্চারণঃআল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি

অর্থঃহে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

 

রুহ্‌ বের হচ্ছে অনুভব হলে পড়বে

রুহ্‌ বের হচ্ছে অনুভব হলে পড়বে

উচ্চারণঃআল্লাাহুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলাা গমারাা তিল মাউতি ওয়া সাকারাা তিল মাঊত।

অর্থঃহে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন।

 

কবর যিয়ারতের দু‘আ

কবর যিয়ারতের দু‘আ

উচ্চারণঃআসসালাামু ‘আলাইকুম ইয়াা আহলাল ক্বুবূরি ইয়াগফিরুল্লাাহু লানাা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনাা ওয়া নাহনু বিল আসার।

অর্থঃহে কবরবাসীগণ! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরাও আপনাদের পিছনে পিছনে আসছি।

 

লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

উচ্চারণঃআল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহুলানা শাফিয়ান ওয়া মুশাফ্ফাআন।

অর্থঃহে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

 

লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে

উচ্চারণঃআল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শা-ফিয়াতান ওয়া মুশাফ্ফায়াহ।

অর্থঃহে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।

 

পিতা-মাতার জন্য দু’আ

পিতা-মাতার জন্য দু’আ

উচ্চারণঃরব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থঃহে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

 

জানাযা নামাযের দু‘আ

জানাযা নামাযের দু‘আ

উচ্চারণঃআল্লাাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনাা ওয়া মায়্যিতিনাা ওয়া শাা হিদিনাা ওয়া গাা ইবিনাা ওয়া সগী রিনাা ওয়া কাবী রিনাা ওয়া যাকারিনাা ওয়া উনসাা নাা, আল্লাাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্নাা ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাাম, ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্নাা ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈ মাান।

অর্থঃহে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

 

ঝড়-তুফানের সময় পড়ার দোয়া

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা অযথা কাউকে শাস্তি দিতে চান না; বরং মানুষের উপর যে বিপদ আসে, তা তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ। ঝড়-তুফানের সময় পড়ার দোয়া.

প্রাকৃতিক দুর্যোগ- যথা ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বরকত-শূন্যতা প্রভৃতি মানুষেরই কর্মের ফল। ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে পৃথিবী ভারাক্রান্ত। ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ এরই পরিণাম।

পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদেরই কর্মফল। তিনি অনেক গুনাহ মাফ করে দেন’। (সূরা: আশ্-শূরা, আয়াত: ৩০)

‘আর যখন তোমাদের ওপর মুসিবত এলো, যার দ্বিগুণ তোমরা ঘটিয়েছ, তখন তোমরা বললে, এটা কোত্থেকে এলো! (হে নবী) আপনি বলে দিন, এ তো তোমাদের পাপ থেকেই; নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়েই সর্বশক্তিমান’। (সূরা: আল ইমরান, আয়াত: ১৬৫; মারেফুল কোরআন: ৬৭৫৩)

‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলে ও সমুদ্রে ফ্যাসাদ প্রকাশ পায়, যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের কিছু কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে’। (সূরা: রুম, আয়াত: ৪১)

গুনাহ বেশি হলে সবকিছু থেকে বরকত উঠে যায়। ফ্যাসাদ শুরু হয়ে যায়। বিপদ ও বালা-মুসিবত একের পর এক আসতেই থাকে। যুগে যুগে মানুষকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন আজাব-গজব দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। ঝড়-তুফানের সময় পড়ার দোয়া

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফল-ফলারির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে ‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)

ঝড়-তুফানের সময় পড়ার দোয়া: اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা’।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না’। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি) ঝড়-তুফানের সময় এ দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে।

উল্লেখ্য, প্রচণ্ড ঝড়ের সময় আজান দেওয়া সুন্নত।

মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ

মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ

উচ্চারণঃআল্লাাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লাা

অর্থঃহে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

 

মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

উচ্চারণঃ লাা ইলাহা ইল্লাল্লাাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ।

অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার রাসুল।