বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব রচনা | বাংলা রচনা

ভূমিকা

বিশেষ উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আনন্দময় কোনো অনুষ্ঠান পালন করাকেই মূলত উৎসব বলে। বাংলাদেশের কিংবা বাঙালির রয়েছে বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন ধরনের উৎসব। এগুলো বাংলার তথা বাঙালির সামাজিক উৎসব, প্রাণের উৎসব। এসব উৎসব প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। মানুষকে দৈনন্দিন জীবনের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে মিলনের বৃহত্তর আসরে মিলিত করে এসব উৎসব। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যথার্থই বলেছেন, “মানুষ স্বভাবতই আসঙ্গলিপ্স।” সুতরাং মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করবে এটাই নিয়ম। আর এই সমাজবদ্ধ মানুষের কর্মব্যস্ততা তাদের জীবনকে কুক্ষিগত করে রাখে। কর্মব্যস্ততার মাঝে মানুষ কখনো কখনো স্বস্তি চায়। বিভিন্ন সামাজিক উৎসব মানুষের জীবনে সেই স্বস্তি এনে দেয়।

উৎসবের বিভিন্নতা

সমাজবদ্ধ মানুষ একত্রিত হয়ে সাড়ম্বরপূর্ণ উদ্যোগে যে অনুষ্ঠানটি পালন করে তাই উৎসব। এ উৎসবের রয়েছে বিভিন্নতা। বিভিন্নতার ভিত্তিতে উৎসবকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।

১. ব্যক্তিগত উৎসব:ব্যক্তিকেন্দ্রিক উৎসব একান্তই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার হলেও এ ধরনের অনুষ্ঠানে সমাজের ক্ষুদ্রতম একটি অংশের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। তবে এতে ব্যক্তির স্বতন্ত্র চিন্তা-চেতনা এবং রুচি প্রাধান্য পায়। এ ধরনের উৎসব সর্বজনীন নয়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী এবং যেকোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান এ উৎসবের অন্তর্ভুক্ত।

২. সামাজিক উৎসব:এ উৎসব মূলত সর্বজনীন। সমাজের সবাই একত্রে এ উৎসব পালন করে। সাধারণত যে উৎসব একটি জনগোষ্ঠী বা দেশের মানুষ সবাই মিলে একত্রে পালন করে তাকে সামাজিক উৎসব বলে। বিয়ে, নববর্ষের অনুষ্ঠান ও মেলা, বইমেলা, পৌষমেলা, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি সামাজিক উৎসবের আওতাধীন।

৩. জাতীয় উৎসব:এ উৎসবও সর্বজনীন। এটি দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করে। জাতীয় জীবনে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা স্মরণ করে এ উৎসব পালন করা হয়। যেমন- ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় উৎসব। আবার নববর্ষেরও যেমন- সামাজিক দিক রয়েছে, তেমনি এটি জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়।

৪. ধর্মীয় উৎসব:ধর্মীয় উৎসবগুলো সম্প্রদায়ভিত্তিক। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম এবং ধর্মাবলম্বী মানুষ আছে। সকল ধর্মাবলম্বীই তাদের রীতি অনুযায়ী যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে। যেমন- মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, ঈদে মিলাদুন্নবী, শবেবরাত, মহররম ইত্যাদি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা, কালীপূজা, লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা, দোলপূর্ণিমা ইত্যাদি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধপূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, ভাদ্র পূর্ণিমা ও আশ্বিনী পূর্ণিমা। খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো ক্রিসমাস ডে, ইস্টার সানডে ইত্যাদি। সকল সম্প্রদায়ের লোকই বেশ আনন্দের সাথে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে।

বাঙালির সামাজিক উৎসব

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি আনন্দপ্রিয় এবং মনের দিক থেকে বাঙালি উৎসবপ্রিয়। সময় পেলেই বাংলার মানুষ নানারকম উৎসবে মেতে ওঠে। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস উৎসব সমৃদ্ধ। অতীতে মানুষ সুখে-শান্তিতে বাস করত, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ছিল। ছিল গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ, কিন্তু বাঙালির আর্থিক সচ্ছলতা এখন অনেকটাই স্তিমিত। তবুও বাঙালির উৎসব এখনো চলমান। মূলত বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলো হলো অফুরন্ত আনন্দের ঝরনাধারা। বলা বাহুল্য উৎসব মানেই উৎসাহ, উৎসাহ মানেই উদ্দীপনা। বাঙালির সামাজিক উৎসবের মাঝে সেই উদ্দীপনাই খুঁজে পাওয়া যায়। উৎসবগুলোতে আনন্দই মুখ্য এবং আনন্দই এর প্রাণ। গানবাজনা, হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিয়ে সকল স্তরের মানুষ উৎসবের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তাই বাংলার সামাজিক উৎসবগুলো বাঙালির প্রাণের কথা বলে, বাঙালির প্রাণোচ্ছ্বাসে অনুরণিত হয়।

বাংলা নববর্ষ

বাঙালির সবচেয়ে বড়ো ও বৈচিত্র্যময় সামাজিক উৎসব হলো বাংলা নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে বরণ করে নিতে গোটা দেশেই সাজসাজ রব পড়ে যায়। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের উৎসব পালনে মেতে ওঠে এবং নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক ও বাহক এ দিনটি। পূর্বে গ্রামীণ বাংলায় পুণ্যাহ, বৈশাখী মেলা, হালখাতা ইত্যাদি নানা আয়োজনের ব্যবস্থা থাকত। বর্তমানে কালের বিবর্তনে এর অনেকগুলো হারিয়ে গেলেও হালখাতা, মেলা ইত্যাদি এখনো এ উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ সংস্কৃতির আদলে শহরেও উদ্যাপিত হয় এই দিনটি। এসবের বাইরে শহরের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, সংগীতের বা আবৃত্তির আসর, আলোচনা সভা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে বাঙালির বৃহত্তম মিলনমেলা রচনা করে পহেলা বৈশাখের উৎসবটি।

একুশের বইমেলা

একুশে ফেব্রুয়ারির সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়েই আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের। একুশের বইমেলা তারই অন্যতম একটি আয়োজন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পুরো মাস জুড়ে চলে এ মহা আয়োজন। এ মেলা বইপ্রেমী মানুষ, প্রকাশক, লেখকসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই মেলা আমাদের মাঝে সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করে এবং জাতীয় চেতনাকে শাণিত করে।

জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন

নানা জাতীয় দিবসে আনন্দ আয়োজনে ভরে ওঠে দেশ। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ স্থানীয় স্মৃতি স্থাপনাগুলোতে মানুষের ঢল নামে। সশস্ত্র বাহিনী আয়োজন করে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর। বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে, বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এ দিবসগুলোয় গোটা জাতির সম্মিলন দেশের সংগ্রামী ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে এবং দেশপ্রেমের ভিত্তিকে মজবুত করে।

অন্যান্য উৎসব

এই উৎসবগুলোর বাইরেও ছোটো-বড়ো নানা উৎসবে সারা বছর মুখরিত থাকে এ দেশ। এর মধ্যে গ্রামভিত্তিক নবান্ন উৎসব, চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শহরে উদ্যাপিত আরও উৎসবের মধ্যে রয়েছে শরৎ উৎসব, পৌষ মেলা, পিঠা উৎসব, কবিতা বা নাট্য উৎসব, বিশিষ্ট শিল্পীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন উপলক্ষ্যে উৎসব, ঘুড়ি উড়ানো উৎসবসহ নানা ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন। সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশ যেন আনন্দ- উৎসবের তীর্থভূমি।

উৎসবের প্রয়োজনীয়তা ও জাতীয় জীবনে এর প্রভাব

মানুষের চিত্তাকর্ষের জন্য প্রয়োজন বিনোদন। কাজের মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে। আর এই বেঁচে থাকার জন্যই মানুষের জীবনে আনন্দ-উৎসবের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই সনাতনকাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের উৎসব বাঙালির সমাজজীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গরূপে পরিগণিত হয়ে আসছে। সবুজ-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ গানের দেশ, প্রাণের দেশ, উৎসবের দেশ। এখানে বারো মাসে তেরো পার্বণ হয়। বিচিত্র উৎসবে ভরে ওঠে মানুষের জীবন। আর এই উৎসবের প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে ক্লান্তিময় নাগরিক জীবন অনাবিল এক শান্তির পরশ পায়। মানুষের ব্যস্তময় জীবন, নিষ্প্রাণ ও হতাশাগ্রস্ত জীবনের গতিতে যেন হঠাৎ প্রাণের সঞ্চার ঘটে উৎসবগুলোর মধ্য দিয়ে। সামাজিক উৎসব মানুষের মনে প্রসন্নতা আনে, ক্লান্তির, অবসান ঘটায় এবং মানুষকে পৌছে দেয় উদার মানসলোকের উন্মুক্ত দ্বারপ্রান্তে। বছরান্তে চক্রাকারে ফিরে আসা একেকটি উৎসব বাঙালি জাতিকে সহমর্মিতায় ঐক্যবদ্ধ করে, অতীত ঐতিহ্যকে ধারণ করে গর্বিত হতে শেখায়, স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে আত্মসচেতন করে তোলে, পৃথিবীর বুকে স্বাধীন, সার্বভৌম জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে উদ্দীপ্ত করে এবং আত্মপ্রত্যয়ে প্রত্যয়ী করে তোলে। সুতরাং চিত্তের বিকাশে এবং প্রসন্নতার জন্য মানুষের ব্যক্তিজীবনে ও জাতীয় জীবনে উৎসবের গুরুত্ব অত্যাবশ্যকীয়।

উপসংহার

উৎসবের আনন্দ মানুষের সহজাত। কারণ এটা মানুষের অন্তরে স্থিত। তাই শত কর্মব্যস্ততার মাঝে মানুষ উৎসবের দিনগুলোতে এক অনাবিল সুখানুভূতির মধ্য দিয়ে নিজেকে বিলীন করে নতুনভাবে কর্মপ্রেরণা লাভ করে থাকে। আধুনিক সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলোর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় কিছু নেতিবাচক দিক। অনেক আয়োজনেই মুখ্য হয়ে ওঠে বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধির বিষয়টি। অপসংস্কৃতির প্রভাবে অনেক উৎসবই হারিয়েছে তার চিরচেনা রং। এতে মানুষের স্বাভাবিক আনন্দের অনুভূতিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব গুলো একাধারে যেমন বাঙালির চিন্তা-চেতনার স্রোতকে অব্যাহত রেখেছে, তেমনি এগুলো বাংলার মানুষের ঐতিহ্য, ধর্মবোধ ও সামাজিক একাত্মতাকে যুগ যুগ ধরে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রেখেছে। তাই সামাজিক জীবনে সবাই যেন এসব উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সে বিষয়ে সকলের সহযোগিতাই কাম্য।

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিসিএসসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই সহায়ক হবে।

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতি
প্রশ্ন : পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম বন্দরের নাম রাখেন
উত্তর : পোর্টো গ্রান্ডে ।

প্রশ্ন : যে জমিদার রংপুর কৃষক বিদ্রোহের জন্য দায়ী
উত্তর : দেবীসিংহ ।

প্রশ্ন : চাকমা বিদ্রোহের সময় চাকমাদের রাজা ছিলেন
উত্তর : জোয়ান বক্শ খান ।

প্রশ্ন : ১৭৮১ সালে মজনু শাহ যে জঙ্গলে আধিপত্য স্থাপন করেন
উত্তর : মধুপুর জঙ্গলে ।

প্রশ্ন : যে ব্রিটিশ ভাইসরয় জেলাগুলোতে স্বায়ত্তশাসিত লোকাল বোর্ড এবং শহরে মিউনিসিপ্যালিটি গঠন করেন
উত্তর : লর্ড রিপন।

প্রশ্ন : যে যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে টিপু সুলতান নিহত ও মহীশূরের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়
উত্তর : চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ ।

প্রশ্ন : ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়
উত্তর : জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে।

প্রশ্ন : ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ পাস হয়
উত্তর : ১৮ জুলাই ১৯৪৭।

প্রশ্ন : ১৯ মার্চ ১৯৭২ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করেন
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধি

প্রশ্ন : পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান বিল কার্যকর হয়
উত্তর : ২৩ মার্চ ১৯৫৬

প্রশ্ন : পাকিস্তানের প্রথম সামরিক আইন জারি করেন
উত্তর : ইস্কান্দার মির্জা

প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকার নাম
উত্তর : পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?

প্রশ্ন : “কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা খোকা কবে আসবি’-অপেক্ষমাণ মায়ের আকুতিপূর্ণ এ পঙ্ক্তির রচয়িতা
উত্তর : আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ।

প্রশ্ন : ‘সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে দফা পেশ করে
উত্তর : ১১টি।

প্রশ্ন : জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিল পাস হয়
উত্তর : ১২ নভেম্বর ১৯৯৬।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমণে ভারতের যে কমান্ড অংশগ্রহণ করে
উত্তর : ইস্টার্ন কমান্ড ।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর সাথে যে বাহিনী প্রথম ঢাকায় প্রবেশ করে
উত্তর : কাদেরিয়া বাহিনী ।

প্রশ্ন : দেশের একমাত্র উপজাতি বীরবিক্রম
উত্তর : ইউকে (উক্য) চিং মারমা ।

প্রশ্ন : ‘দ্য টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ হলো
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংকলন।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়
উত্তর : ২২ মার্চ ১৯৯৬।

প্রশ্ন : জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়
উত্তর : ৩ আগস্ট ২০১৪।

প্রশ্ন : সিবি-১০
উত্তর : উন্নত জাতের তুলাবীজ ।

প্রশ্ন : পাকিস্তান চা বোর্ডের প্রথম বাঙ্গালি চেয়ারম্যান
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন : দেশের প্রথম সরকারি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত
উত্তর : কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি ।

প্রশ্ন : সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ ইত্যাদি অপরাধ সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে বলা হয়
উত্তর : ৭ক অনুচ্ছেদ ।

প্রশ্ন : সংবিধানের যে অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার বর্ণিত রয়েছে
উত্তর : ৪৯ অনুচ্ছেদে।

প্রশ্ন : অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি কমিউনিটি রেডিও
উত্তর : কৃষি রেডিও।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে কাগুজে নোট চালু রয়েছে
উত্তর : ১০ ধরনের ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও মুদ্রার নকশাকার ছিলেন
উত্তর : কে জি মুস্তাফা ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ নির্বাচিত হয়
উত্তর : ২৬ জুলাই ১৯৭৭।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা
উত্তর : ৫০টি।

প্রশ্ন : ‘ডাউকি ফল্ট’ বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের যে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদী ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্ৰ
উত্তর : বড়পুকুরিয়া, দিনাজপুর।

প্রশ্ন : যে ধরনের শিলায় জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে
উত্তর : পাললিক শিলা ।

প্রশ্ন : মুজিবনগর সরকারের অর্থনীতিবিষয়ক ও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন
উত্তর : তাজউদ্দীন আহমদ ।

প্রশ্ন : ১৯৬৬ সালের ৬ দফার অর্থনীতিবিষয়ক ছিল
উত্তর : ৩টি ।

প্রশ্ন : প্রাচীন বাংলায় ‘সমতট’ বর্তমান যে অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল
উত্তর : কুমিল্লা ও নোয়াখালী ।

প্রশ্ন : ‘Untranquil Recollectins : The Years of Fulfilment’ শীর্ষক গ্রন্থটির লেখক
উত্তর : রেহমান সোবহান

প্রশ্ন : ওরাওঁ জনগোষ্ঠী যে অঞ্চলে বসবাস করে
উত্তর : রাজশাহী- দিনাজপুর।

প্রশ্ন : ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত
উত্তর : মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয়
উত্তর : ১৯৯৮ সালে ।

প্রশ্ন : নিপোর্ট (NIPORT) যে ধরনের গবেষণা মোহাম্মদ হানিফ প্রতিষ্ঠান
উত্তর : জনসংখ্যা গবেষণা ।

প্রশ্ন : ১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে যে দিনটি পালন করা হতো
উত্তর : ১১ মার্চ ।

প্রশ্ন : বাংলদেশের জাতীয় আয়ে যে খাতের প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি
উত্তর : শিল্প ।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারকর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম ছিল
উত্তর : জয়বাংলা ।

প্রশ্ন : দেশে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়
উত্তর : ১১ জুলাই ।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যে দেশ বাংলাদেশের পক্ষে ‘ভেটো’ প্রদান করে
উত্তর : সোভিয়েত ইউনিয়ন ।

প্রশ্ন : নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার বিষয়টি সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে
উত্তর : অনুচ্ছেদ ২২।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে দশমিক মুদ্রা চালু হয়
উত্তর : ১৯৬১ সালে ।

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিসিএসসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই সহায়ক হবে। 47th BCS preparation

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতি – 47th BCS Preparation

প্রশ্ন : ডুরান্ড লাইন সীমারেখা যে দুটি দেশের মধ্যে অবস্থিত
উত্তর : পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৷

প্রশ্ন : আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মহাসাগরের নাম
উত্তর : প্রশান্ত মহাসাগর ।

প্রশ্ন : বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল
উত্তর : কনস্টান্টিনোপল ।

প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আধুনিক জনশুমারি পরিচালিত হয়
উত্তর : ১৭৯০ সালে ।

প্রশ্ন : হিথ্রো বিমানবন্দর অবস্থিত
উত্তর : যুক্তরাজ্যে।

প্রশ্ন : All the News that is Fit to Print যে পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট
উত্তর : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

প্রশ্ন : মিসরের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের নাম
উত্তর : রাম আলটিন প্যালেস ।

প্রশ্ন : পেন্টাগন যে নদীর তীরে অবস্থিত
উত্তর : পটোম্যাক ।

প্রশ্ন : পলমল হলো
উত্তর : লন্ডনের একটি পথের নাম ৷

প্রশ্ন : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন
উত্তর : উইনস্টন চার্চিল ।

প্রশ্ন : Four Freedoms Speech-এর সাথে সম্পৃক্ত
উত্তর : থিওডোর রুজভেল্ট।

প্রশ্ন : বিপ্লবী চে গুয়েবারা পেশায় ছিলেন
উত্তর : চিকিৎসক।

প্রশ্ন : বিখ্যাত স্কুল অব ফিলোসফি সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা
উত্তর : এরিস্টটল ।

প্রশ্ন : নিকৃষ্ট মুদ্রা উৎকৃষ্ট মুদ্রাকে বাজার থেকে বিতাড়িত করে
উত্তর : থমাস গ্রেসাম ।

প্রশ্ন : প্রথম বর্ণমালা উদ্ভাবন করেন
উত্তর : ফিনিশীয়রা

প্রশ্ন : ফিনিশীয় সভ্যতার বর্ণমালাগুলো
উত্তর : বর্তমান কালের ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে মিল রয়েছে।

প্রশ্ন : MQ-9 Reaper, X47B যে দেশের ড্রোনের নাম
উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র।

প্রশ্ন : যে চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপোল সৃষ্টি হয়
উত্তর : ম্যাসট্রিচট চুক্তির মাধ্যমে।

প্রশ্ন : ডেটন চুক্তির লক্ষ্য ছিল
উত্তর : বসনিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক পুঁজি বিনিয়োগ সংস্থা (IFC) প্রতিষ্ঠিত হয়
উত্তর : ২০ জুলাই ১৯৫৬।

প্রশ্ন : বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট
উত্তর : ইন্টিগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট ।

প্রশ্ন : OPCW’র পূর্ণরূপ
উত্তর : Organization for the Prohibition of Chemical Weapons

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষ’ (ISA) এর সদরদপ্তর অবস্থিত
উত্তর : কিংস্টন, জ্যামাইকা

প্রশ্ন : FINA
উত্তর : Federation and International de-nation Amateur

প্রশ্ন : অস্কার পুরস্কারের অন্য নাম
উত্তর : একাডেমি অ্যাওয়ার্ড

প্রশ্ন : অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী প্রথম নারী
উত্তর : ইলিনর অস্ট্রম ।

প্রশ্ন : ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে ইউরো মুদ্রা চালু হয়
উত্তর : ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ ।

প্রশ্ন : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কারবিষয়ক লিসবন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
উত্তর : ১৩ ডিসেম্বর ২০০৭।

প্রশ্ন : নোবেল জয়ী প্রথম মুসলিম নারী
উত্তর : শিরিন এবাদি (ইরান) ।

প্রশ্ন : World Food Programme (WFP)-এর সদর দপ্তর
উত্তর : রোম, ইতালি ।

প্রশ্ন : জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন চুক্তি কার্যকর হয়
উত্তর : ১৬ নভেম্বর ১৯৯৪ ।

প্রশ্ন : UNRISD’র সদর দপ্তর অবস্থিত
উত্তর : জেনেভা, সুইজারল্যান্ড ।

প্রশ্ন : কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের ডিপ্লোমেটিক কর্মকর্তাদের বলা হয়
উত্তর : হাইকমিশনার।

প্রশ্ন : Gulf Cooperation Council (GCC) এর সদস্য দেশ
উত্তর : ৬টি ।

প্রশ্ন : ASEM প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য
উত্তর : দুটি মহাদেশের জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা ।

প্রশ্ন : ‘দ্য ওয়েলথ অব নেশনস্’ গ্রন্থের রচয়িতা
উত্তর : অ্যাডাম স্মিথ

প্রশ্ন : ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে সিঙ্গাপুর যে দেশের অংশ ছিল
উত্তর : মালয়েশিয়া

প্রশ্ন : ‘গ্রিনল্যান্ড’-এর মালিকানা যে দেশের
উত্তর : ডেনমার্ক ।

প্রশ্ন : ‘তাস’ যে দেশের সংবাদ সংস্থা
উত্তর : রাশিয়া ।

প্রশ্ন : হারারের পূর্ব নাম
উত্তর : সলসব্যারী

প্রশ্ন : পূর্বে যে দেশটি শ্যামদেশ নামে পরিচিত ছিল
উত্তর : থাইল্যান্ড ।

প্রশ্ন : ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ যে দুটি রাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী রেখা চিহ্নিত করে
উত্তর : ভারত ও পাকিস্তান

প্রশ্ন : ‘গ্রেট হল’ অবস্থিত
উত্তর : চীন।

প্রশ্ন : কার্ল মার্কস যে দেশে মৃত্যুবরণ করেন
উত্তর : যুক্তরাজ্য ।

প্রশ্ন : জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)-এর শীর্ষ পদটি
উত্তর : প্রশাসক ।

প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে Anti-Ballistic Missile (ABM) চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে
উত্তর : ১৩ জুন ২০০২ ।

প্রশ্ন : আরব লীগ প্রতিষ্ঠা পায়
উত্তর : ২২ মার্চ ১৯৪৫ ।

প্রশ্ন : ‘Law of the Sea Convention’ DP অনুযায়ী, উপকূল থেকে কত দূরত্ব পর্যন্ত Exclusive Economic Zone’ হিসেবে গণ্য
উত্তর : ২০০ নটিক্যাল মাইল ।

প্রশ্ন : ‘Black Lives Matter ́ হলো
উত্তর : বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ।

প্রশ্ন : মাথাপিছু গ্রিনহাউজ গ্যাস উদগিরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী যে দেশ
উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র।

প্রশ্ন : Special Drawing Rights (SDR) সুবিধা প্রবর্তনের জন্য IMF-এর গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়
উত্তর : ১৯৬৯।

প্রশ্ন : ফলকেটিং যে দেশের আইন সভা
উত্তর : ডেনমার্ক ।

প্রশ্ন : ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রসি (NLD) যে দেশের রাজনৈতিক দল
উত্তর : মিয়ানমার ।

প্রশ্ন : জাতিসংঘ সমুদ্র আইন স্বাক্ষরিত হয়
উত্তর : ১৯৮২ সালে ।

প্রশ্ন : BRICS কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের নাম
উত্তর : New Development Bank (NDB)।

প্রশ্ন : সামরিক ভাষায় ‘WMD অর্থ
উত্তর : Weapons of Mass Destruction

প্রশ্ন : মায়া সভ্যতা বিশ্বের যে অঞ্চলে বিরাজমান ছিল
উত্তর : মধ্য আমেরিকা ।

প্রশ্ন : জাতিসংঘের যে সংস্থা বার্ষিক বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন প্রকাশ করে
উত্তর : UNCTAD।

 

Air Pollution MCQ & Answer

1 ) What is the primary cause of smog?

A) Deforestation
B) Water vapor
C) Vehicle emissions
D) Noise pollution

Answer: C) Vehicle emissions

Explanation: Smog is primarily caused by vehicle emissions, which release a large amount of pollutants such as nitrogen oxides and volatile organic compounds into the air.

2) Which of the following pollutants is a primary contributor to acid rain?

A) Carbon monoxide
B) Sulfur dioxide
C) Methane
D) Ozone

Answer: B) Sulfur dioxide

Explanation: Sulfur dioxide (SO2) is a major contributor to acid rain. When sulfur dioxide and nitrogen oxides are released into the atmosphere, they react with water vapor and other chemicals to form sulfuric and nitric acids. These acids then fall to the earth as precipitation, known as acid rain.

3) Which air pollutant is most harmful to the human respiratory system?

A) Particulate matter (PM)
B) Carbon monoxide
C) Ozone
D) Lead
Answer: A) Particulate matter (PM)

Explanation: Particulate matter (PM), especially fine particles known as PM2.5, are extremely harmful to the human respiratory system. These tiny particles can penetrate deep into the lungs and even enter the bloodstream, causing a range of health issues from minor irritations to serious conditions such as heart disease and lung cancer.

4) The term ‘PM2.5’ refers to:

A) Particulate matter with a diameter of 2.5 micrometers or less
B) Particulate matter found 2.5 meters above ground level
C) Particulate matter that is 2.5 times heavier than air
D) Particulate matter with a pH level of 2.5
Answer: A) Particulate matter with a diameter of 2.5 micrometers or less

Explanation: PM2.5 refers to particulate matter that has a diameter of 2.5 micrometers or less. These particles are so small that they can be inhaled and cause serious health problems, as they can penetrate deep into the lungs and even enter the bloodstream.

5) Which of the following is an effect of ozone depletion?

A) Increased air quality
B) Decreased global temperatures
C) Increased UV radiation reaching the Earth’s surface
D) Reduced acid rain
Answer: C) Increased UV radiation reaching the Earth’s surface

Explanation: Ozone depletion results in less ozone in the stratosphere, which means that more ultraviolet (UV) radiation from the sun reaches the Earth’s surface. This can lead to increased risks of skin cancer, cataracts, and other health problems, as well as having detrimental effects on the environment and ecosystems.

 

READ MORE: Essay on Air Pollution

Essay on Air Pollution

Air pollution, a critical environmental challenge, is the contamination of the air we breathe with harmful substances at levels detrimental to health and the environment. This complex issue is rooted in the emissions from various sources, including industrial activities, vehicular exhaust, agricultural operations, and even household combustion. Essay on Air Pollution

The implications of air pollution are far-reaching, affecting human health, ecosystems, climate change, and even the global economy. This essay explores the causes, effects, and potential solutions to the pressing issue of air pollution.

Causes of Air Pollution

The primary sources of air pollution can be classified into anthropogenic (human-made) and natural. Anthropogenic sources dominate, with industrial emissions, transportation, agricultural activities, and residential heating and cooking contributing significantly to air pollution. Industries release a multitude of pollutants such as sulfur dioxide (SO2), nitrogen oxides (NOx), particulate matter (PM), and volatile organic compounds (VOCs) into the atmosphere. Vehicles, a major part of urban life, emit NOx, PM, carbon monoxide (CO), and VOCs due to the combustion of fossil fuels. Agricultural practices contribute through ammonia emissions, a result of fertilizer use and livestock waste, which play a significant role in particulate matter formation. Residential burning of solid fuels for cooking and heating releases significant amounts of smoke, containing a mix of health-damaging pollutants.

Natural sources, though less significant in urban areas, still contribute to air pollution. Volcanic eruptions, wildfires, dust storms, and pollen dispersal are natural processes that introduce pollutants into the air. However, the impact of these natural sources is often exacerbated by human activities. For instance, climate change, driven by human-induced emissions, has led to an increase in the frequency and intensity of wildfires and dust storms. Essay on Air Pollution

Effects of Air Pollution

The effects of air pollution are multifaceted, impacting human health, ecosystems, and the climate. Human health suffers the most immediate and direct consequences. Short-term exposure to air pollutants can cause respiratory infections, headaches, and dizziness, while long-term exposure has been linked to more severe conditions like asthma, cardiovascular diseases, lung cancer, and premature death. According to the World Health Organization, air pollution is responsible for millions of premature deaths annually, making it one of the leading environmental health risks.

Ecosystems also bear the brunt of air pollution. Acid rain, resulting from the combination of rainfall with sulfur dioxide and nitrogen oxides, can severely damage forests, soils, and aquatic environments. Pollutants like ozone (O3) and particulate matter can harm wildlife and plant life, affecting biodiversity and disrupting food chains. Essay on Air Pollution

On a global scale, air pollution contributes to climate change. Greenhouse gases, such as carbon dioxide (CO2) and methane (CH4), trap heat in the atmosphere, leading to global warming. Other pollutants, like black carbon (a component of particulate matter), also have a warming effect by absorbing sunlight. Conversely, some pollutants, such as sulfur particles, can have a cooling effect by reflecting sunlight away from the Earth. This complex interaction of pollutants with the climate system highlights the need for a comprehensive understanding and approach to tackling air pollution.

Solutions to Air Pollution

Addressing air pollution requires a multi-faceted approach involving policy, technology, and public awareness. At the policy level, governments can implement regulations to limit emissions from major sources. Examples include setting stricter vehicle emission standards, promoting cleaner production processes in industries, and encouraging the use of renewable energy sources. Technological solutions, such as electric vehicles, carbon capture and storage, and air purification systems, offer promising avenues for reducing pollution. Public awareness and behavior change are also crucial. Simple actions, like using public transportation, conserving energy, and reducing waste, can collectively make a significant impact.

READ MORE: Air Pollution Paragraph

Air Pollution Paragraph

Air Pollution Paragraph

Air pollution, a pervasive environmental issue, stems from the release of pollutants into the atmosphere, detrimentally impacting both human health and the planet. Originating from various sources such as industrial emissions, vehicle exhaust, and agricultural activities, these pollutants include particulate matter, nitrogen oxides, sulfur dioxide, and volatile organic compounds. The health repercussions are profound, ranging from respiratory conditions to cardiovascular diseases and premature death. Beyond human health, air pollution wreaks havoc on ecosystems, contributing to acid rain, damaging forests, and leading to the loss of biodiversity. Urban areas, in particular, bear the brunt of this issue, grappling with smog and reduced air quality. Addressing air pollution requires a concerted effort involving policy regulation, technological innovation, and public awareness to foster a sustainable and healthy future.

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশ রচনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশ রচনা

১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ উদযাপিত হয়ে আসছে। দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাসে জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এ উদ্যোগ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২’ পালিত হচ্ছে। ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস- ২০২২’-এর এবারের প্রতিপাদ্য- ‘Early warning and early action for all’ যার ভাবানুবাদ করা হয়েছে ‘দুর্যোগে আগাম সতর্কবার্তা, সবার জন্য কার্যব্যবস্থা’।

বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপকতা প্রমাণ করে দুর্যোগের পূর্ব সতর্কীকরণ ও ঝুঁকিহ্রাসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগপূর্ব পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উপকূলে আমাদের ৭৬,১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় অনুরূপ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশ রচনা

দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য:

১) আপদ পর্যবেক্ষণ ও দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান: বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তায় ১৯৭২ সালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র চালু হয়। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সারা দেশে বর্তমানে সাড়ে তিন’শ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে বন্যার আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আকস্মিক বন্যা মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে রিমোট সেনসিং, জিআইএস, রাডার, স্যাটেলাইট তথ্য-চিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে বন্যা আসার ৩ থেকে ৫ দিন আগেই বন্যার পূর্বাভাস ও বন্যার স্থায়িত্ব সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। BWDB এর FFWC থেকে Flood App এবং Flood Alert-এর মাধ্যমে বন্যা পূর্বাভাসের সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উন্নত গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস ও সতর্কতাবার্তা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র’ থেকে বর্তমানে গাণিতিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ‘ডব্লিউআরএফ’ ব্যবহার করে ৭ থেকে ১০ দিনের পূর্বাভাস অনেক নির্ভুলভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমানোর লক্ষ্যে এবং দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। তাছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বজ্রপাতপ্রবণ ১৫টি জেলার ১৩৫ উপজেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টর্নেডোর পূর্বাভাস বিষয়ে বর্তমান সরকার কার্যক্রম শুরু করেছে।

পূর্বাভাস প্রদানের জন্য ২০১২ সাল থেকে SAARC Monsoon Initiative Programme চালু রয়েছে; ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক খরা পর্যবেক্ষণ ও পূর্বসতর্কীকরণ পদ্ধতির উন্নতি সাধন করা হয়েছে, যাতে করে বাংলাদেশের কৃষক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেকোনো খরা মোকাবিলায় আগাম কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও সময়োপযোগী ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

২) দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচার: দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচারে দুর্যোগের প্রাক্কালে রেডিও, টেলিভিশন ও মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দ্রুত ও অধিকতর কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বরে Interactive Voice Response (IVR) চালু করা হয়েছে। এছাড়াও, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়ে থাকে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশ রচনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা প্রস্তুতি ও প্রচারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সম্প্রতি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিন দিনের আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস প্রচলন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রচারের জন্য কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যার আগাম সতর্কবার্তা সকল পর্যায়ে প্রচার করার মাধ্যমে বন্যার ঝুঁকিহ্রাস করা সম্ভব হবে।

৩) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে স্থানীয়করণ: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সার্বিক সাফল্য অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে শক্তিশালী কাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে বিভাগ থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) এর আলোকে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট টুল ব্যবহার করে দুর্যোগে ঝুঁকিহ্রাস, আপদকালীন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও মহড়ার মাধ্যমে এর কার্যকর ব্যবহার ও হালনাগাদকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিবেচনায় রেখে এ সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের জন্য প্রযোজ্য কমিটিসমূহের আলোকে বুকলেট প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

৪) প্রশিক্ষণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ: দুর্যোগে বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (NDMRTI) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নারী, প্রবীণ নাগরিক ও শিশুসহ সকল স্তরের জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামো ও নির্দেশিকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগঝুঁকি হ্রাস এবং সাড়াদান কার্যক্রমের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৫) দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ: দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৯৪,৩৩৮টি বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও ৪৪৯০৯টি দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

৬) ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ: ঘূর্ণিঝড়/জলোচ্ছ্বাসে ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে ৩২৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

৭) বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ: বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ১০০০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

৮) মুজিবকিল্লা নির্মাণ: উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত এলাকার ১৪৮টি উপজেলায় ৩৭৮টি বহুমুখী মুজিবকিল্লা নির্মাণ এবং বিদ্যমান ১৭২টি মুজিবকিল্লার সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।

৯) সেতু/কালভার্ট নির্মাণ: গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মি. দীর্ঘ সেতু/কালভার্ট নির্মাণে এ পর্যন্ত ২৭৫৪৪টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

১০) গ্রামীণ রাস্তাসমূহ টেকসইকরণে এইচবিবিকরণ: গ্রামীণ রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে ৪,২৬৮.০০ কি.মি. রাস্তা এইচবিবিকরণ করা হয়েছে এবং ১৩২০.৪২ কি.মি. প্রক্রিয়াধীন আছে।

১১) জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ: জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণের অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহের জন্য প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান। পাশাপাশি ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দুর্যোগ পরবর্তী অনুসন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বিতভাবে মোকাবেলার লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সেন্টার হিসেবে National Emergency Operation Center (NEOC) প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বজ্রপাতের ঝুঁকি কমাতে ও পূর্বাভাস প্রদানের নিমিত্তে ‘হাওরঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ (জুলাই, ২০২১-জুন, ২০২৪) এবং ‘বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে দেশব্যাপী বজ্রনিরোধক কাঠামো স্থাপন প্রকল্প’ (জুলাই, ২০২১-জুন, ২০২৪) শীর্ষক দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ কবলিত মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ৬০টি বিশেষ Multipurpose Rescue Boat তৈরি ও হস্তান্তর কার্যক্রম চলমান।

লেখাঃ মো. সেলিম হোসেন

‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ রচনা

‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ রচনা

ভূমিকা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো এক ধরনের দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়, যা স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতির নিয়মে ঘটে থাকে এবং তার পিছনে মানুষের সরাসরি কোনো ভূমিকা থাকে না। ভৌগোলিক গতভাবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় অবস্থিত। যার কারনে সারা বছর বাংলাদেশে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই দেশের মানুষের নিত্যসঙ্গী। প্রতি বছর এবং বলা চলে সারা বছর এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। যেমন- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, ভূমিধস, ভূমিকম্প ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাকে বলে

প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো এমন একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যাতে মানুষের জীবনহানি, আঘাত বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রভাব, সম্পত্তির ক্ষতি, জীবিকা ও পরিষেবার ক্ষতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাঘাত, বা পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হতে পারে। ভূমিকম্প, ভূমিধস, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা, হারিকেন, টর্নেডো, তুষার ঝড়, সুনামি, ঘূর্ণিঝড়, দাবানল এবং মহামারীর মতো বিভিন্ন ঘটনা হল প্রাকৃতিক বিপদ বা দুর্যোগ যার কারনে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয় এবং কোটি কোটি টাকার আবাসস্থল ও সম্পত্তি ধ্বংস করে।

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কারণ হলো:

ভূতাত্ত্বিক অবস্থান: বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা।আমাদের দেশ হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ার কারনে এখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি।
আবহাওয়ার অবস্থা: বাংলাদেশ একটি উষ্ণ এবং আর্দ্র দেশ। যার কারনে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং দাবানলের মতো আবহাওয়ার চরম অবস্থার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং দাবানলের মতো দুর্যোগের তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব বাড়ছে।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। প্রতি বছর বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়াতে মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ অবদান রাখছে। এর মধ্যে রয়েছে,

বন উজাড়: বন হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। বন বৃষ্টিপাত কমাতে, মাটির ক্ষয় রোধ করতে এবং বাতাসের গতি কমাতে সাহায্য করে। বন উজাড়ের ফলে এই সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বন্যা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
নদীর তীর ভরাট: নদীর তীর ভরাট করার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। মানুষ প্রতিনিয়ত নদী ভরাট করছে যার জন্য বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে এবং নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষের জীবনের ঝুঁকি আরো বাড়ছে।

অপরিকল্পিত নগরায়ন: অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে নগর এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ রচনা

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়াবহতা

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা অত্যন্ত ব্যাপক। প্রতি বছর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষ মারা যায় এবং বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পৃথিবীতে যত দূর্যোগপূর্ন দেশ রয়েছে তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায় তার রূপ ভয়ংকর। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে বন্য, খর, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, টর্নেডো এবং নদীভাঙ্গন ইত্যাদি।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও খরায়। একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশে মোট ১০০ বছরে অন্তত ৫৮ টি বড় বড় ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, ৫০ বছর হয়েছে ৫৩ টি বন্যা যার মধ্যে ছয়টি মহাপ্লাবন, ১৩৫ বছর সংঘটিত হয়েছে প্রায় ২৯ টির বেশি বড় বড় ভূমিকম্প। বাংলাদেশের ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ছোট বড় সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোড ১৬৭ টি এবং এর মধ্যে ১৫ টি অত্যন্ত ভয়াবহ।

ছোট বড় সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলে প্রানহানিক সংখ্যা প্রায় ছয় থেকে আট লক্ষ এবং ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিগত দশক গুলোর মধ্যে ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৪, ১৯৭৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬ সালের বন্যা ছিল অনেক ভয়াবহ। একইভাবে বিগত বছর গুলোর মধ্যে ১৯৮২, ১৯৮৯ এবং ১৯৯৪ সালের খরায় দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

কালবৈশাখী

কালবৈশাখী ঝড় হলো একটি প্রবল বায়ুপ্রবাহ যা বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-মে) সাধারণত দেখা যায়। এটি উত্তর-পশ্চিম থেকে প্রবাহিত হয় বলে ইংরেজিতে একে নরওয়েস্টার বলা হয়। কালবৈশাখী ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এ ঝড়ের সাথে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

কালবৈশাখী ঝড় বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। যেমন: কালবৈশাখী ঝড়ের মূল কারণ হলো বায়ুমণ্ডলের অস্থিতিশীলতা। বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালে, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এই উচ্চ তাপমাত্রার ফলে ভূপৃষ্ঠের বাতাস গরম হয়ে ওঠে এবং উপরে উঠে যায়। এই গরম বাতাসের জায়গায় শীতল বাতাস প্রবেশ করে। এই শীতল বাতাস উপরে উঠে গরম হয়ে ওঠে এবং আবার উপরে উঠে যায়। এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে এবং বায়ুমণ্ডল অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এই অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলে কালবৈশাখী ঝড়ের সৃষ্টি হয়। কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ঝড়ের কারণে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি, টেলিফোন লাইন ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়,ফসল নষ্ট হয় পারে,মানুষ আহত বা মারা যেতে পারে।

টর্নেডো

বাংলাদেশে টর্নেডো ঝড় তেমন দেখা যায়না। তবে, ইতিহাসে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য টর্নেডো ঝড়ের ঘটনা ঘটেছে এবং মাঝে মাঝেই বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। ১৯৮৮ সালের ২৭ মে, একটি মাঝারি আকারের টর্নেডো ঝড় বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আঘাত হানে। এই ঝড়ের ফলে শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়। এরপরে ১৯৯৬ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে টর্নেডো ঝড় দেখা দিয়েছিল। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে বাড়ি ঘর লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে টর্নেডো।

গ্রীষ্মকালে যখন ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এই উচ্চ তাপমাত্রার ফলে ভূপৃষ্ঠের বাতাস গরম হয়ে ওঠে এবং উপরে উঠে যায়। এই গরম বাতাসের জায়গায় শীতল বাতাস প্রবেশ করে। এই শীতল বাতাস উপরে উঠে গরম হয়ে ওঠে এবং আবার উপরে উঠে যায়। এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে এবং বায়ুমণ্ডল অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এই অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলে টর্নেডো ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

লবণাক্ততা

লবণাক্ততার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের মধ্যে কৃষক, জেলে, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা রয়েছে। লবণাক্ততার কারণে এসব মানুষের জীবিকা নির্বাহ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

লবণাক্ততা মাটির উর্বরতা হ্রাস করে। ফলে ফসল ফলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এতে করে কৃষকদের জীবিকা নির্বাহে ব্যাঘাত ঘটে। বাংলাদেশে লবনাক্ততা সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে লবণাক্ত পানি পান করে মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে করে ডায়রিয়া, কলেরা, কিডনি রোগ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও লবণাক্ততা ফসলের ফলন কমিয়ে দেয়। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।

বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে লবনাক্ততা সমস্যা অনেক বেশি দেখা দেয়। যার কারনে নদী এবং সমূদ্রের আশেপাশের জমি গুলোরে ফসল চাষ করা যায়না। ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ রচনা

শিলাবৃষ্টি

বাংলাদেশে প্রতি বছর শিলাবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। শিলাবৃষ্টি হলো এক ধরনের বজ্রঝড় যা বৃষ্টিপাত হিসাবে বরফ তৈরি করে। শিলাবৃষ্টির মূল কারণ হলো বায়ুমণ্ডলের অস্থিতিশীলতা। বজ্রঝড়ের সময়, বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা বাতাস এবং উষ্ণ বাতাস মিশ্রিত হয়। এই মিশ্রণের ফলে বায়ুমণ্ডলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। এই অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলে শিলাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে শিলাবৃষ্টি সাধারণত বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে হয়। বাংলাদেশে শিলাবৃষ্টির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায় উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় এবং লালমনিরহাট জেলায়। এছাড়াও, রাজশাহী, বগুড়া, গাইবান্ধা এবং সিরাজগঞ্জ জেলায়ও শিলাবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে প্রতি বছর শিলাবৃষ্টি দেখা যায়৷ যার ফলে জমির ফষল নষ্ট হয় এবং গাছপালা ভেঙ্গে যায়।

অতিবৃষ্টি

বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় দেশ। এই কারণে, এ দেশটি মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রভাবিত হয়। মৌসুমী বায়ু হলো একটি উষ্ণ এবং আর্দ্র বাতাস যা ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল হয়। এই সময় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিকেই অতিবৃষ্টি বলা হয়। বাংলাদেশে অতিবৃষ্টি সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হয়। এই সময় মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। অতিবৃষ্টির কারনে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল, রাস্তাঘাট সব নষ্ট হয়ে যায়। অতিবৃষ্টির কারনে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের ঘর বাড়ি, ফসল, গরু ছাগল সব কিছু ভেসে যায়। প্রতি বছর বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চল গুলো অতিবৃষ্টির কারনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বন্যা

বন্যা হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে নদী, খাল, বা অন্য কোনো জলাশয়ের পানি বেড়ে স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে প্লাবিত হয়। বন্যা ফসল, সম্পত্তি এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। বন্যার প্রধান কারণ হলো অতিবৃষ্টি। অতিবৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়। এছাড়াও, নদীর তলদেশের মাটি ক্ষয় হলেও বন্যা হতে পারে। এই ক্ষয়ের ফলে নদীর ধারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং অতিরিক্ত পানি প্লাবিত হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা হয়েছিল ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৮, ১৯৭৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮ ১৯৯৮, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে। বর্তমানে বন্যাকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হিসেবে দায়ী করা হয়েছে। বন্যা বিপুল ক্ষতি সাধন করে মানুষের। বন্যার কারনে মানুষের ফসলি জমি ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকেরা ফসল ঘরে তুলতে পারেনা। যার কারনে দেশে খাবার সংকট পরে। বন্যার কারনে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বেড়ে যায়। মানুষ গরু ছাগল সব কিছু বন্যার পানিতে ভেসে যায়।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস

বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রবণ দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস হয়। সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় হল একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান প্রচণ্ড বাতাসের একটি শক্তিশালী ঝড়। এই ঝড়গুলি সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়, যেখানে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। সাইক্লোন এর ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে হয়। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটারের বেশি হলে তাকে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বা চোখে যখন বাতাসের চাপ খুব কম থাকে তখন কেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে। একেই জলোচ্ছ্বাস বলে। সাধারনত যখন দ্বীপাঞ্চল বা উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায় তখন ওই সময় ঝড়ের ঢেউ ও জোয়ার এসে প্লাবন ঘটায়। তারপর ঝড়ের চক্ষু যদি সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করে তখন ঝড়ের ঢেউ, ঝড়ের জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস এই তিনটি একত্রিত হতে ঐ স্থানের বিরাট অংশ ডুবে যায়। অনেকের ধারনা অমাবস্যা বা পূর্ণিমার ভরা কটালের সময় যদি জলোচ্ছ্বাস হয়, তবে তার ফল বেশি ভয়ংকর হয়।

খড়া

খড়া হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে কোন অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়। খরার ফলে জলসম্পদের তীব্র ঘাটতি দেখা দেয়, যা ফসল, সম্পত্তি এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। খড়া বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। বাংলাদেশ একটি খড়াপ্রবণ দেশ। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলো অনেক বেশি খড়াপ্রবণ। খড়া সাধারণত বর্ষা মৌসুমের আগে দেখা দেয়৷ খড়ার কারনে ফসলি জমি গুলোতে কোনো পানি থাকেনা৷ যার ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারেনা। মাঠ ঘাট ফেটে চৌচিড় হয়ে যায় খড়ার কারনে। খড়া থেকে বাচার জন্য কৃষকেরা সেচের মাধ্যমে ফসলে পানি দেয়।

নদী ভাঙ্গন

নদীভাঙ্গন হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে নদীর পাড় ভেঙে নদীর পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। নদীভাঙ্গনের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় এবং ফসল, সম্পত্তি এবং জনজীবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নদীভাঙ্গনের প্রধান কারণ হলো নদীর তীরবর্তী এলাকার মাটির ক্ষয়। বাংলাদেশ একটি নদীভাঙ্গনপ্রবণ দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বছর নদীভাঙ্গন হয়। নদীভাঙ্গনের কারনে প্রতিবছর বাংলাদেশের নদী এলাকার হাজার হাজার মানুষের ঘর বাড়ি নদীর গর্ভে চলে যায়। ফসলি জমি নদীতে চলে যায়। বাংলাদেশে নদীভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে। যেমন:

নদীর তীরবর্তী এলাকায় গাছপালা রোপণ করা।
নদীর তীর কে শক্তিশালী করার জন্য বাঁধ, বেড়িবাঁধ ইত্যাদি নির্মাণ করা।
নদীর গতিবিধি পরিবর্তন রোধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
জনসাধারণকে নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

ভূমিধ্বস ও ভূমিক্ষয়

ভূমিধ্বস হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে পাহাড়-পর্বতের গা থেকে মাটির ঢালু অংশ ভেঙে নিচে নেমে আসে। ভূমিধ্বসের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিধ্বসের প্রধান কারণ হলো মাটির অস্থিতিশীলতা। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি নরম হয়ে যায় এবং ভূমিধ্বসের ঝুঁকি বাড়ে। ভূমিকম্পের ফলে মাটির গঠন পরিবর্তিত হয় এবং ভূমিধ্বসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও গাছপালা কেটে ফেলা, ভূমিতে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা ইত্যাদি মানবসৃষ্ট কারণেও ভূমিধ্বস হতে পারে।

ভূমিক্ষয় হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে মাটির উপরের অংশ ধীরে ধীরে অপসারিত হয়। ভূমিক্ষয়ের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং ফসলের ক্ষতি হয়। ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ হলো মাটির উপরের অংশে গাছপালা না থাকা। গাছপালা মাটিকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। গাছপালা না থাকলে মাটি সহজেই নষ্ট হয়ে যায়।

ভূমিকম্প

ভূমিকম্প হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যাতে ভূ-পৃষ্ঠে কম্পন হয়। এই কম্পনটি পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে থাকা টেকটনিক প্লেটগুলো নড়াচড়ার কারণে হয়। বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। কারণ, বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং মিয়ানমার টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই প্লেটগুলোর নড়াচড়ার ফলে বাংলাদেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা হয় রিখটার স্কেলে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত হয়। ০ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় না। ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ। বাংলাদেশে সাধারণত ৪ থেকে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। তবে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

আর্সেনিক

বাংলাদেশে আর্সেনিক সমস্যা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের ৪৭টি জেলার ২৩৩টি উপজেলার ২,০০০ ইউনিয়নের ৩১,৪৯৭টি গ্রাম আর্সেনিক দূষণের শিকার। এসব এলাকায় ৫% নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যায়। বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণের কারণ হলো ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি। আর্সেনিক একটি বিষাক্ত উপাদান। এটি মানবদেহে বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে: ত্বকের রোগ, যেমন ত্বকের কালো দাগ, ফোসকা, ঘা ইত্যাদি। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আর্সেনিক বেশি। এসব এলাকায় মাটিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি বেশি। ভূগর্ভস্থ পানি মাটিতে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে এই এলাকার ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি বেড়ে যায়।

বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রবন এলাকা

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা। এই এলাকায় প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় প্রবন এলাকাগুলো হলো:

ক. চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী
খ. বরিশাল বিভাগ: বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা। এই এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস, ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টিপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। এই দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বাংলাদেশ সরকার ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থাপনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও সতর্কতা জারি করে।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ: ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় নেওয়ার জন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্ষয় ক্ষতি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

মানুষের প্রাণহানি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। যেমন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাসে মানুষ ভেসে যায় ভূমিকম্পের কারণে ভবন ধসে পড়ে মানুষ মারা যায়, বন্যায় মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়।
সম্পত্তির ক্ষতি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে। যেমন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ভূমিকম্পের কারণে ভবন ধসে পড়ে সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পরিবেশের ক্ষতি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। যেমন, বন্যায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে, ভূমিকম্পের কারণে মাটির উর্বরতা হ্রাস পেতে পারে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বায়ু দূষিত হতে পারে।
সামাজিক ক্ষতি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সামাজিক ক্ষতি হতে পারে। যেমন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আশ্রয়হীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, ভূমিকম্পের কারণে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, বন্যায় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

দূর্যোগ মোকেবেলায় করনীয়

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এজন্য সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থাপনা জোরদার করা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থাপনা জোরদার করা দরকার। এজন্য আবহাওয়া সংস্থার কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা এবং জনগণকে দ্রুত সতর্ক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। যেমন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কার করা ইত্যাদি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সতর্কতা নির্দেশনা অনুসরণ করা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সতর্কতা নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরি। যেমন, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া, বন্যা হলে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া ইত্যাদি।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা: দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা জরুরি। যেমন, খাদ্য, ওষুধ, জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সরবরাহ করা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিকার

দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। যেমন, বনায়ন বৃদ্ধি করা, নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা ইত্যাদি।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থাপনা জোরদার করলে অনেকাংশেই ক্ষয় ক্ষতির পরিমান কমানো সম্ভব। তাই ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নদীর আশেপাশের তীরে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার জন্য ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷
অগ্ন্যুৎপাত প্রতিরোধ করার জন্য অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় জনসাধারণের কর্তব্য:

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য সাধারন মানুষকে পূর্বাভাস ও সতর্কতা নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে৷ যেমন, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে, বন্যা হলে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে হবে ইত্যাদি।
যাদের সামর্থ্য আছে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে পারে। গরীব, অসহায় ও বয়স্কদের মাঝে খাদ্য, ওষুধ, জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস করার জন্য সবাই মিলে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে৷ যেমন সবাইকে বনায়ন বৃদ্ধি করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা, নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা ইত্যাদি কাজে উৎসাহ প্রদান করতে হবে৷ পরিবেশের সুরক্ষায় ভূমিকা পালন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই বেশি বেশি গাছ লাগানো, জলাধার সংরক্ষণ করা, পানির অপচয় রোধ করা ইত্যাদি ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সবাই মিলে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে সাধারণ মানুষ নিজেদের এবং অন্যের জীবন রক্ষা করতে পারে। তাই নিজে, পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশীদের প্রশিক্ষন গ্রহন করতে সাহায্য করতে হবে৷

উপসংহার

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশে পরিণত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বাংলাদেশ অগ্রগতির ধারা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রতি বছরই এ দেশের জনগণের জান-মাল, সহায়-সম্পত্তি, প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কখনো বন্ধ সম্ভব নয়। তবুও পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের সরকার এবং সাধারন মানুষ যদি পরিকল্পিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করি তাহলে এর দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কয়টি ও কি কি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী? উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নয়টি ছদ্মনাম রয়েছে

1|ভানুসিংহ ঠাকুর।

2|অকপটচন্দ্র

3|আন্নাকালী পাকড়াশী

4|দিকশূন্য ভট্টাচার্য

5|নবীন কিশোর শর্মণ

6|ষষ্ঠীচর দেবশর্মা

7|বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ

8|শ্রীমতি কনিষ্ঠা

9|শ্রীমতি মধ্যমা ৷

 

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাব সম্প্রসারণ

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাব সম্প্রসারণ

ভাব-সম্প্রসারণ : মানুষে মানুষে অনেক ধরনের বিভেদ-বৈষম্য থাকতে পারে। কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আমরা সবাই মানুষ।

সব মানুষ একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীর একই জল-হাওয়ায় আমরা বেড়ে উঠি। আমাদের সবার রক্তের রং লাল। তাই মানুষ একে অন্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। ভৌগোলিকভাবে আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, অথবা আমরা যে যুগেরই মানুষ হই না কেন, আমাদের একটিই পরিচয় আমরা মানুষ। কখনো কখনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমরা জাত-কুল-ধর্ম-বর্ণের পার্থক্য তৈরি করে মানুষকে দূরে ঠেলে দিই, এক দল আরেক দলকে ঘৃণা করি, পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হই। কিন্তু এগুলো আসলে সাময়িক। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, আমরা একে অন্যের পরম সুহৃদ। আমাদের উচিত সবাইকে ভ্রাতৃত্ত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রাখা। প্রত্যেককে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেয়া এবং তার অধিকার সংরক্ষণে একনিষ্ঠ থাকা। মানুষের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র, ব্রাহ্মণ-শূদ্র, আশরাফ-আতরাফ, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, কেন্দ্রবাসী-প্রান্তবাসী এমন ভাগাভাগি কখনোই কাম্য হতে পারে না। তাতে মানবতার অবমাননা করা হয়। তাই আধুনিককালে এক বিশ্ব, এক জাতি চেতনার বিকাশ ঘটছে দ্রুত। মানব জাতির একই একাত্ম-ধারণা প্রতিষ্ঠিত হলে যুগে যুগে, দেশে দেশে মারামারি, যুদ্ধ-বিগ্রহ কমে আসবে। মানুষ সংঘাত-বিদ্বেষমুক্ত শান্তিপূর্ণ এক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সর্বত্র মনুষ্যত্বের জয়গাথা ঘোষিত হবে।

সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে, বিশুদ্ধভাবে ভালোবাসতে পারলেই বিশ্বে প্রার্থিত সুখ ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।