৪৬তম বিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ ১০,৬৩৮

৪৬তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন

“কৃষি-উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি সরকার তাদের বিকাশে সকল ধরনের প্রণোদনা প্রদান করছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের এই সুযোগটি গ্রহণ করা উচিত; কেননা, তারাই হতে পারে কৃষিখাতের পরিবর্তনের প্রতিনিধি।”

৩ মে, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কৃষি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) তাদের সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে সহায়তামূলক প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’র উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আলম ফেরদৌস, প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান, এবং বিটিভির কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিকসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নির্বাচিত ২শ কৃষি-উদ্যোক্তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, যেখানে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিপণন, ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা, ব্যাংকিং ও কৃষি উদ্যোগের আর্থিক দিক সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি বলেন, “কৃষকেরা যেমন আমাদের অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎস, ঠিক তেমনই আমাদের তরুণরাও। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা আজকাল কৃষিখাতে আগ্রহী হচ্ছেন এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তবে, তাদের সঠিক নির্দেশনা দরকার। ইউসিবির এই উদ্যোগ তরুণদের এ বিষয়ে আলোকিত করবে এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।”

ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আলম ফেরদৌস বলেন, “আমাদের এই বিশেষ সিএসআর প্রকল্প দেশের কৃষি উদ্যোক্তাদের মনে আস্থার নতুন জানালা খুলে দেবে। এ উদ্যোগ কৃষি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ভূমিকা রাখবে।”

ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে তথ্য ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ রয়েছে, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই লক্ষ্যে, দেশজুড়ে সকল উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নে সিএসআর প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’ নিয়ে কাজ করছে ইউসিবি।”

উল্লেখ্য, দেশে এই প্রথম কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক কৃষিখাতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের সহায়তা করছে। এই উদ্যোগের আওতায়, দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ, কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন, এআই-নির্ভর ‘আরো মাছ (মোরফিশ)’ ডিভাইসের মতো কৃষি-সম্পর্কিত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পের আওতায় চর ও লবণাক্ততাপ্রবণ এলাকায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নত করতে জলবায়ুসহিষ্ণু প্রযুক্তি বিকাশের মাধ্যমে ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রেস রিলিজ।

কিছু জেলায় শনিবারও বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দুই দফায় বন্ধ দেওয়ার পর আগামী শনিবার (৪ মে) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে এদিনও কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। তবে কোন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে, তা নির্ভর করবে আবহাওয়া বার্তার উপর।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবারের আবহাওয়া বার্তা জানার পর কোন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে তা জানিয়ে দেবে মন্ত্রণালয়।

এদিকে, সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার (৭ মে) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও পাঠদান শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, বিদ্যালয়গুলো চলবে কয়েক দিন আগে ঘোষিত সময় অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে।

এ ছাড়া তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে বলে জানান ফরিদ আহাম্মদ।

এর আগে, তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার জন্য আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

তাপদাহের কারণে ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটির পর ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২৮ এপ্রিল খোলা হয়। কিন্তু তাপদাহের তীব্রতার কারণে ২৯ এপ্রিল ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।

এরপর ৩০ এপ্রিল ২৭ জেলার মধ্যে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা, ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসএসসির ফল নিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সঠিক নয় : শিক্ষাবোর্ড

আগামী ১১ মে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। যা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। বোর্ড বলছে, এখনো ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে ফল প্রকাশের তারিখ ও সময় সংবলিত পত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ৯-১১ মের মধ্যে প্রকাশ করার সব প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এই তিনদিন ধরেই এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।

গতকাল তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফল প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিতে হয়। ৯, ১০ ও ১১ মে—এই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো একদিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

২০ এপ্রিলের পর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ২০ এপ্রিলের পর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আগামী ২০ এপ্রিলের পর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা কনফার্ম হয়ে তারপর চূড়ান্ত তারিখ প্রকাশ করবো।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবারের মধ্যে চূড়ান্ত হবে কবে পরীক্ষা শুরু হবে। কমিশনের বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হলে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৪৬তম বিসিএসে ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে পিএসসি সূত্র জানায়।

বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের কাছে ৪টি নতুন উদ্ভিদ প্রজাতি উন্মোচন করেছে

বাসস : বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়াম ২০০৯ সাল থেকে ফ্লোরিস্টিক গবেষণার মাধ্যমে চারটি নতুন উদ্ভিদ প্রজাতি এবং উদ্ভিদের চারটি নতুন জাত আবিষ্কার করেছে, যেগুলো দেশের উদ্ভিদ গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাসস-প্রাপ্ত একটি সরকারি নথি অনুযায়ী, নতুন আবিষ্কৃত উদ্ভিদের প্রজাতিগুলো হলো: কলোকেসিয়া হাসানি, অ্যালোকেসিয়া হারারগানজেনসিস, টাইফোনিয়াম ইলাটাম ও অ্যালোকেসিয়া সালারখানি। আর চারটি নতুন জাত হলো: র‌্যাপিডোফোরা ক্যালোফিলাম ভ্যারাইটি: ভাইওলেসিয়াস, কলোকেসিয়া ওরেসবিয়া, ভ্যারাইটি: স্টোলোনিফেরা, টাইফোনিয়াম ট্রিলোবেটাম, ভ্যারাইটি: ফালভাস ও কলোকেসিয়া ফ্যালাক্স, ভ্যারাইটি: পারপুরিয়া।

উদ্ভিদ শ্রেণিবিন্যাস গবেষণার জাতীয় গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম (বিএনএইচ), এবং শুষ্ক উদ্ভিদের নমুনা জাদুঘর দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঠ গবেষণা পরিচালনা করে উদ্ভিদের এ প্রজাতিগুলো আবিষ্কার করেছে।

গবেষণা সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে ফ্লোরিস্টিক গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ৩৪৬টি উদ্ভিদ প্রজাতি রেকর্ড এবং ৬৭টি উদ্ভিদ প্রজাতি পুনঃআবিষ্কার করেছে, যা দেশের উদ্ভিদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

২০১৫-১৮ সময়কালে ‘সার্ভে অফ ভাস্কুলার ফ্লোরা অফ চিটাগাং অ্যান্ড দ্য চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (এসভিএফসি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অধীনে জাতীয় হার্বেরিয়াম দেশের সবচেয়ে জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ অঞ্চল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে উদ্ভিদ জরিপ ও তথ্য সংগ্রহ পরিচালনা করে।

প্রকল্পের অধীনে ৪৫,১৪৬টি উদ্ভিদ নমুনা (ডুপ্লিকেটসহ ১,৫০,০০০ নমুনা) সংগ্রহ, সনাক্ত ও প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে এবং হার্বেরিয়াম শীট প্রস্তুত করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে এ সংগৃহীত উদ্ভিদ নমুনার উদ্ভিদ শ্রেণিবিন্যাস গবেষণার মাধ্যমে সনাক্তকরণের সময় বাংলাদেশে নতুন ৯২টি উদ্ভিদ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।

মাঠ জরিপের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে ৩৪৪টি উদ্ভিদ প্রজাতিকে বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রকল্পের অধীনে ২,৯১৬ টি ভাস্কুলার উদ্ভিদের সচিত্র বর্ণনা সম্বলিত তিনটি খ-ে প্রকাশিত ‘ভাস্কুলার ফ্লোরা অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড দ্য চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস’ শীর্ষক বইটি এদেশের উদ্ভিদবিদ্যার ইতিহাসে একটি মাইলফলক।

ছবিসহ সমস্ত উদ্ভিদ প্রজাতির তথ্যের একটি ই-ডাটাবেসও প্রস্তুত করা হয়েছে।

২০২০-২০২৩ সময়কালে বন বিভাগের অধীনে টেকসই বনায়ন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প ‘উদ্ভিদের বাংলাদেশ জাতীয় লাল তালিকা এবং নির্বাচিত সংরক্ষিত এলাকায় উদ্ভিদের আক্রমণাত্মক এলিয়েন প্রজাতির (আইএএস) উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কৌশল’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আইইউসিএন বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পের আওতায় দেশের বন বাস্তুতন্ত্রের ১ হাজার ভাস্কুলার উদ্ভিদ প্রজাতির লাল তালিকা মূল্যায়ন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এলিয়েন আক্রমণকারী উদ্ভিদ নিয়ন্ত্রণের কৌশল তৈরি করা হয়েছে।

মূল্যায়নের সময় আইইউসিএন রেড লিস্টের মানদ- অনুসারে আটটি উদ্ভিদ প্রজাতিকে বিলুপ্ত, পাঁচটি গুরুতরভাবে বিপন্ন, ১২৭টি বিপন্ন, ২৬২টি গুরুতরভাবে বিপন্ন, ৬৯টি হুমকির সম্মুখীন এবং ২৭১টি সর্বনি¤œ উদ্বেগের হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট ক্লাসিফিকেশন ফর এলিয়েন ট্যাক্সা (ইআইসিএটি) সূচকের মানদ- ব্যবহার করে সাতটি প্রধান আক্রমণাত্মক উদ্ভিদ প্রজাতিসহ মোট ১৪টি উদ্ভিদ প্রজাতিকে আক্রমণাত্মক উদ্ভিদ প্রজাতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তৈরি করা হয়।

জাতীয় হার্বেরিয়াম এই কর্মসূচির অধীনে ‘জাতীয় উদ্ভিদের লাল তালিকা’ (https://iucnredlist-bd.org/) নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে।

বর্তমানে, উদ্ভিদ গবেষণা সংস্থা ২০২১-২০২৪ সময়ের জন্য বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ভাস্কুলার প্ল্যান্ট স্পিশিজ সার্ভে (এসভিএফবিএস) শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার ব্যয় ১৬.১০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ- ১০টি জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

শিক্ষা প্রকৌশলের ৯৫৬ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৯ম থেকে ১২তম গ্রেডে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯৫৬ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু করতে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রায় ১০ মাস আগে এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

পিএসসি’র একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশলে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাগজপত্র যাচাইয়ে কিছু অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। এজন্য মৌখিক পরীক্ষা শুরুর বিষয়টি পিএসসি’র প্রি-অ্যাপ্রুভাল বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এই বোর্ড সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশ করবেন। সুপারিশ শেষে বিষয়টি কমিশনের সভায় উত্থাপন করা হবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, কমিশনের সভায় সমস্যা সমাধান হলে তা পিএসসি’র চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠানো হবে। এরপর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। জানুয়ারির শেষ দিকে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা রবিবার গণমাধ্যমকে জানান, নন-ক্যাডারে বিভিন্ন গ্রেডে ১১ হাজার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা চলছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিছু জটিলতার কারণে শিক্ষা প্রকৌশলের বিভিন্ন গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নন-ক্যাডারের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দেওয়া রয়েছে। এরপর আরও কয়েকটি পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা প্রকৌশলের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), উপ সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), উপ সহকারী প্রকৌশলী (যন্ত্র), ড্রাফটসম্যান ও এস্টিমেটর পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৯৫৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এই প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে শুরু না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষার জন্য আমরা ১২টির বেশি বোর্ড বসাতে পারি না। সেজন্য একটির ভাইভা শেষ না হলে আরেকটি পদের ভাইভা শেষ করা যায় না। তবে জানুয়ারিতে আমাদের ভাইভা সিডিউল ফাঁকা রয়েছে। আশা করছি এই সময়ে বিভিন্ন গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করতে পারব।’

৪১তম বিসিএস: নন-ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন এক হাজারের বেশি প্রার্থী

নানা জটিলতায় প্রায় তিন বছর পর ৪০তম বিসিএসে নন ক্যাডার পদে তিন হাজার ৬৫৭ প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এবার ৪১তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে এক হাজারের বেশি পদের তালিকা পেয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পদ সংখ্যা বাড়বে না কি কমবে সে বিষয়ে জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

পিএসসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এক হাজারের বেশি পদে নিয়োগের চাহিদা পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা বাড়তে কিংবা কমতে পারে। পদের সংখ্যা চূড়ান্ত করতে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সেই চিঠির জবাব এখনো দেয়নি মন্ত্রণালয়।

পিএসসি নন ক্যাডার নিয়োগ শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরে খোঁজ নিয়ে নতুন করে কোথাও কোনো পদ শূন্য হলে সেটি নোট করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর কত পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে পিএসসিকে জানানো হবে। এরপর পিএসসি বিজ্ঞপ্তি জারি করব।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রাথমিকভাবে তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। তাদের চূড়ান্ত তালিকা না পাওয়া পযন্ত এই তালিকাকে চূড়ান্ত তালিকা বলা যাবে না।

গত ৩ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। পেশাগত ১৬টি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এছাড়া নন-ক্যাডারে নয় হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন চার লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৫৬ জন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার জন।

পুলিশের ২৩ কর্মকর্তা পেলেন পদোন্নতি

বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) থেকে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদে ১২ জন, সাব-ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র) থেকে পরিদর্শক (সশস্ত্র) পদে ৯ জন এবং পুলিশ সার্জেন্ট থেকে পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) পদে ২ জনসহ সর্বমোট ২৩ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত ৩ টি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে কর্মরত নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (নিরস্ত্র) পদে পদোন্নতি দেয়া হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো।

এর আগে গত ২৭ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক পদে ২০ কর্মকর্তাক পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) থেকে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ৯ জন, সাব-ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র) থেকে পরিদর্শক (সশস্ত্র) ৮ ও পুলিশ সার্জেন্ট থেকে পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) পদে ৩ জন।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে : ইসি আনিছুর

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ‘নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া জানুয়ারির শুরুতেই ভোটগ্রহণ করা হবে।’ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।

শ্রীপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কার্ড বিতরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে ৩০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়। একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফতেহ মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু হাসনাত মো. সায়েম, ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরাজুল ইসলাম।

ইসি আনিছুর রহমান আরো বলেন, ‘কোন দল নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

মার্কিন ভিসা নীতি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘ভিসা নীতির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এমনকি কোনো বক্তব্যও নেই। কারণ এটা সরকারের বিষয়। আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। দৈনিক শিক্ষা।