ইংরেজী শেখার সেরা ৫ টি এ্যাপ; Top 5 English Learning Apps

ইংরেজী শেখার সেরা ৫ টি এ্যাপ; Top 5 English Learning Apps- ইংরেজী শেখার সেরা ৫ টি এ্যাপ | বর্তমান সময়ে ইংরেজী শেখার জন্য এ্যাপ হচ্ছে দুর্দান্ত একটি সরঞ্জাম। কারণ, এটি দ্রুত, অ্যাক্সেস করা সহজ এবং বেশ উপভোগ্য। এখনকার সময়ে তৈরি করা এ্যাপগুলোকে প্রায়ই মিনি ক্লাসরুম বলা যায়, যেখানে শেখার এবং শেখানোর সকল উপকরণই বিদ্যমান থাকে। যদিও অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনার বাস্তব-জীবনের শিক্ষককের জায়গা কখনোই পূরণ করতে পারে না, কিন্তু এগুলো আপনার নিয়মিত ইংরেজি ক্লাসে দুর্দান্ত বিকল্প তৈরি করতে সক্ষম। অনেকে শব্দভান্ডার, ব্যাকরণ পাঠ, স্টোরিবুক এবং অডিওর জন্য গেম সরবারহ করে ইংরেজী শেখানোর জন্য বেশ কিছু এ্যাপ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

ইংরেজী শেখার ৫ টি এ্যাপ

আজ আমরা এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল এ্যাপ নিয়ে আলোচনা করবো, যা আপনার ইংরেজী শেখার প্রক্রিয়াকে আরো বেশি গতিদান করবে। শুধু তাই নয়, চমৎকার এই-

LearnEnglish Grammar (UK edition)
ইংরেজী যদি ইংরেজীতেই শেখা যায়, তাহলে তার চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। ইংরেজী শেখার জন্য LearnEnglish Grammar অ‍্যাপটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের তৈরি। তারা এটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এটি ব্যবহারে আপনাকে কোন প্রকার অর্থ খরচ করতে হবে না।

অ্যাপ্লিকেশনটি সমস্ত স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত। অর্থাৎ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সকল স্তরের শিক্ষার্থীরাই অ্যাপ্লিকেশনটি ইংরেজী শেখার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষ করে যারা ইংরেজি ব্যকরণ কম বোঝেন বা দুর্বলতা রয়েছে তাদের জন‍্য চমৎকার একটি অ‍্যাপ হতে পারে এটি। এটি আপনার ব্যাকরণের যথার্থতা আরও উন্নত করবে এবং আধুনিক করে তুলবে।

এতে এক হাজারেরও বেশি প্রশ্ন রয়েছে যা অনুশীলন করে আপনি নিজের জ্ঞানকে আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের স্তর অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশনটিতে রয়েছে নানা লেভেল। সেগুলো হল, শিক্ষানবিশ, প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী। এই স্তরগুলোর সমন্বয়ে আপনি এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে উন্নীত হতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশনটি এখন পর্যন্ত ১,০০০,০০০ বারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। আপনিও গুগল প্লে স্টোর থেকে অ‍্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। ইংরেজী শেখার সেরা ৫ টি এ্যাপ; Top 5 English Learning Apps

Knudge
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ ইংরেজী শেখার জন্য Knudge এ্যাপটিকে গ্রহণ করেছে। এই এ্যাপের এত গ্রহণযোগ্যতার কারণ হচ্ছে এর সহজ ব্যবহার। যেকোন বয়সের মানুষ এই এ্যাপটি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

Knudge এ্যাপটি ২০০ এর বেশি শব্দ, ২৫০ এর বেশি বাগধারা এবং ১০ টি গেম নিয়ে সাজানো। পাশাপাশি বিভিন্ন কুইজ এবং গেম ট্রেইনিং এর মাধ্যমে ইংরেজি শেখার দারুণ সুযোগ রয়েছে এখানে। বলা যায়, ইংরেজী শেখাটাকে বোরিং না করে বরং আরো আনন্দের সাথে শেখার উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে এই এ্যাপে।

তাছাড়া বিভিন্ন রিভিশন টেস্টের মাধ্যমে একাধিকবার নিজের দক্ষতা ঝালাই করে নেয়া সম্ভব। শুধু ইংরেজি ব্যাকরণ আর শব্দচয়নই নয় বরং কথা বলার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে Knudge। এর সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো, আপনার প্রতিদিনের অগ্রগতিকে এটি সংরক্ষণ করে রাখবে এবং মনে করিয়ে দেবে।

Quizlet
আপনি কি কখনো ডিজিটাল ফ্ল্যশকার্ডের মাধ্যমে ইংরেজী শব্দ মনে রাখার চেষ্টা করেছেন? উত্তর যদি না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি এতদিন মজার কিন্তু কার্যকরী একটি পদ্ধতি মিস করেছেন। স্মৃতিশক্তিকে ধার দেয়ার জন্য চমৎকার একটি এ্যাপ হচ্ছে Quizlet।

Quizlet এর মূল কাজটি ডিজিটাল ফ্ল্যাশকার্ডকে ঘিরেই। আপনি অন্যান্য এ্যাপের মত এখানেও ডিজিটাল ফ্ল্যশকার্ডের মাধ্যমে শব্দ মনে রাখতে পারবেন। তবে Quizlet এর বিশেষত্ব হলো, এখানে আপনি নিজেই নিজের মত করে ফ্ল্যাশকার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন।

দুর্দান্ত এ এ্যাপে ছবি দেখে দেখে ফ্ল্যাশকার্ড তৈরির মধ্য দিয়ে যেকোন শব্দ মনে রাখা আরো সহজতর হয়ে উঠবে। আর এই মজার কাজটি চলতে-ফিরতে উঠতে-বসতে করা যায়। যা আপনার অবসর সময়গুলোকে আরো কার্যকরী করে তুলবে। সারাবিশ্ব ব্যপী Google Play Store এর মাধ্যমে Quizlet এ্যাপটির ১০,০০০,০০০ বারেরও বেশি ইনস্টল করা হয়েছে। যদি এই এ্যাপটি ব্যবহার করে অন্যান্য বিষয়ও পড়া যায়। তবে ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে এটির সবচেয়ে কার্যকরী।

Learn English Grammar
ইংরেজী ব্যাকরণ শেখার জন্য অন্যতম ভিজ্যুয়াল ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ একটি অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে Learn English Grammar। এই ফ্রি অ্যাপটি তৈরি করেছেন ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। যা বিশেষভাবে ইংরেজি ব্যাকরণ যথাযথভাবে শিখতে সাহায্য করে।

এতে রয়েছে ব্যকরণের সহজ ব্যাখ্যা, অনেক উদাহরণ এবং রঙিন ছবির ব্যবহার। সবথেকে ভালো দিক হচ্ছে এই এ্যাপের সবগুলাে শিক্ষা উপকরণই বিনামূল্যে সহজলভ্য। এটি ছোট বড় সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সমানভাবে উপযুক্ত।
এতে থাকে ২০০ এর বেশি ব্যাকরণের প্রশ্নগুলো ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতা উন্নত করবে। আপনি যখন নিজের ইংরেজি পরীক্ষাটি শেষ করবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে ইংরেজি ব্যাকরণের কোন দিকগুলি আপনি ভাল করেছেন। পাশাপাশি তাদের মধ্যে কোনটির জন্য আরও অনুশীলনের প্রয়োজন।

বিশ্বজুড়ে এই এ্যাপের ১,০০০,০০০ এর বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন। যারা Learn English Grammar এ্যাপটিকে ৫ এর মধ্যে ৪.৭ পয়েন্ট দিয়েছেন। আপনিও চমৎকার এই এ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারেন এই লিংক থেকে।

Busuu
আমাদের তালিকার সর্বেশষ এবং শ্রেষ্ঠ ইংরেজী শেখার এ্যাপের নাম Busuu। এই এ্যাপের দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য হলো Busuu এর মাধ্যমে আপনি থানীয় ইংরেজি ভাষার লোকদের সাথে কথা বলতে পারবেন। এর ফলে আপনার উচ্চারণগত জটিলতা অনেকাংশেই কমে আসবে।

এটি পৃথিবীর যেকোনো ভাষা শেখার সবচেয়ে ভালো একটি পদ্ধতি । কারণ, এতে শোনা, বলা এবং শেখার কাজটি একই সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব। Busuu এর মাধ্যমে শুধু ইংরেজীই না, এর অন্য সংস্করণে স্প্যানিশ এবং জাপানি ভাষা শিক্ষারও সমান সুযোগ রয়েছে। ইংরেজী শেখার সেরা ৫ টি এ্যাপ; Top 5 English Learning Apps=

এই এ্যাপের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট ইউনিট, অডিও কথোপকথন, ল্যাঙ্গুয়েজ গেমস এবং ইন্টারেক্টিভ পরীক্ষার মাধ্যমে ইংরেজি ব্যাকরণ এবং ভোকাবুলারী শিখতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি আপনার নিজের করা প্রাকটিসগুলো এখানে জমা দিতে পারবেন, যা কিনা একজন ইংরেজী ভাষাভাষী লোক স্বয়ং পরীক্ষা করবেন। ইংরেজীতে আপনি আপনার লক্ষ্যে কতটা পৌঁছে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করার জন্য নিজেকে একটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য সেট করতে পারবেন।

ইংরেজিতে ভালো করার উপায়

একটি ভাষা শুধু তার ব্যাকরণগত নিয়ম এবং মৌলিক শব্দভাণ্ডারের চেয়ে অনেক বেশি। একটি ভাষা ভালভাবে জানার অর্থ হল একটি সম্পূর্ণ নতুন সংস্কৃতি বোঝা এবং একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসগুলি দেখতে শেখা। ইংরেজিতে ভালো করার উপায় –

শুধুমাত্র কিছু বই আপনাকে শেখাতে পারবে না, যে কিভাবে ইংরেজরা কথা বলে। আপনি যদি আপনার ইংরেজি উন্নত করতে অধীর আগ্রহী থাকেন, তাহলে খুব সহজেই ইংরেজিতে ভালো করার উপায় রপ্তের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই ন্যাটিভদের মত ইংরেজি বলতে বলতে পারেন।

ইংরেজিতে ভালো করার উপায়- ইংরেজিতে ভালো করার উপায়
এই আর্টিকেলে আজ আমরা ১০ টি সহজ ধাপ সম্পর্কে কথা বলব, যা অনুসরণ করে আপনি আপনার ইংরেজি শেখার প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে পারেন। আপনি একজন শিক্ষানবিশ বা উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী যাই হোন না কেন, এই টিপসগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

১. প্রচুর কথা বলুন
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “গাইতে গাইতে গায়েন”। অর্থাৎ আপনি যতবেশি গান করবেন, আপনার গলা গানের জন্য তত বেশি উপযুক্ত হবে। একটা সময়ে আপনি গায়ক হয়ে যাবেন। ইংরেজির ক্ষেত্রেও ব্যপারটি ঠিক তাই। আপনাকে অনেক অনুশীলন করতে হবে।

তাই আত্মবিশ্বাসী হোন এবং যতবার সম্ভব আপনার কাছের মানুষদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলুন। ভুল করতে লজ্জা পাবেন না। আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন তত ভাল এবং আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি আপনার জানা ভোকাবুলারিও আরো সমৃদ্ধ হবে।

২. ইংরেজিতে সিনেমা দেখু
ইংরেজিতে ভালো করার সহজ এবটি উপায় হচ্ছে ইংরেজি মুভি দেখা। কারণ মুভি দেখার মাধ্যমে আপনি ভাষাটি শেখার পাশাপাশি এটি প্রয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতিও দেখতে পারবেন। ভিজ্যুয়াল দৃশ্য ইংরেজি কথোপকথনের ধরনে অভ্যস্ত হতে এবং স্পষ্টভাবে ভাষার প্রতি অনুভূতি পেতে সাহায্য করে।

শুধু সিনেমাই নয়, ইংরেজী নির্মিত অসংখ্য তথ্যচিত্র রয়েছে, যা অনলাইনেও পাওয়া যাবে। একটি চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্যের জন্য একটি ভাষার সংস্পর্শে আসা আপনাকে আসলে ইংরেজিতে চিন্তাভাবনা শুরু করতে সাহায্য করতে পারে।

৩. ইংরেজি নিউজপেপার পড়ুন
আপনি যদি সত্যিই ইংরেজীতে ভালো করতে চান, তবে ইংরেজি নিউজপেপার পড়া আপনার জন্য উপকারক হবে। দেশে ব্রডশিটের পাশাপাশি ম্যাগাজিন এবং ট্যাবলয়েড সহ ইংরেজি ভাষার বেশকিছু সংবাদপত্র রয়েছে। পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে বিদেশি পত্রিকাগুলোও প্রতিদিন একঝলক দেখতে পারেন।

ইংরেজি পত্রিকা পড়ার ফলে আপনি বর্তমান বিষয়ের সাথে আপ টু ডেট থাকতে পারবেন। পাশাপাশি সংবাদ উৎসের এই বৃহৎ পরিসর আপনার শব্দভাণ্ডারকেও প্রসারিত করবে। আরেকটি সুবিধা হল যে আপনি কীভাবে শব্দের বানান এবং যেসব প্রসঙ্গে সেগুলি ব্যবহার করা হয় তা শিখতে পারবেন।

৪. Android App ব্যবহার করুন
বর্তমান সময়ে ইন্টারেক্টিভ ইংরেজি শিখতে Android App গুলো দারুণ ভূমিকা রাখছে। দ্রুত, যেকোন সময় এবং যেকোন স্থানে বসে অ্যাক্সেস করা সহজ হওয়ায় এসব অ্যাপ্লিকেশনের জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা উভয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনকার সময়ে তৈরি করা এসব Android App গুলোকে প্রায়ই মিনি ক্লাসরুম বলা যায়, যেখানে শেখার এবং শেখানোর সকল উপকরণই বিদ্যমান থাকে।

কোর্সটিকায় আমরা LearnEnglish Grammar (UK edition), Knudge, Quizlet এবং Busuu এর মত দারুণ ও কার্যকরী সব অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই অ্যাপগুলো একাধারে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে, পাশাপাশি অধিক ফিচার উপভোগ করা যাবে। তাই ইংরেজি শেখার দৈনিক অনুসঙ্গ হিসেবে চমৎকার এই অ্যাপগুলো দেখে নিন।

৫. নতুন শব্দ নোট করুন
একটি নোটবুকে বা আপনার কম্পিউটারে দরকারী শব্দ এবং বাক্যাংশগুলোর একটি তালিকা তৈরি করা শুরু করুন। প্রতিবার যখন আপনি এমন নতুন শব্দ শুনেন বা দেখেন যা আপনি জানেন না, তা নোট করুন। (ইংরেজিতে ভালো করার উপায় )

শুধুমাত্র শব্দটির উপরই ফোকাস করবেন না, বরং এটির প্রতিশব্দ এবং বাক্যাংশগুলোও অনুসন্ধান করুন যেখানে এটি ব্যবহার করা যায়। এর ফলে আপনি নতুন নতুন শব্দের অর্থ ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৬. ইংরেজিতে কথোপকথন করুন
আপনি আপনার বন্ধুুদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলা চালিয়ে যান। গুরুত্বপূর্ণ এ ভাষাটি রপ্ত করার জন্য আপনাকে এটি ইন্টারেক্টিভভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং আপনার নিজের কথা বলার দক্ষতা অনুশীলন করতে হবে। তাই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন বাক্য নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করুন এবং যদি তেমন কোন বন্ধু না থাকে তবে ইংরেজি অধ্যয়নরত অন্য কারো সাথে দেখা করার চেষ্টা করুন।

বন্ধুদের সাথে আপনার আগ্রহের সমস্ত বিষয় নিয়ে ইংরেজিতে বিতর্ক (Debate) করুন। যতটা সম্ভব ভোকাবুলারি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যাতে আপনি আপনার মতামত পেতে পারেন। অন্যদের কথাগুলোও মনোযোগ সহকারে শুনুন, যাতে করে আপনি তাদের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে বিতর্ক করতে পারেন।

অন্যের সাথে কনভারসেশনের আরেকটি বিকল্প হল আয়নায় নিজের সাথে কথা বলা বা নিজেকে রেকর্ড করা। আপনার নিজের কণ্ঠের শব্দ শুনতে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে, তবে আপনি এমন ভুলগুলি শুনতে সক্ষম হবেন যা সম্পর্কে আপনি আগে অবগত ছিলেন না।

৭. PDF বইয়ের সাহায্য নিন
Android App এর মত PDF বইগুলোও আপনাকে কার্যকরী ইংরেজি শিখতে সাহায্য করতে পারে। মুনজেরিন শহীদের লেখা সবার জন্য ভোকাবুলারি এবং ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ এমন দুটি জনপ্রিয় PDF বই, যা তরুণ পাঠকতদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আপনি খুব অল্প খরচে এ বইগুলো নিজের সংরক্ষণে রাখতে পারেন।

৮. শুধু Words না, Phrase ও শিখুন
ইংরেজিতে ভালো করার উপায় গুলোর মধ্যে দারুণ একটি আইডিয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ Phrase গুলোকে নিজের আয়ত্বে আনা। আপনি হয়তো অনেক ইংরেজি শব্দ জানেন। কিন্তু Phrase জানা না থাকলে আপনি কখনোই ন্যাটিভ (Native) ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন না।

উদাহারণস্বরূপ আপনি বলকে পারেন, “how do you feel today?”। কিন্তু একজন ন্যাটিভ স্পিকার এর পরিবর্তে বলবেন how’re you doing?” অথবা “what’s up?”। খেয়াল করুন, উভয় বাক্যগুলোই সঠিক। কিন্তু Phrase ব্যবহারের ফলে ন্যাটিভ স্পিকারের কথা আরো বেশি

৯. অনলাইন কোর্স করুন
ইংরেজি শিখতে এখন আর কোন কোচিং বা ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয় না। এখন আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইংরেজি শেখার জনপ্রিয় সব কোর্সগুলো বিবিসি জানালা, টেন মিনিট স্কুল এবং ঘুরি লার্নিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে থাকে।

এসকল কোর্সে রয়েছে একাধিক ভিডিও। যাতে আপনি কার্যকরি ইংরেজি শেখা সকল দিক-নির্দেশনা পাবেন। তাদের পাঠদান পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের কাছে সহজবোধ্য হওয়ায় কোর্সগুলোর জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। এমনই দুটি কোর্স হচ্ছে ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ এবং সবার জন্য ভোকাবুলারি।

টেন মিনিট স্কুলের জনপ্রিয় শিক্ষিকা মুনজেরিন শহীদের এ কোর্সদুটি ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব‌্যপক সাড়া ফেলেছে। আপনিও যদি ঘরে বসে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ইন্টারেক্টিভ ইংরেজি শিখতে চান, তাহলে এ কোর্সদুটি হতে পারে আপনার ইংরেজি শেখার অন্যতম গ্রহণযোগ্য উপায়।

১০. ডিকশোনারি ব্যবহার করুন
ভালো একটি ডিকশোনারি আপনার শব্দের ভাণ্ডারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে। তাই নতুন নতুন শব্দ শেখার জন্য ডিকশোনারি ব্যবহার করুন। তথ্য প্রযুক্তির দারুণ উৎকর্ষে এখন আর ডিকশোনারির হার্ড কপি পড়তে হয় না। অনলাইনে অনেক ডিজিটাল বা ই-ডিকশোনারি রয়েছে।

এসব ডিকশোরিতে শুধু নতুন নতুন শব্দই নয়, শব্দের উচ্চারণগুলোও অডিও আকারে শুনতে পাবেন। ফলে আপনি নতুন ভোকাবুলারি শেখার সাথে সাথে এর সঠিক উচ্চারণও শিখে যাচ্ছেন। দুর্দান্ত এসব ডিকশোনারি অ্যাপ্লিকেশন আপনি আপনার স্মার্টফোনে সর্বত্র আপনার সাথে নিতে পারেন।

শেষ কথা
প্রযুকক্তির দারুণ উৎকর্ষে ইংরেজিতে ভালো করার উপায় বলে শেষে করা যাবে না। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এমনই গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ১০ টি উপায় আলোচনা করলাম। যা অনুসরণ করে আপনি ইংরেজিতে বেশ ভালো দক্ষতার্জন করতে পারেন।

তবে ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার জন্য অনুশীলনের বিকল্প কিছুই নেই। আপনি আজ যা শিখলেন, যথেষ্ট অনুশীলনের অভাবে কাল তা ভুলে যাবেন। তাই নিয়মিত অনুশীলন করে যান। প্রতিদিন একটি হলেও নতুন শব্দ শিখুন। এতে করে আপনার শব্দভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধশালী হবে।

শুধু ইংরেজিই নয়, পৃথিবীর যেকোন ভাষা আয়ত্বে আনতে হলে সেই ভাষার শব্দভাণ্ডারকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়। আপনি হয়তো শুদ্ধ ব্যকরণ ছাড়াও কথা বলে আপনার শ্রোতাকে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন। কিন্তু শব্দ জানা না থাকলে তাও অসম্ভব।

শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম (PDF Download)

শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম (PDF Download)- ইংরজিতে ভালো করতে হলে শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হয়। আপনি যদি ইংরেজি উচ্চারণের সঠিক নিয়ম না জানেন, তবে কারো সামনে ইংরেজি বলতে গেলে তা হাস্যরসের সৃষ্টি করবে। এটি আপনার ইমেজ বা সম্মান উভয় নষ্ট করবে।

অপরদিকে সঠিক নিয়ম মেনে ইংরেজি শব্দের উচ্চারণ করলে আপনাকে অনেক স্মার্ট লাগবে। আপনার গ্রহণযোগ্যতা অন‌্যদের কাছে বৃদ্ধি করবে। আজ কোর্সটিকায় আমরা ইংরেজি উচ্চারণের ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

এ নিয়মগুলোর প্রতিটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং সহজে বোঝার জন্য যথেষ্ট উদাহরণ প্রয়ােগ করা হয়েছে। তাই এ নিয়মগুলো ইংরেজি শেখার জন্য ব্যবহার করলে আপনার উচ্চারণে যথেষ্ট উন্নতি আসবে।

আলোচনা শেষে আপনি এ নিয়মগুলো PDF ফাইলে ডাউনলোডের লিংক পাবেন। সেখান থেকে ফাইলটি ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলে সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি।

শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম
নিয়ম ১: শব্দের শুরুতে KN থাকলে তার উচ্চারণ হবে “ন”। এক্ষেত্রে K অনুচ্চারিত থাকে।
উদাহরণ:
Knowledge (নলেজ) – জ্ঞান
Knight (নাইট) – অশ্ব।
Knee (নী) – হাটু।
নিয়ম ২: W এর পরে h/r থাকলে w উচ্চারণ হয় না।
উদাহরণ:
Write (রাইট) – লেখা।
Wrong (রং) – ভুল।
Who (হু) – কে।
Wrestling (রেস্টলিং) – কুস্তি।

নিয়ম ৩: শব্দের শেষে “e” থাকলে “e” এর উচ্চারণ হয়না।
উদাহরণ:
Name (নেইম) – নাম।
Come (কাম) – আসা।
Take (ঠেইক) – নেওয়া।
Fake (ফেইক) – ভূয়া।

নিয়ম ৪: M+B পর পর থাকলে এবং B এর পর কোন Vowel না থাকলে B উচ্চারিত হয় না।
উদাহরণ:
Bomb (বম) – বোমা।
Comb (কৌম) – চিরুনি।
Thumb (থাম) – হাতের বুড়ো আঙ্গুল।
Thumbnail (থামনেল) – ছোট।

নিয়ম ৫: Word এর শেষে I G N থাকলে তার উচ্চারণ “আইন” হয়। এ ক্ষেত্রে G অনুচ্চারিত থাকে।
উদাহরণ:
Design (ডিজাইন) – আকা।
Resign (রিজাইন) – পদত্যাগ করা।
Reign (রেইন) – রাজত্ব।
Feign (ফেইন) – উদ্ভাবন করা।

নিয়ম ৬: L+ M পর পর থাকলে এবং পরে vowel না থাকলে L অনুচ্চারিত থাকে।
উদাহরণ:
Calm (কাম) – শান্ত।
Alms (আমজ) – ভিক্ষা।
Palm (পাম) – তালগাছ।

নিয়ম ৭: শব্দে T থাকলে T এর পরে U থাকলে T এর উচ্চারণ “চ” এর মত হয়।
উদাহরণ:
Lecture (লেকচার) – বক্তৃতা।
Century (সেঞ্চুরী) – শতক।
Furniture (ফার্নিচার) – আসবাবপত্র।
Structure (স্ট্রাকচার) – গঠন।

নিয়ম ৮: Consonant+ I A+ Consonant এভাবে Word গঠিত হলে, I A এর উচ্চারণ (আইঅ্যা) মত হয়।
উদাহরণ:
Dialogue (ডায়ালগ) – কথোপকথন।
Diamond (ডায়ামন্ড) – হীরক।
Liar (লায়ার) – মিথ্যাবাদী।
Liability (লাইয়াবিলিটি) – দায়।

নিয়ম ৯: I+ R+ Consonant এভাবে Word গঠিত হলে “I” এর উচ্চারণ “আই” না হয়ে “অ্যা” হয়।
উদাহরণ:
First (ফার্স্ট) – প্রথম।
Birth (র্বাথ) – জন্ম।
Bird (বার্ড) – পাখি।
Circle (সার্কেল) – বৃত্ত।

নিয়ম ১০: ৩ বর্ণ বিশিষ্ট Word এ Consonant+ I+ E এভাবে ব্যবহৃত হলে তার উচ্চারণ “আই” এর মত হয়। শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম (PDF Download)-
উদাহরণ:
Mice (মাইস) – ইদুর।
Rice (রাইস) – চাউল।
Wise (ওয়াইস) – বিজ্ঞ
Size (সাইজ) – আয়তন।

নিয়ম ১১: Consonant+ U+ Consonant এভাবে word গঠিত হলে U এর উচ্চারণ “আ” এর মত হয়।
উদাহরণ:
Null (নাল) – বাতিল
But (বাট) – কিন্তু।
Nut (নাট) – বাদাম
Cut (কাট) – কাটা।

নিয়ম ১২: I G H এর উচ্চারণে G উচ্চারিত হয় না। সেই অংশটুকুর উচ্চারণ “আই” হবে।
উদাহরণ:
Night (নাইট) – রাত্র।
Sight (সাইট) – দৃশ্য।
Might (মাইট) – হতে পারে।

নিয়ম ১৩: “I O” এর উচ্চারণ সাধারণত “আইয়” হয়।
উদাহরণ:
Violet (ভাইয়লেইট) – বেগুনী রঙ।
Biology (বাইয়োলজি) – জীব বিদ্যা।
Biography (বাইয়োগ্রাফি) – জীবনী।
Violation (ভাইয়লেশন) – ভঙ্গ।

নিয়ম ১৪: Consonant এর পর “AI” এর উচ্চারণ সবসময় “এই” বা “এয়্যা” হয়।
উদাহরণ:
Rail (রেইল) – রেলের লাইন।
Nail (নেইল) – পেরেক
Straight (স্ট্রেইট) – সোজা।

নিয়ম ১৫: O+ consonant+ U+ consonant+ A/E/I এভাবে word গঠিত হলে, U এর উচ্চারণ “ইউ” এর মত হয়।
উদাহরণ:
Document (ডকিউমেন্ট) – দলিল।
Procurement (প্রকিউরমেন্ট) – চেষ্টা দ্বারা পাওয়া।

নিয়ম ১৬: I+ R+ E এর ক্ষেত্রে যদি বর্ণ তিনটি word এর শেষে থাকে তবে এর উচ্চারণ “আয়্যা” হয়।
উদাহরণ:
Dire (ডায়্যার) – ভয়ংকর।
Mire (মায়্যার) – কাদা।
Admire (এ্যাডমায়্যার) – তারিফ করা।

নিয়ম ১৭: U I + consonant এরপর vowel না থাকলে U I এর উচ্চারণ “ই” এর মত হয়।
উদাহরণ:
Guilty (গিল্টি) – দোষী।
Guilt (গিল্ট) – দোষ।
Build (বিল্ড) – নির্মাণ করা।

নিয়ম ১৮: E A+ R এভাবে ব্যবহৃত হলে এবং R যদি word এর শেষ বর্ণ হয় তাহলে E A এর উচ্চারণ “ঈঅ্যা” হবে।
উদাহরণ:
Dear (ডিয়্যার) – প্রিয়।
Fear (ফিয়্যার) – ভয়।
Bear (বিয়্যার) – বহন করা।

নিয়ম ১৯: EA+ R+ consonant এভাবে word গঠিত হলে, EA এর উচ্চারণ “অ্যা” হবে।
উদাহরণ:
Heart (হার্ট) – হৃদয়।
Earth (আর্থ) – পৃথিবী।
Earn (আর্ন) – আয় করা।

নিয়ম ২০: Consonant+ EA+ consonant (R ছাড়া) এভাবে ব্যবহৃত হলে EA এর উচ্চারণ ঈ হবে। শুদ্ধভাবে ইংরেজি উচ্চারণ করার নিয়ম (PDF Download).
উদাহরণ:
Feather (ফেদার) – পালক।
Tread (ট্রেড) – পদদলিত করা।
Leader (লিডার) – সর্দার।

HSC English 1st Paper Test Paper (PDF) Download Free

HSC English 1st Paper Test Paper (PDF) Download Free – Features of hsc english 1st paper test paper pdf download is : We have designed this book in four parts namely A, B, C and D. Part A and Part B contain ‘Reading’ and ‘Guided Writing’ respectively covering the revised short syllabus. Also, there are Exclusive Model Tests based on the revised question pattern & marks distribution for HSC Exam 2022. A complete set of answers has been provided in Part D.

To ease the practice for the students within the short time, we have added effective techniques for solving a test item, answer explanation, necessary vocabulary & Bangla translation to the relevant sections. If you practice the book properly, you are expected to get rid of all the confusions regarding any test item and take complete preparation for the Exam.

The main features of the book are

Sufficient MCQs with supportive hints and Short Answer Questions, Information Transfer, Flow Chart and Summary Writing under particular seen comprehensions based on the analysis of the previous Board Exam and Test Exam Questions of renowned colleges.
Based on Previous Board and Test Exam Questions, sufficient number of Cloze Tests (with & without clues) and Rearranging with easy & effective techniques, answer explanation, Bangla translation and word-meaning.
Enrichment of the Writing Part (paragraph, story writing and informal letter) based on the Board Exam and topmost colleges’ test exam questions and important recent topics.
Easy, clear and supportive hints & techniques for solving a test item, word-meaning with synonym & antonym, answer explanation and Bangla translation in relevant sections in order to make the practice easier for the learners.
Also included
Board and Test Exam Questions Analysis
Exclusive Suggestions with highest common possibility
Sample Question and Answer
Exclusive Model Test and Answer
hsc english 1st paper test paper pdf download
1. Read the passage and answer the questions A and B.
Many educators believe that one of the functions of education today should be to impart 21st century skills that are indispensable for participation, achievement and competitiveness in the global economy. Beyond the assessment of reading, mathematics and science, it is now necessary to train other essential skills that are in demand in the 21st century. All people, not just an elite few, need 21st century skills that will increase their ability, employability and readiness for citizenship. Such skills include:

A. Choose the correct answer from the alternatives.
a. What does the word ‘assessment’ mean?
i) evaluation
ii) judge
iii) evaluate
iv) estimate

b. Many fastest-growing jobs and emerging industries depend on workers’ creative capacity. What does the sentence refer? Working sectors search .
i) creativity of a man
ii) ability to work
iii) managing ability
iv) none

c. According to many educators which should be imparted in the 21st century?
i) functions of education
ii) product
iii) skills
iv) culture

d. What does the word ‘unconventional’ refer to?
i) orthodox
ii) traditional
iii) alternative
iv) unorthodox

e. The ability to make logical decisions comes from the power of-
i) using information ii) critical thinking
iii) creativity iv) taking risk

B. Answer the following questions.
(a) What, according to many educators, should be one of the functions of today’s education?
(b) What are the qualities that graduates of 21st century need to develop?
(c) How does critical thinking help us?
(d) What is meant by the term ‘global market place’?
(e) How can you make a meaningful contribution to the development of the country?

2. Read the following text and make a chart showing the activities and achievements of Nelson Mandela. (One is done for you.)
Nelson Mandela guided South Africa from the shackles of apartheid to a multi-racial democracy, as an icon of peace and reconciliation who came to embody the struggle for justice around the world. Imprisoned for nearly three decades for his fight against white minority rule, Mandela never lost his resolve to fight for his people’s emancipation. He was determined to bring down apartheid while avoiding a civil war. His prestige and charisma helped him win the support of the world.

“I hate race discrimination most intensely and in all its manifestations. I have fought it all during my life; I will fight it now, and will do so until the end of my days,” Mandela said in his acceptance speech on becoming South Africa’s first black president in 1994. … “The time for the healing of the wounds has come. The moment to bridge the chasms that divide us has come.” “We have, at last, achieved our political emancipation.” In 1993, Mandela was awarded the Nobel Peace Prize, an honour he shared with F.W. de Klerk, the white African leader who had freed him from prison three years earlier and negotiated the end of apartheid.

4. Read the following text and fill in the blanks with suitable word from the box. There are more words than needed. Make any grammatical change if necessary.
A parliament is the house where the legislators make and change laws for the nation. In the (a) —– the party in power and the (b) —– debate to make new laws or change or nullify the old ones. The Parliament House, in Bangladesh is (c) —– the Jatiya Sangsad. It is (d) —– at Sher-e-Bangla Nagar in Dhaka. Our Parliament House is a (e) —– of modern architecture and technology. It is a very (f) —– house. The (g) —– area of the House covers a large area. So, this place should be the centre of (h) —– major problems of the country. If all the members of the Parliament act (i) —– for the welfare of the country, the main purpose of this House will be fulfilled and the (j) —– cost of the public money will be utilized properly.

5. Fill in the blanks with appropriate word in each gap.
Sincerity is the best way of achieving success. One can go a long way if one does anything with sincerity. People who are sincere in their work are (a) —– of making anything success. The great men are also sincere because they (b) —– that sincerity is the (c) —– to success. Those who are not (d) —– can never (e) —– a long way in the world. The poor people are not always sincere because they do not know the (f) —– of sincerity. If they knew it, they would (g) —– a good use of it. Sincerity means not only to do work (h) —– but also with dutifulness, honesty, modesty and good behaviour. If all of us (i) —– sincere, our country will (j) —– be prosperous.

6. Rearrange the following sentences to make a coherent order.
a) There she became a teacher of a school.
b) Soon her activities for the service of mankind spread all over the world.
c) She was on her heels for her selfless services to mankind even at her old age.
d) As a recognition to her service, she was awarded the Nobel Prize for peace in 1979.
e) She was one of those people who dedicated their lives to the service of mankind.
f) When she was eighteen, she decided to be a nun and came to Calcutta.
g) She swore to dedicate her life for the cause of the helpless and poor people.
h) She was born in Yugoslavia in 1919.
i) She was also given ‘Bharat Ratna Award’ in the following year.
j) You have heard the name of Mother Teresa.

Part II: Writing Test (40 Marks)

7. Write a paragraph of about 150 words based on the following questions. Your answers to the questions should give as much detail as possible.
(a) What is dowry?
(b) What is the main reason of dowry?
(c) How does the dowry system affect the whole society?
(d) What is your reaction to this social vice?
(e) How can this social curse be eliminated?

8. The following is the beginning of a story. Complete it in your own words.
Rina is a poor girl. She works in a rich man’s house. Her master was a good man but her mistress was very inconsiderate and cruel. One day while serving tea, Rina broke a tea cup. So her mistress…

9. Suppose, you have a bosom friend named Roni. Recently, he has lost his father. Now, send a condolence message to your friend using his e-mail address.

HSC English 1st Paper Test Paper (PDF) Download Free – HSC English 1st Paper Test Paper (PDF) Download Free .

যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার (PDF) ১ম ও ২য় পত্র

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার প্রয়োজন। আমরা এখানে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন সম্বলিত একটি টেস্ট পেপার শেয়ার করছি। এতে রয়েছে বিগত বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা এবং শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোর প্রশ্নপত্র, যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার (PDF) ১ম ও ২য় পত্র।

যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার

এই পোস্টের শেষে তোমরা যুক্তিবিদ্যা ১ম ও ২য় পত্র টেস্ট পেপার ডাউনলোড করার লিংক পাবে। তার আগে এই টেস্ট পেপার থেকে কিছু নমুনা সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেখে নাও। এই টেস্ট পেপারে তোমরা বহুনির্বাচনি অর্থাৎ MCQ প্রশ্নগুলো উত্তরসহ পাবে।

যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র থেকে প্রশ্ন

১. বিশাল প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভে আগ্রহী। কিন্তু তার পক্ষে একই সময়ে সবকিছুই জ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। তাই সে প্রকৃতির একটি বিশেষ বিভাগ সম্পর্কে প্রথমে সুশৃঙ্খল জ্ঞান লাভ করে, আর এরূপ জ্ঞান সে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করে থাকে। অন্যদিকে জামিলের হাতের কাজের প্রতি বেশি আগ্রহ। নিপুণ মোটরের মালিকের সাথে তার খুব ভাব। তাই সে মালিককে বুঝিয়ে লেখাপড়ার সাথে সাথে ওখানে কাজ শিখে নিয়ে দক্ষতার সাথে (পার্টটাইম) খণ্ডকালীন কাজ করে নিজের খরচ নিজেই চালিয়ে নিতে পারে।

ক. যুক্তিবিদ্যা কী?
খ. যুক্তিবিদ্যাকে কী আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলা যায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বিশালের জ্ঞান লাভের পদ্ধতি যুক্তিবিদ্যার কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জামিলের কাজের ধরনে যে বিষয়টির ইঙ্গিত রয়েছে তার সাথে যুক্তিবিদ্যার সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।

২. দৃশ্যকল্প-১ : দীপ্ত লক্ষ করল ছোটকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে একটা বিষয় পাঠে খুব ভয় পায়। তাই সে মেধা কাজে লাগিয়ে খেলার ছলে যাতে সে বিষয়টির সহজ সমাধান করা যায় সে বিষয়ে একটি বই লিখেছে। তার লিখিত বইটির সূত্র প্রয়োগ করে অতি সহজেই বিষয়টি সমাধান করতে পারায় বইটি সকলের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে।

দৃশ্যকল্প-২ : দুই বান্ধবীর মধ্যে সুমি সর্বদা সত্য কথা বলে, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করে। কোনো মানুষ বিপদে পড়লে সে গিয়ে বুঝিয়ে দেয় তাদের কী করা উচিত। মোটকথা মানুষের মঙ্গলের জন্যই সে এ ধরনের কাজগুলো করে থাকে। অন্যদিকে রিনি পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। সে সবসময় তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখে, মিষ্টি করে কথা বলে। সে বাগানের গাছগুলো বিশেষ যত্ন করে থাকে। তার এই সুন্দর আচরণের জন্য সবাই তাকে পছন্দ করে।

ক. দর্শন কী?
খ. ব্যবসায় ও পেশায় কী যুক্তিবিদ্যার গুরুত্ব আছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ যুক্তিবিদ্যার কোন প্রায়োগিক দিকের নির্দেশ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ সুমি ও রিনি আচরণেল যে দুটি বিষয়ের প্রকাশ ঘটেছে তাদের আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।

৩. মায়া, কেয়া ও লিয়া তিন বোন একই স্কুলে পড়ে। মায়া বড় তাই সে ঘণ্টা বাজাতে পারে, কেয়া আর একটু ছোট হওয়াতে ঘণ্টা বাজানোর সময় টুলের উপর দাঁড়ায়। আর লিয়া খুবই ছোট তাই সে টুলের উপরে দাঁড়িয়েও ঘণ্টা বাজাতে পারে না।

ক. পদ কাকে বলে?
খ. সংযোজককে কী পদ বলা যায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লিয়ার কর্মকাণ্ডে কোন ধরনের শব্দের নির্দেশ পাওয়া যায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মায়া ও কেয়ার কর্মকাণ্ডে উল্লিখিত দুই ধরনের শব্দের আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।

৪. কলেজ থেকে ফেরার পথে আবীর বলল দেখ, বাগানে কী সুন্দর হলুদ, লাল ও গোলাপী রঙের ফুল ফুটেছে আর তাতে কালো ও হলুদ রঙের প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। নীরব তা দেখে বলল, প্রজাপতিদেরও প্রাণ আছে। এরাও খাবার গ্রহণ করে আবার ঘুমিয়েও পড়ে। এক পর্যায়ে বর্ষণ তাদের দলে যোগ দিয়ে বলল, এবার ঈদে আমি সুন্দর চেকশার্ট কিনে পড়ব, আর চুলের কাটও ছোট করে ফেলব। যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার (PDF) ১ম ও ২য় পত্র;

ক. বিধেয়ক কী?
খ. কোন ধরনের যক্তিবাক্যে বিধেয়ক অনুপস্থিত থাকে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের আবীরের বক্তব্যে কোন ধরনের বিধেয়ক উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নীরব ও বর্ষণের বক্তব্যে যে উপলক্ষণ ও অবান্তর লক্ষণের নির্দেশ রয়েছে তাদের তুলনামূলক আলোচনা কর।

৫. দৃশ্যপট-১ : লিমনের হাতে আঘাত লেগেছে, সে ব্যথা অনুভব করল, আসিফের পায়ে আঘাত লেগেছে সেও ব্যথা অনুভব করল। তাই সকল মানুষের গায়ে আঘাত লাগলে ব্যথার অনুভব হয়।
দৃশ্যপট-২ : প্যারাসিটামল ব্যাথ্যা সারায়। মিনির মাথা ব্যথা হয়েছিল। মিনি প্যারাসিটামল ওষুধ খেয়ে সেরে গেছে।

ক. অনুমানের সংজ্ঞা দাও।
খ. অনুমানের আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক থাকে? ব্যাখ্যা কর।
গ. দৃশ্যপট-২ কোন ধরনের অনুমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যপট-১ ও দৃশ্যপট-২ এর সম্পর্ক অনুমানের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা কর।

৬. বন্দনা হাসান বিদ্যুাৎসাহী একজন নারী। তার জীবনযাপন সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ, উন্মুক্ত, প্রজ্ঞার আলোয় দ্বীপ্তিময়। তিনি ছিলেন সৎ, বিশ্বস্ত, সময়ানুবর্তী ও দায়িত্বশীল একজন সেবাকর্মী। রোগীদের প্রতি তার সেবা ছিল আন্তরিকর্তাপূর্ণ ও ভালোবাসাময়। তার কথায় ছিল আশার আলো। হাসপাতালের সব ডাক্তার, স্টাফ, সহকর্মী ও রোগী তাকে শ্রদ্ধা করত ও ভালোবাসত।

ক. দর্শনের কোন শাখা থেকে যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি?
খ. ব্যক্তিগত জীবনে যুক্তিযুক্ত চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. উদ্দীপকে বন্দনা হাসানের ব্যক্তিত্বে কোন ধরনের সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার দিকটি বিশ্লেষণ কর।

যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র থেকে প্রশ্ন
১. যুক্তিবিদ্যা ক্লাসে নিখিল স্যার যৌক্তিক সংজ্ঞা পড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘মানুষ’ পদের সংজ্ঞা দিতে বললেন। উত্তরে নয়ন বলল, “মানুষ হলো জীব”। সুমি বলল, “না স্যার, মানুষ হলো মনুষ্য জাতীয় জীব”। তাদের উত্তর শুনে নিখিল স্যার বিষয়টি নিয়ে ক্লাসে বিস্তারিত আলোচনা করলেন।

ক. যৌক্তিক সংজ্ঞা দাও।
খ. রূপক সংজ্ঞা অনুপপত্তি কখন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে সুমির যৌক্তিক সংজ্ঞায় কোন ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নয়ন ও সুমির প্রদত্ত সংজ্ঞার মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।

২. গনি মিয়া একজন কৃষক। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া অল্প কয়েক খণ্ড জমিই তার সম্বল। অল্প জমিতে অধিক ফসল পাওয়ার আশায় তিনি জমিগুলোকে উর্বরতার ভিত্তিতে দুভাগে ভাগ করে উর্বর জমিতে তরমুজ এবং অনুর্বর জমিতে পুকুর খনন করে মাছের চাষ করলেন। তরমুজের ফসল খুব ভাল হয়েছে। তিনি তরমুজগুলোকে তাদের আকার, আকৃতি ও রঙের ভিত্তিতে ভাগ করেন। যুক্তিবিদ্যা টেস্ট পেপার (PDF) ১ম ও ২য় পত্র

ক. যৌক্তিক বিজ্ঞান কী
খ. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি কখন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে গনি মিয়ার জমি ভাগ করার পদ্ধতি যৌক্তিক বিভাগের কোন নিয়মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়া যৌক্তিক বিভাগের যথার্থ নিয়ম পালন করেছে? পাঠ্যবিষয়ের আলোকে যুক্তি দেখাও।

৩. দৃশ্যকল্প ১ : আমি এ যাবৎ যত নারী দেখেছি তারা প্রত্যেকেই গুণবতী। সুতরাং সকল নারীই গুণবতী।
দৃশ্যকল্প ২ : মানুষের মতো উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি, মৃত্যু, বংশবিস্তার, খাদ্যগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে। মানুষের সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে। সুতরাং উদ্ভিদেরও সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে।

ক. আরোহ কী?
খ. অপ্রকৃত আরোহকে আরোহ বলা যায় না কেন?
গ. দৃষ্টান্ত-১ এ কি ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃষ্টান্ত-২ এ নির্দেশিত আরোহের যথার্থতা বিচার কর।

৪. দুই বন্ধু শ্যামল ও কমল রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। শেষ রাতে মশার কামড়ে দুই বন্ধুর ঘুম ভেঙে যায়। তারা দুজনই উঠে বসে। কিন্তু অবাক হয়ে যায় মশারী দেখতে না পেয়ে। বন্ধু শ্যামল ভাবল সম্ভবত মশারাই মশারিটি নিয়ে গেছে। বন্ধু কমল ভাবল সম্ভবত ঘরে নতুন ভাবি মজা করার জন্য মশারিটি খুলে নিয়ে গেছে।

ক. প্রকল্প কী?
খ. সব প্রকল্পকে বৈধ প্রকল্প বলা যায় না কেন?
গ. বন্ধু শ্যামলের ধারণাটি বৈধ প্রকল্পের কোন শর্ত ভঙ্গ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে শ্যামল ও কমলের প্রকল্পটির তুলনামূলক বিচার কর।

৫. ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা তার জš§দিনের উপহারগুলো রঙের ভিত্তিতে সুন্দরভাবে আলাদা আলাদা করে তাকে সাজিয়ে রেখেছে। অপরদিকে অর্পিতা একটি ফুলের বাগান করেছে। সেখানে সে গন্ধযুক্ত ফুল একদিকে আর গন্ধবিহীন ফুল অন্যদিকে লাগিয়েছে।

ক. শ্রণিকরণ কী?
খ. পরিবর্তনশীল বন্ধন শ্রেণিকরণ করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকে মুক্তার শ্রেণিকরণ কোন ধরনের শ্রেণিকরণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে অর্পিতার শ্রেণিকরণ মুক্তার শ্রেণিকরণ থেকে কি ভিন্ন? পাঠ্য বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

৬. ছোটবেলায় নিলয় মা-বাবার সাথে আমেরিকা চলে যায়। দীর্ঘ বিশ বছর পর গ্রামে বেড়াতে এসে সবকিছু অপরিচিত মনে হলো। তারপরও মায়ের কথামতো বড় রাস্তা ধরে গ্রামে ঢুকল। কিন্তু সমস্যায় পড়ে গেল চৌরাস্তার মোড়ে এসে। কোন রাস্তা ধরে তাদের বাড়ি যেতে হবে সে বুঝে উঠতে পারছে না। এমন সময় দৃষ্টি পড়ল চৌরাস্তার সংযোগস্থলে অঙুলি সংকেত স্তম্ভের দিকে। সেখানে দিকনির্দেশনা ছিল ‘মণ্ডলবাড়ি’ যেতে তাকে কোন রাস্তায় যেতে হবে। এভাবে তার বাড়ি যাওয়ার সমস্যা সমাধান হলো।

ক. পরীক্ষামূলক সমর্থন কত প্রকার?
খ. প্রকল্প ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কীভাবে?
গ. উদ্দীপকে প্রকল্প প্রমাণের যে উপায় অবলম্বন করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত পদ্ধতি প্রকল্প প্রমাণের একমাত্র উপায়? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

ভৌগলিক উপনাম দেশ ও স্থান

ভৌগলিক উপনাম দেশ ও স্থান – এখান থেকে বিসিএস সহ নানা সরকারি ও বিসশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেই থাকে বলা চলে। ভৌগলিক উপনাম দেশ ও স্থান বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

নীরব খনির দেশ — বাংলাদেশ।
বজ্রপাতের দেশ — ভুটান।
সূর্যোদয়ের দেশ — জাপান।
নিষিদ্ধ দেশ — তিব্বত।

শান্ত দেশ — কোরিয়া।
সাদা হাতির দেশ — থাইল্যান্ড।
সোনালী প্যাডোডার দেশ — মিয়ানমার।
ধীবরের দেশ — নরওয়ে।

হাজার হ্রদের দেশ — ফিনল্যান্ড।
নীল নদের দেশ — মিসর।
পিরামিডের দেশ — মিসর।
মরুভুমির দেশ — আফ্রিকা।

চীর সবুজের দেশ — নাটাল (দ: অাফ্রিকা)।
লিলি ফুলের দেশ — কানাডা।
ক্যাঙ্গারুর দেশ — অস্ট্রেলিয়া।
পশমের দেশ — অস্ট্রেলিয়া।

মেডিটেরিয়ানের দেশ — জিব্রাল্টার।
সিল্ক রুটের দেশ — ইরান।
মার্বেলের দেশ — ইতালি।
পঞ্চম ড্রাগনের দেশ — তাইওয়ান।
বহ্মদেশ — মিয়ানমার।

রিকশার শহর — ঢাকা ।
রাজপ্রাসাদের শহর — কতকাতা।
সাত পাহাড়ের শহর — রোম, ইতালি।
চির শান্তির শহর — রোম, ইতালি।
পোপের শহর — ভ্যাটিক্যান সিটি।

উদ্যানের শহর — শিকাগো।
বাতাশের শহর — শিকাগো।
সোনালী তোরণের শহর — সানফ্রান্সসকো।
ফুলগাছের শহর — হারারে।
ট্যাক্সির নাগরী — মেক্সিকো।

নিমজ্জমান নগরী — হেগ।
রাতের নগরী — কায়রো।
রজত/রৌপ্যের নগরী — আলজিয়ার্স।
স্বর্ণের নগরী — জোহানেসবার্গ।
জাকজমকের নগরী — নিউইয়র্ক।
চির বসন্তের নগরী — কিটো, ইকুয়েডর।

পৃথিবীর গুদামঘর — মেক্সিকো।
পৃথিবীর সুন্দর দ্বীপ — ট্রিস্টিয়ান ডি কানা।
পৃথিবীর ব-দ্বীপ — বাংলাদেশ।
পৃথিবীর রাজধানী — নিউইয়র্ক।

সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী pdf ২০২৪

সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী pdf ২০২৪ – বাংলাদেশ বিষয়াবলী সাম্প্রতিক সাধারন জ্ঞান। সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী pdf ২০২৪ আপনার প্রয়োজনে আসবে যদি আপনি দেশের সরকারি বা বেসরকারিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনেকের চেয়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে। সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী pdf ২০২৪ আপনি পড়ে দেখুন এসব জানা আছে কি না আপনার?

প্রশ্ন: ঢাকা সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী হয় কখন?
উত্তর: ১৬১০ সালে।

প্রশ্ন: ইদ্রাকপুর কেল্লা যে জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: মাগুরা জেলা।

প্রশ্ন: উয়ারী-বটেশ্বর যে কারণে আলোচিত?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের জন্য।

প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের স্থপতি কে?
উত্তর: হামিদুর রহমান।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম সাল কত?
উত্তর: ১৯২০।

প্রশ্ন: ‘বাংলার মুক্তিসনদ’ নামে পরিচিত হল কত দফা?
উত্তর: ৬ দফা।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখন ‘ছয় দফা’ দাবি পেশ করেন?
উত্তর: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে।

প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
উত্তর: ২ নম্বর সেক্টরে।

বিগত সালে আসা বাংলাদেশ বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ৪নং অনুচ্ছেদে।

প্রশ্ন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে?
উত্তর: ৪১।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে কত বার এখন পর্যন্ত সংশোধনী আনা হয়েছে?
উত্তর: ১৭ বার।

প্রশ্ন: আদমশুমারি ও গৃহগণনার বর্তমান নাম কি?
উত্তর: জনশুমারি ও গৃহগণনা।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে কত বছর পর পর?
উত্তর: ১০ বছর।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের অর্থবছর কখন সমাপ্ত হয়?
উত্তর: ৩০ জুন।

প্রশ্ন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশের কততম প্রধান বিচারপতি?
উত্তর: ২৪তম।

প্রশ্ন: দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র অবস্থিত কোথায়?
উত্তর: পঞ্চগড়ে।

প্রশ্ন: দেশে মোট পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় কতটি?
উত্তর: ৮টি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বরেন্দ্র জাদুঘরে।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন তারিখ কখন?
উত্তর: ২৫ জুন ২০২২।

বাংলাদেশ বিষয়াবলী বিসিএস লিখিত

প্রশ্ন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন নদীর তীরে অবস্থিত? উত্তর:
পদ্মা নদীর তীরে।

প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: ১৯২১ সালে।

প্রশ্ন: ৭ মার্চ ভবন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে।

প্রশ্ন: পারমাণবিক ক্লাবের তালিকায় বিশ্বের যততম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কততম?
উত্তর: ৩৩তম।

প্রশ্ন: পর্যটনকেন্দ্র ‘সাজেক’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: রাঙামাটিতে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন কে?
উত্তর: জাকারিয়া পিন্টু।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সাধারন জ্ঞান

প্রশ্ন: ফিলিস্তিনের মাতৃভূমিতে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় কখন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে।

প্রশ্ন: মঙ্গোলিয়ার রাজধানীর নাম কী?
উত্তর: উলানবাটোর।

প্রশ্ন: ‘বান্দুং’ শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
উত্তর: ইন্দোনেশিয়া।

প্রশ্ন: শ্যামদেশ যে দেশের পুরাতন নাম ছিল?
উত্তর: থাইল্যান্ড।

প্রশ্ন: জাপানের পার্লামেন্টের নাম কী?
উত্তর: ডায়েট।

প্রশ্ন: বিশ্বের জনসংখ্যার ঘনত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ কী?
উত্তর: মোনাকো।

সাধারন জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

প্রশ্ন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয় কখন?
উত্তর: ১৮৬৩ সালে।

প্রশ্ন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর ‘পেন্টাগন’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ভার্জিনিয়ায়।

প্রশ্ন: জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?
উত্তর: ট্রাইগভে লাই।

প্রশ্ন: ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’ এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: জার্মানিতে।

প্রশ্ন: ‘গ্রিন পিস’ একটি পরিবেশবাদী গ্রুপ, এর প্রধান অবস্থান কোথায়?
উত্তর: নেদারল্যান্ডস।

প্রশ্ন: ‘New Development Bank (NDB)’ -এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: সাংহাই, চীন।

প্রশ্ন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ফ্রাঙ্কফুর্ট।

প্রশ্ন: আসিয়ান রিজিওনাল ফোরাম (ARF)-এর কতগুলি সদস্য রয়েছে?
উত্তর: ২৭ জন।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী আপডেট ২০২৪

প্রশ্ন: ‘আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থা’ (IRENA)-এর বর্তমান সদস্যসংখ্যা কত?
উত্তর: ১৬৯ জন।

প্রশ্ন: মহানবী (স) ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন যে দেশে?
উত্তর: সিরিয়া।

প্রশ্ন: মাদার তেরেসা জন্মগ্রহণ করেছিলেন কোথায়?
উত্তর: মেসিডোনিয়ায়।

প্রশ্ন: নোবেল বিজয়ী ‘তাওয়াক্কুল কারমান’ যে দেশের নাগরিক?
উত্তর: ইয়েমেন।

প্রশ্ন: তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) রপ্তানিতে কোন দেশটি শীর্ষে?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র।

প্রশ্ন: বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কোনটি?
উত্তর: চীন।

প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে শীর্ষ দেশ কোনটি?
উত্তর: চীন।

প্রশ্ন: সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে কোথায়?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রশ্ন: ভারত কর্তৃক চাঁদে প্রেরিত চন্দ্রযানের নাম কী?
উত্তর: চন্দ্রযান-৩।

প্রশ্ন: ১১ জুলাই ২০২১ যে ধনাঢ্য ব্যক্তি প্রথমবারের মতো মহাকাশে ঘুরে আসেন?
উত্তর: রিচার্ড ব্রানসন।

প্রশ্ন: মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো ‘ব্ৰেইনচিপ’ স্থাপন করেছে যে প্রতিষ্ঠান?
উত্তর: নিউরালিংক।

প্রশ্ন: বিশ্বের প্রথম ধূমপানমুক্ত দেশ কোনটি?
উত্তর: ভুটান।

প্রশ্ন: বিশ্বের বৃহত্তম অফিস ভবন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: ভারতে।

প্রশ্ন: বিশ্ব পর্যটন দিবস কখন পালিত হয়?
উত্তর: ২৭ সেপ্টেম্বর।

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস কখন পালিত হয়?
উত্তর: ৮ মার্চ।

প্রশ্ন: রিলে দৌড়ের সময় রিলে ব্যাটন বদলের জায়গার দূরত্ব কত?
উত্তর: ২০ মিটার।

প্রশ্ন: ২৩তম বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কোনগুলি?
উত্তর: কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো।

প্রশ্ন: ২০২৪ সালের অলিম্পিক কোথায় অনুষ্ঠিত হবে? উত্তর: প্যারিসে।

প্রশ্ন: ২০২৪ সালে কোপা আমেরিকা ফুটবল প্রতিযোগিতা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রশ্ন: তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ কোনটি?
উত্তর: চীন।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প রচনা | বাংলা রচনা পোশাক শিল্প

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ সমাদৃত। বিদেশী অনেক কোম্পানিই বর্তমানে বাংলাদেশে পোশাক খাতে বিনিয়োগ করেছে। আজকে এই সম্পর্কে রচনা আকারে জানবো।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

অথবা, পোশাক শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা

ভূমিকা

শিল্পে অনুন্নত বাংলাদেশে দ্রুত বিকাশমান ও সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী যেসব শিল্প খাত রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শতকরা একশ ভাগই রপ্তানিমুখী। প্রতিবছর বাংলাদেশের মোট প্রবৃদ্ধির সিংহভাগই আসে এই খাত থেকে। এই খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিচ্ছে।

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক দেশে-বিদেশে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান বর্তমানে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের প্রায় ৩০টির মতো দেশে। আর এর সবচেয়ে বড়ো ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ফ্রান্স, কানাডা, বেলজিয়াম, জার্মানি, জাপান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি করে। অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়াতেও সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাকের বাজার। পোশাক শিল্প কারখানাগুলো প্রায় ৫৪ লক্ষেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেছে এই পোশাক শিল্প। এই শিল্পের মোট শ্রমিকের মধ্যে ৫৪ ভাগই নারী শ্রমিক। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশের বেকারত্ব নিরসন সম্ভব হচ্ছে এই সম্ভাবনাময় শিল্প খাতটির মাধ্যমে। কিন্তু তার পরও পোশাক শিল্পের কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্প খাতটির ভবিষ্যৎ অনেকটা নাজুক হয়ে উঠেছে। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজার থেকে আমদের ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের ভূমিকা

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে তৈরি পোশাক শিল্পের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ খাতের সম্ভাবনা ও অবদানের প্রধান দিকগুলো হচ্ছে:

ক. জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন:প্রতিবছর জাতীয় আয়ের এক বিরাট অংশ আসে পোশাক শিল্প থেকে। অর্জিত হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই খাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৩০.৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ভবিষ্যতে এই আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।

খ. রপ্তানি বৃদ্ধি:৭০০০ এর মতো কারখানা বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রার সঙ্গে জড়িত। দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতার কারণে এই খাতে পণ্যের গুণগত মান বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে, বাড়ছে রপ্তানি আয়ও।

গ. বেকার সমস্যা নিরসন:দেশের পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে প্রায় চল্লিশ লাখ শ্রমিক কাজ করে। এদের অধিকাংশই নারী। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে এসব শ্রমিকর পাচ্ছে স্বাবলম্বী জীবন ও অর্থনৈতিক মর্যাদা।

ঘ. শিল্পের প্রসার:পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আরও অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান পোশাক তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। যার ফলে দ্রুত শিল্পায়ন সম্ভব হচ্ছে। ঙ. পরিবহণ শিল্পের অগ্রগতিঃ পোশাক শিল্পসামগ্রী আমদানি ও রপ্তানির জন্য দেশের পরিবহণ খাতেও আয় বাড়ছে। নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত হতে পারছে।

পোশাক শিল্পে বিরাজমান সমস্যা

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও সুবিধা পেয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও এ শিল্প খাতটিতে নানা ধরনের সমস্যা বিরাজমান। যেমন:

১. রাজনৈতিক অস্থিরতা:বিভিন্ন সময়ে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী পোশাক সরবরাহ ব্যাহত হয়। ফলে সঠিক সময়ে মাল ডেলিভারি দিতে না পারায় অনেক অর্ডার বাতিল হয়ে যায়।

২. কাঁচামালের অভাব:দেশে পর্যাপ্ত কাঁচামাল না পাওয়া গেলে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে রপ্তানি আয়ের একটা বড়ো অংশ খরচ হয়ে যায়। অন্যদিকে, উন্নত কাঁচামালের অভাবে তৈরি পোশাকের সুনাম নষ্ট হয়।

৩. বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরিতে সীমাবদ্ধতা:বিশ্ববাজারে প্রায় ১১৫ ধরনের পোশাকের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ। সরবরাহ করতে পারে ৫ থেকে ১০ রকমের পোশাক। ফলে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।

৪. দক্ষ শ্রমিকের সংকট:পোশাক শিল্পে দক্ষ শ্রমিকদের সংকট একটি বড়ো সমস্যা। এই শিল্পের সিংহভাগই নারী। নারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এই শিল্পে বাধ্য হয়েই অদক্ষ নারী শ্রমিক নিয়োগ দিতে হয়। দক্ষ পুরুষ শ্রমিকেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

৫.শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তার অভাব:শ্রমিকরা প্রায়ই নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ড, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

৬. শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য:অন্যান্য শিল্পের তুলনায় পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি অনেক কম। রয়েছে নারী শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অনিয়মিত বেতন শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।

৭. অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ:নিরাপদ পানি, পরিবেশ ও পেশাগত ঝুঁকির কারণে অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। মজুরি কম হওয়ায় তাদের কোনো সঞ্চয় থাকে না। তার ওপর কোনো কারণে কাজে অনুপস্থিত থাকলে বেতন কেটে নেওয়া হয়।

এছাড়াও রয়েছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব, বিদ্যুৎ সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা প্রভৃতি।

সমস্যা সমাধানের উপায়

যেহেতু পোশাক শিল্প অত্যন্ত লাভজনক একটি খাত, সে কারণে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজন:

১. আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন পোশাক তৈরি করা;

২. দেশেই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া;

৩. শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও কাজের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা;

৪. নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা;

৫. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ইত্যাদি।

উপসংহার

বিশ্বায়নের এ যুগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পোশাক শিল্পে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণের লক্ষ্যে শ্রম আইন ও শ্রম কল্যাণ আইন-২০০৬ প্রবর্তন করেছে। ২০১৩ সালে প্রণীত শ্রম আইনে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তার ব্যাপারটিও বিবেচনাধীন। এখন প্রয়োজন সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা। তাহলেই সম্ভানাময় এই শিল্প খাতটি আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব রচনা | বাংলা রচনা

বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব

ভূমিকা

বিশেষ উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আনন্দময় কোনো অনুষ্ঠান পালন করাকেই মূলত উৎসব বলে। বাংলাদেশের কিংবা বাঙালির রয়েছে বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন ধরনের উৎসব। এগুলো বাংলার তথা বাঙালির সামাজিক উৎসব, প্রাণের উৎসব। এসব উৎসব প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। মানুষকে দৈনন্দিন জীবনের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে মিলনের বৃহত্তর আসরে মিলিত করে এসব উৎসব। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যথার্থই বলেছেন, “মানুষ স্বভাবতই আসঙ্গলিপ্স।” সুতরাং মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করবে এটাই নিয়ম। আর এই সমাজবদ্ধ মানুষের কর্মব্যস্ততা তাদের জীবনকে কুক্ষিগত করে রাখে। কর্মব্যস্ততার মাঝে মানুষ কখনো কখনো স্বস্তি চায়। বিভিন্ন সামাজিক উৎসব মানুষের জীবনে সেই স্বস্তি এনে দেয়।

উৎসবের বিভিন্নতা

সমাজবদ্ধ মানুষ একত্রিত হয়ে সাড়ম্বরপূর্ণ উদ্যোগে যে অনুষ্ঠানটি পালন করে তাই উৎসব। এ উৎসবের রয়েছে বিভিন্নতা। বিভিন্নতার ভিত্তিতে উৎসবকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।

১. ব্যক্তিগত উৎসব:ব্যক্তিকেন্দ্রিক উৎসব একান্তই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার হলেও এ ধরনের অনুষ্ঠানে সমাজের ক্ষুদ্রতম একটি অংশের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। তবে এতে ব্যক্তির স্বতন্ত্র চিন্তা-চেতনা এবং রুচি প্রাধান্য পায়। এ ধরনের উৎসব সর্বজনীন নয়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী এবং যেকোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান এ উৎসবের অন্তর্ভুক্ত।

২. সামাজিক উৎসব:এ উৎসব মূলত সর্বজনীন। সমাজের সবাই একত্রে এ উৎসব পালন করে। সাধারণত যে উৎসব একটি জনগোষ্ঠী বা দেশের মানুষ সবাই মিলে একত্রে পালন করে তাকে সামাজিক উৎসব বলে। বিয়ে, নববর্ষের অনুষ্ঠান ও মেলা, বইমেলা, পৌষমেলা, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি সামাজিক উৎসবের আওতাধীন।

৩. জাতীয় উৎসব:এ উৎসবও সর্বজনীন। এটি দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে। জাতীয় জীবনে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্মরণ করে এ উৎসব পালন করা হয়। যেমন- ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় উৎসব। আবার নববর্ষেরও যেমন- সামাজিক দিক রয়েছে, তেমনি এটি জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়।

৪. ধর্মীয় উৎসব:ধর্মীয় উৎসবগুলো সম্প্রদায়ভিত্তিক। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম এবং ধর্মাবলম্বী মানুষ আছে। সকল ধর্মাবলম্বীই তাদের রীতি অনুযায়ী যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে। যেমন- মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবেবরাত, মহররম ইত্যাদি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা, কালীপূজা, লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা, দোলপূর্ণিমা ইত্যাদি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধপূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, ভাদ্র পূর্ণিমা ও আশ্বিনী পূর্ণিমা। খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ক্রিসমাস ডে, ইস্টার সানডে ইত্যাদি। সকল সম্প্রদায়ের লোকই বেশ আনন্দের সাথে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে।

বাঙালির সামাজিক উৎসব

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি আনন্দপ্রিয় এবং মনের দিক থেকে বাঙালি উৎসবপ্রিয়। সময় পেলেই বাংলার মানুষ নানারকম উৎসবে মেতে ওঠে। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস উৎসব সমৃদ্ধ। অতীতে মানুষ সুখে-শান্তিতে বাস করত, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ছিল। ছিল গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ, কিন্তু বাঙালির আর্থিক সচ্ছলতা এখন অনেকটাই স্তিমিত। তবুও বাঙালির উৎসব এখনো চলমান। মূলত বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলো হলো অফুরন্ত আনন্দের ঝরনাধারা। বলা বাহুল্য উৎসব মানেই উৎসাহ, উৎসাহ মানেই উদ্দীপনা। বাঙালির সামাজিক উৎসবের মাঝে সেই উদ্দীপনাই খুঁজে পাওয়া যায়। উৎসবগুলোতে আনন্দই মুখ্য এবং আনন্দই এর প্রাণ। গানবাজনা, হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিয়ে সকল স্তরের মানুষ উৎসবের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তাই বাংলার সামাজিক উৎসবগুলো বাঙালির প্রাণের কথা বলে, বাঙালির প্রাণোচ্ছ্বাসে অনুরণিত হয়।

বাংলা নববর্ষ

বাঙালির সবচেয়ে বড়ো ও বৈচিত্র্যময় সামাজিক উৎসব হলো বাংলা নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে বরণ করে নিতে গোটা দেশেই সাজসাজ রব পড়ে যায়। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের উৎসব পালনে মেতে ওঠে এবং নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক ও বাহক এ দিনটি। পূর্বে গ্রামীণ বাংলায় পুণ্যাহ, বৈশাখী মেলা, হালখাতা ইত্যাদি নানা আয়োজনের ব্যবস্থা থাকত। বর্তমানে কালের বিবর্তনে এর অনেকগুলো হারিয়ে গেলেও হালখাতা, মেলা ইত্যাদি এখনো এ উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ সংস্কৃতির আদলে শহরেও উদ্যাপিত হয় এই দিনটি। এসবের বাইরে শহরের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, সংগীতের বা আবৃত্তির আসর, আলোচনা সভা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে বাঙালির বৃহত্তম মিলনমেলা রচনা করে পহেলা বৈশাখের উৎসবটি।

একুশের বইমেলা

একুশে ফেব্রুয়ারির সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়েই আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। একুশের বইমেলা তারই অন্যতম একটি আয়োজন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পুরো মাস জুড়ে চলে এ মহা আয়োজন। এ মেলা বইপ্রেমী মানুষ, প্রকাশক, লেখকসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই মেলা আমাদের মাঝে সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করে এবং জাতীয় চেতনাকে শাণিত করে।

জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন

নানা জাতীয় দিবসে আনন্দ আয়োজনে ভরে ওঠে দেশ। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ স্থানীয় স্মৃতি স্থাপনাগুলোতে মানুষের ঢল নামে। সশস্ত্র বাহিনী আয়োজন করে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর। বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে, বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এ দিবসগুলোয় গোটা জাতির সম্মিলন দেশের সংগ্রামী ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে এবং দেশপ্রেমের ভিত্তিকে মজবুত করে।

অন্যান্য উৎসব

এই উৎসবগুলোর বাইরেও ছোটো-বড়ো নানা উৎসবে সারা বছর মুখরিত থাকে এ দেশ। এর মধ্যে গ্রামভিত্তিক নবান্ন উৎসব, চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শহরে উদ্যাপিত আরও উৎসবের মধ্যে রয়েছে শরৎ উৎসব, পৌষ মেলা, পিঠা উৎসব, কবিতা বা নাট্য উৎসব, বিশিষ্ট শিল্পীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন উপলক্ষ্যে উৎসব, ঘুড়ি উড়ানো উৎসবসহ নানা ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন। সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশ যেন আনন্দ- উৎসবের তীর্থভূমি।

উৎসবের প্রয়োজনীয়তা ও জাতীয় জীবনে এর প্রভাব

মানুষের চিত্তাকর্ষের জন্য প্রয়োজন বিনোদন। কাজের মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে। আর এই বেঁচে থাকার জন্যই মানুষের জীবনে আনন্দ-উৎসবের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই সনাতনকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের উৎসব বাঙালির সমাজজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গরূপে পরিগণিত হয়ে আসছে। সবুজ-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ গানের দেশ, প্রাণের দেশ, উৎসবের দেশ। এখানে বারো মাসে তেরো পার্বণ হয়। বিচিত্র উৎসবে ভরে ওঠে মানুষের জীবন। আর এই উৎসবের প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে ক্লান্তিময় নাগরিক জীবন অনাবিল এক শান্তির পরশ পায়। মানুষের ব্যস্তময় জীবন, নিষ্প্রাণ ও হতাশাগ্রস্ত জীবনের গতিতে যেন হঠাৎ প্রাণের সঞ্চার ঘটে উৎসবগুলোর মধ্য দিয়ে। সামাজিক উৎসব মানুষের মনে প্রসন্নতা আনে, ক্লান্তির, অবসান ঘটায় এবং মানুষকে পৌছে দেয় উদার মানসলোকের উন্মুক্ত দ্বারপ্রান্তে। বছরান্তে চক্রাকারে ফিরে আসা একেকটি উৎসব বাঙালি জাতিকে সহমর্মিতায় ঐক্যবদ্ধ করে, অতীত ঐতিহ্যকে ধারণ করে গর্বিত হতে শেখায়, স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে আত্মসচেতন করে তোলে, পৃথিবীর বুকে স্বাধীন, সার্বভৌম জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে উদ্দীপ্ত করে এবং আত্মপ্রত্যয়ে প্রত্যয়ী করে তোলে। সুতরাং চিত্তের বিকাশে এবং প্রসন্নতার জন্য মানুষের ব্যক্তিজীবনে ও জাতীয় জীবনে উৎসবের গুরুত্ব অত্যাবশ্যকীয়।

উপসংহার

উৎসবের আনন্দ মানুষের সহজাত। কারণ এটা মানুষের অন্তরে স্থিত। তাই শত কর্মব্যস্ততার মাঝে মানুষ উৎসবের দিনগুলোতে এক অনাবিল সুখানুভূতির মধ্য দিয়ে নিজেকে বিলীন করে নতুনভাবে কর্মপ্রেরণা লাভ করে থাকে। আধুনিক সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলোর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় কিছু নেতিবাচক দিক। অনেক আয়োজনেই মুখ্য হয়ে ওঠে বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধির বিষয়টি। অপসংস্কৃতির প্রভাবে অনেক উৎসবই হারিয়েছে তার চিরচেনা রং। এতে মানুষের স্বাভাবিক আনন্দের অনুভূতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলো একাধারে যেমন বাঙালির চিন্তা-চেতনার স্রোতকে অব্যাহত রেখেছে, তেমনি এগুলো বাংলার মানুষের ঐতিহ্য, ধর্মবোধ ও সামাজিক একাত্মতাকে যুগ যুগ ধরে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রেখেছে। তাই সামাজিক জীবনে সবাই যেন এসব উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতাই কাম্য।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রচনা ২০ পয়েন্ট (JSC, SSC, HSC)

ভূমিকা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশ পায় এমন একটি গানের প্রথম ছয়টি লাইন হলো-

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা

যার নদী জলে ফুলে ফলে মোর স্বপ্ন আঁকা

যে নদীর নীল অম্বরে মোর মেলছে পাখা

সারাটি জীবন সে মাটির গানে অস্ত্র ধরি।

——————– গোবিন্দ হালদার

বাঙালিদের জাতীয় জীবনে তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি বলিষ্ঠ চেতনা এবং আত্মপ্রত্যয়ের দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেছেন, “আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগে না, স্রোত ব্যতীত যেমন নদী টিকে না, স্বাধীনতা ব্যতীত তেমনি জাতি কখনো বাঁচিতে পারে না।” বাংলাদেশের মানুষও নদীর স্রোতের মতো চিরন্তন সত্যের পথ ধরে ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত সূর্যকে। তিরিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এদেশবাসী যে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন তাকে চির সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবহমানকাল ধরে প্রেরণা যোগাবে।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা যে গৌরববোধ করি, এ গৌরব অর্জনের পেছনে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস বিদ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয় নি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরও পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায় নি। পরিবর্তন আসে নি বাঙালিদের জীবনে। ব্রিটিশের পর পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের উপনিবেশে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। তারা প্রথম আঘাত হানে বাঙালিদের মাতৃভাষার ওপর। সমগ্র পাকিস্তানে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পশ্চিমা শাসকের একপেশে সিদ্ধান্ত আর বৈরী আচরণকে বাঙালিরা মেনে নিতে পারে নি। এর প্রতিবাদে তারা রাজপথে আসে। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত হয়। ক্রমে ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন।

তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন খাজা নাজিমউদ্দীন। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় এসে পূর্বসূরিদের অনুসরণে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুর কথাই বললেন। ফলে ভাষা আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে এক তুমুল গণআন্দোলনে রূপলাভ করে। ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মিছিল, মিটিং, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ছাত্র- জনতা তাও মেনে নেয় নি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাঙালি ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে রাজপথে নামে। মিছিলের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে নিহত হন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। এ পথ ধরেই বাঙালিরা তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামে। ১৯৬৯ সালে আবারও এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এ পর্যায়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতনের পর ক্ষমতায় আসেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ক্ষমতায় আসার অল্পকালের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করলেন তিনি।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিদের বিজয় হলেও ক্ষমতা দেওয়া হলো না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করতে থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের দিকে। এদেশের মানুষের মনে দানা বেঁধে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চলে এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা হওয়ার পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

পাকিস্তানি শাসনামলে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বাঙালিদের ওপর শাসনের নামে শোষণ নির্যাতন চালায়। ফলে স্বৈরাচারী শাসকদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ১৯৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সকল শ্রেণির বাংলাদেশী মানুষের আদর্শ এবং নতুন দিনের পথপ্রদর্শক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও মিশে আছে আমাদের জীবনে, আমাদের সাহিত্যে, সংগীতে, শিল্পকলায়, স্থাপত্যে আর ভাস্কর্য শিল্পে। মিশে আছে আমাদের সংস্কৃতিতে। একে আমরা প্রতিবছর অনুভব করি স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ইত্যাদি স্মরণীয় দিবসের মধ্য দিয়ে। বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছে আমাদের বিজয়ের দিন। সফলতা পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন

আমাদের নানা কর্মকাণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ এবং প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ইত্যাদি পালনের মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখার জন্য গড়ে তোলা হয় নানা ভাস্কর্য। মুক্তিযুদ্ধ যাতে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে, সেজন্য নানা ধরনের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, মুজিবনগরের স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতিস্তষ্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে অপরাজয়ে বাংলা, রোকেয়া হলের পূর্ব পাশে অবস্থিত ভাস্কর্য, গাজীপুরের চৌরাস্তায় নির্মিত ভাস্কর্য ইত্যাদিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঢাকার সেগুন বাগিচায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর’। এখানে সংগৃহীত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি এবং উপকরণ। এসব স্মৃতি উপকরণ পরবর্তী প্রজন্মের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটাবে।

বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মুক্তিযুদ্ধের করুণ কাহিনী আর বীরত্বগাথা দিয়ে রচিত হয়েছে গল্প, উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত, প্রবন্ধ এবং অসংখ্য কবিতা-ছড়া। মাহবুবুল আলমের ভাষায়, “যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের উপন্যানে মুক্তিযুদ্ধের যথেষ্ট প্রতিফলন লক্ষণীয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে এখানকার জীবনে যে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল তা প্রত্যক্ষদর্শী ঔপন্যাসিকগণ উপেক্ষা করতে পারেন নি। তাই এখানকার উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাঙ্কনের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধোত্তর কালের জীবনের রূপায়ণেরও নিদর্শন প্রকাশিত হচ্ছে।” শওকত ওসমানের ‘দুই সৈনিক’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘নীলা দংশন’, রাবেয়া খাতুনের ‘মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী’, আনোয়ার পাশার ‘রাইফেল রোটি আওরাত’, রিজিয়া রাহমানের ‘রস্তের অক্ষর’, সেলিনা হোসেনের ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘মহাযুদ্ধ’, শিরীন মজিদের ‘অপু বিজয় দেখেনি’ প্রভৃতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। শওকত ওসমানের ‘জন্য যদি তব বঙ্গে’ গ্রন্থের সবগুলো গল্পই রচিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত গল্প’ সংকলন। কল্যাণ মিত্রের ‘জল্লাদের দরবার’ নাটক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের প্রবীণ এবং নবীন প্রায় সকল কবির হাতেই সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা। জন্ম হয়েছে সাহিত্যের নতুন স্রোতধারা। এদিক থেকে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীন, সুফিয়া কামাল, আহসান হাবীব, সিকান্দার আবু জাফর, শামসুর রাহমান, জাহানারা আরজু, হাসান হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আল মাহমুদ, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ শামসুল হক, ফজল শাহাবুদ্দীন, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী, হুমায়ুন আজাদ, মুহম্মদ নূরুল হ্রদা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জসীমউদ্দীনের ‘সপ্তগ্রাম’ আহসান হাবীবের ‘মার্চ’, সিকান্‌দার আবু জাফরের বাঙলা ছাড়ো’, আলাউদ্দিন আল আজদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ফজল শাহাবুদ্দীনের ‘বাংলাদেশ একাত্তরে’, মহাদেব সাহার ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার ডায়রী’, আবদুল মান্নান সৈয়দের ‘মুক্তিযুদ্ধ’, হুমায়ুন আজাদের ‘মুক্তিবাহিনীর জন্যে’ প্রভৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রচিত উল্লেখযোগ্য কবিতা।

সমাজ-বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বাংলাদেশের মানুষের যে স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষার মানসে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় নি। স্বাধীনতার পর বারবার সরকার বদল, হত্যা আর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী তৎপরতা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, খুবসমাজে সৃষ্ট হতাশা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমাজে বাস্তবায়িত হতে দেয় নি। সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে আন্তরিক পদক্ষেপ। এ লক্ষ্যে দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণকর শাসনব্যবস্থা যেমন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত গৌরবগাথা আর আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্যের কাছে তুলে ধরা। যে আদর্শ, উদ্দেশ্য ও চেতনা নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ তাদের তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে, ইজ্জত দিয়েছে হাজার হাজার মা-বোন, আমাদের সমাজ এবং জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের সেই আদর্শ ও চেতনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে-এটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।

উপসংহার

মুক্তিকামী বিপ্লবী বাঙালি জনমানসে শৃঙ্খল ভাঙার চেতনা জাগ্রত হয়। আর তারই পথ ধরে বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার সোনালি সূর্য। তবে এ স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গ নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদেরকে অর্জন করতে হবে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। তবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা হবে গৌরবময়।