দেশে আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

দেশে আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রথম চেষ্টায় অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসলেও পুরো টেস্ট পুনরায় দিতে হবে না পরীক্ষার্থীদের। লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং অথবা স্পিকিংয়ের মধ্যে থেকে আইইএলটিএস’র যেকোনো একটি সেকশনের পরীক্ষা আবার দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের সাফল্যের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিবে দুর্দান্ত ই ফিচার ওয়ান স্কিল রিটেক।

প্রতি সেকশনের ফরম্যাট ও সময় স্বাভাবিক আইইএলটিএস পরীক্ষার মতোই থাকবে। তবে, বাকি তিনটি সেকশনের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা কাটিয়ে অনেকটা সময় বাঁচাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়ে আইইএলটিএস অ্যাট দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক এন্ড্রু ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘গ্রাহকদের ফিডব্যাক অনুযায়ী এ ওয়ান স্কিল রিটেক ফিচারটি চালু করা হয়েছে। আমরা জানি যে সঠিক প্রস্তুতি এবং সহায়তার মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষার্থীরা সেরা স্কোর অর্জন করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘তবুও যদি কেউ মনে করে থাকেন যে প্রথম চেষ্টায় তাদের ইংরেজি দক্ষতার সঠিক মূল্যায়ন পায়নি, তারা ওয়ান স্কিল রিটেকের মাধ্যমে শুধু একটি স্কিলে পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এতে করে পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন হবে। ওয়ান স্কিল রিটেক গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদনকারীর মানের সাথে আপস না করেও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আরও সহজ করে তুলতে পারবেন। পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিকে আরো শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নিয়ে আইইএলটিএস অংশীদাররা গর্বিত।’

বই কেনার সামর্থ্য ছিল না, বন্ধুর বই পড়ে সহকারী জজ হলেন আসাদুজ্জামান নূর

আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক বেছে নেয়া পরীক্ষার্থীরা একটি দ্বিতীয় টেস্ট রিপোর্ট ফর্ম পাবেন, যা মাইগ্রেশন এবং অধ্যায়নের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। অর্জনকৃত স্কোরের ভিত্তিতে পুরনো অথবা নতুন টেস্ট রিপোর্টের মধ্যে যেকোনোটাই বেছে নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। আইইএলটিএসের মূল পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যেই আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক বুক করা যাবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, ‘নতুন এ ফিচার যুক্ত করার ফলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস টেস্ট এখন একমাত্র প্রধান হাই-স্টেকস টেস্ট, যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সেরা স্কোর অর্জনে সহায়তা করব। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহযোগিতা করে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে তুলতে পেরে আমরা গর্বিত।’

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক পেইজ ।

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান ম্যাটস শিক্ষার্থীরা

এক বছরের ইন্টার্নশিপসহ অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধনসহ চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ। অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে এ দাবি জানান ম্যাটস শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো– বঙ্গবন্ধুর ১ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার সুযোগ, এলাইড হেলথ শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে বোর্ড গঠন করা এবং অনতিবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ (কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব সরকারি ও বেসরকারি হসপিটাল/ক্লিনিকে পাস করা ডিএমএফদের পদ সৃষ্টি করে পদায়ন করা)।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা (মিডিয়া) মো. মেহেদী হাসান বলেন, চার দফা দাবিতে গত ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন জেলা ও হাসপাতালে আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের এক দাবি, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সম্মেলন শেষ করে এলেই আমরা আমাদের দাবিগুলো সরাসরি তার কাছে বলতে চাই।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট চার দফা দাবিতে সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন, ছাত্র ধর্মঘট, সরকারি ম্যাটসের প্রশাসনিক ভবনে তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান, জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আসছে।

মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক পরিচালিত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক নিবন্ধিত। বর্তমানে ম্যাটসের ১৭টি সরকারি ও দুই শতাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়াল

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০৯ জনে। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮জন।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন। ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯০০ ছাড়াল

মীনা দিবস পালিত হচ্ছে আজ

‘স্মার্ট শিশু স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ‘স্মার্ট বিদ্যালয় আর স্মার্ট শিক্ষা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে মীনা দিবস। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বরকে ‘মীনা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তবে এ বছর ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার হওয়ায় শ্রেণি কার্যক্রম ও দাপ্তরিক কাজের বিঘ্ন না ঘটার সুবিধার্থে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ‘মীনা দিবস-২০২৩’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মীনা উজ্জ্বল, উচ্ছল, উদ্দীপনা ও উৎসাহের প্রতীক। প্রতিটি শিশুর কাছে মীনা একটি শক্তি সাহস ও প্রেরণার নাম, যে সব বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে শিক্ষার আলোর পথে ছুটে চলে। কারণ, শিক্ষাই তাকে দেবে কাঙ্ক্ষিত মুক্তি, পূরণ করবে স্বপ্ন। তার কথাই হলো—‘দিন বদলের বইছে হাওয়া, শিক্ষা আমার প্রথম চাওয়া’।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সকাল ১০টায় ঢাকা পিটিআইতে (মিরপুর-১৩) মূল অনুষ্ঠান শুরু। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এতে প্রধান অতিথি এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বিশেষ অতিথি। অনুষ্ঠানের সভাপতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

এছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে—গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্বদের শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি তেমন সাজো ও মীনা বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ইউনিসেফের সহায়তায় এই কার্টুন ধারাবাহিকটি নির্মিত।

মীনা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় টিভি কার্টুন ধারাবাহিক। ১৯৯৩ সালে প্রথম এটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। কার্টুন ধারাবাহিকের মূল চরিত্র ‘মীনা’ বাংলা ভাষায় নির্মিত কার্টুনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। বাংলাসহ ২৯টি ভাষায় মীনা তৈরি হয়েছে। কার্টুন ড্রামাটি প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। কার্টুন ছাড়াও এর ওপর কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটি শিশুদের কাছে খুব প্রিয়।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে নীতিমালা চায় ইউজিসি

ক্লিন এনার্জি, গ্রিন ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয়ে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এক্ষেত্রে যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়নও করা হবে।

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ উন্নয়ন মডেল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শামসুল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি ছিলেন।

ক্যাবের গবেষণা সমন্বয়ক প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া ‘পরিবেশ সুরক্ষা ও সৌরবিদ্যুৎ উন্নয়নে সামাজিক আন্দোলন: প্রেক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়’, নোভেলটি এনার্জি লিমিটেডের প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মো. ইন্তিখাব আলম ‘সোলার পিভি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট আন্ডার অপেক্স মডেল ফর পাবলিক ইউনিভার্সিটি’, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক তাসমিয়া বাতেন ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এনার্জি অডিট পরিচালনা’ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত চৌধুরী ও সিহাব উদ্দিন ‘অফ-গ্রিড/ অন-গ্রিড ডিসি/এসি সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট পারফরমেন্স স্টাডি’ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।

ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আওতায় সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে। কাজেই এখন থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্লিন এনার্জি এবং গ্রিন ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্বে) প্রফেসর আলমগীর বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি-২০০৮ অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। যুগোপযোগী নীতিমালার অভাবে এ খাতে এক শতাংশও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। অবকাঠামো তৈরিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের পাশাপাশি এখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে কি না সংশ্লিষ্টদের তা খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংকটে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হতে পারে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে, ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডির পরামর্শ দেন তিনি।

ড. আলমগীর বলেন, বাস্তবতার নিরিখে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে একদিন অনলাইনে পাঠদান করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে লোডশেডিং ও জ্বালানি সংকটের এ সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে সরকারের ব্যয় কম হবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটবে ও এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হবে।

পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে শিক্ষামন্ত্রীর সম্মতি

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় পাবলিক হেলথ বিষয়ক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করা সংশ্লিষ্টদের ‘বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের দাবির বিষয়ে তিনি বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

এদিন রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) অডিটোরিয়ামে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষের পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিষয় পড়ানো সম্ভব। এটি বিশেষায়িতও হতে পারে। বাংলাদেশে নানা বিষয়ের ওপর বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এটি একটি নির্দিষ্ট খাতকে অনেক এগিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে একটি পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বে পাবলিক হেলথকে স্পেশালাইজড অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে এ খাতেই সর্বোচ্চ ফোকাস করা হয়।

পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতিক দুর্যোগ, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণক্ততা, ডেঙ্গু-করোনার মতো নানাবিধ রোগে দেশের মানুষকে ভুগতে হয়। এসব বিষয়ে পাবলিক হেলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, একটা সময় আমরা পাবলিক হেলথকে এতটা গুরুত্ব দিতে চাইনি। কিন্তু করোনা মানুষকে পাবলিক হেলথের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনো আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে পাবলিক হেলথকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

পাবলিক হেলথ বিষয়ে বহির্বিশ্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমপিএইচ করা চিকিৎসককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তারা পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্টকে এগিয়ে রাখেন। তাদের মতে একজন পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ সাধারণ চিকিৎসকদের তুলনায় সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্নভাবে দেখেন। যা রোগীর পাশাপাশি হাসপাতালের সামগ্রিক উপকারে আসে।

ডেঙ্গুতে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, ছাড়ালো ৮০০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৪ জনে। এসময় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৫৯৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ জনে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৫৯৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৬২ জনে।

বন্ধ হচ্ছে ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ

বর্তমানে মোট ৯ হাজার ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চার হাজার ১৬ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৫ হাজার ৮৭৫ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট এক লাখ ৫১ হাজার ২৮৩ জন।

প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিন হিরো বলা হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি কেউ না খেয়ে মরবে না। করোনার সময় আপনারা দেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বের নেতা। কখনও তাকে মাদার অব হিউম্যানিটি আবার কখনও তাকে ভ্যাকসিন হিরো বলা হয়। আমাদের দেশে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে তার ফলে তাকে ভ্যাকসিন হিরো বলা হয়।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেলিম ওসমান ব্যবসায়ী জগতে একজন ধ্রুবতারা। ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জ ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। এরও আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ বন্দরনগরী হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। শুনতে ভালো লাগে যে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিটওয়্যার প্রচুর রপ্তানি হয়। আমি যেখানে গিয়েছি কাপড় উল্টে যখন দেখি মেড ইন বাংলাদেশ তখন মন ভরে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। একটা বিরাট সম্ভাবনাময় জায়গায় আমরা চলে এসেছি। এটিই দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। তিনি যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন অনেকে হেসেছিল। আজ কোথায় নিয়ে গেছেন তিনি বাংলাদেশকে। সাবমেরিন কেবল ফ্রি দিতে চেয়েছিল তখন ওরা বলে দেশের তথ্য নাকি পাচার হয়ে যাবে। এদের বোকা বলব না কী বলব। এদের হাতে ছিল বাংলাদেশ। সারা দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে এতে আপনারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, শ্রমিকরা আগে কিছু হলেই কারখানায় আগুন দিতো। এটা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো। আমরা তাদের বোঝালাম তোমরা আগুন দেবে কেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ আজ বলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। আজ যখন আপনারা পুলিশের প্রশংসা করেন আমার ভালো লাগে। আমার মনে হয় পুলিশ ভালো কাজ করছে। ভালো কাজ করলে সবাই তার প্রশংসা করবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমরা জনতার পুলিশ হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ পুলিশকে সে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, ভুল করলে সে জনপ্রতিনিধি হোক আর প্রশাসনের হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তবে দায়িত্বটা আমাদের ভালোভাবে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাত দুটোর সময় ফোন করলেও কেউ বিপদে পড়লে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলেন। ফজরের নামাজ পড়ে তারপর তিনি বিশ্রাম নেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। আমরা আজ সে জায়গায় আসছি। n

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম সেলিম ওসমান প্রমুখ।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ২৮ সেপ্টেম্বর

দেশের কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

সভা শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৫ হিজরি, ৩১ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। ফলে আগামীকাল ১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. রোববার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহা. আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক মো. শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. জুলফিকার রহমান কোরাইশী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ই-আলিয়ার আল-কুরআন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তরুণদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

(বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তরুণদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। ১৪ সেপ্টম্বর, সিআরআই ও ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘এনার্জি অ্যান্ড ফাইনান্স’ শীর্ষক ‘লেটস টক’ এর প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লেটস টক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী তরুণরা প্রতিমন্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ তরুণদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

নসরুল হামিদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর তরুণদের জন্য সমান সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। জ্বালানি খাতে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা বিচ্চুরণ খুব শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, স্মার্ট গ্রীড নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন, নাবায়ণযোগ্য জ্বালানি, অফশোর ও অনশোর বায়ুবিদ্যুৎ, লিথিয়াম ব্যাটারী কারখানা স্থাপন, সাইবার সিকিউরিটি, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রভৃতি খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হবে সামনের দিনগুলোতে। চার্জিং স্টেশন বা চার্জিং নীতিমালা করা হয়েছে। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল খাতেও বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনী চিন্তা তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে আগামীতে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ বৎসরে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।